গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
গোপালগঞ্জ সদরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলচালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের হরিদাসপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন, কাশিয়ানী উপজেলার পুইশূর ইউনিয়নের পুইশুর গ্রামের জুয়েল মোল্লা, কড়িগ্রাম এলাকার রেপতি সরকারের ছেলে বাবুল সরকার ও সদরের গোহাটা বটতলা এলাকার পিনাকী রঞ্জন দাস। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে মোটরসাইকেলে করে জুয়েল, পিনাকি ও বাবুল কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জে যাচ্ছিলেন। হরিদাসপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে সেতু ডিলাক্স নামের একটি বাস মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে  চিকিৎসকরা চালক জুয়েলকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে পিনাকি ও বাবুল মারা যান।  গোপালগঞ্জ ভাটিয়া পাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা এসে জানতে পারি, দ্রুতগতিতে দুটি বাস পাল্লা দিয়ে চলছিল। এমন সময় হরিদাসপুরে আসলে সামনে থাকা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় একটি বাস। এ সময় তিনজন গুরুতর আহত হন। আহদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করে। অন্য দুজনকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান।   তিনি বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে তদন্তপূর্বক  আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৯ মে, ২০২৪

এপ্রিলে ৬৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৩২ : বিআরটিএ
এপ্রিল মাসে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৫৮টি। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬৩২ জন মানুষ। একইসঙ্গে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৬৬ জন মানুষ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এসবের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত এবং ১৫৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত এবং ৯৫ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৫ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন। এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৪১টি, বাস/মিনিবাস ১৫৭টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৭০টি, পিকআপ ৫০টি, মাইক্রোবাস ২৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ১২টি, মোটরসাইকেল ২৫২টি, ট্রাক্টর ১৭টি, ভ্যান ২১টি, ইজিবাইক ৩৪টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩১টি, অটোরিকশা ৬৮টি এবং অন্যান্য যান ১৭৫টিসহ সর্বমোট ১০৫৬টি যানবাহন রয়েছে। এসবের মধ্যে মোটরকার দুর্ঘটনায়/জিপ ২৬ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৬৭ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৬২ জন, পিকাপ দুর্ঘটনায় ৩০ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ২০ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ১৩ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ৯ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৮ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ৩০ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ১৭ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৪৫ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ১০৪ জনসহ সর্বমোট ৬৩২ জন নিহত হয়। এর আগে, গত ২১ এপ্রিল বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের ১৭ দিনে (৪ থেকে ২০ এপ্রিল) সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩২০ জন ও আহত হয়েছেন ৪৬২ জন। এ সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
১১ মে, ২০২৪

সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। শুক্রবার (১০ মে) বেলা ১১টার দিকে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের যুগ্নীদহ কড়ইতলা ও সাড়ে ১১টার দিকে একই মহাসড়কের বাঘাবাড়ি এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- টেটিয়ারকান্দা এলাকার সেলিমের স্ত্রী নার্গিস খাতুন (৩৫) ও শেলাচাপড়ী এলাকার মৃত ভোলা প্রামাণিকের ছেলে আরশেদ প্রামাণিক (৬০)। আহতদের উদ্ধার করে বাঘাবাড়ী উত্তরবঙ্গ ট্যাংলরি সমবায় সমিতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,  যুগ্নীদহ এলাকায় ট্রাকচাপায় অটোভ্যানের যাত্রী নার্গিস খাতুন নিহত হন। এ সময় অটোভ্যান চালক আহত হয়। অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার বাঘাবাড়ী গ্যাস অফিস সংলগ্ন স্থানে ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ত্রি-মুখী সংঘর্ষে অটোরিকশা যাত্রী আরশেদ প্রামাণিক নিহত হন। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি এম এ ওদুদ দুটি দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব। 
১০ মে, ২০২৪

হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চারজন একই পরিবারের সদস্য
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের চারজন একই পরিবারের সদস্য। আরেকজন প্রাইভেটকার চালক। গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হরিতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের জামাল মিয়া, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ছেলে অন্তর ও ভাই গার্মেন্টসকর্মী এনামুল হক। আর প্রাইভেটকার চালক বরিশালের বাকেরগঞ্জের বড়পাশা গ্রামের ইউনুছ ব্যাপারীর ছেলে হারুন ব্যাপারী। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল কবির বলেন, পরিবারটি ঢাকার সাভার এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে। মাজার জিয়ারতের জন্য তারা সবাই মিলে প্রাইভেটকারে সিলেট গিয়েছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত দেড়টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুরের হরিতলা এলাকায় জামাল মিয়ারদের বহনকারী প্রাইভেটকারটির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই চালকসহ সব আরোহী নিহত হন। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার এসআই সুজন মজুমদার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিকেলে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, জানা গেছে ট্রাকটি ওভারটেক করতে গিয়ে প্রাইভেটকারকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সবার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন। পুলিশ চালককে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
০৩ মে, ২০২৪

সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯
রাঙামাটির সাজেকে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাঁদে পড়ে ৯ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে  উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আরও ৫ জন আহত হয়েছেন।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্রাকে থাকা শ্রমিকরা গাজীপুর ও ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা। তারা উদয়পুর সীমান্ত সড়কে কাজ করার জন্য যাচ্ছিল। তাদের সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর কাজের সরঞ্জামও ছিল। গাড়িতে মোট ১৪ জন ছিলেন। যার মধ্যে  ৬ শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যায়, বাকিরা আহত হন। আহত ও নিহত শ্রমিকদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে আরও ৩ জন মারা যায়।  বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার জানান, সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কে ১৪ জন শ্রমিক ও চালক নিয়ে একটি ড্রাম ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাঁদে পড়ে যায়। এতে ৯ জন শ্রমিক মারা গেছে। সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতুলাল চাকমা জনান, উদয়পুর সীমন্ত সড়কে কাজ করার জন্য একদল শ্রমিক উদয়পুরের দিকে যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় ৯০ ডিগ্রি পাহাড় থেকে নামার পথে ট্রাকটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে প্রথমে ৬ জন ও পরে হাসপাতালে ৩ জন মারা যায়।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদযাত্রায় ৩৯৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৭
ঈদযাত্রায় ৩৯৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ জন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে। এ উৎসব ঘিরে ১৫ দিনে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন, যা মোট দুর্ঘটনার প্রায় অর্ধেক এবং নিহতের ৪০ শতাংশের বেশি। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনটিতে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে উৎসব শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনের দুর্ঘটনার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতাল) দেওয়া সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেন। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুন্নেছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আবদুল হক, সংগঠনের সহসভাপতি তাওহীদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মো. মহসিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে দুটি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ এবং আহত প্রায় দেড়শ গুণ বেড়েছে। ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। তবে সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনকে ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট দুর্ঘটনার ৩২ শতাংশের বেশি হয় জাতীয় মহাসড়কে। এর পাশাপাশি ১০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৫০ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল। জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকরা এসব সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সমিতি একগুচ্ছ সুপারিশ করে। এর মধ্যে আছে, জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল এবং ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস দেওয়ারও পরামর্শ দেয় তারা। ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা। এর পাশাপাশি সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করারও সুপারিশ করা হয়।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় আবুল কালাম (৫০) নামে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম আলেম হজরত কায়েদব সাহেব হুজুর প্রতিষ্ঠিত নেছারাবাদ এনএস কামিল মাদ্রাসার এক খাদেম নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আবুল কালাম। তিনি জেলার রাজাপুর উপজেলার উত্তর তাড়াবুনিয়া এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা আঞ্চলিক সড়কের বাসন্ডা ব্রিজের পশ্চিম প্রান্তে  এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকাল ৪টার দিকে বরিশাল থেকে পিরোজপুরগামী একটি ট্রাক রাস্তার পাশে খাদেম আবুল কালামকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। খাদেম সড়কের পাশে মাদ্রাসা মসজিদ ফান্ডের অনুদানের টাকা গ্রহণ করার জন্য রাস্তার পাশে বসে ছিলেন। ঝালকাঠির সদর থানার ওসি মো. শহিদুল  ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসার খাদেমকে চাপা দেওয়া ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। চালকেও আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এদিকে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শিরযুগে ঈদে নানা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে মায়ের চোখের সামনে ইজিবাইক চাপায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তানজিলা আক্তার (৩) এক শিশুর। নিহত শিশু তানজিলা সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চর বাটারকান্দা গ্রামের বাহারুল হাওলাদারের মেয়ে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের শিরযুগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, তানজিলা মায়ের সঙ্গে শিরযুগ নানা বাড়িতে ঈদে বেড়াতে গিয়েছিল। বেড়ানো শেষে নানা বাড়ি থেকে চর বাটারকান্দার নিজ বাড়িতে আসার সময় গাড়ির অপেক্ষায় রাস্তার পাশে মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় দ্রুত গতির একটি ইজিবাইক তাকে চাপা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ইজিবাইকটিকে জব্দ করলেও চালক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তানজিলাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকটিকে জব্দ করেছে। চালক পালিয়ে গেলে তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
ফরিদপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে কানাইপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের দ্বীপনগর এলাকায় লাশ হস্তান্তর করা হয়। দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৪ সদস্যরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও আবু স্নান মোল্লা (৩)। এ ছাড়া মিলন মোল্লার মা হুবাইয়া বেগম হুরি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। একই গ্রামের মর্জিনা বেগম (৭০) এবং একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন রূপপাতের কুমরুল গ্রামের ইকবাল হোসেনকে (২৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এদিকে একই দুর্ঘটনায় পার্শ্ববর্তী উপজেলা আলফাডাঙ্গার এক পরিবারের মা মেয়ে ও নাতিসহ তিনজন মারা গেছে। নিহতরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের জাহানারা বেগম (৫৫), সনিয়া বেগম (৩২), নাতি নূরানি (১)।  নিহত অন্যরা হলেন আলফাডাঙ্গা পৌরসভার হিদাডাঙ্গা গ্রামের মনিরা বেগম (৪৮), শুকুরণ বেগম (৮০), কোহিনূর বেগম (৬০)। পিকআপভ্যানচালক কুসুমদি গ্রামের নজরুল মোল্যা (৩০), সদর ইউনিয়নের তবিবুর খান (৬০)।  নিহতদের প্রত্যেকের বাড়ি ভিন্ন উপজেলায় হলেও সবাই পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরকারি বরাদ্দের ত্রাণের টিন আনতে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন। মিলন ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষের আগে তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপে করে ফরিদপুর থেকে ত্রাণের টিন আনতে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার একসঙ্গে নিঃশেষ হয়ে গেলেন। করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরী কালবেলাকে জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে ১৪টি লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুর দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে একে একে লাশ এসে পৌঁছায়। এরপর স্বজনদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়। তবে এর আগে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৪
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা অ্যাবলুম হাইওয়ে রেস্টুরেন্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নিহতরা পিকআপ ভ্যানের যাত্রী ছিলেন। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম দুর্ঘটনার পরপরই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় পিকআপের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজন মারা যান। তিনি আরও বলেন, আহত একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে, বেলা ১০টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় নিহত বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন একজন।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে জহিরুল ইসলাম রিফাত (২৮) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। পিরোজপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সেতুর উপরে কুমিরমারা প্রান্তে দ্রুত গতির প্রাইভেট কারটি ওভারটেক করতে চাইলে বিপরীতদিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। নিহত জহিরুল ইসলাম রিফাত পিরোজপুরের ভান্ডরিয়া পৌরসভার ০২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে আনলে জহিরুল ইসলাম রিফাত মারা যায়। অপর আহত আসফাক আহমেদ সাজিদকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ মুকিত হাসান খাঁন বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুতে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার ফলেই এ দূর্ঘটনা ঘটেছে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪
X