স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ২২ বছর পর স্ত্রী আয়েশা খাতুন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী সামছুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে আদালতের নির্দেশে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার সামছুদ্দিন জেলার সদর উপজেলার মাইজছড়া গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা পৌর বাস টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।   র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, আসামি সামছুদ্দিন আয়েশা খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন ও গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় সুধারাম থানার এএসআই মো. মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ১৩ জুন, ২০০২ সালে সুধারাম থানায় মামলা করেন। এ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ৩০ জুলাই, ২০০৯ সালে আসামি সামছুদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।  র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  আসামি সামছুদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, আসামিকে বেগমগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে

ধনকুবেরের স্ত্রী হবেন অধরা (ভিডিও)
বছরের বেশির ভাগ সময়টাই বিদেশে কাটে দেশীয় চিত্রনায়িকা অধরা খানের। তার পোশাক, লাইফস্টাইল ও ভ্রমণ—সব কিছুতেই থাকে আভিজাত্য।  শিগগিরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন লাস্যময়ী এই নায়িকা।   যাপিতজীবনে যিনি এতটা বিলাসী, কেমন হবে তার হবু বরের সম্পদের পরিমাণ? কালবেলার সাপ্তাহিক বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ‘তারাবেলা’য় হাজির হয়ে হবু বরের সম্পদ ও ক্যারিয়ারের ফিরিস্তি দিয়েছেন অধরা।  জানিয়েছেন বছরে মিলিয়ন ডলার রোজগার করেন তার হবু বর, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি। এ ছাড়াও বাড়তি উপার্জনও আছে তার।  গত ৫ মে তারাবেলার ২৪ তম এপিসোডে অতিথি ছিলেন অধরা খান।  অভিনেত্রীর হবু বরের উপার্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে নায়িকা বলেন, তিনি একজন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার।  ডলারে উপার্জন করেন। বছরে তা মিলিয়ন ছাড়ায়।  তা ছাড়া বইও লিখেন অধরার হবু জীবনসঙ্গী।  নেটওয়াকিংয়ের ওপর লেখা ওসব বই বিক্রি হয় ১৪৯৯ ডলার থেকে শুরু করে আরও অনেক বেশি দামে।  তা ছাড়াও নামধারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে চুক্তিতে ডেকে নেয়।  সেখান থেকেও আসে উচ্চসম্মানী। অধরার হবু স্বামীর নাম ফয়সাল খান।  কানাডার টরেন্টোতে তার বসবাস। নায়িকার ভাষ্য, চাহিদা অনুসারে সম্পর্কে জড়ানো উচিত। কেউ উচ্চাভিলাসী হলে তাকে তেমন পার্টনার খুঁজে নেওয়া প্রয়োজন।  এ ক্ষেত্রে ফয়সালই তার জন্য উপযুক্ত সঙ্গী বলে জানিয়েছেন অধরা। সবার সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অধরা বলেন, প্রত্যেকরই উচিত তার পার্টনারের সামর্থ্য অনুযায়ী চলা।  তাকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী না ভাবতেও অনুরোধ করেছেন নায়িকা।
১৫ মে, ২০২৪

কুরকুরে চিপস না আনায় ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী
হরহামেশাই ডিভোর্সের ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। যা শেষ অবধি ডিভোর্সে গড়াই। জরিপে দেখা গেছে এমন বিচ্ছেদের পেছনে অনেক সময় পরকীয়া প্রধান কারণ। তবে কুরকুরে চিপস না আনায় যে বিচ্ছেদ হতে পারে তা কী কখনো ভেবেছেন। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়।  স্ত্রীর পছন্দের চিপস আনতে ভুলে গেছেন স্বামী। আর এতেই রেগে বাপের বাড়ি চলে গেছেন ওই স্ত্রী। এখানেই শেষ না। রীতিমতো ডিভোর্স চেয়ে ছুটে গেছেন পুলিশের কাছেও। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ রুপির কুরকুরে চিপস অনেক পছন্দের ওই স্ত্রীর। এজন্য তার অনুরোধ ছিল প্রত্যেক দিন যেন সেই চিপস আনা হয়। যা নিয়ে এর আগেও তাদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। এবার সেই চিপসটি আনতে ভুলে যায় স্বামী। আর তা নিয়েই বাধে ঝগড়া। একপর্যায়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবতী। তিনি বলেন, তিনি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান।  যদিও এমন অভিযোগ শোনার পর অবশ্য পুলিশ এই দম্পতিকে ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ের জন্য রেফার করেছে। জানা গেছে, গত বছরই বিয়ে হয়েছে ওই দম্পতির। তবে যুবতীর ডিভোর্সের দাবির বিপরীতে তাদের মতভেদ মেটানোর এবং সংসার রক্ষা করার প্রচেষ্টায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ে পাঠানো হয়েছে।
১৫ মে, ২০২৪

বগুড়ায় স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গাজীপুরে গ্রেপ্তার
বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি আব্দুর রাজ্জাককে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার রাতে গাজীপুরের পোড়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক কাহালু উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। সোমবার বিকেলে র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মীর মনির হোসেন বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, গোয়ালপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর নাম এলেমা বেগম আর দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বিবি। যৌতুকের দাবিতে তিনি প্রথম স্ত্রী এলেমাকে নির্যাতন করতেন। ২০০৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ওই সময় কাহালু থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়। পরে মরদেহের ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়ায় নিহত এলেমার ভাই হাফিজার রহমান রাজ্জাক ও মনোয়ারাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন। আদালত মামলাটিকে এফআরআই হিসেবে গ্রহণ করতে কাহালু থানাকে নির্দেশ দেয়। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে রাজ্জাক ও মনোয়ারার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারক প্রক্রিয়া শেষে ২০২১ সালে বিচারক আসামি রাজ্জাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আরেক আসামি মনোয়ারাকে খালাস দেওয়া হয়।  তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের পর রাজ্জাক ৫ বছর জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে যান। রায় ঘোষণার সময়ও তিনি পলাতক ছিলেন। নাম পরিচয় বদলে রাজ্জাক গাজীপুর এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।
১৪ মে, ২০২৪

পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করে বাড়ি ছাড়া রানার স্ত্রী
পুলিশ হেফাজতে মো. রানার মৃত্যুর অভিযোগে কয়েকদিন আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফরমান আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী সোনিয়া বেগম। মামলার পর থেকেই সোনিয়াকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নিরাপত্তাহীনতায় দুই ছোট সন্তান নিয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সোনিয়া। তিনি কালবেলাকে বলেন, মামলা করার পর থেকে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল আসছে। তারা আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। এসআই মিজান ও চঞ্চল ভয় দেখাচ্ছে। ভয়ে বাড়ি থাকি না। আজকে (গতকাল) আদালতেও যাইনি। দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বাড়িঘর ছেড়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। কিন্তু আমি মরে গেলেও স্বামী হত্যার বিচার থেকে পিছু হটব না। আমি বিচার চাই, নিজের নিরাপত্তা চাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই মো. মিজানুর রহমান বলেন, সবার চাকরির ভয় রয়েছে। আমি কেন তাকে ভয় দেখাব। আমি কাউকে হুমকি দিইনি। এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বলেন, ভয়ভীতি দেখানোর কিছু তো হয়নি। গত ৮ মে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ভুক্তভোগী রানার স্ত্রী সোনিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, উপপরিদর্শক চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, কনস্টেবল জোনাব আলী, কনস্টেবল মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম। বাদীপক্ষের আইনজীবী এহসান কবির বলেন, আদালতে মামলা করার পর থেকে সোনিয়া নানা হুমকি পাচ্ছেন। বিশেষ করে এসআই মিজানুর তার লোকজন দিয়ে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি আদালতে আসতে পারেননি। ভয়ে থানায় জিডি করতেও যেতে পারছেন না। আমরা এ বিষয়টি আদালতের কাছে উপস্থাপন করব। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, যে কেউ আইনগত বিষয়ে আদালতে আসতে পারবেন। আদালত সবার জন্য সমান। তবে মামলা করার পর আসামিরা হুমকি, ভয় দেখাবে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ মো. রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ফতুল্লার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ডিবি পরিচয়ে একটি গাড়িতে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালায়। আসামি সবুজ রানার স্ত্রী সোনিয়াকে ফোন দিয়ে জানায় ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে তার স্বামীকে মারা বন্ধ হবে। এরপর সোনিয়া ২০ হাজার টাকা সবুজের হাতে দেয়। তার পরও তার স্বামীকে তারা আটকে রাখে। ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে সোনিয়াকে ঢাকা মেডিকেল মর্গে আসতে বলে। তিনি সেখানে গিয়ে তার স্বামীকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।
১৩ মে, ২০২৪

‘প্রত্যেক নারী পাবেন ১ লাখ করে ভাতা’
ভারতের নির্বাচনী প্রচারে অভিনব সব পন্থা ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চান রাজনৈতিক নেতারা। এবার ভারতের নির্বাচনের প্রচারে এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনায় এলেন দেশটির প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ভারতীয় কংগ্রেস নেতা কান্তিলাল ভুরিয়া।  তিনি বলেন, সবার ভোটে জিতে দল ক্ষমতায় গেলে দলীয় ইশতেহার অনুযায়ী প্রত্যেক নারী ১ লাখ রুপি করে ভাতা পাবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) মধ্যপ্রদেশে এক নির্বাচনী র‍্যালিতে এই মন্তব্য করেন ।  তিনি বলেন,  সবার ভোটে জিতে দল ক্ষমতায় গেলে দলীয় ইশতেহার অনুযায়ী প্রত্যেক নারী ১ লাখ রুপি করে ভাতা পাবেন। সে হিসেবে কোনো ব্যক্তির দুজন স্ত্রী থাকলে তিনি ভাতা পাবেন ২ লাখ রুপি। এ সময় সেই র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং ও দলের রাজ্য শাখার প্রধান জিতু পাটোয়ারি।   কংগ্রেসের ইশতেহারে বলা আছে, দারিদ্রসীমার নিচে যেসব নারীরা বাস করেন, তারা মাসে সাড়ে ৮ হাজার রুপি করে ভাতা পাবেন। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে কান্তিলাল ভুরিয়াকে সমর্থন দেন কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারি। তিনি বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। তবে এই বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। দলটির এমপি মায়া নারোলিয়া বলেন, এই বক্তব্য দিয়ে কংগ্রেস নেতারা নারীদের অপমান করেছেন। লোকসভা নির্বাচনে তাদের ভোট না দিয়ে নারীরা এর কঠোর জবাব দেবে। এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশের বিজেপির মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ দেয়।  
১২ মে, ২০২৪

বগুড়ায় এমপির স্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী
চতুর্থ দফায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর স্ত্রী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শিল্পী বেগম। শিল্পী বেগম বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবর রহমান মজনুর স্ত্রী। তিনি শেরপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সাবেক কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার (৯ মে) চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি এই মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওই পদে তিনি ছাড়াও আরও চার প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শুক্রবার (১০ মে) শেরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শেরপুর উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিল্পী বেগম, কৃষক লীগের নেত্রী মর্জিনা বিবি, স্থানীয় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ফিরোজা খাতুন, ফাতেমা খাতুন ও শিখা খাতুন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রসঙ্গে শিল্পী বেগম জানান, তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন, বিষয়টি আওয়ামী লীগের সবাই জানেন। সংসদ সদস্যের স্বজনদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরত থাকার দলীয় নির্দেশনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি ছোট। এ ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হবে না।’ শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, আমাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কাজটা হয়েছে। আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত হয়েছে- মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা নির্বাচনে থাকতে পারবেন না। উনি যে কী মনে করে মনোনয়ন নিয়েছেন। তবে আমরা আশাবাদী এটার একটা ব্যবস্থা হবে। আমাদের এমপি মজিবর রহমান মজনু নিয়মনীতির বিষয়ে খুব সচেতন।   এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, তিনি শুনেছেন শিল্পী বেগম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয়ভাবে নির্দেশ রয়েছে, কোনো এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়রা এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। শিল্পী বেগমের প্রার্থিতার বিষয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আসন্ন শেরপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ জামাল সিরাজী, যুবলীগের নেতা এমএ হান্নান, বগুড়া জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি জাকারিয়া তারেক বিদ্যুৎ এবং মো. রুবেল আহমেদ। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সানি, গাড়ীদহ পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম কিরণ, শেরপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রনি সরকার, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও বিধান কুমার ঘোষ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তপশিল অনুযায়ী, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ১২ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, ১৩-১৫ মে আপিল, ১৯ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও ২০ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ হবে ৫ জুন।
১০ মে, ২০২৪

বিচিত্র / বিয়ের ১২ দিন পর জানলেন স্ত্রী একজন পুরুষ
২৬ বছর বয়সী একের (ছদ্মনাম) সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয় ‘আদিন্দা কানজা আজাহারা’র সঙ্গে। পরে তারা সরাসরি সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেন। হিজাব পরে দেখা করতে আসেন ‘আদিন্দা’। প্রথমবার দেখায় তাকে ভালো লেগে যায় একের। একপর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে এ বিয়েতে ‘আদিন্দা’র কোনো স্বজন উপস্থিত থাকেননি। কারণ তিনি জানান, মা আগেই মারা গেছেন। বাবার সঙ্গে যোগাযোগ নেই অনেকদিন। বিয়ের পরও স্বামীর বাড়িতে হিজাব বা ওড়না দিয়ে মুখমণ্ডল ঢেকে রাখেন ‘নববধূ’। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ার পর একের পরিবার তার সম্পর্কে খোঁজ নেয়। জানতে পারে, ‘আদিন্দা’র বাবা কাছেই থাকেন। তিনি জানান, আদিন্দা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি আসলেই যুবক। তার নামের সংক্ষিপ্তরূপ ইএসএইচ। বিয়ের ১২ দিন পর স্বামী জানতে পারেন তার স্বী একজন পুরুষ। গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ইএসএইচকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ইএসএইচ জানান, তিনি অর্থ হাতিয়ে নিতে মূলত এ প্রতারণা করেন। নারিঙ্গুল পুলিশ বলছে, আসলে ইএসএইচের চেহারা ‘নারীসুলভ’। যাই হোক, পুলিশ তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় অভিযোগ এনেছেন। সূত্র: অডিটিসেন্ট্রাল।
১০ মে, ২০২৪

ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী
প্রতারণা ও নানা অনিয়মে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।  রোববার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে আসেন তিনি। জানা গেছে ডিবি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এর আগে শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৫ মে, ২০২৪

বিয়ের সপ্তাহ পেরোতেই সড়ক ‍দুর্ঘটনায় স্বামী নিহত, আইসিইউতে স্ত্রী
বিয়ের মেহেদি না শুকাতেই মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নববিবাহিত সৌদি প্রবাসী আকতার হোসেন (৩২) নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় মারাত্মক আহত নববধূ সুবর্ণা আক্তারকে (১৯) আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।  শনিবার (৪ মে) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আকতার হোসেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার চান্দিয়ারা গ্রামের কালু ড্রাইভারের ছেলে।  প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রাজ্জাক জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী মোটরসাইকেল যোগে চান্দিনার দিকে যাওয়ার পথে নিমসার এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী একটি বাস চাপা দিলে মারাত্মক আহতাবস্থায় তাদেরকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আকতার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিহতের স্ত্রী সুবর্ণা আক্তারকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে ভর্তি করান। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা উপজেলার চান্দিয়ারা গ্রামের কালু ড্রাইভারের ছেলে আকতার হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে কর্মরত থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে গত ২৭ এপ্রিল কুমিল্লার সদর উপজেলার শংকরপুর গ্রামে বিবাহ করেন। শুক্রবার (৩ মে) মোটরসাইকেল যোগে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান এবং শনিবার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জামাল হোসেন জানান, এক শনিবার বিয়ে করেছেন পরের শনিবার বাড়িতে এল তার লাশ। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল বাহার মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনা পরপর আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করলেও পরিবারের দাবিতে বিনা ময়নাতদন্তের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
০৫ মে, ২০২৪
X