ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলছাত্রী নিহত
কুমিল্লার সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে মীম আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রেন আটকে রাখে রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার রসুলপুর স্টেশনের কাছে ঢাকামুখী চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে নিহত হয়। মীম আক্তার রসুলপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।  স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় স্কুলে যাওয়ার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন রেলপথে ট্রেন আসতে দেখে লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে পড়ে মিম। কিন্তু মিমের দাঁড়িয়ে থাকা লাইন ছিল ট্রেনের গতিপথ। এতে দ্রুতগামী ট্রেনটি মিমকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তারা আরও জানান, রসুলপুর রেলস্টেশনের পাশে লেভেল ক্রসিংটিতে নিরাপত্তা গেট নেই। যে কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া রেললাইনের এক পাশে স্কুল থাকায় প্রতিদিন লেভেল ক্রসিং দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। নিরাপত্তাবেষ্টনী না থাকায় শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন দিয়ে পারাপার হয়।  কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি ফিরোজ হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মহানগর প্রভাতী ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখে। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। ট্রেনে কাটা পড়েই মীম নিহত হয়েছে।
১৬ মে, ২০২৪

প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী
মানিকগঞ্জে ঘুরতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক স্কুলশিক্ষার্থী। শনিবার (৪ মে) রাতে পৌর এলাকার সুরুন্ডী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রেমিককে আটকে রাখে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার (৫ মে) সকালে সদর থানায়  তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাব্বির ও তার সহযোগী মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রী শনিবার বিকেলে তার প্রেমিকের সঙ্গে বেউথা ব্রিজ এলাকায় ঘুরতে আসে। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুজাঘাট ব্রিজ এলাকায় আসামি সাব্বির (২০) তার সহযোগীদের নিয়ে পথরোধ করে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমিকের কাছ থেকে জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে শহরের জরিনা কলেজ মোড়ের পাশের কৃষিজমিতে (শসা ক্ষেতে) নিয়ে ধর্ষণ করে তারা। সাব্বিরকে সহায়তা করে একই এলাকার সরুন্ডি গ্রামের জাহিদ মিয়া (১৮) ও নয়াকান্দি এলাকার মহিউদ্দিন ইসলাম (১৮)। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা ওই ছাত্রীকে তার প্রেমিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর নানি বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে (সংশোধিত ২০২০) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেছেন। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে রোববার সকালে মেডিকেলসহ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাব্বির ও মহিউদ্দিনকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
০৫ মে, ২০২৪

ঘুরতে গিয়ে দুই স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের পারনারায়ণপুর গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে ঘুরতে বের হয়ে দুই স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রীদের অভিভাবক পাংশা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ দুই স্কুলছাত্রী হলেন- রহিমা খাতুন ওরফে বর্ষা (১১) ও জেসমিন আক্তার (১৩)। তারা দুজন সম্পর্কে খালা-ভাগ্নি। বর্ষা খাতুনের মা আছিয়া খাতুন বলেন, সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বর্ষা ও জেসমিন ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। বর্ষা-জেসমিন দুজন সম্পর্কে খালা-ভাগ্নি। বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি। পাংশা মডেল থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার কালবেলাকে বলেন, এ বিষয়ে বুধবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে নিখোঁজদের পরিবার। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

নওগাঁয় স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় যুবক আটক
নওগাঁর মহাদেবপুর থেকে নাবালিকা এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় নান্নু হোসেন (১৯) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টায় গাজীপুরের টঙ্গীপূর্ব বাইগারটেক এলাকায় র‌্যাব-৫ ও র‌্যাব-১ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।  আটক নান্নু হোসেন মহাদেবপুর উপজেলার জন্তইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুর দেড়টায় র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ছাত্রী মহাদেবপুর কাঞ্চন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় স্কুলের পশ্চিম পার্শ্বে রাস্তার ওপর পৌঁছলে অপহরণকারী নান্নু হোসেনসহ কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরে সিএনজিতে উঠিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে পরিবার অনেক খোঁজাখুজির পর স্কুলছাত্রীকে না পেয়ে মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। থানায় মামলা দায়েরের পর অপহরণকারী নান্নু ভুক্তভোগীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল নান্নুর খোঁজে মাঠে নামে। গোপন সংবাদে র‌্যাব-১ এর সহায়তায় গাজীপুরের টঙ্গীপূর্ব বাইগারটেক এলাকা থেকে নান্নুকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে অপহরণকৃত নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। আটক আসামিকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মহাদেবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৬ মার্চ, ২০২৪

পরীক্ষা দিতে এসে স্কুলছাত্রী অপহৃত
রাজশাহীর দুর্গাপুরে এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে আসা এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে কয়েক যুবক টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার গোপালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর বাবা থানায় অপহরণের অভিযোগে করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষার্থী তার নিজ বিদ্যালয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করে। পরে বাড়ির ফেরার পথে বিদ্যালয়ের সামনে মাসুম রেজা কয়েকজনকে নিয়ে তাকে জোরর্পূবক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এসআই আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করা হবে।
২১ মার্চ, ২০২৪

রংপুর থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী যশোরে উদ্ধার
রংপুর থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে যশোর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে যশোরের ঝিকরগাছা থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, রংপুরের হারাগাছ উপজেলার বানুপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে শাহাজাহান ওরফে সানি (২০) ও শাহিন মিয়া (২৮)। মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলার হারাগাছ উপজেলার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল গ্রামার স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে অপহরণ করে শাহাজাহান ওরফে সানি ও তার ভাই শাহিন মিয়া। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ৩ মার্চ হারাগাছ থানায় স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণ মামলা করেন। র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে অবহিত হয়ে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্প অপহরণের বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে গোপনে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গোলবাকপুর এলাকা সানি ও শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের জিম্মায় থাকা ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়।  অপহৃত স্কুলছাত্রী র‌্যাবকে জানিয়েছে, স্কুলে যাওয়া আসার পথে অপহরণকারী সানি প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৩ ফেব্রুয়ারি সহযোগীদের সহায়তায় তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে। উদ্ধারকৃত স্কুলছাত্রী এবং অপহরণকারীদের রংপুরের হারগাছ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৪ মার্চ, ২০২৪

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির জানান।  দণ্ডিত শাওন আকন আগৈলঝাড়া উপজেলার দক্ষিণ গৈলা (বড়ইতলা) এলাকার আলাম আকনের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি শাওনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক। মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন জানান, দক্ষিণ গৈলার গ্রামের নানা বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রী। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নানা বাড়িতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে একটি সালিশ বৈঠক হয়। সেদিন মেয়েটিকে একই বাড়ির শাওনের ঘর থেকে একটি বসার আসন আনতে পাঠানো হয়। মেয়েটি সেখানে গেলে শাওন তার মুখ চেপে ও হাত বেঁধে ধর্ষণ করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে ফিরতে দেরি দেখে মেয়েটির খালা ওই ঘরে গেলে শাওন পালিয়ে যায়। ওই রাতেই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৫ নভেম্বর আগৈলঝাড়া থানার এসআই জহুরুল ইসলাম শাওনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলায় ২ মাস পর আটক ১
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১৫ বছরের এক স্কুলছাত্রী বৃষ্টি বালা সরকার (১৫) অপহরণ মামলার দুই মাস পরে ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বলরামপুর বাজার থেকে আটক করা হয় তাকে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে সরোয়ার হোসেন সরকার (৪৫)। বৃষ্টির পরিবার এবং মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চৌবাড়ি ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী বৃষ্টি প্রতিদিন বিকেল ৪টায় প্রাইভেট পড়ার জন্য গ্রামের পাশেই স্থানীয় বাঁশতলা মোড়ে গেলে একই গ্রামের সরোয়ার সরকারের ছেলে সবুজ সরকার (১৯) প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতে থাকে। বিষয়টি প্রথমে বৃষ্টি তার পরিবারকে জানালে, বৃষ্টির বাবা ছেলের বাবাকে বিষয়টি জানায় এবং উত্যক্ত করতে নিষেধ করে। সেক্ষেত্রে সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগ বুঝে গত ২১ নভেম্বর বিকেলে আসামিরা বৃষ্টিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অজ্ঞাত সিএনজিতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বৃষ্টিকে না পেয়ে ২৫ নভেম্বর তারিখে এ ঘটনায় কামারখন্দ থানায় সবুজ সরকার (১৯), সরোয়ার হোসেন সরকার (২২), সজিব সরকার (৪৫) ও কাজল বেগম (৩৫) এ  চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কামারখন্দ থানার ওসি মোহা রেজাউল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অনেক পথ অবলম্বন করে ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুবই তাড়াতাড়ি অন্য আসামিদের ধরতে এবং মেয়েটিকেও উদ্ধার করতে পারবো। এ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

মহেশপুর থেকে নিখোঁজ / তিন মাস পর কুমিল্লায় উদ্ধার স্কুলছাত্রী
ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে নিখোঁজ এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) প্রায় তিন মাস পর কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নিচিন্দপুর গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ওই মেয়েটি নিখোঁজ ছিল। গণমাধ্যমকে মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়েকে বেড়ের মাঠ গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে হৃদয় (১৮) অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়। প্রায় ৩ মাস পর কুমিল্লার নিচিন্দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মহেশপুর থানার এসআই সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার করে।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

নিখোঁজের ১৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি বীরগঞ্জের সেই স্কুলছাত্রী
নিখোঁজের ১৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি দিনাজপুরের বীরগঞ্জের চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রী সুমনা রানী সুমি (১২)। এ দিকে সন্তান নিখোঁজের শোকে ম্লান হয়ে গেছে ওই পরিবারের পূজার আনন্দ। বাড়িতে চলছে সুনশান নীরবতা। নেই কোনো পূজার আয়োজন। সন্তানকে ফিরে পাবার প্রহর গুণছে পরিবারের লোকজন। নিখোঁজ সুমনা রানী সুমি উদ্ধার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।  তবে তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে পরিবারে কাছে ফিরিয়ে দিতে জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে পুলিশ। সুমনা রানী সুমি বীরগঞ্জ পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সতিশ রায়ের দ্বিতীয় কন্যা। সতিশ রায় পেশায় রিকশাচালক এবং মা সারদা দেবনাথ গৃহিণী। নিখোজ সুমনা রানী সুমির মা সারদা দেবনাথ জানান, গত ১১ অক্টোবর সুমনা রানী সুমি দুপুরে বাড়ি ফিরে গোসল শেষে কাপড় পরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। এ সময় ভাত খাওয়ার জন্য বললে বান্ধবীর বাড়ি যাচ্ছে এবং ফিরে এসে ভাত খাবে বলে জানায় সে। এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়িতে ফিরে আসেনি। রাতে তার বাবা বাড়ি ফিরে আসলে বিষয়টি তাকে জানালে পরে তার বাবা প্রতিবেশিদের নিয়ে বান্ধবীদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও কোনো সন্ধান পাননি। এরপর থেকে আজ অবধি তাদের মেয়ে নিখোঁজ।  সারদা দেবনাথ বলেন, সন্তানের শোকে বাড়িতে পূজার কোনো আয়োজন নেই। তার ফিরে আসার অপেক্ষায় প্রতিদিন পথ চেয়ে থাকি। সন্তানের স্মৃতি তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন সারদা দেবনাথ। মেয়ে নিখোঁজে শোকে কাতর সুমনার বাবা সতিশ রায় বলেন, রাতে প্রতিবেশি ও বন্ধু-বান্ধবীদের বাসায় খোঁজ নিয়েও তাকে না পেয়ে আত্মীয়স্বজনদের বাসায় খোঁজ নিই। কিন্তু কোথাও তার খোঁজ মেলেনি। পরে ১২ অক্টোবর বীরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করি। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ নেই। সে বেঁচে আছে নাকি মৃত সেটিও জানতে পারছি না। আমরা গরিব মানুষ। রিকশা চালিয়ে সংসার চলাই। আমাদের কোনো শক্র থাকার কথাও নয়। আমার মেয়েকে দ্রুত উদ্ধারে সকলের সহযোগিতা চাই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বীরগঞ্জ থানার এসআই মো. আলী জানান, নিখোঁজ সুমনা রানী সুমিকে উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত তার অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে বীরগঞ্জ থানা কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩
X