ননদের বিয়েতে টিভি উপহার দিতে চাওয়ায় স্বামীকে হত্যা
বিয়েতে উপহার দেওয়ার রেওয়াজ প্রাচীনকাল থেকেই। তবে বিয়েতে উপহার দিতে চাওয়ায় কাল হয়েছে এক স্বামীর। নিজের বোনের বিয়েতে টিভি উপহার দিতে চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন স্ত্রী। এরপর পিটিয়েই স্বামীকে হত্যা করেছেন তিনি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোনের বিয়েতে টিভি উপহার দিতে চেয়েছিলেন চন্দ্র প্রকাশ মিশ্রা। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি চন্দ্রের স্ত্রী ও তার পরিবার। ফলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করেছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।  এনডিটিভি জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চন্দ্রের বোনের বিয়ের কথা ছিল। এজন্য তিনি বোনকে সোনার আংটি ও টিভি উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি চন্দ্রের স্ত্রীপক্ষ।  পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে চন্দ্রের সঙ্গে তার স্ত্রীর কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রেগে স্বামীকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিজের ভাইকে ডেকে আনেন চন্দ্রার স্ত্রী। তিনি তাকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মারধর করেন। পরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।  চিকিৎসকের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, মারধরের কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য আঘাতের কারণে হাসপাতালে চন্দ্রের মৃত্যু হয়েছে।   স্থানীয় পুলিশ আরও জানিয়েছে, এ ঘটনায় চন্দ্রের স্ত্রী ও তার ভাইসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলবে।   
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বিয়ের চার মাসের মাথায় প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে হত্যা
টাঙ্গাইলে বিয়ের চার মাসের মাথায় প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে বালুচাপা দিয়ে রেখে আসা হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী রেশমীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার শেষ সীমানা চর ডাকাইতাবান্দা এলাকা থেকে নিহত স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পু‌লিশ। ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত স্বামী টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের শফিকুল ইসলামের ছেলে নাঈম হোসেন। এই ঘটনায় পরকীয়ায় অভিযুক্ত প্রেমিক মাসুদ ও নিহতের স্ত্রী রেশ‌মি খাতু‌নকে গ্রেপ্তার করেছে পু‌লিশ। অভিযুক্ত মাসুদ অর্জুনা ইউনিয়নের চরভরুয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে এবং নিহত নাঈম হোসেনের স্ত্রী রে‌শ‌মি খাতুন একই ইউনিয়নের রামাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। জানা যায়, নাঈম ও রেশ‌মি প্রায় চারমাস আগে প‌রিবারের অমতে বিয়ে করেন। গত ১৯ ডিসেম্বর স্ত্রী রেশ‌মিকে নিয়ে নাঈম রামাইলে শ্বশুর বাড়িতে যায়। একইদিন রেশ‌মি নাঈমকে নিয়ে বিকালে ঘুরতে বের হয়। এরপর রাতে রেশমি বাবার বা‌ড়ি গিয়ে জানায় তার স্বামী নাঈম চলে গেছে। তারপর থে‌কে নাঈমের খোঁজ পাওয়া যা‌চ্ছিল না। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ গ্রেপ্তারকৃত রেশ‌মির বরাত দিয়ে জা‌নায়, রেশ‌মি পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। সে তার প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। রেশমি ওই দিন স্বামী নাঈমকে নিয়ে প‌রিকল্পনা অনুযায়ী চরাঞ্চলের বি‌ভিন্ন জায়গায় ঘুর‌তে যায়। এরপর স‌রিষাবা‌ড়ি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে প্রেমিকের সহায়তায় নদীর পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর মরদেহটি বালুচাপা দিয়ে রেশ‌মি বাবার বাড়িতে ফেরত যায়।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
X