বৃক্ষরোপণে সচেতনতা বাড়াতে হবে
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী। তিনি আন্তর্জাতিকমানের একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ২০০৪ সালে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডার্মাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শমরিতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত চিকিৎসক। চিকিৎসা শাস্ত্রে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে পেয়েছেন চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রীতা ভৌমিক কালবেলা: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন। প্রথমেই আপনার কাছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রেড ক্রস কিংবা রেড ক্রিসেন্টের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাই। অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী: রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে ২৮ এপ্রিল আমি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এর মধ্য দিয়ে আমার কর্মযাত্রার শুরু। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১৮৬৩ সালে রেড ক্রিসেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯৯ সালে জাতীয় সোসাইটিস আইসিআরসি এবং ফেডারেশন পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃত হয়। পরবর্তীকালে মধ্যপ্রাচ্যে একে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বলা হয়। ভারত, পাকিস্তান এবং পরে বাংলাদেশে বাংলাদেশ রেড ক্রস নামকরণ হয়। জেনেভায় যখন রেড ক্রস হয়, সে সময়ে কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়—সুইজারল্যান্ডের পতাকার রং যেহেতু সাদা, তাই সাদায় কোনো প্রতীকী ব্যবহার করা হবে। এভাবে রেড ক্রস আন্তর্জাতিকভাবে এসেছে। আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী আইনের নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক আন্দোলনের নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বের সব দেশেই রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কাজ করছে। এ সংগঠনটি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটি’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতি আদেশ ২৬ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে এটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাখা হয়। এটি সরকারের সঙ্গে সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করে। এটি কোনো এনজিও নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে মানবসেবার একটি অঙ্গ সংগঠন। কালবেলা: আমরা জানি, বিভিন্ন দুর্যোগে রেড ক্রিসেন্ট অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। স্বাভাবিক সময়ে এ সংস্থা কী ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে? অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী: যে সময়টা দুর্যোগকালীন নয়, সে সময়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদের সংঘটিত করা হয়। নিজেকে কীভাবে দুর্যোগ অবস্থা থেকে নিরাপদ রাখতে হবে, বিপদগ্রস্তকে কীভাবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে হবে। সারা দেশে আমাদের অনেক ব্লাড ব্যাংক ইউনিট রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্লাড ব্যাংক রয়েছে। মানুষরা যাতে ব্লাড ডোনেট করেন এজন্য তাদের উদ্বুদ্ধও করা হয়। এভাবেই বছরজুড়ে নানা কর্মকাণ্ড আমাদের থাকে। কালবেলা: আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কী ধরনের ভূমিকা পালন করে? অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী: ‘অধুনা’ নামে একটি চলমান প্রক্রিয়া রয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে ফিলিস্তানি দূতাবাসের হাইকমিশনারের মাধ্যমে আমরা গাজায় মানবিক সহায়তাস্বরূপ সামান্য আর্থিক সহযোগিতা করেছি। আগামীতেও ‘অধুনা’র একটি সভা রয়েছে। ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা করার ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া গাজায় আমাদের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। অন্যান্য দেশের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে। কালবেলা: ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর নিপীড়নে নারী, শিশুসহ বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হচ্ছে, বাড়িছাড়া হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি তাদের পাশে দাঁড়ানোর কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি? অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী: ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর যে নিপীড়ন চলছে সেখানে নারী, শিশু সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদের আর্থিক সহায়তা সেভাবে বেশি না হলেও তারা খুশি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের আরও সহায়তা আমরা করব। কালবেলা: প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। কিন্তু বৈশ্বিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ সংকট এখন আরও তীব্র হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্ট কোনো ভূমিকা রাখছে কি? অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী: এখন তাপপ্রবাহ চলছে। আমাদের দেশে আমরা যেটিকে বলি উষ্ণপ্রবাহ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষদের তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাতে টুপি, ছাতা, পানি, খাবার স্যালাইন বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। বেশিক্ষণ রোদে না থাকা, মাথা ঘোরালে স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। কারণ মাথা ঘোরানো তাপপ্রবাহের এটা উপসর্গ। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের সহযোগিতা করছে যাতে তাপপ্রবাহের কারণে কোনো ব্যক্তি মারা না যান। কালবেলা: রেড ক্রিসেন্ট একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু সম্প্রতি এর সম্পদ ও তহবিলের অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর এ ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা রোধ এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন বা নিয়েছেন? অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী: এখানে যোগদানের পর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নানা অনিয়মের কথা আমিও শুনেছি। প্রতিবেদনও দেখেছি। প্রত্যেক বিভাগের পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের বিভাগে কতজন লোকবল আছে তা জানানো। কোথা থেকে টাকা প্রতিষ্ঠানে আসছে, কোন কোন খাতে টাকা খরচ হচ্ছে সেটিও জানাবেন। হিসাবরক্ষকের কাছেও প্রতিটি বিভাগের হিসাবের তথ্য দিতে বলেছি। তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে কোথায় কোথায় অনিয়ম হয়েছে তা জানার চেষ্টা করব। অনিয়মগুলো চিহ্নিত করে রেড ক্রিসেন্টের দুর্নামগুলো ঘোচানোর চেষ্টা করব। কালবেলা: রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আপনার কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে কি? অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী: রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রমকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত করে তোলা। রেড ক্রিসেন্ট বিশ্বের অন্যতম একটি মানবতা সেবা প্রদান প্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বে পরিচিত করে তোলা যেন আমাদের দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্বের সব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং জনগণ আমাদের সহযোগিতা করে। এককভাবে আমাদের দেশে আরও কাজ করতে পারে। আমরা যাতে ভালো কাজ করতে পারি এজন্য আমাদের সংস্থাকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাব। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টকে এমন জায়গায় নিতে হবে যেন সবাই মনে রাখে মানবসেবার প্রথম সংগঠন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। কালবেলা: সারা দেশে রেড ক্রিসেন্টের সাত লাখের বেশি স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। দুর্যোগকালীন সময় ছাড়াও তাদের কীভাবে কাজে লাগানো যায়, এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না? অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী: সাত লাখ স্বেচ্ছাসেবককে বিভিন্ন ফিল্ডে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভাবছি। প্রাথমিক সেবা প্রদান প্রশিক্ষণ, সবাইকে একটি করে গাছ রোপণে উদ্বুদ্ধ করা। সবুজায়নে ভূমিকা রাখতে শুধু সে একা নয়, তার পরিবারের সদস্যরাও ভূমিকা রাখতে পারে। একই পরিবার তিনটি গাছ লাগালে ২১ লাখ গাছ লাগানো সম্ভব হবে। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে হবে। কালবেলা: আপনি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ত্বকের ক্ষতি হয়—এ ব্যাপারে যদি কিছু বলেন। কীভাবে এ থেকে নারী-শিশু-পুরুষ সব ধরনের মানুষ নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে? অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী: মানুষের সুরক্ষার জন্য প্রধান অঙ্গ হলো ত্বক। তাপপ্রবাহ এ ত্বকেই লাগে। ত্বকে তাপপ্রবাহ লাগলে ত্বক গরম হয়ে যায়। ভেতরে থার্মো রেগুলেশন কন্ট্রোল নষ্ট হয়ে যায়। তিনি যদি ইলেকট্রোলাইটস ঠিকমতো খান, সোডিয়াম, পটাশিয়াম যেটা ওরস্যালাইন বলা হয়, তা যদি ঠিকমতো খাওয়া হয় তাহলে তার ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সটা ঠিকমতো হবে। তাপ কমানোর জন্য ঠান্ডা পানি বা ভেজা কাপড় দিয়ে ত্বক মুছে ফেলা। শরীরের উত্তাপ বেরিয়ে গেলে ছায়ায় বা ঠান্ডা জায়গায় থাকার চেষ্টা করা। রোদ আর গরমে ঘামের কারণে ত্বকে ছত্রাক বেড়ে যাবে, খোসপাঁচড়া বেড়ে যাবে। গরমের সময় এ ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা রোদ থেকে দূরে থাকবেন। শীতকালে ত্বকের সমস্যা হয়। এ সমস্যাগুলো রোধ করার জন্য মাথা থেকে পা পর্যন্ত সুরক্ষা করতে হবে। কারণ ত্বক সুস্থ থাকলে শরীর সুস্থ। শরীর সুস্থ থাকলে মন সুস্থ, মন সুস্থ থাকলে মানুষ সুস্থ থাকবে।
০৮ মে, ২০২৪

ঢাবিতে অটিজমবিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
অটিজম সচেতনতা মাস উপলক্ষে ‘এমপাওয়ারিং অটিস্টিক ভয়েসেস : আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব এডুকেশন, ইকোনমিক অ্যান্ড জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ এবং ইয়ুথ পলিসি ফোরাম-এর যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করতে হবে এবং সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবারের মধ্যে রেখেই অটিস্টিক শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে দেশে এখন অটিজম বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে অটিজম প্রতিরোধে সরকারিভাবে চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সেবা ও কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজমের ব্যাপারে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। অটিস্টিক শিশুশের বিশেষ পরিচর্যা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উন্নত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। সেবা, আদর, ভালোবাসা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে অটিস্টিক শিশুরা আশীর্বাদে পরিণত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ ছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, এডটেক হাব-এর কান্ট্রি লিড আফসানা সাদিক অতুলি এবং সোসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক চিলড্রেন-এর চেয়ারপারসন মিসেস সুবর্ণা চাকমা আলোচনায় অংশ নেন। বিভাগের চেয়ারপারসন শারমীন আহমেদ আলোচনা সভা পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং ইয়ুথ পলিসি ফোরামসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

রাজধানীর ৩ শতাংশ শিশু অটিজমে আক্রান্ত
বিশ্বে প্রতি একশ’ জন শিশুর মধ্যে প্রায় একজন অটিজম এসপেকট্রাম ডিসঅর্ডারে ভুগছে। অর্থাৎ ১ শতাংশ শিশু এই ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত। তবে বাংলাদেশে ০.১৫ শতাংশ শিশুর মধ্যে অটিজম দেখা গেছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরের ৩ শতাংশ শিশু এই ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।  রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত ওয়েবিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই ওয়েবিনারে অংশ নেন সাইকিয়াট্রিস্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, সাইকোলজিস্ট ও অটিজম বিষয়ক বিভিন্ন পেশাজীবী।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

ড্রেনে বোতল-পলিথিন না ফেলতে যুবকদের সচেতনতা
‘আমার এলাকা আমার অহংকার, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হোক আমার অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে রাজধানীর ড্রেনে ও সড়কে ময়লা আর্বজনা, বোতল, পলিথিন না ফেলতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে একদল যুবক। যাদের সবাই সামাজিক সংগঠন রাইট টক বাংলাদেশের সদস্য। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর নাজিমউদ্দীন রোড থেকে শুরু করে চকবাজার ও পুরান ঢাকার অলিগলিতে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় রাইট টক বাংলাদেশের সভাপতি আল আমিন এম তাওহীদ বলেন, অসচেতন নাগরিক ও ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা সড়কে এবং ড্রেনে ফেলেন যার ফলে পানি চলাচলে বাধা হয়। এছাড়াও ময়লা আবর্জনা সড়কে ফেলার কারণে ধুলাবালি ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ু দূষণ হচ্ছে। সেসব বিষয়ে রাইট টক বাংলাদেশ এর সদস্যরা সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাঠে কাজ করেছে। একটি সুন্দর শহর এবং পরিবেশ ধরে রাখতে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ অসচেতন। যার ফলে পরিবেশের দিন দিন ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ড্রেনে বোতল, পলিথিন ও নানা ধরনের কাগজপত্র ফেলার ফলে বৃষ্টি হলে শহরের অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ ধরনের কাজ আর যাতে কেউ না করে সেসব বিষয়ে সকল শ্রেণির পেশার মানুষের মাঝে সচেতনতা করা হয়। আমরা সবসময় ভালো কাজ করে যাব। সুন্দর সমাজ সাজাতে প্রয়োজন দক্ষ নাগরিক, সেই নীতিবান পরিচ্ছন্ন নাগরিক গড়ে তুলতে আমরা কাজ করে যাব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাইট টক বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার শামীম, ইঞ্জিনিয়ার রোহিত রওশন, সোহাগ আলী, সাদী আব্দুল্লাহ, বেলায়েত শাস্ত্রী, মেহেদী হাসানসহ সংগঠনের সকল সদস্যরা।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ। সারাবিশ্বের ন্যায় মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস বাংলাদেশেও উদযাপিত হবে।  এ বছর দিবসটির প্রদিপাদ্য বিষয় ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ নিধারণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। দিবসটিকে সামনে রেখে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ দিন মন্ত্রণালয় ও তাদের আওতাধীন দাতব্য সংস্থা ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নীল বাতি প্রজ্জ্বলন করা হবে। এছাড়া অটিজমের সচেতনতা তৈরিতে রোড-ব্রান্ডিং, লিফলেট ও বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।  এছাড়া মঙ্গলবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দিপু মনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সমাজকল্যাণ সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ।  অনুষ্ঠানে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ১৩টি পুরস্কার দেওয়া হবে। এরমধ্যে ‘ক’ ক্যাটাগরিতে মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সফল ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে মুইদ হাসান, মোছা. লায়লা বেগম, অহম্মেদ সিয়াম তন্ময়। ‘খ’ ক্যাটাগরিতে মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো অটিজম নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান প্রয়াস, চট্টগ্রাম, অরুনোদয়, কল্যাণী ইনক্লুসিভ স্কুল। ‘গ’ ক্যাটাগরিতে মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো প্রতিবন্ধিতা উত্তরণে কাজ করা অধ্যাপক ডা. মাহমুদ আহমেদ চৌধুরী আরজু, মো. সুমন মজুমদার, আলমগীর হোসাইন। এছাড়া ‘ঘ’ ক্যাটাগরিতে সফল বাবা-মা আশরাফুন নাহার, মো. আশরার বিল্লাহ খান এবং ‘ঙ’ ক্যাটাগরিতে সফল কেয়ার গিভার মারজাহান বেগম ও সাজেদা আক্তার ।  
০২ এপ্রিল, ২০২৪

রমজান-ঈদ ঘিরে সচেতনতা সৃষ্টিতে মাঠে নিউমার্কেট পুলিশ
আসন্ন রমজান এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে জনগণকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। নিউমার্কেট এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি জনগণকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। এ উপলক্ষে বিভিন্ন গণপরিবহনে এবং শপিং সেন্টারের সামনে সচেতনতামূলক লেখা সংবলিত স্টিকার লাগানো হয়েছে। গতকাল সোমবার নিউমার্কেটের দিকে আসা বাস, লেগুনা এবং শপিং সেন্টারের সামনে স্টিকার লাগানোর মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় ছিলেন রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রেফাতুল ইসলাম রিফাত, নিউমার্কেট থানার ওসি আমিনুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) খন্দকার জালাল মাহমুদ, ইন্সপেক্টর (অপারেশন) হালদার অর্পিত ঠাকুর, এসআই মো. সজীব মিয়া, এসআই মো. রায়হান, এসআই মো. সোহেল রানা, এসআই মো. ছবির উদ্দিন। ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এলাকাটি রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা। এ এলাকায় যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। জনগণও যদি একটু সতর্ক থাকে তাহলে যে কোনো ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব। নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম রিফাত বলেন, সতর্ক করতে স্টিকারগুলো লাগানো হচ্ছে। যদি কারও চোখে পড়ে তাহলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে যাবেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সম্পাদকীয় / ক্যান্সার রোধে সচেতনতা জরুরি
দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর দেড় লাখেরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে এবং ৯১ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১৩ থেকে ১৫ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে, যার মূল ভুক্তভোগী হবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। বর্তমানে দেশে গড়ে প্রায় ৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন উপায়ে তামাক ব্যবহার করে। শুধু ধূমপান বর্জন করলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩৩ ভাগ পর্যন্ত হ্রাস করা সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশের পুরুষদের মধ্যে প্রধান তিনটি ক্যান্সার হলো ফুসফুসের ক্যান্সার, মুখ ও মুখগহ্বর এবং খাদ্যনালি ও পাকস্থলির ক্যান্সার। নারীদের প্রধান তিনটি ক্যান্সার হলো স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ও মুখ এবং মুখগহ্বরের ক্যান্সার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বিশ্বে প্রতিবছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করে। বিশেষ করে সাড়ে ১০ কোটি নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। দ্বিতীয় এ মরণব্যাধিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গতকাল কালবেলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটসহ দেশের ৯টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার চিকিৎসায় অতিপ্রয়োজনীয় রেডিওথেরাপির যন্ত্রের ৫০ শতাংশই বিকল। হাসপাতালগুলোতে গিয়ে রোগীরা ঠিকমতো রেডিওথেরাপি না পেয়ে ছুটছেন বেসরকারি হাসপাতালে। বেসরকারিতে একজন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা ব্যয় বছরে ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা, যা সরকারি হাসপাতালের তুলনায় ৮ থেকে ১০ গুণ। এই ব্যয় মেটাতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার। বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার তথ্যমতে, দেশে প্রতিবছর অন্তত ৩ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তাদের একটি বড় অংশ চিকিৎসার বাইরে থেকে যায়। আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা চিকিৎসার আওতায় আসেন একেবারে শেষ পর্যায়ে। সে সময় চিকিৎসা হয়ে পড়ে জটিল। আর বছরে এই রোগে ১ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি পদ্ধতিতে দেওয়া হয় ক্যান্সার চিকিৎসা। সাধারণত অস্ত্রোপচারের পর কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এরপর দিতে হয় রেডিওথেরাপি। রোগীর অবস্থা ও ক্যান্সারের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করেন চিকিৎসকরা। একজন রোগীকে কয়টি রেডিওথেরাপি দেওয়া হবে, তা নির্ভর করে রোগের অবস্থা অনুযায়ী। অন্তত ৮০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে অন্যান্য চিকিৎসার পর রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। দেশে জাতীয় পর্যায়ে কোনো ক্যান্সার রেজিস্ট্রি নেই। বছরে সারা দেশে কতজন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন বা মারা গেছেন—এমন হিসাব সরকারের কাছে নেই। চিকিৎসকরা মনে করেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা সহজ হয়। ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নির্ভর করে ক্যান্সারটি কোথায়, এটি কতটা বড় এবং এটি কাছাকাছি কোনো অঙ্গ বা টিস্যুকে কতটা প্রভাবিত করে। ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সচেতনতা এবং সুষ্ঠু জীবনযাত্রা দিয়ে একটি বড় অংশের ক্ষেত্রে ঠেকিয়ে রাখা যায় এ মরণব্যাধি। তাই ক্যান্সার নিয়ে আশঙ্কার বদলে সচেতনতার প্রসার বেশি জরুরি।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

সম্পাদকীয় / সচেতনতা প্রয়োজন
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন উপধরন। জনস্বাস্থ্যবিদরা মনে করছেন, নতুন উপধরনের কারণে সংক্রমণ কিছুটা হলেও ঊর্ধ্বমুখী। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এখন সাড়ে ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামী দিনে রোগী আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদদের। সরকারি হিসাবে, চলতি মাসে চারজন কভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার এখন পর্যন্ত জোর দিচ্ছে টিকায়। রাজধানীর নয়টি কেন্দ্রে আবারও প্রতিরোধী টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু জনসমাগম পরিহার, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, মাস্ক পরিধান ও বারবার হাত ধোয়ার পুরোনো অভ্যাসের প্রচার নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ বিষয়ে চরম উদাসীনতা রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে কভিড রোগী ও মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। দেশে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৮ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৪ হাজার ১৭৯ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯ হাজার ৪৮১ জন মারা গেছে। বিশ্বের বেশ কিছু দেশের মতো বাংলাদেশেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ করোনার নতুন উপধরন জেএন.১। এটি করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, জেএন.১ উপধরনটি নিয়ে উদ্বেগ আছে; কারণ এটি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে। তবে এর তীব্র উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। যেসব অঞ্চলে বা দেশে শীতকাল আসন্ন বা শীতকাল চলছে, সেসব দেশে শীতকালীন ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ জেএন.১-এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে। গত ১৮ জানুয়ারি দেশে জেএন.১ উপধরনের আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের কথা জানিয়েছে আইইডিসিআর। করোনায় আক্রান্ত ছয়জনের নমুনা পরীক্ষায় পাঁচজনের জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা মহানগর ও ঢাকার পাশের একটি মহানগরের রোগীর নমুনা পরীক্ষায় এ উপধরন ধরা পড়েছে। এর আগে ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় জেএন.১ নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি বৈশ্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি দেশে পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি জোরদার করার জন্য আইইডিসিআরকে পরামর্শ দেয়। এ ছাড়া হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার এবং বিদেশ থেকে আসা যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সরকারকে পরামর্শ দেয় কমিটি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক, তা করোনার সময় উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিশাল জনসংখ্যা, দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব, সামাজিক বিভাজন ইত্যাদি কারণে করোনা মোকাবিলা করা উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। করোনা চিকিৎসার জন্য তারা পর্যাপ্ত হাসপাতাল প্রস্তুত করেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে যারা পরিবার চালাতে অক্ষম, সরকার তাদের দায়িত্ব নিচ্ছে। এসব বিবেচনা করলে বাংলাদেশের সে সামর্থ্য নেই। তাই উন্নত দেশের করোনা নিয়ন্ত্রণ মডেল আমাদের এখানে ব্যবহার করা কঠিন। আমাদের নীতিনির্ধারণ থেকে শুরু করে আর্থসামাজিক বিষয়াদি এবং এ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য বিবেচনায় নিতে হবে। আমরা লক্ষ করেছি, এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে খুব দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সরকারের এ উদ্যোগ আমরা অত্যন্ত সঠিক এবং সময়োপযোগী বলে মনে করি। কেননা এ ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাদের শান্ত রেখে সঠিক পদক্ষেপেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। নিশ্চিত করেই বলা যায়, এ ক্ষেত্রে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। মানুষ সচেতন হলে শুধু করোনাভাইরাস কেন, যে কোনো বড় সমস্যারও সমাধান সম্ভব।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

ছড়িয়ে পড়ছে করোনা, নেই সচেতনতা
কভিড সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এখন সাড়ে ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামী দিনে রোগী আরও বাড়তে পারে শঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদদের। সরকারি হিসাবে, চলতি মাসে ৪ কভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার এখন পর্যন্ত জোর দিচ্ছে টিকায়। রাজধানীর ৯টি কেন্দ্রে আবারও প্রতিরোধী টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু জনসমাগম পরিহার, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, মাস্ক পরিধান ও বারবার হাত ধোয়ার পুরোনো অভ্যাসের প্রচার নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ বিষয়ে চরম উদাসীনতা রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে কভিড রোগী ও মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, কভিড-১৯-এর নতুন উপধরন জেএন.১ অন্যান্য ধরনের চেয়ে দ্রুত ছড়ায়। ভাইরাসটি সুস্থ ব্যক্তির শরীরে তেমন প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে না পারলেও জটিল রোগাক্রান্তদের ভোগান্তিতে ফেলতে পারে। তাই দ্রুত এসব বিষয় বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে কভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধেকই ঘটছে নতুন এই উপধরনের মাধ্যমে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) উপধরনটিকে কড়া নজরে রেখেছে। উপধরনকে ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করেছে। জেএন.১-এর লক্ষণ আগের ধরনগুলোর মতোই। জ্বর, সর্দিকাশি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, স্বাদ বা গন্ধ হারানো, ক্লান্তি ইত্যাদি। এ ছাড়া গুরুতর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, বুক ব্যথা, ডায়রিয়া ও বিভ্রান্তি বোধ করা। জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল কালবেলাকে বলেন, উপধরন জেএন.১-এর প্রভাবে কভিড পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশেও এরই মধ্যে এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে। তার পর থেকে আমাদেরও শনাক্তের হার বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে দেশের কভিড পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় যে, জনগণের মধ্যেও সচেতনতাবোধ নেই, আবার জনসচেতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরও চোখে পড়ার মতো কোনো উদ্যোগ নেই। ড. জামিল বলেন, জনগণ জনসমাগম এড়িয়ে চলা, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, মাস্ক পরিধান, বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস ভুলতে বসেছে। জনসমাগম যেখানে বেশি হয় এমন স্থানে কোনো নির্দেশনা কিন্তু চোখে পড়ছে না। বাজার-শপিংমলে মাস্ক ছাড়া শত শত মানুষ একত্রিত হচ্ছে। যেহেতু নতুন উপধরন দ্রুত ছড়ায় সেহেতু খারাপ পরিস্থিতির শঙ্কা কিন্তু থেকে যাচ্ছে। এখনই জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। উপধরনটির গতিবিধি বিষয়ে নজর রাখতে হবে। সেইসঙ্গে শনাক্তদের চিকিৎসায় জোর দিতে হবে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হার ৮.৬২%: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার দেশে ৪০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময় কারো মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগী ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৮২৩ জন। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৪ হাজার ২০১ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৮১ জনের। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৬৪ শতাংশ, ৩৬ শতাংশ পুরুষ। দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। সে বছর শনাক্ত হয় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫১০ জন। মৃত্যু ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৯ জন। মৃত্যু ২০ হাজার ৫১৩ জনের। সে বছর সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন শনাক্ত হয় ২৮ জুলাই। ২০২২ সালে শনাক্ত হয় ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৮৬ জন। মৃত্যু ১ হাজার ৩৬৮ জনের। গত বছর ২০২৩ সালে শনাক্ত হয় ৯ হাজার ১৮৯ জন। মৃত্যু ৩৭ জনের। বিশ্বে এক দিনে শনাক্ত ৫৭৮৪, মৃত্যু ২২: কভিড রোগী ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে গত এক দিনে (সোমবার) নতুন করে ৫ হাজার ৭৮৪ জন মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। গত সোমবার এক দিনে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৬০২ জন শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ায়, মৃত্যু হয় পাঁচজনের। এরপর থাইল্যান্ডে শনাক্ত ৭১৮ জন, মৃত্যু ১১ জনের। ভারতে শনাক্ত ২৯০ জন ও মৃত্যু ছয়জনের। রাজধানীর ৯ কেন্দ্রে চলছে করোনার টিকা কার্যক্রম: এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দ্রুত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, জাতীয় নাক, কান ও গলা ইনস্টিটিউটে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) টিকা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এ তথ্য জানান। তিনি জানান, কেন্দ্রে টিকা পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে টিকা কার্যক্রম চলছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রাধান্য দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের ৯টি কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ অর্থাৎ তৃতীয় এবং চতুর্থ ডোজ ফাইজার ভিসিভি ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। সবাইকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

বর্ণবাদবিরোধী বার্তা নিয়ে মাঠে লড়বে স্পেন-ব্রাজিল
স্পেনের ফুটবলে বর্ণবাদ যে কতটুকু ছড়িয়ে পড়েছে তা তাদের ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচগুলো দেখলেই বোঝা যায়। সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই সাদা চামড়ার বাইরের খেলোয়াড়রা বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হয়ে থাকে। যার সবচেয়ে বড় উদহারণ হলো রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। প্রতিভাবান এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার স্পেনে প্রতিপদে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন। অবস্থা এমন দিকে গিয়েছিল যে ব্রাজিল সরকারের এতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। খারাপ অবস্থা থেকে উত্তরণে স্পেন এবং ব্রাজিল উভয় দেশের ফুটবল ফেডারেশন নেয় এক অভিনব উদ্যোগ। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ। এবার জানা গেল ম্যাচটি হওয়ার তারিখ।      বর্ণবাদ নিয়ে সবাইকে সচেতন করতে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আগামী ২৬ মার্চ ব্রাজিল ও স্পেন ফুটবল দল প্রীতি ম্যাচ খেলবে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) বরাত দিয়ে এমন খবর জানিয়েছে স্পেনের সংবাদমাধ্যম।   বর্ণবাদবিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘একই ত্বক, উভয় দেশ’ স্লোগান নিয়ে ম্যাচটি আয়োজনের কথা গত বছরের জুনেই জানিয়েছিল দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশন।এরপর সোমবার ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন সামাজিক মাধ্যমে ম্যাচটির দিনক্ষণ নিশ্চিত করে। বর্ণবাদের থাবা বিশ্বের অন্যান্য ক্ষেত্রের পাশাপাশি গত কয়েক বছরে ফুটবলেও ভালোভাবেই এসে পড়েছে। গত কয়েক মৌসুমে লা লিগায় কয়েকটি মাঠে বর্ণবাদের শিকার হন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এতে স্পেনে বর্ণবাদের বাস্তবতা প্রকাশ্য হওয়ার পাশাপাশি বর্ণবাদবিরোধী প্রচারও নতুন গতি পায়।   সোমবার দেওয়া এক বিবৃতি আরএফইএফ জানায়,আন্তর্জাতিক আঙিনায় অন্যতম সেরা দুই দলের এই ম্যাচ হবে ফুটবলের জন্য দারুণ উদ্‌যাপনের ব্যাপার।’ এই ম্যাচের লক্ষ্য নিয়ে বিবৃতিতে আরএফইএফের ভাষ্য, ‘ফুটবলে সহিংসতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরালো করা।’ ২০২৪ সালে এটি হবে স্পেন জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচ। আর ব্রাজিলের জন্য দ্বিতীয়। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কিছুদিন আগেই দরিভাল জুনিয়রকে নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪
X