সিলেট শহরকে যানজটমুক্ত করতে শাবিপ্রবিতে কর্মশালা
সিলেট শহরকে যানজটমুক্ত করে গড়ে তুলতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ‘নগর পরিবহন উন্নয়ন: সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগের উদ্যোগে এবং সিআটিসি সিইই সাস্ট’র সহযোগিতায় সিলেট সিটি করপোরেশনকে নিয়ে আগামী ১৪ মে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (১২ মে) দুপুরে শাবিপ্রবির প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার শিল্পী রাণী বসাক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে এবং সিআটিসি সিইই সাস্ট’র সহযোগিতায় ‘নগর পরিবহন উন্নয়ন: সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মশালায় সিলেট শহরকে যানজটমুক্ত করতে বর্তমানে শহরে সংগঠিত বিভিন্ন ধরণের যানজটসমস্যা সনাক্তকরণ ও সমাধানের উপায়গুলো সিটি করপোরেশনকে অবহিত করা হবে। সিলেটকে বসবাস উপযোগী একটি শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সিইই বিভাগ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে আরো উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। কারণ এইবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সিলেটের মানুষের অনেক প্রত্যাশা ও অধিকার রয়েছে। এরই দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এ উদ্যোগ। তিনি আরও বলেন, এই কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এতে আলোচক হিসেবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রজেক্ট পরিচালক  (পেইস-১) অতিরিক্ত সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সার্বিক চিত্র তুলে ধরবেন ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশিরুল হক। অনুষ্ঠানে সহ-সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজা সেলিম, পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে মডারেটর হিসেবে থাকবেন আইইবি সিলেট সেন্টার’র চেয়ারম্যান সি.ই.ই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম। এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পিডব্লিওডি, এলজিইডি, এসসিসি, আরএইচডি, সিএএবি, সাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ওআএ ফিল্ড প্রফেশনাল প্রকৌশলী, সিলেট আইইবি সেন্টারের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য অংশ নিবে। এছাড়াও সিইই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নিবেন। অনুষ্ঠানটি অনলাইন মাধ্যমেও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে

সিলেট আদালত চত্বরে আইনজীবী-পুলিশের সংঘর্ষ
সিলেট জজ কোর্টে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের ন্যায়কুঞ্জে আদালত ও অফিস ভবনের জিআরও অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ। এসময় আদালতপাড়ায় নারী পুলিশ ও মহিলা আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ২ নারী পুলিশ আহত হয়। আহতরা হলেন, নারী পুলিশ সদস্য বিউটি পুরকায়স্থ ও এস আই শামীম আক্তার। জানা গেছে, আদালতের শাহপরান (র.) থানা জিআরও’র দায়িত্বরত এসআই শামীমা বেগম ও কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থ এর কাছে একটি মামলার নথি দেখতে চান অ্যাড. কাজি সেবা। এই বিষয়ের জেরেই শুরু হয় উত্তেজনা। একপর্যায়ে শুরু হয় পুলিশ ও নারী আইনজীবিদের মধ্যে হাতাহাতি। পুলিশের দাবি আদালতে নারী আইনজীবী কাজী সেবা এসএমপি প্রসিকিউশন বিভাগের জিআরও অফিস কক্ষে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে জিআরও শাহপরাণ সেরেস্তায় কর্মরত নারী উপ-পরিদর্শক শামীমা খাতুন ও নারী কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থকে মারধর করে। তবে আইনজীবীদের দাবি একটি মামলা সংক্রান্ত নথি চাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছে অ্যাড. কাজি সেবা জিআরও কক্ষে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে পেছন থেকে নারী কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থকে চুলের মুঠি ধরে চর থাপ্পর মেরে হাতে, মুখে, পিঠে জখম করে বেরিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইনজীবী কাজী সেবাকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ কালবেলাকে বলেন, জখমি উপ-পরিদর্শক ও কনস্টেবলকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আদালত ও আইনজীবী সমিতিকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আলোচনা সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০২ মে, ২০২৪

বৃষ্টিতে ভিজল সিলেট
দাবদাহে পুড়ছে সারাদেশ। তীব্র তাপে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এরই মধ্যে একপশলা বৃষ্টি সিলেটবাসীর মনে আনলও প্রশান্তি।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। ঘণ্টাব্যাপী চলা বৃষ্টিতে ফিরেছে স্বস্তি। এদিন সন্ধ্যা থেকেই মৃদু হাওয়া বইছিল সিলেটে। রাত ১১টায় আসে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া।  বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসেন অনেকে। বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা গায়ে লাগিয়ে উপভোগ করতে থাকেন। অনেকে বৃষ্টির ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

নারী বিশ্বকাপের ভেন্যু দেখতে সিলেটে আইসিসির প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশে বসছে নারী ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। চলতি বছরের অক্টোবরে নারীদের এ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বড় এ আয়োজনের ভেন্যুর তালিকায় রয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন আইসিসির পাঁচ সদস্যের একটি দল। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ভেন্যুগুলো পরিদর্শনে এসেছেন তারা। সোমবার ঢাকা স্টেডিয়াম পরিদর্শনের পর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তারা। পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন বেশ খোশমেজাজেই পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচা। আইসিসির প্রতিনিধি দলে ছিলেন নারী বিশ্বকাপের ইভেন্ট অপারেশনস ম্যানেজার গুরজিত সিং, পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন, কমার্শিয়াল ও স্পনসরশিপ বিভাগের লায়লা স্টেইন, হসপিটালিটি বিভাগের অ্যালানা হোয়াইট ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডেভিড মুসকার। অন্যান্য পরিদর্শকরাও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, ড্রেসিংরুম, প্রেসবক্স, মিডিয়াবক্স থেকে শুরু করে সিলেটের পাঁচ তারকা হোটেলের সুযোগ-সুবিধাও দেখেন। আইসিসির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। তিনি জানান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের ভেন্যুর তালিকায় রয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তাদের রুটিন পরিদর্শন এটি।  সিলেটের মাঠ নিয়ে তারা সন্তুষ্ট মনে হয়েছে। মাঠ নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তার লিখিত জানাবে। বাংলাদেশ দীর্ঘ ১০ বছর পর আবারও আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিশ্বকাপের লিগ পর্বের খেলাগুলো সিলেটে এবং সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ঢাকায় হওয়ার কথা। ১০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্টইন্ডিজ ও পাকিস্তান। অপর দল দুটি বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসবে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত প্রকৃতিকন্যা সিলেট
সবুজের সমারোহ আর টিলাবেষ্টিত পাহাড়, শীতল জল কিংবা প্রকৃতি কোনো কিছুরই কমতি নেই পর্যটন নগরী সিলেটে। এ ছাড়া রয়েছে মন মাতানো অনেক পর্যটন স্পট। জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুল ও পান্তুমাই ঝরনা, শাহজালাল (রহ.) এবং শাহপরান (রহ.) মাজারসহ নয়নাভিরাম এসব সৌন্দর্য অবলোকন করতে ঈদের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে। নদী, পাহাড়, চা বাগান আর পাহাড়ি ঝরনার সমন্বয়ে অপূর্ব রূপে ভরা পর্যটন সিলেটের কেন্দ্রগুলো। ঈদুল ফিতর ও বৈশাখীর ছুটির দিনগুলোতে লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠবে এসব পর্যটন কেন্দ্র। তাই প্রকৃতির আপন মহিমায় গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে পর্যটকদের বরণ করে নিতে। ঈদ ও বৈশাখের ছুটিতে সিলেটের আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন দোকানগুলো সাজানো হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আমেজে। সাদাপাথর : সীমান্তের দিকে ক্যানভাসে আঁকা ছবির মতো সবুজ পাহাড়। নিচে পানি-পাথরের সংমিশ্রণ। পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলেছে ঠান্ডা পানির স্রোত। সে পানিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শিশু থেকে বয়োজ্যেষ্ঠরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথরে দেখা মেলে এমন দৃশ্য। তাই তো জল, পাথর আর বুনো সৌন্দর্যের টানে এখানে ছুটে আসেন শত শত ভ্রমণপ্রেমী। রাতারগুল : বাংলার অ্যামাজন নামে পরিচিত সিলেটের গোয়াইনঘাটের রাতারগুল নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে ভরপুর। এমন বন বাংলাদেশে আর কোথাও দেখা যায় না। এমন একটি রহস্যময় জলাবনের নামই হচ্ছে রাতারগুল। রাতারগুল জলাবন বা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এটি সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয় এ বনকে। জাফলং : জাফলংয়ের মায়াবী ঝরনা, পিয়াইন নদীতে বহমান স্বচ্ছ জলের স্রোতধারা, ওপারে ডাউকি নদীর ওপর ঝুলন্ত ব্রিজ, সমতল ভূমিতে জাফলং চা বাগান, তামাবিল জিরো পয়েন্ট ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের খাসিয়া পল্লি। এসবের সবকিছুই খুব সহজেই আকৃষ্ট করে আগত পর্যটকদের। এ ছাড়া বিজিবির সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় রয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সিঁড়ি ও জাফলং চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় পিয়াইন নদীর ওপর জাফলং সেতু। যে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে একই সঙ্গে দেখা যায় সমতল ভূমির চা বাগান, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জলের স্রোতধারা ও ভারতের মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়। বিছনাকান্দি : বিছনাকান্দির জল আর পাথরের মিতালীতে জল-পাথরের বিছানা। যেখানে জলকেলি ও হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন পর্যটকরা। পর্যটকদের অসচেতনতার কারণে সেখানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তখন আনন্দ ভ্রমণ পরিণত হয় বিষাদে। জাফলং ও বিছনাকান্দির আকর্ষণীয় স্থানগুলো পর্যটকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্রে সতর্কতামূলক নির্দেশনা সংবলিত সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদেরও এ বিষয়ে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি তারা যেন পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকেন।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

ইতালিতে সিলেট ডায়নামিক অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার
ইতালিতে সিলেট ডায়নামিক অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ আহমদ বাবরের সভাপতিত্বে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  সংগঠনের সভাপতি ছালেখ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ ও সহসাধারণ সম্পাদক হাসনাত খানের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মাওলানা হাফিজ মাহবুবুর রহমান। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা কমিউনিটির বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. আফিল উদ্দিন আপেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পলাশ হাওলাদার, মান্না, আলী উসমান, বিপুল দাস, ময়না মিয়া, গিয়াস মিয়া, মুমিন মিয়া, জামাল উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন (২)। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাটকা কোম্পানির চেয়ারম্যান এমদাদুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়াও সিলেট ডায়নামিক অ্যাসোসিয়েশনের ইফতারে উপস্থিত ছিলেন হেলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, জমির উদ্দিন ও মস্তোফা। সিলেট ডায়নামিক অ্যাসোসিয়েশনের ভিচেন্সার উপদেষ্টা আলিম উদ্দিন মাসুম আহমদ, এমাদ উদ্দিন মামুন ও খান মাহবুব রহমান। সংগঠনের সহসভাপতি মাসুক মিয়া, বদরুল ইসলাম, সুহেল আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসনাত খাঁন, অর্থ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ, যুগ্ম সাংগঠনিক পলিট আলিম, মঞ্জু, মান্না, সরদার, তানজিদ ফখর জাবেদ প্রমুখ। অন্যান্যদের মাঝে সুনামগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব ও সাধারণ সম্পাদক লেবাস উপস্থিত ছিলেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

জয়ের পর দিপুর বিদায়, ধুঁকছে স্বাগতিকরা
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। আগের দিনের অপরাজিত থাকা মাহমুদুল হাসান জয়ের পর সাজঘরে ফিরেছেন শাহাদাত হোসেন দিপু।  ফলে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে লিড পেতে লড়ছে স্বাগতিক ব্যাটাররা। শনিবার (২৩ মার্চ) ৩ উইকেট ৩২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১২ রানে লাহিরু কুমারার শিকার হন ওপেনার জয়। এরপর নাইট ওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামকে নিয়ে লড়াই করেন দিপু। তবে ১৮ রানে কুমারার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। এর আগে শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। যদিও খালেদ আহমেদের বোলিং তোপে ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা। কিন্তু কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সেঞ্চুরিতে এই স্কোর পায় সফরকারিরা। দুজনেরই ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ১০২ রান করেন।
২৩ মার্চ, ২০২৪

সিলেট টেস্টে দুজনের অভিষেক!
দেশের অধিকাংশ শহরের মতো সিলেটের আকাশে মেঘের ঘোনঘাটা। কাজেই উইকেট এবং কন্ডিশন পেসারদের অনুকূলে থাকার সম্ভাবনা বেশি। এই চিন্তা থেকে আগামীকাল শুক্রবার (২২ মার্চ) থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের জন্য পেস সমৃদ্ধ একাদশ সাজানোর ভাবনা বাংলাদেশের। এই ভাবনার সঠিক বাস্তবায়ন হলেও অভিষেক হতে পারে দুই পেসারের। এমনতাই ইঙ্গিত দিয়েছে টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। যদিও ইনুজির আর অতিরিক্ত ক্রিকেটের কারণে ক্লান্ত পেসাররা। টেস্ট দলে থাকলেও ওয়ানডে সিরিজের পর ছুটি দেওয়া হয় শরীফুল ইসলামকে। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে দলের সঙ্গে করেননি অনুশীলন। তাই তার খেলার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন দলের প্রধান কোচ। শরীফুর ইস্যুতে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘শরীফুল ঠিক আছে। সে অনেক বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছে। তাই আমরা তাকে ছুটি দিয়েছি। তার বোলিং করার দরকার নেই। কারণ সে অনেক বোলিং করেছে। সে খেলার জন্য প্রস্তুত।’ কজন পেসার নিয়ে একাদশ গঠন করা হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে লঙ্কান এই কোচ বলেন, ‘যারা আছে তাদের মধ্যে হয়তো ৩ জন বা ২ জন খেলতে পারে।’ টেস্ট স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন নাহিদ রানা। আর মুশফির হাসানও রয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায়। এ দুজনের বিষয়ে টাইগারদের প্রধান কোচ বলেন, ‘দুজনই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। দুজনই ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারেন। আমরা দেখেছি ওরা কত জোরে বল করতে পারে। দুজনই তরুণ ও শক্তিশালী। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দুজনেরই শুরুটা ভালো হয়েছে। হ্যাঁ, আমি খুবই রোমাঞ্চিত। দুজনের একজনের এই ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা দেখছি, হতে পারে দুজনই খেলবেন।’ সিলেটের কন্ডিশনের চাহিদাও এমনই বলে মনে করেছেন হাথুরুসিংহে, ‘নিউজিল্যান্ড টেস্টের তুলনায় উইকেট কিছুটা ভিন্ন। নিউজিল্যান্ড টেস্টে এত ঘাস ছিল না। এই টেস্টে আছে। আবহাওয়ারও একটা ভূমিকা থাকবে। প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশনের এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে এই টেস্টের চ্যালেঞ্জটাকে বড় মনে হবে। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজও চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের ওদের হারাতে হলে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’ আঙুলের চোটের কারণে টেস্ট স্কোয়াড থেকে ছিটকে যান মুশফিকুর রহিম। অথচ গত নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় টেস্ট জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। মুশফিকের না থাকায় আক্ষেপ থাকলেও তারুণদের ওপর আস্থা রাখছেন টাইগারদের হেড কোচ। তিনি বলেন, ‘মুশির (মুশফিক) অভিজ্ঞতা আমরা মিস করব। এই ধরনের অভিজ্ঞতার বিকল্প খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। একই সঙ্গে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের সমর্থন দিতে হবে। হৃদয় দলে যোগ দিয়েছে। দুজন তরুণ ব্যাটসম্যান আছে দলে, দিপু (শাহাদাত হোসেন) এবং সাদমান (ইসলাম)। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য রোমাঞ্চকর সময়। আমি তাদের বলব, এই সুযোগগুলো যেন ওরা দু’হাতে লুফে নেয়।’  
২১ মার্চ, ২০২৪

অবশেষে হকারমুক্ত হচ্ছে সিলেট
সিলেট মহানগরের বহুল প্রতিক্ষিত ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের (হকার) অস্থায়ী মার্কেটে পুনবার্সন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে রোববার। এসময় উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রোববার (১০ মার্চ) এদিন সকাল ১০ টায় পুনর্বাসন কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর। তিনি জানান, আসন্ন রমজানের আগেই সিলেট নগরীর ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের (হকার) অস্থায়ী মার্কেটে পুনবার্সন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মেয়র। সে লক্ষ্যে দ্রুত অস্থায়ী মার্কেট প্রস্তুত করার জন্য ১০টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়। কাজ শেষে রবিবার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে নগরীতে ছড়িয়ে থাকা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের নির্ধারিত স্থানে পুনর্বাসন করা হবে। সিসিক সুত্রে জানা যায়, নগর জুড়ে ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে মহানগর পুলিশ কমিশনার, হকারদের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে কয়েক দফায় তিনি আলোচনা করে করেছেন। সকলের পরামর্শে হকার সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নগরভবন লাগোয়া লালদিঘির পাড়ের মাঠে অস্থায়ী মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ফলে কিছুদিনের মধ্যে হকার সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছে সিসিক সূত্র। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে লালদিঘীর পাড়ে সিসিকের মালিকানাধীন জরাজীর্ণ মার্কেট ভেঙে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে লটারির মাধ্যমে ১ হাজার ৭০ জন হকারকে পুনর্বাসন করা হয় সেখানে। প্রত্যেক হকারের জন্য ৭ ফুট/৩ ফুট জায়গা বরাদ্ধ দেয়া হয়। সিসিকের পক্ষ থেকে নির্ধারিত স্থানে সবার জন্য বাঁশ ও টিন দিয়ে অস্থায়ী মার্কেটও নির্মাণ করে দেয়া হয়। ক্রেতাদের সুবিধার্থে মাঠে মাছ ও শুঁটকি, সবজি, তৈজসপত্র এবং বিবিধ নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে পৃথক লেন করে দেয়া হয়েছে সেখানে। এছাড়া নগরের প্রতিটি ফুটপাতে ‘মানুষের চলাচলের জন্য, হকারদের বসা নিষেধ’ লেখা সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। এই দুর্ভোগ লাঘবে ২০২১ সালে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ওই বছরের জানুয়ারিতে নগরভবন-লাগোয়া লালদিঘীর পাড়ের খোলা মাঠে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ী মার্কেট নির্মাণ করে দেয় সিসিক। প্রাথমিক অবস্থায় নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১ হাজার ৭০ জন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা হয় ওই মার্কেটে। তবে ভেস্তে যায় পুনর্বাসনের এ উদ্যোগ। সিসিক নির্মিত অস্থায়ী মার্কেটে আর বসেন না হকাররা। উল্টো নগরের ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কেরও বহুলাংশও দখল করে রেখেছেন তারা। ফলে দিনভর নগরে লেগে থাকে যানজট।
১০ মার্চ, ২০২৪

সিলেট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চোখ শান্তর
প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে তিন সংস্করণে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আগামী এক বছরের জন্য পাওয়া অধিনায়কত্বের প্রথম চ্যালেঞ্জ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সামনে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপ। তাই সিলেট থেকেই উইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া টুর্নামেন্টটির পরিকল্পনা গুছিয়ে নিতে চান তিনি। গতকাল ম্যাচ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন তিনি। শান্তর সংবাদ সম্মেলন পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো… অধিনায়কত্ব পাওয়ার অনুভূতি অবশ্যই অনেক আন্দদের। এটা আমার ও আমার পরিবারের জন্য অনেক গর্বের ব্যাপার। প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে, দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। সুতরাং ওই সুযোগটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড করেছে দিয়েছে। এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই; খুবই আনন্দিত। দল নিয়ে ব্যক্তিগত চাওয়া আমার জন্য কাজটা অবশ্য চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু পরিকল্পনা করার দিক থেকে আমি বলব যে, একটু সহজ হবে। প্রত্যেক খেলোয়াড় সম্পর্কে জানতে হবে। যদিও আমরা এখানে সবাই মোটামুটি একসঙ্গে খেলার মধ্যেই থাকি। সবার সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়। তাই আমার মনে হয় পরিকল্পনার দিক দিয়ে আমার জন্য একটু হলেও সুবিধা হবে—যেহেতু তিন ফরম্যাটেই দায়িত্বে আছি। আশা করছি সামনে ভালো কিছু হবে। তিন সংস্করণ নিয়ে ভিন্ন ভাবনা গুরুত্বপূর্ণ যে, টেস্ট ক্রিকেটে আমরা খুব উন্নতি করেছি। আগে যে অবস্থায় ছিলাম, তার থেকে ভালো ক্রিকেট খেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন যে জিনিসটা আমি অনুভব করি, ব্যক্তিগতভাবে চাই দেশে যখন আমাদের ম্যাচগুলো হবে বেশিরভাগ যেন আমরা জিততে পারি। সবার মাঝে টেস্ট খেলার যে গুরুত্বটা, সেটা ভালোভাবে বৃদ্ধি করতে হয়। যখন দেশের বাইরে যাব, আমরা যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। ওয়ানডেতে আমরা মাশাআল্লাহ ভালো করছি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে, দল হিসেবে আমরা বড় কোনো টুর্নামেন্ট জিতিনি। তাই ওই পরিকল্পনা নিয়ে এগোবো যে, যাতে বড় টুর্নামেন্টে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি বা দেশের হয়ে একটা ট্রফি নিয়ে আসতে পারি। টি-টোয়েন্টি সর্বশেষ বছরটা খুব ভালো গেছে। টি-টোয়েন্টিতে আমার মনে হয়, আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। আরও যদি আমরা কিছু কিছু জায়গায় উন্নতি করি, তাহলে দেখা যাবে যে যে কোনো দলের বিপক্ষে যে কোনো কন্ডিশনে আমরা ভালো করছি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমরা মনে হয় ৮-১১টা ম্যাচ খেলব। এই ম্যাচগুলো যদি আমরা সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বকাপে কীভাবে খেলতে চাই এখান থেকে গুছিয়ে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপে পরিকল্পিতভাবে খেলাটা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে। দলের মধ্যে উন্নতির জায়গাগুলো আমার মনে হয় যে, দল হিসেবে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি সর্বশেষ বছরটা আমরা দেখি, প্রত্যেক ম্যাচে সব খেলোয়াড়ের অবদান ছিল। এটা কত বেশি ধারাবাহিকভাবে করতে পারি এবং একজন আরেকজনের প্রতি কতটুকু বিশ্বাস রাখছি এটা গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, এত বড় একটা টুর্নামেন্ট (বিপিএল) শেষ করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করছি। সবাই ভালো ছন্দে আছে। আমার মনে হয়, পরিকল্পনা করাটা সবার জন্য সহজ হবে। কারণ, সিরিজ জেতার জন্য অবশ্যই শতভাগ বিশ্বাস আছে যে, এখান থেকে সিরিজ জিততে পারি।
০৪ মার্চ, ২০২৪
X