শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
পুলিশি ‘লাঠিপেটায়’ গণতন্ত্র মঞ্চের সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পণ্ড
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক ‘লোপাট’ ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ কর্মসূচি পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড হয়ে গেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মঞ্চের নেতাকর্মীরা গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের কাছে বসানো তারকাঁটার ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। এতে গণতন্ত্রর মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি মঞ্চের। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে অগ্রসর হন তারা। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের এডিসি শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘উনাদের (গণতন্ত্র মঞ্চ) কর্মসূচি ছিল। এখানে এসে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে কেপিআই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে শাহ আলম জানান। তবে ঠিক কতজন আটক হয়েছেন, বা তাদের নাম পরিচয় কী- সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু তিনি বলতে পারেননি। এডিসি জানান, পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা লাঠিসোটা ছুড়ে মারে এবং পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করে। পুলিশের কতজন আহত হয়েছে তা পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি। পুলিশের লাঠিপেটায় বিক্ষোভ মিছিল পণ্ড হওয়ার পর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জিরো পয়েন্টের সামনে আহত জোনায়েদ সাকিকে নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আজকে গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর পুলিশ কীভাবে লাঠিচার্জ করেছে তা আপনারা (সাংবাদিকরা) দেখেছেন। কোনো উস্কানি ছাড়া যেভাবে পুলিশ আমাদের বিক্ষোভে হামলা চালিয়েছে, লাঠিচার্জ করেছে, এই হামলা ও লাঠিচার্জে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। যেভাবে সকলের সামনে পুলিশ তাকে লাঠিপেটা করেছে, অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা ও কর্মীদেরকে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে, এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, যে পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে আমরা অনতিবিলম্বে তাদের চিহ্নিত করে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। আহত জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপরে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। আপনারা সব দেখেছেন। আমি পুলিশকে নিরস্ত্র করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমার ওপর লাঠিচার্জ করেছে। আমাদের কর্মীদের ওপর তারা বেপরোয়া লাঠিচার্জ করেছে, অনেকে জখম হয়েছে। আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক ‘লোপাট’ ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় এই সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জেএসডির তানিয়া রব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে সমাবেশ শেষ করে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে রওনা হয়। মিছিলে নেতা-কর্মীরা জিনিসপত্রের দাম কমানোসহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়। মিছিলের অগ্রভাগে মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকিসহ মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা ছিলেন। তোপখানা রোড দিয়ে মিছিলটি জিরো পয়েন্টের কাছে আসলে সচিবালয়ের সড়কের মুখে পুলিশের ব্যারিকেডের কাছে নেতা-কর্মীরা এসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে কর্মীরা ব্যারিকেড ঠেলাঠেলি করে সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সাথে মুখোমুখি অবস্থানে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ হুইসেল বাজানো এবং লাঠি দিয়ে কর্মীদের সরিয়ে দিতে চাইলে তাদের পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মারতে দেখা গেছে। পরে পুলিশ ব্যারিকেডের সামনে এসে এলোপাতাড়িভাবে লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় জোনায়েদ সাকিসহ বেশকিছু কর্মী রাস্তায় পড়ে যায়। পরে সাইফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলতে চাই, হামলা-আক্রমণ করে অতীতে যেমন কোনো স্বৈরাচার শেষ রক্ষা করতে পারেনি, বর্তমান ফ্যাসিবাদী ভোটবিহীন এই সরকারও হামলা-আক্রমণ করে, গণতন্ত্র মঞ্চকে আক্রমণ করে শেষ রক্ষা করতে পারবে না।  তিনি বলেন, অনেক নেতা-কর্মীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। জোনায়েদ সাকিকে আমরা এখন হাসপাতালে নিয়ে যাব। পুলিশের রমনা জোনের এডিসি শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) নিজেরা দেখেছেন এখানে কী ঘটেছে। তারা এসেছেন, আমাদের অনুমতি নেয়নি। প্রেস ক্লাবের সামনে একটা সমাবেশ করেছেন। আমরা বলেছি, শেষ করে দিন। ওনারা শুনেননি, বিক্ষোভ মিছিল করে এখানে (জিরো পয়েন্টের কাছে) এসেছেন। ওনারা কথা দিয়েছিলেন যে, ওনারা শান্তিপূর্ণভাবে এসে চলে যাবেন। কিন্তু আপনারা দেখেছেন- আমাদের ব্যারিকেড ভেঙে তারা সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার ওনাদেরকে বলেছি, ব্যারিকেডের ভেতরে আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন না। ওনারা এসে সকলে মিলে কীভাবে ব্যারিকেড উপরে উঠিয়েছে, আপনারা দেখেছেন। তখন আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাদের বুঝিয়েছে, কিন্তু তারা সেটা না শুনে তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছেন, পুলিশ সদস্যদের ওপরে চড়াও হয়েছেন। আপনাদের ভিডিও দেখবেন, তাহলে বুঝতে পারবেন তারা আসলে কী করেছে? যেহেতু এটা কেপিআই সচিবালয় এলাকা, এখানে কোনোভাবেই অবস্থান করা বা প্রবেশ করা সম্ভব নয়। পরে আমরা তাদেরকে মিনিমাম শক্তি প্রয়োগ করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাদের কিছু লোক হাতে লাঠি নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে। আমরা তাদের প্রতিহত করেছি এবং কয়েকজনকে আটকও করেছি। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া কালবেলাকে বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও সচিবালয় অভিমুখে মিছিলে পুলিশ নগ্ন হামলা চালায়। পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য শেখ নাসির উদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের মিজানুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, ছাত্র ফেডারেশনের আরিফুল ইসলামসহ গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সচিবালয় থেকে ধোঁয়া দেখে ওসমানী উদ্যানে ছুটলেন মন্ত্রী
বিধিবহির্ভূতভাবে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ানোর দায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষ থেকে ওসমানী উদ্যানে ধোঁয়া দেখতে পান মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তখনই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিক এসে ঘটনা সরেজমিন দেখে উন্মুক্তভাবে বর্জ্য পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণের দায়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিএফ করপোরেশনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। তিনি বলেন, বায়ুদূষণ কমাতে সারা দেশে এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনসহ মন্ত্রণালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

সচিবালয় থেকে ধোঁয়া দেখলেন মন্ত্রী, ঠিকাদারকে লাখ টাকা জরিমানা
বিধি বহির্ভূতভাবে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ানোর অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষ থেকে ওসমানী উদ্যানে অবৈধভাবে বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়া দেখতে পান মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।  তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে ঘটনা সরেজমিনে দেখে উন্মুক্তভাবে বর্জ্য পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণের দায়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিএফ করপোরেশনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, বায়ুদূষণ কমাতে সারা দেশে এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনসহ মন্ত্রণালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের প্রথম কর্মদিবসে চাঙ্গা সচিবালয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেত্বত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা গতকাল রোববার প্রথম কর্মদিবসে অফিস করেছেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে তারা একে একে সচিবালয়ে দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রণালয়-বিভাগে যোগদান করেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও অভ্যর্থনাকারীদের পদচারণায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ডখ্যাত বাংলাদেশ সচিবালয়। যদিও নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর সচিবালয় অনেকটা নীরব-নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। এদিকে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক বসবে আজ সোমবার। তবে বৈঠকের আলোচ্যসূচি কী, তা এখনো জানা যায়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠক হবে। যদিও গত শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে মন্ত্রিপরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আসন্ন রোজায় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান। বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে মানুষকে স্বস্তি দিতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের পাঠানো প্রেস রিলিজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী প্রথম দিন অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করেছেন। ব্রিফিংয়ে তারা দেশের স্বার্থে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পশ্চিমা বিশ্বের নানা চাপ, দেশের অর্থনৈতিক সংকট, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজনৈতিক অস্থিরতা সামলানোসহ নানা চ্যালেঞ্জ আছে সরকারের সামনে। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাদের বক্তব্যে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কথা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেন। মন্ত্রণালয়ের কাজ এগিয়ে নিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সহযোগিতাও চাইলেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। সচিবালয়ের বাইরে রয়েছে সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গতকাল এই পাঁচ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরাও প্রথম অফিস করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সকাল সাড়ে ১১টায় নতুন মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি গণমাধ্যমকর্মী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এর আগে তিনি সকাল সাড়ে ১০টায় পুরোনো কর্মস্থল সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন। এ ছাড়া ওই মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী; অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী; যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান; শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক; তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ বেশিরভাগ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীই নিজ নিজ দপ্তরে আসেন। তবে গতকাল যোগদান করেননি সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি সদ্য বিদায়ী মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। দীপু মনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিদ্যমান কারিকুলাম পরিবর্তন করে নতুন কারিকুলাম চালু করেন, যা ভালোভাবে নেয়নি দেশের মানুষ। তাকে শিক্ষার চেয়ে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অনেকের ধারণা, সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট নন। এ কারণে অফিস করেননি তিনি। এদিকে বাদ পড়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকের মন খারাপ দেখা গেছে। কারণ, দীর্ঘদিন তারা আগের মন্ত্রীদের সঙ্গে এক ধরনের সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এ কারণে তাদের বিদায়ে কর্মচারীরা কিছুটা হতাশ। তবে নতুন মন্ত্রীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে তারা প্রস্তুত বলেও জানান। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর গত ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেননি হেভিওয়েট কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

সচিবালয় স্টেশনের নাম বদলে প্রেস ক্লাব করার দাবি
মেট্রোরেল স্টেশনের নাম ‘বাংলাদেশ সচিবালয়’ পরিবর্তে অবিলম্বে ‘জাতীয় প্রেস ক্লাব স্টেশন’ করার জোর দাবি জানিয়েছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তারা ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতি আহ্বান জানান। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভায় তারা বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর পরও স্টেশনের নাম প্রেস ক্লাবের নামে না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সদস্যরা। সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অতিরিক্ত সাধারণ সভার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পড়ে শোনান। এরপর সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী নিজ নিজ রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্টের ওপর ১৫ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। তারা হলেন সাইফুল আলম, মন্জুরুল আহসান বুলবুল, মো. ওমর ফারুক, তরুণ তপন চক্রবর্তী, সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, খায়রুল আলম, রফিক আহমেদ মুফদি (মুফদি আহমেদ), মো. সিদ্দিকুর রহমান, একেএম মহসীন, আকতার হোসেন, দেলোয়ার হাসান, সাঈদ তারেক, নাজমূল হক সরকার ও মনির হোসেন লিটন। আলোচনায় দ্রুত নতুন সদস্যপদ প্রদান, ক্যান্টিনে খাবারের মান উন্নয়ন, ক্লাবের সব সদস্যকে কল্যাণ তহবিলের আওতায় আনা এবং সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন সদস্যরা। সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন সব প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে বিবেচনার এবং ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ক্লাবের সামনে মেট্রোরেল স্টেশনটির নাম জাতীয় প্রেস ক্লাব করতে অনেক আগেই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে দাবি বাস্তবায়ন হয়নি।
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক লাবণ্য আহমেদের মৃত্যু
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখা-২ এর পরিচালক লাবণ্য আহমেদ মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার বেলা দেড়টার দিকে কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।  তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি ২০১৮ সাল থেকে দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। তিনি ৩ ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী, বন্ধু-স্বজন রেখে গেছেন। লাবণ্য আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে সহকারী পরিচালক হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখায় যোগদানের পর থেকে সুদীর্ঘ সময়ে সংসদ সচিবালয়ের সব স্তরের সহকর্মীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন তিনি। তিনি শহীদ পরিবারের সন্তান। আপন বড় মামা শহীদ শহীদুল্লা কায়সার এবং মেজ মামা শহীদ জহির রায়হানের ভাগ্নি তিনি। তাঁর বাবা নাসির আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ও অস্ত্র প্রশিক্ষক এবং ১৯৭২ সালে দায়েরকৃত বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার বাদী।  লাবণ্য আহমেদের মৃত্যুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। লাবণ্য আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এমপি এবং চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপিসহ অন্যান্য হুইপবৃন্দ।   শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামসহ সংসদ সচিবালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  আরও শোক জানিয়েছেন গণসংযোগ অধিশাখার পরিচালক যুগ্মসচিব মো. তারিক মাহমুদসহ গণসংযোগ পরিবারের সব সদস্যবৃন্দ। এ ছাড়া জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের পক্ষে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সভাপতি এ কে মে জি কিবরিয়া মজুমদারসহ ফোরামের সব সদস্যবৃন্দ।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩

সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি আসছে
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে আগামী ৩০ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাওয়ের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো। আগামী ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।  সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে ওই কর্মসূচির ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর)  রাতে অনুষ্ঠেয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই কর্মসূচির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।  বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপি ও তার মিত্ররা শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকায় ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ করতে চায়। তবে আগামী ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত পরিস্থিতি কী হয় তার ওপরও কর্মসূচির ধরণ কী হবে তা নির্ভর করবে। স্বাভাবিকভাবে মহাসমাবেশ করতে পারলে সেখান থেকে ঘেরাওয়ের ওই কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। যদি তা না হয়, তাহলে তখন পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।  বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারি দল যদি মহাসমাবেশে বাধা দেয়, তাহলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বৈঠকে একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ঘেরাও, বিক্ষোভ, অবস্থান, অবরোধ এমনকি হরতালের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।  বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা জানান, আগামী ৩০ অক্টোবর যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলো যার যার অবস্থান থেকে পদযাত্রা সহকারে সচিবালয় অভিমুখে রওনা হবে। বিএনপি তাদের নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করবে। তাদের পদযাত্রার সম্মুখভাগে থাকবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য, নারী ও শ্রমিক এবং সব শেষে বিএনপি।  বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম ও জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। এর আগে একই স্থানে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ডের ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্দেশে বলা হয়, বিএনপি কোনোভাবেই বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে যাবে না। আমাদের প্রত্যাশা, গণতন্ত্র মঞ্চও তাদের অধীনে ভোটে যাবে না। এ সময় মঞ্চের নেতারা বিএনপি’র হাইকমান্ডকে আশ্বস্ত করেন, তারাও বর্তমান সরকারের অধীনে ভোটে যাবেন না। এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চকে বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করে বলা হয়, গণতন্ত্র মঞ্চ চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে জাতীয় সরকারে গণতন্ত্র মঞ্চকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।  বৈঠক প্রসঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মহাসমাবেশ করতে চাই। মহাসমাবেশে জনতার স্রোত নামাতে চাই। দাবি আদায়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে কর্মসূচিতে  সম্পৃক্ত করে  সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই।  তারা আরও বলেন, সরকারের আচরণ ও পরিস্থিতিই বলে দেবে তাদের কর্মসূচির ধরন কী হবে। তবে তারা শেষ পর্যন্ত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ রাখতে চান।
২৪ অক্টোবর, ২০২৩

৩০ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি আসছে
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে ৩০ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি আসছে। ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিতে পারে বিএনপি ও মিত্র দলগুলা। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে ওই কর্মসূচির ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠেয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এটি চূড়ান্ত হবে। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপি ও তার মিত্ররা শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকায় ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করতে চায়। তবে ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত পরিস্থিতি কী হয় তার ওপরও কর্মসূচির ধরন কী হবে, তা নির্ভর করছে। স্বাভাবিকভাবে মহাসমাবেশ করতে পারলে সেখান থেকে ঘেরাওয়ের ওই কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। যদি তা না হয়, তাহলে তখন পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারি দল যদি মহাসমাবেশে বাধা দেয়, তাহলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে ঘেরাও, বিক্ষোভ, অবস্থান, অবরোধ এমনকি হরতালের বিষয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা জানান, আগামী ৩০ অক্টোবর যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলো যার যার অবস্থান থেকে পদযাত্রা সহকারে সচিবালয় অভিমুখে রওনা হবে। বিএনপি তাদের নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করবে। তাদের পদযাত্রার সম্মুখভাগে থাকবে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য, নারী ও শ্রমিক এবং সব শেষে বিএনপি। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের মধ্যে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম ও জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। বৈঠক প্রসঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মহাসমাবেশ করতে চাই। মহাসমাবেশে জনতার স্রোত নামাতে চাই। তবে পরিস্থিতিই বলে দেবে ভবিষ্যৎ কর্মসূচির ধরন কী হবে। এর আগে একই স্থানে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ডের ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্দেশে বলা হয়, বিএনপি কোনোভাবেই বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে যাবে না। গণতন্ত্র মঞ্চও ভোটে যাবে না—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে জাতীয় সরকারে গণতন্ত্র মঞ্চকে যথাযথ মূল্যায়ন করারও আশ্বাস দেওয়া হয়। এ সময় মঞ্চের নেতারা বিএনপির হাইকমান্ডকে আশ্বস্ত করেন, তারাও বর্তমান সরকারের অধীনে ভোটে যাবেন না।
২৪ অক্টোবর, ২০২৩
X