তীব্র দাবদাহের পর লালমনিরহাটে স্বস্তির বৃষ্টি
সন্ধ্যা থেকেই লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। উপজেলার কয়েকটি এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। দাবদাহের মধ্যে বাড়তি স্বস্তি নিয়ে এসেছে মধ্য বৈশাখের এ হালকা বৃষ্টি। সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি না হলেও অন্যান্য এলাকায় আকাশ মেঘলা অবস্থায় দেখা গেছে। বৃষ্টি হওয়ায় গরমের নাভিশ্বাস থেকে একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে জনজীবনে। অনেকেই বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শহরের এক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির জন্য দীর্ঘ যে প্রতীক্ষা, সেটির অবসান হলো। বৃষ্টির পর রোদে গা জ্বলা যে ভাবটি ছিল এতদিন, সেটি আর নেই। খুব ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে আরেক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির পর এখন অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছে মানুষ। আল্লাহর কাছে লাখো শোকর। এর আগে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। এই পূর্বাভাস অনুযায়ী জেলার পাটগ্রাম উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাবপ্রবাহ। সূর্যের প্রখরতায় দিনে-রাতে প্রায় একই তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে সূর্য অস্ত গেলেও মানুষের ভোগান্তি কমছে না। রাতের বেলায়ও প্রচণ্ড গরমে সবাইকে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

তীব্র দাবদাহের পর লালমনিরহাটে স্বস্তির বৃষ্টি
সন্ধ্যা থেকেই লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। উপজেলার কয়েকটি এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। দাবদাহের মধ্যে বাড়তি স্বস্তি নিয়ে এসেছে মধ্য বৈশাখের এ হালকা বৃষ্টি। সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি না হলেও অন্যান্য এলাকায় আকাশ মেঘলা অবস্থায় দেখা গেছে। বৃষ্টি হওয়ায় গরমের নাভিশ্বাস থেকে একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস এসেছে জনজীবনে। অনেকেই বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শহরের এক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির জন্য দীর্ঘ যে প্রতীক্ষা, সেটির অবসান হলো। বৃষ্টির পর রোদে গা জ্বলা যে ভাবটি ছিল এতদিন, সেটি আর নেই। খুব ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে আরেক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির পর এখন অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছে মানুষ। আল্লাহর কাছে লাখো শোকর। এর আগে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। এই পূর্বাভাস অনুযায়ী জেলার পাটগ্রাম উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাবপ্রবাহ। সূর্যের প্রখরতায় দিনে-রাতে প্রায় একই তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে সূর্য অস্ত গেলেও মানুষের ভোগান্তি কমছে না। রাতের বেলায়ও প্রচণ্ড গরমে সবাইকে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়।
০৬ মে, ২০২৪

জয়পুরহাটে স্বস্তির বৃষ্টি
দীর্ঘ তাপপ্রবাহের পর জয়পুরহাটে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। এ বৃষ্টিতে মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে আসে।  শনিবার (৪ মে) বেলা ৩টা ৫৮ মিনিট থেকে শুরু হয়ে আধা ঘণ্টা ধরে চলে এ বৃষ্টিপাত। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হয়নি। শহরে বৃষ্টির সময় আকাশ কিছুটা কালো মেঘে ঢাকা ছিল।  শহরের রিকশাচালক বেলাল হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরমের পর যতটুকুই হোক বৃষ্টি হয়েছে তাতেই ভালো লাগছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন জানান, জেলায় আজ শনিবার বিকেলে সদর উপজেলায় ৫ ক্ষেতলাল ১২ এবং কালাই উপজেলায় ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪

তীব্র তাপদাহের পর ভোলায় স্বস্তির বৃষ্টি
ভোলায় তীব্র দাবদাহের মধ্যে দেখা মিললো স্বস্তির বৃষ্টির । দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোলার আকাশে মেঘের গর্জন। প্রায় এক ঘণ্টার এ বৃষ্টি যেন শীতলতার এক প্রশান্তির ছোঁয়া এনে দিয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে উত্তর ভোলার ইলিশা ও ছয়টার দিকে ভোলা সদরে এ বৃষ্টি শুরু হয়। একদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং অপরদিকে প্রচন্ড গরমে মানুষের জীবন যখন ওষ্টাগত, ঠিক তখন দেখা মিললো কাঙ্ক্ষিত প্রশান্তির বৃষ্টির। এতে ক্ষণিকের জন্য হলেও মানুষের মধ্যে স্বস্তি মিলেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কী পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা জানাতে পারেনি স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।  ভোলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. মনির জানান, জেলা সদরে সন্ধ্যা সোয়া ৬ টা থেকে বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার ভোলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র দাবদাহের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিতে সজীব হয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি। বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ মে) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এর পরের ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
০৪ মে, ২০২৪

সম্পাদকীয় / স্বস্তির বৃষ্টি ও বজ্রপাত আতঙ্ক
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। জনজীবনে নেমেছে ক্ষণিক স্বস্তি, তবে এ মাসেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্তারা। কয়েক বছর ধরে বিরূপ আবহাওয়া মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। গত ৩১ মার্চ থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত টানা ৩৩ দিন দেশের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামসহ দেশের কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ৮টার পর বৃষ্টি হয় রাজধানীর কিছু এলাকায়ও। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও শনির আখড়া এলাকায় সাত-আট মিনিটের মতো সামান্য বৃষ্টি ঝরেছে। রাত ১২টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয় মিরপুর, শ্যামলী এলাকায়। রাত ১টার দিকে নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়। তবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হলেও তাপপ্রবাহের ধারাবাহিকতা দ্রুতই চলে যাবে না বলে মনে করেন আবহাওয়া অফিসের কর্তারা। তারা বলছেন, উপমহাদেশে যে তাপবলয় সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রশমনে বড় ধরনের বৃষ্টি দরকার। আগামীকাল (রোববার) থেকে এমন বৃষ্টি হতে পারে। এরপর তাপমাত্রা খানিকটা কমতে পারে। বিশ্বের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞরা গত বছরই বলেছিলেন, ২০২৪ সাল অপেক্ষাকৃত উষ্ণ হতে পারে। এর পেছনে দায়ী প্রশান্ত মহাসাগরের জলবায়ু পরিস্থিতি ‘এল নিনো’। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এল নিনো সক্রিয় হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি এটি নিষ্ক্রিয় হতে শুরু করে। স্প্যানিশ শব্দ এল নিনোর অর্থ হলো ‘লিটল বয়’ বা ‘ছোট ছেলে’। পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ থাকে, তখন তাকে এল নিনো বলা হয়। আর এর বিপরীত অবস্থার নাম ‘লা নিনা’, যার অর্থ ‘লিটল গার্ল’ বা ‘ছোট মেয়ে’। পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, তখন তাকে লা নিনা বলা হয়। তবে এল নিনো নিষ্ক্রিয় হলেও তাপ কমতে আরও দেরি হতে পারে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদরা। তাদের মতে, গ্রীষ্ম মৌসুমে এবার উপমহাদেশ জুড়ে আবহাওয়া আগের চেয়ে তপ্ত থাকবে। আবার বর্ষা মৌসুমে লা নিনার সক্রিয়তার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে অত্যন্ত দুঃখের সংবাদ এই যে, দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন ১১ জন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। এর মধ্যে কুমিল্লার চান্দিনা, সদর দক্ষিণ, দেবিদ্বার ও বুড়িচং উপজেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই কৃষকসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন বজ্রপাতে রাঙ্গামাটিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং সাতজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সাজেকের লংথিয়ানপাড়ায় বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক ত্রিপুরা গৃহিণীর মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ছড়িপাড়ায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন দিদারুল ইসলাম ও মো. আরমান। স্থানীয় মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ভোরে কোদাইল্লাদিয়া এলাকায় লবণক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দিদার ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সকালে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আরমান মারা যান। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইয়াসিন আরাফাত উপজেলার ইব্রাহিমপাড়ার বাসিন্দা। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দীঘিরপাড়া পূর্ব ইউনিয়নে বিকেলে বোরো ধান কাটার সময় এক কৃষকের মৃত্যু ও দুজন আহত হয়েছেন। বলাবাহুল্য, প্রকৃতি ও পরিবেশ ভারসাম্যহীন হওয়ায় এমনটি ঘটেছে। তাই আমাদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
০৪ মে, ২০২৪

মধ্যরাতে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি
দীর্ঘ প্রায় এক মাস তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে বৃষ্টিতে স্বস্তি এসেছে রাজধানীতে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়। রাজধানী মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়। রাত সোয়া ১টার পর ফার্মগেট, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ধানমণ্ডি এলাকায়ও শুরু হয় বৃষ্টি। এর আগে সন্ধ্যায় নামে বৃষ্টি রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির খবর পেয়েছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, এ বছর এপ্রিলে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ৭৬ বছরে এপ্রিলে রেকর্ড করা গড় তাপমাত্রার চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। এছাড়া, এবারই এপ্রিলে দীর্ঘতম তাপদাহ বয়ে গেছে দেশজুড়ে। শুধু উষ্ণতম নয়, এই এপ্রিল ছিল গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম। দেশের গড় বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এপ্রিলে দেশে গড় বৃষ্টিপাত ১৩৪ মিলিমিটার। এদিকে বৃষ্টি হওয়ায় গরমের নাভিশ্বাস থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে জনজীবনে। অনেকেই বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এই মধ্যরাতে বৃষ্টিতে ভিজে উল্লাস করতে দেখা গেছে নগরবাসীকে।   এদিকে ঢাকার বাইরেও কয়েকটি জেলায় ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি, লৌহজং, শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও গজারিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় হয় বৃষ্টি। প্রায় দুই ঘণ্টার বর্ষণে জনজীবন ও প্রকৃতিতে ফেরে সতেজতা।   বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে নরসিংদীর সদর, শেখরচর, পাঁচদোনাতেও। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। গাছের গুড়ি উপড়ে পড়ে কয়েক ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও পরে স্বাভাবিক হয়।
০৩ মে, ২০২৪

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
তীব্র গরমে নাকাল নগরবাসীর কাছে অবশেষে ধরা দিল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি না হলেও অন্যান্য এলাকায় আকাশ মেঘলা অবস্থায় দেখা গেছে। বৃষ্টি হওয়ায় গরমের নাভিশ্বাস থেকে একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে জনজীবনে। অনেকেই বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আবহাওয়া অফিস বলেছিল যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।  এদিকে, বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের ৬ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।  আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

অবশেষে মুন্সীগঞ্জবাসী পেল স্বস্তির বৃষ্টি
দীর্ঘ ২০-২৫ দিন তীব্র দাবদাহের পর মুন্সীগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে প্রথম বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি শুরু হয় ৭টা ১৬ মিনিটে। তবে বৃষ্টি ততটা দীর্ঘস্থায়ী না হলেও মানুষের মাঝে একটি প্রশান্তি কাজ করছে। এতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন নগরবাসী। বেশ কিছুদিন পর আজ সারা দিন মুন্সীগঞ্জের তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বর্তমানে তাপমাত্রা রয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাস বইছে ঘণ্টায় ১৬ কিমি বেগে। ইতোমধ্যে শহরে দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সী মানুষকে বৃষ্টিতে ভিজে তাদের গন্তব্যে যেতে। অনেক বাইকারদের বৃষ্টিতে ভিজে বাইক চালাতেও দেখা গেছে। স্বল্প সময়ের বৃষ্টি হলেও খুশি সবাই। এরূপ এক বাইকার অনিক কর্মকার বলেন, দীর্ঘদিন দাবদাহের কারণে জনজীবন একপ্রকার বিপর্যস্ত ছিল। আজ সন্ধ্যায় স্বস্তির বৃষ্টির কারণে আর ঘরে থাকতে পারলাম না। তাই বৃষ্টিতে ভিজে ঘুরতে বেরিয়েছি। মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুজন হায়দার জনি বলেন, গত কয়েক দিন গরমে পুড়ছিলাম। প্রচণ্ড দাবদাহ ছিল ২০-২৫ দিন। ঘরের বাইরে শুধু অস্বস্তি ছিল। আজ বৃষ্টি পেয়ে অনেক ভালো লাগছে, দেখছি সবাই খুশি। আমার বৃষ্টি খুবই ভালো লাগে। তাই প্রতিক্ষায় ছিলাম এই বৃষ্টির জন্য। স্থানীয় ব্যাবসায়ী বাসুদেব নাগ বলেন, বহু কাঙ্ক্ষিত এই বৃষ্টি জনজীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। বিগত কয়েক দিনের দাবদাহে একপ্রকার অস্বস্তিতে ছিলাম। কাজকর্ম কিছুই ভালো লাগত না। অনেক সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর দুই দফা বৃষ্টিতে কিছুটা পরিবেশ শিতল হয়। তবে বৃষ্টি মাত্রা আরও বেশি প্রয়োজন। তাহলে জনজীবনের স্বস্তি পূর্ণতা পাবে।
০২ মে, ২০২৪

অবশেষে কুমিল্লায় স্বস্তির বৃষ্টি
বৈশাখের শুরু থেকেই চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কুমিল্লায় স্বস্তির বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার মতো ব্রাহ্মণপাড়ায় অঝরে বৃষ্টি নামে। এ সময় অঝরে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া, বজ্রপাত ও অল্পকিছু সময় শিলাবৃষ্টি হয়। উপজেলায় বয়ে যাওয়া দাবদাহের মধ্যে এমন বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সকাল থেকেই ব্রাহ্মণপাড়ায় কড়া রোদের সঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছিল। দুপুর থেকে মাঝেমধ্যে আকাশে কালো মেঘ জমতে দেখা গেলেও তাপমাত্রার তেমন কোনো তারতম্য ঘটেনি। তবে সন্ধ্যার বৃষ্টিতে পরিবেশ শীতল হওয়ার পাশাপাশি জনজীবনে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। স্থানীয় বাসিন্দা আহাম্মদ উল্লাহ কালবেলাকে বলেন, ‘গত কিছুদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলাম। দিনে ও রাতে কোনোভাবেই স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। একদিকে গরম আর অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে আমরা পাগলের মতো হয়ে উঠেছিলাম। তবে এই বৃষ্টিতে আমরা প্রাণ ফিরে পেয়েছি।’ স্থানীয় আরেক বাসিন্দা কামরুল হাসান কালবেলাকে বলেন, ‘আমার বয়েসে এত গরম আগে কখন দেখিনি। তীব্র গরমে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। জীবনযাপনে নেমে এসেছিল স্থবিরতা। তবে সন্ধ্যার এ বৃষ্টিতে আমাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আশা করছি এই বৃষ্টির মাধ্যমে গরমের তীব্রতা হ্রাস পাবে।’ এদিকে এ বৃষ্টিতে না ভেজার পরামর্শ দিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন কালবেলাকে বলেন, ‘এ উপজেলাসহ সারা দেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এরইমধ্যে এ উপজেলায় বৃষ্টি নেমেছে। এ ছাড়াও দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে হয়তো তাপমাত্রা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। তবে হঠাৎ এ বৃষ্টিতে ভেজা যাবে না। এখন ভিজলে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এ ছাড়াও বজ্রপাতে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অযাচিতভাবে কেউ যদি বৃষ্টি ভিজে যায় সেক্ষেত্রে, দ্রুত ভেজা চুল শুকিয়ে নিতে হবে। শরীরের ভেজা কাপড় যত দ্রুত সম্ভব খুলে ফেলতে হবে। তারপর গোসল করে পরিষ্কার হওয়ার পর সম্ভব হলে এক কাপ চা খেয়ে চাঙা হতে হবে।’
০২ মে, ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহের পর চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টি
তীব্র তাপপ্রবাহ ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্বিষহ গরমে বিপর্যস্ত মানুষ। চট্টগ্রাম শহরজুড়ে যেন আগুনের উত্তাপ। গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সকল বয়সী মানুষ। গরমে বিপর্যস্ত জনজীবনে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একপশলা বৃষ্টি এনে দিয়েছে একরাশ স্বস্তি। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে কয়েক দফা বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ছিল বজ্রপাত। এ সময় অনেক বাসিন্দা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখে। শিশু-কিশোররা খুশিতে ভিজতে দেখা যায়।   পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আবদুল বারেক কালবেলাকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে এরপর থেকে মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছে। প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর আমরা বৃষ্টির পরিমাপ নিয়ে থাকি।   তিনি বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে আজ চট্টগ্রামে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখানো হয়েছে। পৌনে ২টার দিকে জোয়ার শুরু হবে। ভাটা শুরু হবে রাত ৮টায়। জোয়ারের সময় ভারি বৃষ্টি হলে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সকালে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বৃষ্টি হয়েছে। স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রশান্তি নেমে আসে সেখানকার স্থানীয়দের মাঝে। সকাল ৯টার দিকে শুরু হয়ে অন্তত ১৫ মিনিট বৃষ্টি হয় সেখানে। পরে ছোট ছোট বজ্রপাত শুরু হয়। মাটিরাঙ্গা ও রাঙামাটি শহর ছাড়াও  রাজস্থলী, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল উপজেলায় বৃষ্টি হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪
X