তীব্র তাপপ্রবাহ ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্বিষহ গরমে বিপর্যস্ত মানুষ। চট্টগ্রাম শহরজুড়ে যেন আগুনের উত্তাপ। গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সকল বয়সী মানুষ। গরমে বিপর্যস্ত জনজীবনে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একপশলা বৃষ্টি এনে দিয়েছে একরাশ স্বস্তি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে কয়েক দফা বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ছিল বজ্রপাত। এ সময় অনেক বাসিন্দা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখে। শিশু-কিশোররা খুশিতে ভিজতে দেখা যায়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আবদুল বারেক কালবেলাকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে এরপর থেকে মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছে। প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর আমরা বৃষ্টির পরিমাপ নিয়ে থাকি।
তিনি বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে আজ চট্টগ্রামে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখানো হয়েছে। পৌনে ২টার দিকে জোয়ার শুরু হবে। ভাটা শুরু হবে রাত ৮টায়। জোয়ারের সময় ভারি বৃষ্টি হলে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া সকালে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বৃষ্টি হয়েছে। স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রশান্তি নেমে আসে সেখানকার স্থানীয়দের মাঝে। সকাল ৯টার দিকে শুরু হয়ে অন্তত ১৫ মিনিট বৃষ্টি হয় সেখানে। পরে ছোট ছোট বজ্রপাত শুরু হয়। মাটিরাঙ্গা ও রাঙামাটি শহর ছাড়াও রাজস্থলী, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল উপজেলায় বৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন