সেলফি তোলাই তার পেশা, লাখের ওপরে উপার্জন
সিনেমার মানুষ নন তিনি, দেখা যায় না অভিনয়েও। না প্রযোজক, না পরিচালক। তবুও বলিউডের নামধারি তারকাদের সঙ্গে বেশ শখ্য তার। এমনকি ইন্ডাস্ট্রির নায়ক-নায়িকাদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন ওরহান অবত্রমানি নামে এক ছবি শিকারি। বলিউড স্টারদের কাছে ওরি নামেই বেশি পরিচিত তিনি। জাহ্নবী কাপুর, সুহানা খান, সারা আলি খান, অনন্যা পাণ্ডে, দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কাইফের মতো তারকাদের সঙ্গে একই ছবিতে দেখা গেছে ওরিকে।  শুধুই সেলফি তোলাতেই আনন্দ তার। তবে অবাক করা বিষয় হলো- বিভিন্ন তারকার সঙ্গে ছবি তুলেই লাখ লাখ রুপি উপার্জন করছেন তিনি। এমনকি কিছু কিছু দিন তার আয় ৫০ লাখও ছাড়িয়ে যায়! বলিপাড়ার পার্টি, বিয়েবাড়ি কিংবা জন্মদিন—সব অনুষ্ঠানেরই ডাক পান ওরি। তিনি ছাড়া ওসব আয়োজন যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত তিনি। তার নিত্যনতুন দামি পোশাক, ফোনের কভার অথবা চুলের কাটিং নিয়ে নেটিজেনদের আগ্রহের কমতি নেই। ওরি কীভাবে এত রোজগার করেন, তা জানতে নেট নাগরিকদের কৌতূহল ব্যাপক। এবার নিজেই নিজের আয়ের ফিরিস্তি জানালেন ওরি। সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোয়ে এসে জানিয়েছেন, ছবি তুলেই নাকি লাখ লাখ রুপি আয় করেন তিনি। তার এই কাজ দেখভাল করে করণ জোহরের এজেন্সি। তারকাদের সঙ্গে ওঠাবসা থাকলেও কোনো সিনেমা করতে রাজি নন ওরি।  কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, অত খাটাখাটনি করতে পারবেন না তিনি। তারকাদের সঙ্গে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেই নাকি তিনি লাখ রুপি উপার্জন করেন। তাই বাড়তি খাটুনি খাটতে নারাজ এই ছবি শিকারি। ওরির ভাষ্য, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে যেসব ছবি তোলেন, সেগুলো পোস্ট করার জন্য তিনি রুপি পান। এক রাতে সব ছবি পোস্ট করে ২০ থেকে ৩০ লাখ রুপি রোজগার করেন তিনি। তা ছাড়া বিয়েতে লোকজন তাকে ডাকে। তাদের বিয়েতে ছবি তোলার জন্য ১৫ থেকে ২০ রুপি পান তিনি।  সেই ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে রুপির অঙ্ক নাকি আরও বাড়ে! অবশ্য শুধু অর্থ উপার্জনই নয়, মানুষকে আনন্দ দিতেও সেলফি তোলেন তিনি।
১৪ মে, ২০২৪

রেগে ঘাড় ধাক্কা, পরে সেলফি
ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে খুনসুটিতে যেমন মেতে ওঠেন, তেমনি প্রায় সময়ই মেজাজও হারিয়ে বসেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু কখন মেজাজ হারাবেন আর কখন ভালোবাসবেন, সেটাই যেন অনুমান করা দায়। এই যেমন গতকাল ফতুল্লায় প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে এক ভক্তের ওপর মেজাজ হারিয়ে বসেন তিনি। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণও করেছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। লিগের শেষ ম্যাচে সাকিবের দল শেখ জামালের প্রতিপক্ষ প্রাইম ব্যাংক। সেই ম্যাচে ঘটেছে এ ঘটনা। উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় দেখা যায়, রাতের বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় ম্যাচ শুরুতে কিছুটা বিলম্বও হচ্ছিল। তখন মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে প্রাইম ব্যাংক কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও শেখ জামালের কোচ সোহেল ইসলাম। তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় সাকিবকে। তাদের গুরুত্বপূর্ণ আলাপের ফাঁকেই হঠাৎ ফোন হাতে মাঠে প্রবেশ করেন এক সমর্থক। প্রথমে সাকিব নিষেধ করলেও সেটা উপেক্ষা করে দ্বিতীয়বার সেলফি তুলতে চলে যান সে ভক্ত। এ সময় মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে দূরে ঠেলে দেন সাকিব। পরে অবশ্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মেজাজ ঠান্ডা হলে কাছে ডেকে নিয়ে সেলফি তুলেন সেই ভক্তের সাথে বোনাস হিসেবে দিয়ে দেন একটি অটোগ্রাফ।
০৭ মে, ২০২৪

পৃথিবীর সঙ্গে সেলফি মার্কিন মুন ল্যান্ডারের
উৎক্ষেপণের পর বাধাহীনভাবেই চাঁদের দিকে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারোস্পেস কোম্পানি ইনটুইটিভ মেশিনসের মুন ল্যান্ডার। এরই মধ্যে পৃথিবীর সঙ্গে নিজের বেশ কিছু ‘চমকপ্রদ’ ছবি পাঠিয়েছে ল্যান্ডারটি। স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে গত বৃহস্পতিবার ‘নোভা সি’ নামে এ ল্যান্ডারটি উৎক্ষেপণ করা হয়। শনিবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে ‘আইএম-১’ মিশনের প্রথম দিকের চারটি ছবি প্রকাশ করে ইনটুইটিভ মেশিনস। এর আগে দেওয়া এক পোস্টে তারা জানায়, ল্যান্ডারটির ‘সার্বিক অবস্থা বেশ ভালো’। ছবিতে দেখা যায়, পৃথিবীর সঙ্গে নিজের কিছু অংশ রেখে একটি সেলফি তুলেছে নোভা সি, যার ডাকনাম ‘অডিসিয়াস’। এমনকি কিছুটা দূরে ফ্যালকন ৯ রকেটের বিচ্ছিন্ন হওয়া দ্বিতীয় ধাপও দেখা গেছে একটি ছবিতে। প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট লিখেছে, ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের লক্ষ্য নেওয়া অডিসিয়াস ‘এখন পর্যন্ত সঠিক পথেই’ আছে। এ সপ্তাহের শেষে এক্সে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছে মিশনের দলটি, যেখানে ল্যান্ডার অবতরণের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক নিয়ে আপডেট দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে ‘ইঞ্জিন ফায়ারিং’-এর বিষয়টিও। ইনটিউইটিভ মেশিনসের তথ্য অনুসারে, এটিই প্রথম ‘স্পেস ইগনিশন’ ব্যবস্থা, যেখানে মহাকাশযানের ইঞ্জিনে তরল মিথেন ও অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিচিত্র / যে গ্রামে সেলফি তুলতেও লাগে টাকা
পূজার সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে ধূপকাঠি জ্বালানো একটি বিশেষ রীতি। এ ছাড়াও বহু অঞ্চলে বিভিন্ন কারণে এটি জ্বালানো হয়। এটি ঘরে সুবাস ছড়ায় এবং ইতিবাচক শক্তির অনুভূতি দেয়। প্রধানত ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটির ব্যবহার বেশি। বাংলাদেশ ও ভারতের ধূপকাঠির রং ধূসর হলেও ভিয়েতনামের এটি হয় রঙিন। এটির জন্য দেশটির একটি গ্রাম বিখ্যাত। ডিডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামের এ গ্রামের নাম কাং ফু চাউ। এ গ্রামে গেলে সবখানে শুধু রঙিন ধূপকাঠি দেখতে পাবেন। এটি গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সেখানকার মানুষকে আর্থিক স্বাবলম্বী করেছে। এ ছাড়া এ রঙিন ধূপকাঠিগুলো দূর-দূরান্তের পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করছে। তবে এখানে অদ্ভুত নিয়ম হচ্ছে—এ রঙিন ধূপকাঠি নিয়ে সেলফি তুলতে গেলে গুনতে অর্থ। যার পরিমাণ নির্ধারিত। ৫০ হাজার ডং, যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ২২৫ টাকা। ভিয়েতনামি ধূপকাঠি মূলত তিনটি রঙের হয়। লাল, সবুজ ও হলুদ। দেশটিতে শুরু থেকেই এ রঙের ধূপকাঠি ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে এখানে ধূপকাঠির মূল্য কম। তাই বিক্রিও বেশি হয়। এখানে আপনি বেশিরভাগ বাড়ির বাইরে ফাঁকা জমিতে এ ধূপকাঠিগুলোর গুচ্ছ শুকাতে দেওয়া দেখতে পাবেন। এ কারণেই এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও প্রচুর ধূপকাঠি কিনে নিয়ে যান। সূত্র: এবিপিলাইভ।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মিথিলার সেলফি ঘিরে রহস্য
অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে জিতু কমলের সেলফি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে টলিপাড়ায়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক আগ থেকেই চর্চায় মিথিলা। ওপার বাংলায়ও অভিনেতা জিতু কমলকে নিয়ে চর্চা শুরু স্ত্রী নবনীতা দাসের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের পর থেকে। সম্প্রতি মিথিলার সঙ্গে জিতুর সেলফি এবং ক্যাপশন নিয়ে ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা। ভক্তরা অধিকাংশ সময়ই তাদের পোস্টে খোঁজার চেষ্টা করে চলেছেন নতুন কোনো সম্পর্কের যোগ। কে কাকে নিয়ে পোস্ট করছেন, কে কাকে নিয়ে ছবি শেয়ার করছেন, সবটাই যেন খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিচ্ছে। যদিও সেসব নিয়ে অত মাথা ঘামানোর সময় নেই জিতুর। অভিনেতা ব্যস্ত নিজের কাজে। জিতু কামাল একটা কথাই বারবার স্পষ্ট করেছেন, এখন তিনি ব্যস্ত রয়েছেন নিজের একগুচ্ছ কাজ নিয়ে। সম্পর্ক ফের জোড়া লাগানোর কোনো চেষ্টা দুজনের মধ্যে নেই। এ অভিনেতার হাতেও রয়েছে নতুন কিছু প্রজেক্ট। সেই সূত্রেই এবার তার দেখা মিলল অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে। বাংলাদেশি এই তারকার সঙ্গে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’। জিতু কামালের নতুন ছবি এটি। সঙ্গে টলিপাড়ার নতুন জুটি। দুলাল দের গল্প ও পরিচালনায় ছবিতে শিলাজিৎ মজুমদারকেও দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, আরজে সায়ন, লোকনাথ দে প্রমুখকে। শোনা যাচ্ছে, গোয়েন্দানির্ভর গল্পেই তৈরি হচ্ছে এই ছবি। এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে জিতুকে একসঙ্গে প্রথমবারের মতো পর্দায় দেখে অন্তর্জালেও হইচইয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ভক্তরাও নতুন এই জুটিকে শুভকামনা জানিয়েছে।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

স্বামীকে সেলফি পাঠিয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যা
গাজীপুরের টঙ্গীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীকে সেলফি পাঠিয়ে স্ত্রী আঁখি আক্তার রুমি নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যায়। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় গাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।   নিহত আঁখি আক্তার রুমি (২০) যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের আক্তারুজ্জামানের মেয়ে। তিনি স্বামীর সঙ্গে টঙ্গীর গাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় ইব্রাহীমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। স্থানীয়রা জানায়, নিহত আঁখি স্বামী সুমনের সঙ্গে গাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় বসবাস করতেন। তার স্বামী সুমন বাসার পার্শ্ববর্তী স্থানীয় একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পারিবারিক কলহের জেরে শনিবার দুপুরে স্বামী সমুনের মোবাইল ফোনের ইমোতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সেলফি পাঠায়। পরে ‘খুশি থাক, বাই’ লিখে মেসেজ দেয়। মেসেজ পেয়ে দ্রুত বাসায় আসে সুমন। এ সময় বাসার দরজা বন্ধ পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সুমন। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

দৌহিত্রের সঙ্গে সেলফি তুললেন প্রধানমন্ত্রী
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের দিন সকালেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন। মায়ের সঙ্গে একই কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও ভোট দেন। ভোট প্রদান শেষে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের সঙ্গে মোবাইলে সেলফিও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ও শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিককে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ স্বাগত জানান। ভোট দেওয়ার পরে শেখ হাসিনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নৌকা মার্কার জয়লাভ হবে। আবারও তারা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবে। বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে পারবেন জনগণের ওপর এ বিশ্বাস তার আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি। আমাদের সামনে আরও কাজ আছে। নৌকা মার্কার জয়লাভ হবে। আবার আমরা সরকার গঠন করে দেশের উন্নতি করতে পারব। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটা আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি। এ জন্য জনগণের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। অনেক বাধা ছিল, বিপত্তি ছিল। দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

মাহি চাইছেন ভোট, গ্রামবাসী সেলফি
গ্রামে গ্রামে হেঁটে হেঁটে নিজের ট্রাক প্রতীকে ভোট চাইছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এ সময় ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। নায়িকা জানান, সুখে-দুঃখে সব সময় এলাকার মানুষের পাশে থাকতে চান তিনি। কাজ করতে চান সবার কল্যাণে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় গণসংযোগে বের হয় মাহি। গোদাগাড়ীর পাকড়ি ইউনিয়ন থেকে নিজের ট্রাক প্রতীকের প্রচার শুরু করেন। দুপুর পর্যন্ত পাকড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ভোট চেয়েছেন তিনি। এ সময় দুটি গাড়িতে তার সঙ্গে আত্মীয়স্বজন ও কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন।  জনসমাগম দেখলেই গাড়ি থেকে নেমে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহি। গ্রামের নারীদের মাহি আশ্বাস দিয়ে বলছেন, নির্বাচিত হলে নারীদের আত্মমর্যাদা ফিরিয়ে দেবেন তিনি। এলাকার মানুষ এখন যে শোষণের মধ্যে আছেন, তা থেকে সবাইকে বের করে আনবেন এই নায়িকা। শোষক হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে চান মাহি। সেবা করতে চান তিনি।  বেলা ৩টার দিকে গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌর এলাকায় গণসংযোগ করেন মাহিয়া মাহি। ভোটাররা তাকে দেখে ছুটে আসেন বলে জানা গেছে। নায়িকাকে কাছে পেয়ে সেলফি তুলতে অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন। হাসিমুখে সবার আবদারই পূরণ করছেন নায়িকা। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ওই আসনের টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন চিত্রনায়িকা মাহি। তার নানা বাড়ি তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালায়। পাশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে মাহির নিজের বাড়ি। সেখানে মাহিয়া মাহি, ওমর ফারুক চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর লড়াইয়ের সম্ভাবনা আছে। আলোচনায় আছেন বিএনএমের প্রার্থী শামসুজ্জোহা বাবুও।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

চলন্ত ট্রেনের সামনে সেলফি তুলতে গিয়ে আহত ১
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় রেললাইনে দাঁড়িয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে সেলফি তুলতে গিয়ে মো. রাশেদ আবিদ (২২) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের খৈয়ারকুল রেললাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত রাশেদ সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর টেমশা ইউনিয়নের আবদুল্লাহর পুত্র।  স্থানীয় ইউপি সদস্য শারফু সিকদার জানান, গুরুতর আহত রাশেদকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতলে নেওয়া হয়েছে। রাশেদের মামা মো. ফারুক বলেন, রাশেদের বাড়ি সাতকানিয়ায়। সে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। দুপুরে রাশেদসহ আমি বাড়ি থেকে আমিরাবাদের উদ্দেশে ফিরছিলাম। হঠাৎ কক্সবাজার থেকে ট্রেন আসতে দেখে সেলফি তুলতে রেললাইনে দাঁড়িয়ে যায় রাশেদ। সেই মুহূর্তেই পেছন থেকে ট্রেন এসে তাকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি উপজেলার বেসরকারি হাসপাতালে, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

চারদিক / সেলফি যেন মৃত্যুর কারণ না হয়!
সম্প্রতি সেলফি তোলা যেন একটি মানসিক রোগে পরিণত হয়েছে। যেখানে-সেখানে, সময়ে-অসময়ে সেলফি নিতে গিয়ে অনেককে নানা বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। সমাজে লক্ষণীয় সেলফাইটিস ভাইরাস যেন ধর্মীয় বিধিনিষেধকেও ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি সেলফাইটিস ভাইরাসে সংক্রমিত উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রসমূহ—হজে গিয়ে সেলফি, নামাজে সেলফি, জানাজায় সেলফি, লাশের পাশে সেলফি, মৃত্যু শয্যার পাশে সেলফি, খুনের পাশে সেলফি, ইফতারির পাশে সেলফি, তারাবির সেলফি, জুমা নামাজের সেলফি, দোয়া/মিলাদ/খতমের সেলফি ইত্যাদি। এই সেলফাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে যেন কারও রেহাই নেই। এই সেলফাইটিস ভাইরাস খালি করছে অনেক মায়ের বুক। এ ছাড়া বর্তমান যুবসমাজ সোশ্যাল মিডিয়ার ঘূর্ণাবর্তে বেড়ে উঠছে। এ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোতে তাদের অবাধ বিচরণ বেড়েছে। যেমন—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি সাইটে তারা ছবি আপলোড করে থাকে, যেখানে লাইক-কমেন্টের বন্যায় ভেসে যাওয়ার লোভে অনেকেই মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও সেলফি ওঠাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। যার ফলাফল অনেক সময় আকস্মিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ডেকে আনছে। একশ্রেণির মানুষ নিজেদের প্রকাশ ও লাবণ্যময়ী, সুদর্শন চেহারার জানান দিতে জীবনঝুঁকি নিয়ে সেলফি ওঠাতেও দেখা যায়। এতে প্রতিনিয়তই ঝরে পড়ছে প্রাণ। বিপজ্জনক সেলফি ওঠানোর মাধ্যম হিসেবে বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত স্থানগুলোর মধ্যে আছে—রেলের ট্র্যাকের ওপর সেলফি, কুমিরের সঙ্গে সেলফি, বুনো হাতির সঙ্গে সেলফি, চলন্ত ট্রেনের ছাদে সেলফি, পাহাড়ের চূড়ায় সেলফি, থুতনিতে বন্দুক ঠেকিয়ে সেলফি, বাঁদরের সঙ্গে সেলফি ইত্যাদি। এসব ঝুঁকি নিয়েও প্রতিনিয়ত সেলফাইটিস ভাইরাসের শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাজারো মানুষ। এই সেলফাইটিস ভাইরাসের কবলে পড়ে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও প্রতিনিয়তই প্রাণের বিনাশ ঘটে চলেছে। এ ছাড়া দুর্গম এলাকায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেলফি ওঠাতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও বারবার পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে। তবুও যেন সেলফাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০১১ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বে অন্তত ২৫৯ জন সেলফাইটিস ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। যেখানে হাঙরের মুখে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে ৫০ জন। ভারতের জার্নাল অব ফ্যামিলি মেডিসিন অ্যান্ড প্রাইমারি কেয়ারের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে সেলফি আসক্তি বেশি। আরও জানা গেছে, সেলফিতে মৃত্যু সবচেয়ে বেশি ভারতে। এখনো পর্যন্ত সেই সংখ্যা ১৫৯ জন। তবে শুধু সেলফি নয়, গ্রুপিং অর্থাৎ একসঙ্গে অনেকজন ছবি তুলতে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন ভারতীয়রা। কখনো ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন আবার কখনোবা গভীর পানিতে নৌকা উল্টেও প্রাণ হারিয়েছেন। দুর্ঘটনা রুখতে দেশটির বিভিন্ন স্থান ‘নো সেলফি জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু মুম্বাইয়েই এরকম ১৬টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও এমন সেলফাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যেখান থেকে পরিত্রাণ না পেলেই অকালে ঝরে যাবে মূল্যবান প্রাণ। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানের বিপজ্জনক পয়েন্টে সেলফি নিতে গিয়ে প্রাণ হারানোর শিরোনাম দেখেছি আমরা। তবে বাংলাদেশ, ভারতের বাইরেও ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, জার্মানি, তাইওয়ান এবং রাশিয়ার মতো দেশেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেলফাইটিস ভাইরাস। এসব দেশেও সেলফাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে অনেকে। আমাদের এ প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেলফি কখনোই কাম্য হতে পারে না। এস এম রাহমান জিকু শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ
৩০ নভেম্বর, ২০২৩
X