নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৪ নেতাকে শোকজ
দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বিএনপির চার নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিতপত্রে তাদের এ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।  পৃথক পৃথক নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আপনি উপজেলা নির্বাচনে তৃতীয় দফায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। তাই জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না,  তা যে কোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’ যাদের শোকজ করা হয়েছে তারা হলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি সরকার জহিরুল হক মিঠুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কুমিল্লা দ. জেলা বিএনপির সদস্য তাহমিনা হক পপি, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আকরামুল ইসলাম ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া অপু।  এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা জানান, সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর অবস্থানে আছে। 
১৪ ঘণ্টা আগে

ভোটে থাকায় বিএনপির ৪৫ নেতাকে শোকজ
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে অংশ নেওয়ায় নেতাদের কারণ দর্শানো (শোকজ) শুরু করেছে বিএনপি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অন্তত ৪৫ নেতাকে শোকজ করেছে দলটি। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে কিংবা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোট করায় প্রথম ধাপে ৮০ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে বহিষ্কৃতদের মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যান এবং ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। গত রোববার ছিল এই ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। জানা গেছে, দলের কঠোর অবস্থানের মুখেও তৃতীয় ধাপে বিএনপির ১৮ জনের বেশি নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। বাকিরা হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী। এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে যাওয়ায় গতকাল আরও ৫ নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন—মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা মল্লিক (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মুন্নি আক্তার (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), খুলনার খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), নওগাঁর সাপাহার থানা মহিলা দলের প্রচার সম্পাদক সুমি আক্তার (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) এবং বগুড়া জেলা মহিলা দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সখিনা বেগম (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় এর আগে ৬৪ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এ ধাপে ভোট হবে আগামী ২১ মে। রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত তৃতীয় ধাপের শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
১৫ মে, ২০২৪

তৃতীয় ধাপে শোকজ শুরু করেছে বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চলমান উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়া নেতাদের কারণ দর্শানো (শোকজ) শুরু করেছে বিএনপি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর গতকাল সোমবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু করে দলটি। আজ মঙ্গলবার এই চিঠি দেওয়ার কার্যক্রম শেষ হবে। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠির জবাব সংশ্লিষ্ট নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে কিংবা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। রোববার ছিল এই ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। জানা গেছে, দলের কঠোর অবস্থানের মুখেও তৃতীয় ধাপে বিএনপির অন্তত ১৮ নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এই ধাপে দলটির ২৩ নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাঁচজন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এই ১৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সবাইকে শোকজ করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদেও দলের প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও দলীয়ভাবে বর্জন করেছে বিএনপি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোট করায় প্রথম ধাপে ৮০ ও দ্বিতীয় ধাপে ৬৪ জনকে বহিষ্কার করে দল। বহিষ্কৃতদের মধ্যে প্রথম ধাপে সাতজন চেয়ারম্যান ও তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত তৃতীয় ধাপের শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
১৪ মে, ২০২৪

বিজয়নগরে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাবেরকে শোকজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল জাবেরকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে ১২ মে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আল জাবের বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ, মিছিল ও শোডাউন করেছেন। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ওসি তাকে ফোন করে প্রচার চালাতে নিষেধ করেন। পরে সমাবেশস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রচার বন্ধ করতে বললেও তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বন্ধ করেননি। যে কারণে তাকে শোকজ করা হয়।
১১ মে, ২০২৪

সুনামগঞ্জে ৩ বিএনপি নেতাকে শোকজ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশ নেওয়ায় বিএনপির তিন নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) রাতে তাদের শোকজ করা হয়। শোকজের নোটিশে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের সই রয়েছে। দলীয় প্যাডে লেখা নোটিশটি নুরুল ফেসবুকে পোস্ট করেন। এই তিন নেতা হলেন- উপজেলা বিএনপির (স্থগিত কমিটি) সহসভাপতি ও উত্তর শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার, তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাদল মিয়া ও উত্তর বড়দল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। নোটিশে বলা হয়, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন ওই তিন নেতা। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে কেন তাদের দলীয় সব পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার জবাব নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ২১ মে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন করলেও এই তিন নেতা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে আলী হায়দার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী  উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোাসেন খানের পক্ষে কাজ করছেন। বাদল মিয়া তার বেয়াই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিনের নির্বাচনী কাজে অংশ নিচ্ছেন। রুহুল আমিন তার আপন ভাই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিএনপি নেতা আবু কাশেমের পক্ষে কাজ করছেন।
১১ মে, ২০২৪

চন্দ্রগঞ্জ থানা আ. লীগের সভাপতি-সম্পাদককে শোকজ
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। রোববার (৫ মে) রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন স্বাক্ষরিত একটি শোকজের কপি প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে। জানা গেছে, পূর্ব অবহিতকরণ ছাড়া চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন হাজিরপাড়া ইউনিয়নের একটি আহ্বায়ক কমিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। এতে পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পূর্বের কমিটি ভেঙে নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি দেওয়ায় চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এদিকে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফেসবুকে ওই ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শোকজ নোটিশকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগকারী হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করেন। এ ছাড়া এ বিষয়ে অন্য কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব জানান, কেন্দ্রের কোনো চিঠি তারা পাননি। চিঠি পাওয়ার আগে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি নন তিনি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, কেন্দ্রীয় চিঠির বিষয়টি অবগত হয়েছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন ছাড়া কোনো কমিটি ঘোষণা করা করা বেআইনি। সে হিসেবে হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্বের কমিটি বহাল রয়েছে।
০৬ মে, ২০২৪

আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঝালকাঠির সদর উপজেলায় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ঝালকাঠি জেলা নির্বাচন কমিশন। অভিযুক্ত খান আরিফুর রহমান বর্তমান ঝালকাঠি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  শনিবার (৪ মে) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে উপস্থিত হয়ে এ কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাঃ আ. ছালেক। শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা  হয়েছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসাবে আপনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টিক ব্যানার (পিভিসি ব্যানার) ব্যবহার করেছেন, বিপুল পরিমাণে লোকজনের সমাগম করে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন। একটি গাড়িতে একের অধিক শব্দের মাত্রা বর্ষণকারী যন্ত্রের ব্যবহার করে প্রচারণা চালিয়েছেন। এ ছাড়া বিনয়কাঠি ইউনিয়নের সুগন্ধিয়া মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কয়েক শতাধিক লোকজন নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করে আপনার প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন যার ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আপনার এমন কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা,২০১৬ এর বিধি ৮ (৯), ১৩ (ক) এবং ২১ (১) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর একাধিক বিধি ভঙ্গ করে প্রচার-প্রচারণা করায় কেন আপনার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো। তবে এ ব্যাপারে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২১ মে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
০৪ মে, ২০২৪

বেলকুচিতে থানায় ঢুকে আক্রমণ প্রার্থীকে শোকজ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডলের প্রভাব বিস্তার এবং থানায় ঢুকে চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের ওপর হামলার অভিযোগে অন্য প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এ নোটিশ দেন। নোটিশে বলা হয়েছে, প্রার্থী আমিনুলের পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া গত ১ মে আমিনুল বেলকুচি থানায় ঢুকে অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের ওপর আক্রমণ করেন। এসব কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৩, বিধি ২২-এর (১) এবং বিধি ৩১-এর পরিপন্থি। এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার জবাব দুই দিনের মধ্যে লিখিতভাবে দিতে বলা হলো।
০৪ মে, ২০২৪

বিএনপিতে এবার ৬১ জনকে শোকজ
চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলীয় কঠোর অবস্থানেই থাকছে ভোট বয়কট করা বিএনপি। সংগঠনে যে কোনো মূল্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দলটি। তাই প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থী থাকায় এরই মধ্যে দল থেকে তৃণমূলের ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে থাকা দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও শিগগির সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন তারা। এর অংশ হিসেবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়ায় এরই মধ্যে ৬১ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছয়জন রয়েছেন। দলের নির্দেশনার পরও তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে কিংবা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি। ফলে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের অবস্থানে থাকা বিএনপির বহিষ্কারের সংখ্যা দীর্ঘ হবে। জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
০৩ মে, ২০২৪

সংসদ সদস্যের প্রার্থী দাবি করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে শোকজ
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন মো. কামরুল ইসলাম এ নোটিশ দেন। ওই নোটিশে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়া ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলাম। রবিউল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য। তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজী শুভ রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। পরে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. শাহীনুর আলম অভিযোগের চিঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে এক উঠান বৈঠকে নিজেকে এমপির সমর্থিত (সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক) মনোনীত প্রার্থী দাবি করে ভোট চান। যেটা আচারণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মর্মে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রবিউল ইসলামের করা লিখিত ও হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও চিত্র অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী ভোটারদের উদ্দেশে বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের এক পথ সভায় এমপি ( সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক) তাকে তার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আমাকে সমর্থন করেছেন। আমি মনে করি, এই সম্মান এখন শিবলী সাদিকের সম্মান। এই সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের। অভিযোগ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা বংশপরম্পরায় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাদের রাজনীতির ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরের উপরে। আমি নিজেও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হয়তো কথা বলার ক্ষেত্রে আমি বলে থাকতে পারি। ওইটা হয়তো ভুলবশত হতেই পারে। আগামী দিন আর এ রকম হবে না। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে ওনাকে (কাজী শুভ রহমান চৌধুরী) শোকজ করা হয়েছে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪
X