৮০ শতাংশের বেশি বিড়ি শ্রমিক বিকল্প কর্মসংস্থান চান 
টাঙ্গাইল জেলার বিড়ি শ্রমিকদের জীবনমানের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় জানা গেছে, এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৮০ শতাংশের বেশি শ্রমিক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এবং অর্থনৈতিক কারণে বিকল্প আয়ের উৎস চান। রোববার (১২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডরপ (DORP) আয়োজিত ‘টাঙ্গাইল জেলার বিড়ি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, জীবিকা ও জীবন মান’ শীর্ষক গবেষণার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এমন তথ্য উঠে আসে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযায়ী দেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ বয়সী তামাক পণ্য ব্যবহারাকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭৮ লাখ। পরোক্ষ ধূমপায়ীর সংখ্যা ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ। ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার ২০.৬%। তামাক ব্যবহারের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসারসহ নানাবিধ রোগে মানুষ আক্রান্ত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য (২০১৮) অনুযায়ী দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। এর কারণ হিসেবে অনুন্নত জীবন মানের কথা বলেছেন ৫৩ শতাংশ শ্রমিক। এ ছাড়া কাজের অতিরিক্ত চাপে ১৬ শতাংশ, স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে ৬২ শতাংশ, কাজের অপ্রাপ্তি থেকে ৬৮ শতাংশ এবং কম মজুরিকে অসন্তোষের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ৯৫ শতাংশ বিড়ি শ্রমিক। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে, ৮২ শতাংশ শ্রমিক বিড়ি শিল্পে অসন্তুষ্ট এবং বিকল্প ও স্থিতিশীল কর্মসংস্থানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গবেষণায় অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ৮৫ শতাংশ শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগে আক্রান্ত। শতভাগ শ্রমিক জানিয়েছেন যে, তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তারা এই পেশায় যুক্ত করতে চান না এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
২ ঘণ্টা আগে

দুবেলা খাবার, এক মণ ধান তবু মিলছে না শ্রমিক
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মাঠে-মাঠে এখন পাকা ধান। তবে শ্রমিক সংকটে সময়মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষক। এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। সঙ্গে দুবেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতি মণের জন্য খরচ পড়ছে দেড় হাজার টাকার মতো। এদিকে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকা। উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৩২৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড়ে ৫ থেকে সাত টন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি থাকায় কৃষক অনেকে নিজেরা ধান কাটার কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় কমবেশি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক, নিজ কালিকাপুর গ্রামের মো. হাসান জানান, তিনি এবার আড়াইশ শতক জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকামাকড়, রোগবালাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও ফলন ভালো হয়েছে; কিন্তু বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজারমূল্য অনেক কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। আবদুল খালেক আরও বলেন, ধান কাটা, জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি মণ ধানের জন্য খরচ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, বোরো ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ভালোভাবে ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কয়েক দিন পর সরকারি উদ্যোগে ধান ক্রয় শুরু হলে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাবে। যেহেতু ঝড়বৃষ্টি নেই, ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখলে পরে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন কৃষক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে শ্রমিকের দাম বেশি। কিন্তু তার বিপরীতে ধানের বাজার দাম কম হওয়ায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, পরশুরামে বিভিন্ন এলাকায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে, কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটলে কৃষকদের খরচ বাঁচবে।
১১ ঘণ্টা আগে

এক মণ ধানেও মিলছে না এক শ্রমিক
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মাঠে-মাঠে এখন পাকা ধান। তবে শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষকরা। এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতি মণ ধানের জন্য খরচ পড়ছে দেড় হাজার টাকার মতো। এদিকে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৫০ টাকা। উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৩২৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড়ে ৫ থেকে সাত টন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা অনেকে নিজেরা ধান কাটার কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় কমবেশি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক, নিজ কালিকাপুর গ্রামের মো. হাসান জানান, তিনি এবার আড়াইশ শতক জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকামাকড়, রোগবালাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজারমূল্য অনেক কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। আবদুল খালেক আরও বলেন, ধান কাটা, জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশকসহ অন্যন্য খরচ মিলিয়ে প্রতি মণ ধানের জন্য খরচ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, বোরো ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ভালোভাবে ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কয়েক দিন পরে সরকারি উদ্যোগে ধান ক্রয় শুরু হলে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাবে তাই কৃষকরা যেহেতু ঝড়বৃষ্টি নেই ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখলে পরে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে শ্রমিকের দাম বেশি। কিন্তু তার বিপরীতে ধানের বাজার দাম কম হওয়ায় কৃষকরা লোকসান গুনতে হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, পরশুরামে বিভিন্ন এলাকায় কম্ভাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে কম্ভাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটলে কৃষকদের খরচ বাঁচবে।
১২ মে, ২০২৪

টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মীমাংসা করতে গিয়ে খুন হলেন পোশাক শ্রমিক
চট্টগ্রামের ইপিজেডে পাওনা টাকার জেরে ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান নামে এক তরুণকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) সকালে ইপিজেড থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সাদিকুর ও হাফিজুর রহমান। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ২টার দিকে সিইপিজেডের কন্ডা আর্টস ম্যাটেরিয়ালস নামের কারখানার শ্রমিক সাদিকুর এবং রমজানের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় তারা একে অপরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে একই পোশাক কারখানায় কর্মরত মেহেদী হাসান রিফাত এ বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও সেটি মেনে নেয়নি সাদিকুর। রিফাত রমজানের পক্ষ নিয়েছে এমন ধারণা করে ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের নিয়ে একই দিন রাতে রিফাতকে মারতে যায় সাদিকুর। আকমল আলী পকেট গেটে একটি ফটোকপির দোকানের সামনে রিফাতের রিকশা থামিয়ে সাদিকের নেতৃত্বে মেহেদী হাসান ও রিফাতের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় মেহেদী হাসানের বুকের মাঝখানে ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় রিফাত এবং শহিদুল নামে দুই যুবক। ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ হোছাইন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেহেদী হাসান খুনের ঘটনায় তার মা রেহানা বেগম শুক্রবার (১০ তারিখ) বাদী হয়ে সাদিকুর রহমান এবং রমজান আলীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৮/১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তিনি বলেন, মামলার পর প্রথমে আমরা আসামি সাদিকুরকে গ্রেপ্তার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে হাফিজুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান চলমান।
১১ মে, ২০২৪

শ্রমিক অধ্যুষিত গাজীপুর যেন মশার কারখানা
গাজীপুর মহানগরীসহ আশপাশের এলাকায় রয়েছে শত শত পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন লাখ লাখ শ্রমিক। শ্রমিক অধ্যুষিত এ গাজীপুরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার প্রজনন। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ গাজীপুরবাসী। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, অফিস-আদালত, ধর্মীয় উপাসনালয়সহ সর্বত্র মশার রাজত্ব। অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনার স্তূপ, জলাবদ্ধতা, মজা পুকুর ও মানুষের অসচেতনতায় এবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে গাজীপুরে। এ ছাড়া এ জেলার হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন কারণে প্রতিদিন ঢাকায় যাতায়াত করেন। ফলে ডেঙ্গুর সরাসরি প্রভাব এসে পড়ে এ জনপদে। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডেঙ্গু মোকাবিলায় তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শ্রমিক অধ্যুষিত এ নগরীতে দিন দিন মশার যন্ত্রণা যেন বেড়েই চলছে। গাজীপুরের বাসিন্দারা যেন মশার কাছে অসহায়, জিম্মি। রাতে তো বটেই; দিনেও চলছে মশার অত্যাচার। মশারি টানিয়ে, কয়েল জ্বালিয়ে, ইলেকট্রিক ব্যাট কিংবা মশানাশক ওষুধ স্প্রে করেও সুফল মিলছে না। বিকেল থেকে শুরু হয়, সন্ধ্যার আজান পড়লেই মশার উৎপাত তীব্র আকার ধারণ করে। বিভিন্ন এলাকার ড্রেন, পুকুর, ডোবা, নালা-নর্দমার কচুরিপানা ও ময়লা পরিষ্কার না করায় সেগুলো এখন মশা উৎপাদনের খামারে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নগরীতে মশার উপদ্রব তাই বেশি। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে কিউলেক্স মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। ঘরে বাইরে বাসা কিংবা অফিসসহ সব জায়গায় মশা। কিন্তু মশক নিধন কর্মীদের মাঠে তেমন দেখা যায় না। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে পারে এডিস মশার উপদ্রব। প্রতি বছর এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই মশক নিধনে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। এ ছাড়া মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতাও বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা। টঙ্গী, গাজীপুরা, বোর্ডবাজার, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সব জায়গাতেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। অনেকেই ফ্ল্যাটের জানালায় নেট ব্যবহার করা সত্ত্বেও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছে না। নিচতলা থেকে শুরু করে ১০ তলা পর্যন্ত সবখানেই মশার সমান উপদ্রব। স্থানীয় ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, মশার যন্ত্রণায় দিন-রাত অসহনীয় অবস্থায় রয়েছি। দিনের বেলাও মশার উপদ্রব থাকে, বিকেলে তা বেড়ে যায় বহুগুণ। অথচ এমন পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একবারও মশার ওষুধ প্রয়োগ করতে দেখছি না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শীতের শেষে আবহাওয়া উষ্ণ হতে শুরু করেছে। এ সময় মশা বংশবিস্তার ঘটায়। ফলে মশার উপদ্রব অনেক বেশি এখন। মশার কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়া, গাদসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সামনে বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই মশা নিধনের জন্য সিটি করপোরেশনকে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে বড় ধরনের কোনো সংকট তৈরি না হয়। এ ব্যাপারে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আফজালুর রহমান বলেন, এ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে এখন একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। গত মৌসুমে এখানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ কছিল। প্রতিদিন ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৪০ থেকে ৫০ রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। এবার আগে ভাগে প্রস্তুতি না নিলে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ হতে পারে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, এ হাসপাতালে বর্তমানে কোনো ডেঙ্গু রোগী নেই। তবে মশার প্রকোপ রয়েছে। গত মৌসুমে এ হাসপাতালে মোট ৩ হাজার ৯২৮ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মশক নিধনের জন্য উন্নত প্রযুক্তির শতাধিক ফগার মেশিন কেনা হয়েছে। এ ছাড়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ‘ভেহিকেল মাউন্টেইন’ ফগার মেশিন রয়েছে। ২০১৯ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন যখন ডেঙ্গু মোকাবিলায় হিমশিম খায়, তখন নিজ উদ্যোগে সিঙ্গাপুর থেকে পোল্যান্ডের তৈরি ২০০ টন মশার ওষুধ এনে সুনাম কুড়িয়েছিলেন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় বিনামূল্যে সেসব ওষুধ সরবরাহ করেন তিনি। কিন্তু এরপর থেকে মশক নিধন কার্যক্রম যেন খানিকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ৫৭টি ওয়ার্ডে মশক নিধনের জন্য উন্নত প্রযুক্তির শতাধিক ফগার মেশিন রয়েছে। আমরা গত মৌসুমে হাজার হাজার টন ওষুধ ছিটিয়েছি।
১১ মে, ২০২৪

ভালুকায় কারখানা শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া মায়ের মসজিদ এলাকায় বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রাইদা কালেকশনের (লাবীব গ্রুপ) পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৬ মে) সকালে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মায়ের মসজিদ এলাকার রাইদা কালেকশনের শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। তারা বেতনের হারে ঈদ বোনাস কম, কাজের রেট কম, হাজিরা বোনাজ কম, ডিএমডি মাজাহারুল ইসলাম কর্তৃক ছাঁটাইয়ের হুমকি ও হয়রানির প্রতিবাদ জানায়। এতে মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। পুলিশ জানায়, দাবি আদায়ে সকালে মহাসড়কে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। একপর্যায়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাসড়কে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক যানজটের দেখা দেয়। খবর পেয়ে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলীনূর খান, ময়মনসিংহ শিল্পপুলিশের এসপি মো. মিজানুর রহমান, ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ কামাল আকন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। শিল্পপুলিশ ময়মনসিংহের (৫) এসপি মো. মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, রাইদা কালেকশনের (লাবীব গ্রুপ) শ্রমিকরা ঈদুল ফিতরের ছুটির কিছু টাকা বকেয়া ও কাজের রেট নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
০৬ মে, ২০২৪

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে হোটেল শ্রমিক নিহত
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক হোটেল বাবুর্চি নিহত হয়েছেন। শনিবার (৫ মে) রাতে ঘাটাইল উপজেলায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোড এলাকায় বজ্রপাতের সময় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া। নিহত ওয়াজেদ উপজেলার ২নং ঘাটাইল ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার মৃত সোনা খার ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রায়হান খান ও নিহতের পরিবার জানিয়েছেন, ওয়াজেদ আলী হোটেলে বাবুর্চি কাজ করত। শনিবার রাতে কাজ শেষ করে ঘাটাইল থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আকাশে ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। রাত ১১টায় বজ্রপাতের আঘাতে ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোডে তার মৃত্যু হয়। রোববার (৫ মে) সকালে স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে ঝাইকা রাস্তার নদীর পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, শনিবার রাতে এক হোটেল শ্রমিকের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
০৫ মে, ২০২৪

জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কৃষি শ্রমিক নিহত
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই কৃষি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। রোববার (৫ মে) জয়পুরহাট-আক্কেলপুর সড়কের দাদড়াজন্তি গ্রাম নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন জিতেন বর্মণ (৪৫) ও ইদ্রিস আলী (৪৮)। জিতেন পাঁচবিবি উপজেলার সালুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইদ্রিস বড় মানিক গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন- সুনীল চন্দ্র, ইসমাইল হোসেন, আলমগীর হোসেন ও মন্টু মিয়া। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে জেলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত মন্টু মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাধীন সুনীল চন্দ্র বলেন, তারা নওগাঁর রানীনগর থেকে বোরো ধান কেটে সেখানকার সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ট্রাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি এ দুর্ঘটনা ঘটে।  জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক  ডা. সরদার  রাশেদ মোবারক বলেন, দুজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। আহত চারজনের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
০৫ মে, ২০২৪

চিকিৎসককে বেধড়ক পেটালেন আ.লীগ নেতা
রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে বেধড়ক পেটালেন এক আ.লীগ নেতা। শনিবার (৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। আ.লীগ ওই নেতার নাম এলিম পাহাড়। তিনি শরীয়তপুর আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি। আ.লীগের নেতা হলেও দলে এখন তার কোনো পদ নেই।  জানা যায়, এলিম পাহাড়ের ছেলে অভি পাহাড় (১৫) মারামারিতে আঘাত পেয়ে মাথা ফেটে আহত হন। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। এ সময় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ছিলেন ডাক্তার লিমিয়া সাদিয়া। তার পাশেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করছিলেন ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন। সে সময় ওই শ্রমিক নেতা ডাক্তারকে ডাকেন তার ছেলেকে চিকিৎসা দিতে। তখন ডাক্তার দেরি করে আসায় তার ওপর চড়াও হন তিনি।  একপর্যায়ে ডাক্তারদের গালাগাল করতে থাকেন। এ সময় ডাক্তার তাকে গালাগাল করতে নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিনকে জরুরি বিভাগে সবার সামনেই বেধড়ক চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন ওই নেতা। তাদের বাগবিতণ্ডা শুনে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান থামাতে এলে তার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন তিনি। একপর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিক নেতাকে বের করে দেন।  এ ঘটনায় ঘণ্টাব্যাপী হাসপাতালে সব কার্যক্রম বন্ধ রাখেন চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পালং মডেল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং ডিবির ওসি আবু বক্কর পুলিশ সদস্য ও ডিবি সদস্যের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শ্রমিক নেতা এলিম পাহাড় বলেন, হাসপাতালে আমার ছেলেকে নিয়ে আসার পর ২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো ডাক্তার তাকে দেখেনি। তারা শুধু বলেন, তাদের সময় হলে দেখবে। এদিকে আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। এ বিষয়ে ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন বলেন, আমি জরুরি বিভাগে বসে প্রশাসনিক কাজ করছিলাম। তখন জরুরি বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন ডাক্তার লিমিয়া সাদিয়া। এলিম পাহাড় যখন তার ছেলেকে নিয়ে আসেন তখন ডাক্তার লিমিয়া অন্য একটি রোগী দেখছিলেন। এক সময়ে ডাক্তার লিমিয়ার ওপর চড়াও হন তিনি। আমি তাকে বললাম- একটু অপেক্ষা করেন, ডাক্তার রোগী দেখছেন। তখন তিনি বলেন, তুই আসলি না কেন- বলেই আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন, পেটাতে শুরু করেন। স্থানীয় জয়নাল আবেদীন বলেন, এলিম পাহাড় প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা ও আ.লীগের দলীয় লোক হওয়ায় সব জায়গাতেই শক্তি দেখায়। আজ সে যে কাজটা করছে এটা মোটেও উচিত হয় নাই। এখন ডাক্তাররা যদি রোগী না দেখে ধর্মঘট করে, তাহলে কী অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেছেন?   জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক লিমিয়া সাদিয়া বলেন, আমি রোগীটাকে দেখে হ্যান্ড গ্লোবস পরে আসতে যতটুকু সময় লাগে ওই টুকুই দেরি হয়েছিল। এতেই ওই শ্রমিক নেতা ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিনের ওপর ক্ষিপ্ত হন। আমি তাকে থামাতে গেলে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গায়ে হাত তুলেন। শরীয়তপুর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদার বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি, তিনি তার ছেলেকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন তার ছেলেকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তার এক থেকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করায় এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে রাগারাগি করছেন। সে গায়ে হাত দিছে এই রকম কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসে নাই। যদি সে গায়ে হাত দিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, একটি রোগী আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে আসে। এ সময় জরুরি বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন ডাক্তার লিমিয়া। তিনি রোগীদের বলেন, আমি হ্যান্ড গ্লাভস নিয়ে আসছি। পাশেই বসে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত করছিলেন ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন। রোগীর লোক এসে ওই ডাক্তারকে বলে তুই কী করছ, তুই তো আমার রোগীকে দেখতে পারতি। বলেই তার গায়ে হাত তোলেন। আমি চিৎকার শুনে জরুরি বিভাগে গেলে আমার সঙ্গেও তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। আমি দেখছি তার রোগী পুরোপুরি সুস্থ। হয়তো একটা জায়গা থেকে মাথা ফেটে গেছে ও রক্ত পরাও বন্ধ হয়ে গেছে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব এটার একটা সুস্থ বিচার দাবি করি। পালং মডেল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা মামলা নেব।
০৪ মে, ২০২৪

বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করছেন। এ ঘটনায় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকার পোশাক কারখানা অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকরা সকালে কাজে এসে দেখেন কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলছে। এর প্রতিবাদে তারাসড়ক অবরোধ করেন। সাহান বলেন, এই কারখানায় তিন শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তাদের এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। এর মধ্যেই তাদের সুযোগ-সুবিধা না দিয়েই হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।  তিনি আরও বলেন, শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার কারখানায় এসেছিলেন কিন্তু কাজ না থাকায় ফিরে গেছে। তারা জানিয়েছেন, তখনো তাদের জানানো হয়নি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় আছেন। ওসি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
০৪ মে, ২০২৪
X