জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখা-২ এর পরিচালক লাবণ্য আহমেদ মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার বেলা দেড়টার দিকে কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি ২০১৮ সাল থেকে দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। তিনি ৩ ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী, বন্ধু-স্বজন রেখে গেছেন।
লাবণ্য আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে সহকারী পরিচালক হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখায় যোগদানের পর থেকে সুদীর্ঘ সময়ে সংসদ সচিবালয়ের সব স্তরের সহকর্মীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন তিনি। তিনি শহীদ পরিবারের সন্তান। আপন বড় মামা শহীদ শহীদুল্লা কায়সার এবং মেজ মামা শহীদ জহির রায়হানের ভাগ্নি তিনি। তাঁর বাবা নাসির আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ও অস্ত্র প্রশিক্ষক এবং ১৯৭২ সালে দায়েরকৃত বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার বাদী।
লাবণ্য আহমেদের মৃত্যুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
লাবণ্য আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এমপি এবং চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপিসহ অন্যান্য হুইপবৃন্দ।
শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামসহ সংসদ সচিবালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরও শোক জানিয়েছেন গণসংযোগ অধিশাখার পরিচালক যুগ্মসচিব মো. তারিক মাহমুদসহ গণসংযোগ পরিবারের সব সদস্যবৃন্দ। এ ছাড়া জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের পক্ষে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সভাপতি এ কে মে জি কিবরিয়া মজুমদারসহ ফোরামের সব সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য করুন