মহাকাশ জয়ের প্রতিযোগিতা এবং বাংলাদেশ
‘আয় আয় চাঁদ মামা’ অথবা ‘সূর্য্যি মামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে’ এ ধরনের সাহিত্য এবং সংস্কৃতি এটাই প্রমাণ করে যে মহাকাশ এবং মহাকাশে অবস্থিত বিভিন্ন উপগ্রহ, নক্ষত্র সবকিছুই আমাদের অত্যন্ত প্রিয়। মহাকাশের রহস্য সব সময় মানব জাতিকে আকর্ষণ করলেও ১৯৫৭ সালের আগ পর্যন্ত এখানে কেউ পদচারণা করতে পারেনি। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘স্পুটনিক’ মহাকাশযানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ১৯৬৯ সালে নীল আমস্ট্রং দের চাঁদে অবতরণের মাধ্যমে তৎকালীন মহাকাশ প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটে। মার্কিনীদের চন্দ্র অভিযানের পর প্রায় ৫০ বছর কেউ আর চাঁদে যায়নি। তবে এর মধ্যে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন ও জাপান সহ অনেক দেশই মহাকাশে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখে।  এরই ধারাবাহিকতায় গণচীন ২০২০ সালে চাঁদের পৃষ্ঠে  এবং জাপান ‘রিয়ুগূ’ নামক একটি উল্কাপিন্ডে সাফল্যের সাথে রোবটের মাধ্যমে অবতরণ করে নমুনা সংগ্রহ করে। সংগৃহীত নমুনা বিচার-বিশ্লেষণ করে ২০২২ সালে চাঁদে এবং উল্কাপিণ্ডে দুই জায়গাতেই পানি এবং বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান খনিজ পদার্থের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। চীন এবং জাপানের এই আবিষ্কারের ফলে মহাকাশ সম্বন্ধে মানবজাতির ধারণা সম্পূর্ণরূপে পাল্টে যায়। ফলশ্রুতিতে, অর্ধ শতকের বেশি সময়ের পর আবারও নতুন করে মহাকাশ প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো। নতুন এই মহাকাশ প্রতিযোগিতা পুরনো প্রতিযোগিতা থেকে একটু ভিন্নতর। বিগত শতাব্দীতে স্নায়ুযদ্ধের সমাপ্তির পর পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মেরুকরণের আবির্ভাব হয়। এর পাশাপাশি এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়, যার ফলে নিত্য নতুন অংশীদার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। একই সাথে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে মহাকাশ গবেষণা এবং অনুসন্ধান অনেকটাই সহজ এবং তুলনামূলক ভাবে সহজলভ্য হয়ে পড়ে। এ সকল কারণে মহাকাশ জয়ের এই প্রতিযোগিতা অত্যন্ত জটিল সমীকরণে এসে দাঁড়ায়। কারণ এই প্রতিযোগিতায় যেই জয়লাভ করবে সে মহাকাশ থেকে আহরিত দুর্লভ খনিজ পদার্থ ব্যবহার করে নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে যেটি ব্যবহার করে সে ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হবে এবং অন্যদের উপর প্রভুত্ব খাটানোর সক্ষমতা অর্জন করবে। মহাকাশ প্রতিযোগিতার বিষয়টি সামগ্রিকভাবে অনুধাবন করার জন্য মহাকাশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পেক্ষাপট বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরী। মহাকাশকে অনেক সময় মহাশূন্য বলা হলেও আদতে এটি কিন্তু শূন্য নয়। মহাকাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গ্রহ, উপগ্রহ এবং ধূমকেতু যেগুলো দুর্লভ খনিজ পদার্থে ভরপুর। অভিকর্ষ বলের কারণে মহাকাশের কিছু জায়গায় দ্রুত গতিতে যাত্রা করা সম্ভব আবার কিছু জায়গায় স্থির দাঁড়িয়ে থাকাও সম্ভব। সুবিশাল এই মহাকাশে পৃথিবীর সন্নিকটে জায়গাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা কিনা পৃথিবীর পৃষ্ঠ হতে ৩৬,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকার মধ্যেই আছে পৃথিবী থেকে পাঠানো সকল কৃত্রিম উপগ্রহ (satellite) যেগুলো ছাড়া আমাদের প্রাত্যহিক জীবন অনেকটাই অচল। যেমন এই কৃত্রিম উপগ্রহ গুলো যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে আমাদের জিপিএস (GPS) কাজ করবে না ফলে আমরা ঠিকভাবে পথ চিনতে পারব না; যার ফলে উবার এবং ফুডপান্ডার মত সার্ভিসগুলো আমাদেরকে খুঁজে পাবেনা; আমাদের টেলিভিশন ঠিক মতো কাজ করবে না এবং আমাদের মুঠোফোন গুলো ব্যবহার করে ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারব না।  সামগ্রিকভাবে আমাদের জীবনের অনেক কিছুই আমরা হারিয়ে ফেলবো যদি আমরা আমাদের পৃথিবীর সন্নিকটের মহাকাশ ঠিকমতো ব্যবহার করতে না পারি। মার্কিন প্রফেসার এভেরেট ডোলমান যথার্থই বলেছেন, "পৃথিবীর সন্নিকটের মহাকাশ যে নিয়ন্ত্রণ করবে, সেই ভু-পৃষ্ঠের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে এবং যে ভু-পৃষ্ঠের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করবে, সেই মানবজাতির ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে"। এছাড়াও চাঁদ এবং এরপরে যে অনন্ত মহাশূন্য রয়েছে সেখানেও আকর্ষণীয় অনেক কিছুই লুকিয়ে রয়েছে। চাঁদে পানির উপস্থিতি প্রমাণ করে যে এখানে অক্সিজেন আছে অথবা তা উৎপাদন করা সম্ভব এবং অক্সিজেন ও পানির সংস্থান করা গেলে সেখানে বসতি স্থাপন শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। অদূর ভবিষ্যতে চাঁদে যদি কেউ বসতি স্থাপন করতে পারে তাহলে বিগত সহস্রাব্দে পৃথিবীতে উপনিবেশিক দেশগুলো যে সুবিধা ভোগ করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা তারা ভোগ করবে। প্রযুক্তিগতভাবে যারা এমন একটি অবস্থানে যেতে পারবে তারা অবশ্যই চেষ্টা করবে আমাদের কে তাদের দাসত্বের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করতে, যার ফলে আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা অনেকটাই হুমকির মধ্যে পড়ে যাবে। শুধু তাই নয় মহাকাশে যদি কেউ একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে পারে তাহলে মহাকাশ ব্যবহার করে সে ভূপৃষ্ঠে তার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করতে পারবে এবং কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে মনুষ্যবিহীন বিমান বা ড্রোন ব্যবহার করে যে কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে। যার ফলে মহাকাশ বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর উপরে তাদের প্রভুত্ব স্থাপন করা সহজ হবে। শুধু তাই নয় মহাকাশ প্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহারের কারণে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই সময়ে সামরিক এবং বেসামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। স্পেস এক্স এর "স্টারলিংক" ইন্টারনেট সেবা তেমনি একটি প্রযুক্তি যা কিছুদিন পূর্বে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। অর্থনৈতিক বিষয়টি মহাকাশ প্রতিযোগিতা এবং বিজয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ৫০ বছর মানুষ চাঁদকে ভুলে ছিল যার অন্যতম কারণ ছিল অর্থনীতি, এবং আজ নতুন ভাবে এই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কারণও অর্থনীতি। বিগত শতাব্দীতে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পানি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ এর ব্যবহার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে। এতে করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং পৃথিবী ধীরে ধীরে ধ্বংশের দিকে ছুটে যাচ্ছে। এ কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের নতুন উৎস খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরী এবং মহাকাশ একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় বিকল্প উৎস। চাঁদে উদঘাটিত দুর্লভ খনিজ সম্পদের মধ্যে হিলিয়াম-৩ অন্যতম। মাত্র ০১ টন হিলিয়াম-৩ গ্যাস ব্যবহার করে এক বছরে ১০,০০০ মে.ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব যা উৎপাদন করার জন্য প্রায় ৫ কোটি ব্যারেল জীবাশ্ম জ্বালানি এর প্রয়োজন হতো। এছাড়াও এই গ্যাস চিকিৎসা বিজ্ঞান সহ আরো অনেক কাজে ব্যবহার করা সম্ভব যার মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতি উপকৃত হতে পারবে। এ সকল কারণে, অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী দেশ গুলি নব উদ্যমে মহাকাশ বিজয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এই প্রতিযোগিতায় যে সকল দেশ পিছিয়ে থাকবে তাদের, বিজয়ী দেশগুলোর কাছে দাসত্ব বরণ করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। মহাকাশ প্রতিযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে এখানে সকল দেশের জন্য সমান সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপেক্ষাকৃত নতুন দেশ হলেও এরই মধ্যে নিজেকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রমাণ করেছে। রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী বাংলাদেশ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট অর্থনীতির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টা অনেকটাই সহজতর হবে। জনসংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম এই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ নিরাপত্তা, তথ্য নিরাপত্তা সহ আর্থসামাজিক অনেক বিষয়ই মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে অত্যন্ত সুচারুরূপে সমন্বয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের ছোট্ট ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ যেখানে অনেক দুরূহ সেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে দুর্লভ প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ বাংলাদেশের জন্য খুবই লাভজনক হবে।  প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহারে সবসময় ইতিবাচক ছিল। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন সরকার কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য অটোমেটিক পিকচার ট্রান্সমিশন (APT) নামে একটি সংস্থা গঠন করে যা পরবর্তীতে SPARRSO নামে আত্মপ্রকাশ করে। এই সংস্থাটি বর্তমানে বাংলাদেশে মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করছে এবং এটি বাংলাদেশের একমাত্র মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তবে মহাকাশ গবেষণা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি হলো বাংলাদেশের উদ্যমি তরুণ তরুণীরা। "ব্র্যাক অন্বেষা" নামক বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ এই তরুণরাই মহাকাশে পাঠিয়েছিল। বর্তমানে তারা জাতিসংঘের উদ্যোগে নেওয়া নানাবিধ মহাকাশ সংক্রান্ত কর্মকান্ডে সংযুক্ত আছেন। এছাড়াও মহাকাশ গবেষণা এবং বিজয়ের সম্ভাব্য সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এবং এরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে। এ সকল উদ্যোগের সুফল যদি আমরা সঠিকভাবে পেতে চাই তবে বাংলাদেশকে আরও বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে যার মধ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি অন্যতম। মহাকাশ গবেষণা রকেট সাইন্স এর একটি অংশ এবং বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ও স্পর্শ কাতর। বাংলাদেশের একার পক্ষে এই কঠিন বিষয়টি আয়ত্তে আনা সহজসাধ্য হবে না। এ কারণেই বাংলাদেশকে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে হবে। মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা যেমন APSCO এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একথা মনে রাখতে হবে যে শুধুমাত্র প্রযুক্তির সহায়তায় বাংলাদেশ মহাকাশ বিজয় করতে পারবেনা। এজন্য অবকাঠামো, আইনগত এবং ইকো সিস্টেম সংক্রান্ত বিষয়গুলোতেও নজর দিতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কল্যাণে মহাকাশ সমগ্র মানবজাতির জন্য যে সুযোগ সৃষ্টি করেছে সেটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে বাংলাদেশে অতি দ্রুত নজর দেওয়া প্রয়োজনঃ প্রযুক্তিগত পার্থক্যের কারণে উন্নত বিশ্বের সাথে মহাকাশ সংক্রান্ত বাংলাদেশের যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে সেটি পূরণের জন্য একটি শর্টকাট বেছে নিতে হবে। বাণিজ্যিক চুক্তি বা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে এবং দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। মহাকাশের উন্নত প্রযুক্তির সাথে তাল মেলানোর জন্য এটি একটি ভালো পদক্ষেপ, তবে টেকসই মহাকাশ গবেষনা এবং প্রযুক্তি ও ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশে যথাযথ প্রতিষ্ঠান নেই। প্রতিষ্ঠানের পর হতে বিগত ৫০ বছরে SPARRSO মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত তেমন কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি এবং এ ধরনের কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য কোন রকমের সক্ষমতা গড়ে তোলা হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে NASA, ISRO অথবা CNSA এর মত প্রতিষ্ঠানের আদলে গড়ে তুলতে পারলেই শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানটি ইস্পিত দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে। তবে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করার জন্য শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা পরিবর্তন করলেই হবে না বরং একই সাথে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং কর্তব্য যা ১৯৯১ সালের আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে সেটিরও পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। মহাকাশ প্রযুক্তি যদি সঠিকভাবে দেশের কল্যাণে ব্যবহার করতে হয় তবে এটি একটি জাতীয় কৌশল এবং সুপরিকল্পিত কর্মপদ্ধতির মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে। বহির্বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশের মতো বাংলাদেশও আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে বাংলাদেশের জন্য SDG এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একটি অন্যতম মোইল ফলক। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় SDG এর শতকরা ৪০ ভাগ অর্থাৎ ১৭টি লক্ষ্যের ১৬৯ টি টার্গেট এর মধ্যে ৬৫ টি টার্গেটিই মহাকাশ প্রযুক্তি হতে লাভবান হতে পারে এবং এর ফলে লক্ষ্য অর্জন অনেকটাই সহজ হবে। তবে এর মধ্যে কিছু টার্গেট আছে যা মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহার ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয় যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, যার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাঠানো তথ্য ও চিএ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বিমানসহ সকল ধরনের পরিবহনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে GPS ব্যবহার করে দিক নির্ণয় করা ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়াটা বর্তমান বিশ্বে প্রায় অসম্ভব।  মহাকাশের প্রযুক্তিগত সেবাগুলি শুধু নয় বরং মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে লাভবান হতে পারে। ১৯৫৭ সালে মহাকাশ যুগের সূচনা লগ্ন হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৫০ টি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরপর হতে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর সংখ্যা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ২১০ টি যা ২০১৯ সালে ৬০০ তে এসে দাঁড়ায় এরপর হঠাৎ করেই যেন সবাই প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে। ২০২০ সালে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ১২০০ তে এসে দাঁড়ায় এবং ২০২২ সালে এটি ২৪৭০ টিতে এসে দাঁড়ায়।  জাতিসংঘের মহাকাশ সংক্রান্ত দপ্তর (UNOOSA) এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধুমাত্র ২০২৮ সালেই সর্বমোট এক মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ লক্ষেরও  অধিক কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ সকল উপগ্রহের বেশিরভাগই হবে ক্ষুদ্রাকৃতির এবং সেগুলো মহাকাশের সর্বনিম্ন স্তরে (LEO) থেকে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে। এ ধরনের উপগ্রহ প্রযুক্তিগত দিক থেকে খুব উচ্চমানের না। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ এই ধরনের একটি উপগ্রহ তৈরি করেছে ও অনুরূপ আরো উপগ্রহ তৈরি প্রক্রিয়াধীন আছে। বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের ক্ষুদ্রাকার কৃত্রিম উপগ্রহ প্রযুক্তির ব্যবহার, উপগ্রহ পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার এবং অন্যান্য উপাদানগুলোর গবেষণা, উদ্ভাবন এবং বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান সংক্রান্ত কার্যকলাপ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। বর্তমান বিশ্বে মহাকাশ জয়ের প্রতিযোগিতা হতে যে অপার সুযোগের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেটিকে যদি আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি তাহলে শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয় বরং সামাজিক, প্রযুক্তিগত এবং ভু-রাজনৈতিক দিক হতেও বাংলাদেশ লাভবান হতে পারবে। আর এজন্য দরকার একটি সময়োপযোগী জাতীয় মহাকাশ কৌশল, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা। মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চা এবং মহাকাশ প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার একটি কঠিন কাজ। এটি  বাংলাদেশের জন্য এককভাবে করা দুরূহ, এ কারণে এ সকল ক্ষেত্রে যেসব দেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তাদের সাথে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম চালানোর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংগঠনগুলো যেমন UNOOSA, ESA, APSCO বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক এ সকল প্রতিষ্ঠানে সমন্বিত ভাবে মহাকাশ সংক্রান্ত সক্ষমতা অর্জনের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে প্রথমত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো অনুসমর্থন এবং অনুমোদন করা প্রয়োজন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মহাকাশ বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা শুরু হওয়ার পর হতে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রবর্তন করা হয়েছে যার মধ্যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মাত্র একটি চুক্তিতে অনুসমর্থন করেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মহাকাশ প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং মহাকাশে অন্বেষণের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান প্রতিনিয়তই বাড়ছে। মহাকাশ ভিত্তিক পর্যটন শিল্প এবং মহাকাশ হতে প্রয়োজনীয় দুর্লভ খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বেসরকারি খাতের দক্ষতার সাথে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তালমেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বেসরকারি মহাকাশ প্রতিষ্ঠান গুলো শুধুমাত্র দ্রুততার সাথেই নয় বরং অর্থনৈতিকভাবেও  মহাকাশ শিল্প বিকাশে এবং বাণিজ্যে অনেক এগিয়ে আছে। এ কারণে বাংলাদেশে মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং অন্বেষণে টেকশই সাফল্যের জন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এটি নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন, সংশোধন এবং সংযোজন জরুরী। মহাকাশ গবেষণা, মহাকাশ প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং বাংলাদেশের জন্য অতীব জরুরী খনিজ পদার্থ আহরণের জন্য মহাকাশ একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় মাধ্যম। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশের উন্নয়নের অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনের জন্য মহাকাশ গবেষণা এবং মহাকাশ শিল্প বিকাশের কোন বিকল্প নেই। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে যদি মহাকাশে যেতে হয় তাহলে এখন থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। প্রাকৃতিক এবং ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশকে "প্রিজনার অফ জিওগ্রাফি" হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়। আধুনিক প্রেক্ষাপটে যদি মহাকাশ সংক্রান্ত গঠনমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে আমরা ব্যর্থ হই তবে এর পাশাপাশি বাংলাদেশ "ভিকটিম অফ অ্যাস্ট্রোপলিটিক্স" বা "মহাকাশ রাজনীতি" এর শিকারে পরিণত হবে। এয়ার কমডোর এ টি এম হাবিবুর রহমান: প্রো-উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমআরএএইউ) 
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দক্ষতার সঙ্গে অপরাধ দমন করছে ডিএমপি : কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে অপরাধ দমন করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ডিএমপির ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সুধী সমাবেশ ও আলোচনাসভায় তিনি সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১২টি থানা ও ৬ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নগরবাসীর আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে আজ ৫০টি থানা ও ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ডিএমপি। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে অপরাধের ধরন। ডিএমপি অতি দক্ষতার সঙ্গে এসব অপরাধকে মোকাবিলা করেছে। এসব অপরাধ দমমে ক্রাইম বিভাগের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া জঙ্গি দমনেও দক্ষতার পরিচয় দেখিয়েছে ডিএমপি।  ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম জঙ্গিবাদকে সফলতার সঙ্গে দমন করেছে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। এ ছাড়া গুজব ও সাইবার ক্রাইমের মতো অপরাধ ডিএমপি সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে ডিএমপি ওয়ান স্টপ সাইবার সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশু সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে নারী ও শিশুদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে নারীরা নারী পুলিশের কাছ থেকে সেবা নিতে পারছেন। আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি সামাজিক কাজ ডিএমপি করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে ডিএমপি মুমূর্ষু রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালে মাতা পিতা ও আত্মীয়স্বজন মৃতদেহ রেখে পালিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের পরম মমতায় তাদের সৎকার করেছে। কখনো কখনো তারা প্লাজমা দিয়ে রোগীদের সেবা করেছে।  ডিএমপি কমিশনার বলেন, যানজট ঢাকা শহরে অন্যতম একটি সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সকল সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা এমন একটি ঢাকা করতে চাই সেখানে উত্তরা থেকে ১৫ মিনিটে গুলিস্তান আসা যায়। সকলের সহযোগিতায় আমরা স্মার্ট ডিএমপি করতে চাই। আমরা এমন একটি ডিএমপি করতে চাই যেখানে একজন নারী রাত ৩টায় রাস্তায় দিয়ে চলাচল করলে তার যেন মনে হয় তার পেছনে একজন পুলিশ সদস্য আছে।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তেজগাঁওয়ে বস্তিতে আগুন / নাশকতা না কি দুর্ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে : ডিএমপি কমিশনার 
কারওয়ানবাজার এফডিসি সংলগ্ন মোল্লাবাড়ি বস্তিতে আগুনটি কোনো দুর্ঘটনা না কি নাশকতা সেটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা এখানে যতটুকু দেখেছি যে অগ্নিকাণ্ডের সুস্পষ্ট কারণ সেটা নির্ধারণ করা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস হয়তো সেটির তদন্ত সাপেক্ষে তাদের প্রতিবেদন দিতে পারে। তারা তদন্ত করবে। তদন্ত করে বলতে পারা যাবে এটা দুর্ঘটনা না কি নাশকতা। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। হাবিবুর রহমান বলেন, গত রাতে শোয়া দুইটায় তেজগাঁও এলাকাধীন রেললাইন বস্তি মোল্লাবাড়ি নামে পরিচিত এফডিসির জাস্ট পেছনে প্রায় ৩ শাতাধিক পরিবার বাস করে। এই পরিবারের বেশিরভাগ মানুষই এই কারওয়ানবাজারে মাছ কাটেন, দিনমজুরের কাজ করেন। গভীর রাতে যখন এখানে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয় আশপাশের লোকজন জানাজানি হলে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। কয়েকটি টিম এখানে এসে কাজ করে। পৌনে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।  তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভয়াবহতায় ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়। এদের মধ্যে একজন নারী ও একজন দুই বছরের ছেলে শিশু এবং দুজন হাসপাতালে রয়েছে। তারা হলেন একজন নারী ও একজন শিশু।  বস্তির মালিকানা বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, তারা যতটুকু জানতে পেরেছেন যে, এই বস্তুটির মালিকানা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির মালিক। তিনি এখানে কিছু বস্তির মত ঘর করে। এখান থেকে বের হওয়ার মত তেমন প্রশস্ত কোন রাস্তা নেই। বের হয়েই দেখা যায় রেললাইন। এখানে কোন সড়কের সাথে এটা সংযোগ নেই। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।  নিহতদের পরিচয় বিষয়ে কমিশনার বলেন, যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিচয় স্পষ্ট জানা যায়নি কারণ তারা এমনভাবে পড়েছে যে তাদের সনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে দুইজন নিখোঁজ আছে। ধারণা করা হচ্ছে, যারা নিখোঁজ আছে তারাই হয়তো এই দুজন। মরদেহ গুলোর আমরা ডিএনএ নমুনা রেখে দিচ্ছি। পরবর্তীতে পরীক্ষা রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে যে তাদের পরিচয়।  মালিক কি এই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন কিনা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যে বাড়ির মালিক তিনি এখানে বস্তি করে রেখেছেন। তাতে পানির ব্যবস্থা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা, চলাচলের ব্যবস্থা, রাস্তা প্রাধিকার বা প্রাত্যতা সবকিছু সঠিক ছিল কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাব।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী পবনের প্রার্থিতা বাতিল
লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবন গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে জেলা প্রশাসক, লক্ষ্মীপুর ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফোন করে অকথ্য, আপত্তিকর ও অশোভন বক্তব্য দেন। এ ছাড়াও রিটানিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে তিন দিনের মধ্যে বদলিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে জেলা প্রশাসক, লক্ষ্মীপুর ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন। জেলা নির্বাচন অফিসারের তদন্তে ঘটনার সত্যতা মেলে। এর ফলে ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংঘটনের প্রমাণ পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

লক্ষ্মীপুর-১ / স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে নৌকার সমর্থকের হয়রানি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান পবনের নির্বাচনী এজেন্টকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের সমর্থক দ্বারা হয়রানি অভিযোগ ওঠেছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) সংসদ নির্বাচনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পলাশ বর্ষন বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, গতকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান পবনের নির্বাচনী এজেন্ট সফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের কর্মী সমর্থকগণ উচ্ছৃঙ্খল ও উসকানিমূলক আচরণ করেন। এ সময় তারা সফিকুল ইসলামকে হয়রানি করেন। এ ঘটনায় ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান পবন তার নির্বাচনী এজেন্ট সফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন ও প্রমাণস্বরূপ কিছু ডিডিও ক্লিপ ও স্থিরচিত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। একই সঙ্গে এ ঘটনায় কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।  অভিযোগের অনুলিপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে নিয়োগপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল, জেলা সহকারী কমিশনার ও আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে নিয়োগপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমান, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবরও পাঠানো হয়।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ‘নতুন’ সোহানের
বাংলাদেশের সাকেব অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার করা লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার হাবিবুর রহমান সোহান। আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিএসএল) একাদশতম আসরের তৃতীয় রাউন্ডে উত্তরাঞ্চলের হয়ে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির মাধ্যমে এই রেকর্ড নিজের করে নেন তিনি। কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মধ্যাঞ্চলের দেওয়া ২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চার ছক্কার ঝড় তোলেন এই ওপেনার। ৭টি করে চার ও ছয়ে ৪৯ বলে এই মাইলফক স্পর্শ করেন তিনি। আর এতেই রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম লিখেন এই ডানহাতি ব্যাটার। বাংলাদেশের হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এর আগের এই রেকর্ডটি ছিল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দখলে। ফতুল্লায় ২০১৬ সালে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে শেখ জামাল ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই অধিনায়ক। ১৮টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে সোহানের এটি দ্বিতীয় শতক। সেঞ্চুরি করে সোহান থামেন ১১৭ রানে। ৬১ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে তুলেছেন ৯০ রান। যেখানে ৬টি ছক্কার সঙ্গে চারও ৯টি। বৃহস্পতিবারের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণের এই ম্যাচে সোহানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় তার দল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২০১ রানে অলআউট হয়ে যায় মধ্যাঞ্চল।  তাদের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান আসে আগের দুই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে। ৯৯ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এ ছাড়া ৮৫ বলে ৪৭ রান আসে সাইফ হাসানের ব্যাটে। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ৯ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম।  রান তাড়ায় নেমে ২৪ ওভার ৪ বলেই ম্যাচ জিতে যায় উত্তরাঞ্চল। তাদের হয়ে ১৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম ও হাবিবুর রহমান সোহান। ২৫ বলে ৩৪ রান করে তানজিদ ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন ভবনে ডিএমপি কমিশনার
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে গেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে নির্বাচন কমিশন ভবনে পৌঁছান তিনি। এরপর তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় ডিএমপি কমিশনারের কাছে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলের নির্বাচন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে কোনো হুমকি তৈরি হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা রাজনৈতিক দলের বিষয়। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল আজ সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হবে। তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবিসহ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

নারীর সঙ্গে ভিডিও ভাইরাল / বরগুনার সাবেক ডিসি ওএসডি
নারীর সঙ্গে ভিডিও ভাইরাল হওয়া বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুর রহমানকে অবশেষে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।  আজ রোববার তাকে ওএসডি করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।  সম্প্রতি বরগুনার সাবেক ডিসি হাবিবুর রহমানের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দুটি ক্লিপের একটি ৬ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে এবং অপর ক্লিপে ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। এ নিয়ে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়সহ সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়।  এর আগে বিষয়টি নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নারীর সঙ্গে বরগুনার সাবেক ডিসির আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি এবং ঘটনা সত্যি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  বিসিএস ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বরগুনার জেলা প্রশাসক পদে যোগ দেন। আড়াই বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২৩ সালের ৯ জুলাই তাকে উপসচিব পদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পদায়ন করা হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতিও পান।
২২ অক্টোবর, ২০২৩

রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক থাকার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। সোমবার ডিএমপি সদরদপ্তরে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধে পুলিশের সব সদস্যকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। কেউ গুজব সৃষ্টি করে যাতে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। সমাজে বিশৃঙ্খলাকারী যে-ই হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামী দিনেও যে কোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় থাকতে হবে প্রস্তুত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সঠিকভাবে তামিল করতে হবে। ওয়ারেন্টভুক্ত কোনো ব্যক্তি যাতে সমাজের মূল স্রোতে মিশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে না পারে।’ এ সময় যানজটপূর্ণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানের তাগিদ দেন তিনি। এ ছাড়া মামলার তদন্ত ও তদারকির ক্ষেত্রে আরও বেশি আন্তরিক হতে এবং সঠিকভাবে বাজার তদারকি করতে পুলিশ সদস্যদের আহ্বান জানান তিনি। ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) সাইফুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার, উপকমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৭ অক্টোবর, ২০২৩

সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। রোববার (১৫ অক্টোবর) মিরপুরে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পুলিশ লাইন্সে বিশেষ রোলকলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কাজ ও পবিত্র দায়িত্ব। আমরা ডিসিপ্লিন ফোর্স। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা, কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের অভিযোগ পাওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ চলছে। আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কিছুদিন আগে পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেখানে দেখেছি চিকিৎসাধীন ৮০ ভাগই ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদের আশপাশ নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সহসা ডেঙ্গু শেষ হবে না। এর থেকে বাঁচতে নিজেদের সচেতন হওয়া ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।’ তিনি বলেন, খেলাধুলা মানুষের মনকে প্রফুল্ল রাখে। মানসিকভাবে প্রফুল্ল ­থাকতে ও শারীরিকভাবে ফিট থাকতে ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি অতিরিক্ত ডিউটির চাপ থেকে ফোর্সের মনোবল চাঙ্গা রাখতে সুবিধাজনক সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ অক্টোবর, ২০২৩
X