বিশ্বে প্রতি একশ’ জন শিশুর মধ্যে প্রায় একজন অটিজম এসপেকট্রাম ডিসঅর্ডারে ভুগছে। অর্থাৎ ১ শতাংশ শিশু এই ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত। তবে বাংলাদেশে ০.১৫ শতাংশ শিশুর মধ্যে অটিজম দেখা গেছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরের ৩ শতাংশ শিশু এই ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত ওয়েবিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই ওয়েবিনারে অংশ নেন সাইকিয়াট্রিস্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, সাইকোলজিস্ট ও অটিজম বিষয়ক বিভিন্ন পেশাজীবী।
২০১৩ সালের এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে ওয়েবিনারে মূল বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম আবুল কালাম আজাদ। ওয়েবিনারে জানানো হয়, সারাবিশ্বে গোটা এপ্রিল মাস জুড়ে পালিত হবে ওয়ার্ল্ড অটিজম এক্সেপটেন্স মান্থ- ২০২৪।
অটিজম সমস্যা মোকাবেলায় সমন্বিত চিকিৎসা উদ্যোগ প্রয়োজন হয়। ওয়েবিনারে সরকারের নেওয়া এ সংক্রান্ত নীতির কার্যকর বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা। সমস্যাগ্রস্তদের পরিবারের সদস্য বিশেষ করে পিতামাতার মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে জোরালোভাবে তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীরা।
বক্তারা বলেন,
শিশু অটিজমে ভুগছে জেনে তার পিতামাতা দিশেহারা হয়ে পড়েন। বিষয়টি তারা সহজে মেনে নিতে পারেন না। এ কারণে শিশুর চিকিৎসা শুরু করতে বেশ বিলম্ব করে ফেলেন অভিভাবকরা। এতে সমস্যাগ্রস্ত শিশুর বিকাশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সন্তানের ব্যতিক্রমী অবস্থাকে পিতামাতার মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা তৈরিতে মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের পাশাপাশি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন বক্তারা। এছাড়াও স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ পেশাজীবী তৈরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহানুর হোসেন।
মন্তব্য করুন