১৪ বছর ভুয়া সনদে চাকরি করেন আব্দুল মালেক
যশোরের মনিরামপুরে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ওই সনদ নিয়ে নিয়োগ নেওয়ার পর ১৪ বছর সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন। উপজেলার খেদাপাড়া গাংগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) হিসেবে চাকরিরত ছিলেন তিনি। এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন জুলফিক্কার আলী নামে এক ব্যক্তি। পরে আব্দুল মালেকের জাল সনদের বিষয়টি তদন্ত বেরিয়ে আসে। তিনি মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগ করে অন্য একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর আব্দুল মালেক উপজেলার খেদাপাড়া গাংগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে পাশ দেখানো শিক্ষক নিবন্ধন সনদে রোল নম্বর ৩১৯১২৫৭১। যোগদানের পর থেকে দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এ নিয়ে খেদাপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী সরদারের ছেলে জুলফিক্কার আলী আদালতে একটি মামলা করেন। মনিরামপুর থানাকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তৎকালীন থানার এএসআই সৈয়দ আজাদ আলী ২০২০ সালে ৫ জুলাই আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। দাখিলকৃত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক এনটিআরসির যে সনদটি নিজের দাবি করছেন সেটি তার নয়। ৩১৯১২৫৭১ এ রোল নম্বরের সনদের প্রকৃত মালিক বগুড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে আইয়ুব আলী। অথচ আব্দুল মালেক ওই রোল নম্বর ব্যবহার করে ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ তৈরি করে চাকরি করে আসছেন। তিনি গত ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত খেদাপাড়া গাগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসা হতে সরকারি বেতন বোনাস উত্তোলন করেছেন।  চলতি মাসের ১ তারিখ তিনি ওই মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগ করেছেন। অবশ্য, শিক্ষক নিবন্ধনটি সঠিক বলে মোবাইল ফোনে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আব্দুল মালেক। খেদাপাড়া গাগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছায়াদাত হোসেন বলেন, আব্দুল মালেক চলতি মাসের ১ তারিখে পদত্যাগ করে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, সনদ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা শুনেছি। তবে, কখনো যাচাই করে দেখিনি। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আব্দুল মালেককে বোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান দেখানো হয়েছে। এ নিয়েও একটি পক্ষ অভিযোগ তুলছেন।  বোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মতিয়ার রহমান বলেন, আব্দুল মালেক নামের একজনকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চলতি মাসের ৫ তারিখে প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করছেন। মাঝেমধ্যে তিনি ক্লাসও নিচ্ছেন। বোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুদ্দুস আলমের কাছে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়েটি এড়িয়ে যান এবং সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, আব্দুল মালেকের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, কীভাবে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন সেটা প্রধান শিক্ষকই ভালো বলতে পারবেন।
১৪ মে, ২০২৪

গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছর লাগতে পারে : জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের এ অভিযানে গাজা এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের অভিযানের ফলে গাজায় থাকা অবিস্ফোরিত গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ অপসারণে ১৪ বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার এ ভবিষ্যৎবাণীতে বলেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলটিতে পড়ে রয়েছে। জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।  গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে ২৩ লাখ মানুষের সংকীর্ণ ও উপকূলীয় অঞ্চলটিকে ইসরায়েল মরুভূমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে উপত্যকার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।  পেহর লোধাম্মার বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সংখ্যা গণনা করা অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে।  তিনি বলেন, আমরা জানি, সাধারণত স্থলবাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল থেকে পায়। গাজার পরিস্থিতি অপসারণে দৈনিক ১০০ ট্রাক ব্যবহার করলেও ১৪ বছর সময় লাগতে পারে।  গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। বর্তমানে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। রমজানের আগে এই চুক্তি আলোচনায় অগ্রগতি হলেও এখন দুপক্ষের মতবিরোধের কারণে তা স্থবির হয়ে পড়ে আছে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

স্ত্রী হত্যার ১৪ বছর পর স্বামী গ্রেপ্তার
১৪ বছরের অধিক সময় পালিয়ে থেকেও রক্ষা হলো না স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নজরুল ইসলামের। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে পিরোজপুর জেলা সদরের কৃষ্ণচূড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল র‌্যাব-৮ সিপিএসসির সদস্যরা। গ্রেপ্তার মো. নজরুল ইসলাম (৫৩) পিরোজপুর জেলার সদর থানাধীন চলিশা এলাকার মৃত জাবেদ আলী খানের ছেলে। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর সদর থানাধীন ধূলিয়ারী কদমতলা গ্রামের ঝরঝরিয়া এলাকায় একটি ডোবা থেকে হাতবাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি নজরুল ইসলামের স্ত্রী নাসিমার (২০) বলে শনাক্ত করা হয়। এ ধারাবাহিকতায় নাসিমা হত্যার ঘটনার সঙ্গে স্বামী নজরুলের সম্পৃক্ততা প্রমাণ হওয়ায় আদালত তাকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পাশাপাশি ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। সে সময় নজরুল ইসলাম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৮, সিপিএসসি, বরিশাল আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে।  এদিকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব।
১৯ মার্চ, ২০২৪

স্ত্রী হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বামী ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার
পিরোজপুরের চাঞ্চল্যকর নাসিমা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রধান আসামি তার স্বামীকে ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান বরিশাল র‌্যাব-৮। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি নজরুল ইসলাম (৫৩) পিরোজপুর সদরের চলিশা গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। বরিশাল র‌্যাব-৮ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ছায়াতদন্ত করে এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় পিরোজপুর সদরের কৃষ্ণচূড়া চত্বর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস নাসিমা (২০) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর থানা পুলিশ পিরোজপুর সদর থানাধীন ধুলিয়ারি কদমতলা গ্রামের ঝরঝরিয়াতলা নামক স্থানে একটি ডোবা থেকে পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে উদ্ধারকৃত লাশটি নাসিমা নামের মহিলার বলে জানা যায়। পরে স্বামী নজরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে এ রহস্য উদঘাটিত হয়। পরে আদালতে আসামীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে। এতে আসামিকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং আরেক ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামি পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট জারি করেন।
১৯ মার্চ, ২০২৪

৫ বছরের সাজা এড়াতে ১৪ বছর পলাতক
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. সুজন (৩৮) উপজেলার গনিপুর গ্রামের আকবর শেঠ সাংয়ের ছেলে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, তাকে উপজেলার গনিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।     পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার সুজন মাদক মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামি। সে ২০০৯ সালে একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়। এরপর কিছুদিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে ১৪ বছর পলাতক ছিল। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

১৪ বছর পর নির্মিত হচ্ছে নগর ভবন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নগর ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১০ সালের ১১ মার্চ। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এরপর দুজন মেয়রও দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু নগর ভবন নির্মাণ করতে পারেননি। অবশেষে ১৪ বছর পর চসিক ভবন নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। প্রায় শেষ হয়েছে পুরোনো ভবন ভাঙার কাজ। এরপর শুরু হবে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ। এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে কার্যাদেশ। এর আগে ২০১০ সালের ১০ মার্চ ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগর ভবন নির্মাণে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। তখন পাইলিংসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজও হয়েছিল। পরে নানা জটিলতায় নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ১৫ হাজার বর্গফুট জায়গায় ২০-তলা নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১০ সালের ১১ মার্চ তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী নগর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৯ টাকা। তবে এখন প্রথম দফায় নতুন নগর ভবন নির্মাণে ব্যয় করা হবে ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ধাপে ধাপে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে ৭০ লাখ ১০ হাজার টাকায় পুরাতন ছয়তলা ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। নির্মিত হচ্ছে স্পোর্টস কমপ্লেক্স: চসিক নগরের পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে একটি আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স। এরই মধ্যে কমপ্লেক্সের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এটি হবে নগরের অন্যতম একটি স্পোর্টস জোন। চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত করিম বলেন, মনোরম ও সৌন্দর্য অবয়ব দিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। কিছু কাজও দৃশ্যমান। যথাসময়ে কাজ শেষ করে কমপ্লেক্সটি খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এলোমেলো তারের জঞ্জাল অপসারণ করবে চসিক: চট্টগ্রাম সিটির তারের জঞ্জাল অপসারণ শুরু হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রাথমিকভাবে নগরীর তিন ওয়ার্ডে পাইলট প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে। এ নিয়ে গত চসিক কার্যালয়ে ডিশ-ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনসহ প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা হয়েছে। এর আগে গত ২১ নভেম্বর একই বিষয়ে সভা হয়।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

১৪ বছর পর বিগ থ্রি ছাড়া ফাইনাল
রজার ফেদেরার, নোভাক জকোভিচ আর রাফায়েল নাদাল। এই তিনজনকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল খুঁজতে হলে ১৪ বছর পিছিয়ে যেতে হবে। ২০০৫ সালে মারাত সাফিন আর লেটন হিউইট ফাইনাল খেলেন। তারপর থেকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে ফেদেরার, নাদাল কিংবা জকোভিচের কেউ না কেউ ছিলেনই। এবার তাদের কেউ নেই। ২২ বছরের ইয়ানিক সিনার বিদায় করেছেন ৩৬ বছরের জকোভিচকে। আজ সেই সিনার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল খেলবেন রাশিয়ান তারকা দানিল মেদভেদেভের বিপক্ষে। রাশিয়ান তারকা ৪ ঘণ্টা ১৮ মিনিটের পাঁচ সেটের লড়াই শেষে আলেকজান্ডার জেরেভকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন। মেদভেদেভ জিতেছেন ৫-৭, ৩-৬, ৭-৬, ৭-৬, ৬-৩ গেমে। আর জকোভিচকে ১-৬, ২-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৩-৬ সেটে পরাজিত করেন সিনার। ফাইনালে দুজনই ভরপুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবেন। সিনার অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে আছেন কিছুটা। এখনো গ্র্যান্ডস্লাম জিততে পারেননি। এবারই প্রথম কোনো মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলবেন। অন্যদিকে, ২০২১ সালের ইউএস ওপেন জয়ী মেদভেদেভ এবার খেলবেন ছয় নম্বর গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনাল। তার লক্ষ্য দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম জয়। চতুর্থ বাছাই সিনার তার সামনে একমাত্র বাধা। ২২ বছরের ইতালিয়ান তরুণের উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। এই উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে এই টেনিস খেলোয়াড় শুক্রবার একের পর এক সেট জিতেছেন। জকোভিচকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেও বাড়তি কোনো উচ্ছ্বাস দেখাননি। হয়তো উচ্ছ্বাসটা তুলে রেখেছেন ফাইনালের জন্য। স্বয়ং জকোভিচ তার সম্পর্কে বলেছেন, ‘ফাইনালে যাওয়াটা তার ইয়ানিক সিনারের প্রাপ্যই। সে সম্পূর্ণভাবে আমাকে উড়িয়ে দিয়েছে। দেখুন, আমি যে পর্যায়ের টেনিস খেলেছি, তা নিয়ে হতাশ। প্রথম দুই সেটে আমার কিছুই ঠিক ছিল না। আমার মনে হয়, গ্র্যান্ডস্লামে এটি আমার অন্যতম বাজে ম্যাচ ছিল। অন্তত যেসব ম্যাচ আমি মনে করতে পারি, সেগুলোর মধ্যে।’ সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা যদি এমন অবস্থা করতে পারেন সিনার, তাহলে অন্যের কথা বলাবাহুল্য। তবে মেদভেদেভ অবশ্য কঠিন মানসিকতার খেলোয়াড়। একবার ঘুরে দাঁড়ালে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন, তা সেমিফাইনালে দেখিয়েছেন।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর পরিবার জানল বেঁচে নেই
মানিকগঞ্জের তৃতীয় লিঙ্গের আলমগীর হোসেন কাজলের পরিচয় হয় ঢাকার উত্তরার ইব্রাহিম ওরফে কচি বেগমের সঙ্গে। পরে আলমগীর তার সঙ্গে নাচ-গান করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। সে সময় তিনি পরিবারকে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতেন। ২০০৯ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি রাজধানীর তুরাগ থানাধীন এলাকায় হত্যার শিকার হন। পরে তার লাশ বিলে ফেলে দেওয়া হয়। লাশ উদ্ধার করে টঙ্গী থানা পুলিশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। আলমগীরের সন্ধানে তার পরিবার বছরের পর বছর ঘুরতে থাকে। এভাবে ১৪টি বছর কেটে গেলেও তার খোঁজ মেলেনি। সর্বশেষ গত বছরের ১০ অক্টোবর তার পরিবার জানতে পারে আলমগীরকে হত্যা করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর তুরাগ থানায় হত্যা মামলা করতে যায় আলমগীরের পরিবার। মামলা না নেওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর কাজী। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি তুরাগ থানাকে এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দেন। গত ২৩ নভেম্বর মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ থেকে পিবিআইর কাছে দেওয়া হয়। এরপর গত ১১ জানুয়ারি আসামি তৃতীয় লিঙ্গের সীমা বেগমকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তারের পর সীমা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান তাকে আদালতে হাজির করেন। আদালতের তুরাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নওশের আলী কালবেলাকে বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি সীমা বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ২০০৯ সালের ১৬ অক্টোবর দুপুরে আসামিরা আলমগীরকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে সীমা বেগম, কচি বেগম, দেলোয়ার ওরফে ঝুমা আক্তার, সরলা ওরফে আলামিন, সজীব, মাসুদ ওরফে জুলি, খায়রুল ইসলাম ওরফে স্বপ্না ও কালাচান ওরফে সাগরিকা উপস্থিত ছিল। এরপর কচি বেগমের নির্দেশে আসামি ঝুমা আক্তার আলমগীরকে চেতনানাশক খাওয়ানোর পর তার হাত-পা বাঁধা হয়। তখন কচি বেগম চাকু দিয়ে তার গলা কাটে ও অন্য আসামিরা তাকে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে বস্তাভর্তি করে লাশ বিলে ফেলে দেওয়া হয়। নিহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর কাজী কালবেলাকে বলেন, আমার ভাইকে হত্যার জন্য সীমাকে বাড়ি দিতে চেয়েছিল কচি বেগম। বাড়ি না দেওয়ায় ক্ষোভে সীমা আমাকে ডেকে হত্যার ঘটনা খুলে বলে। এভাবে ভাই হারানোর কষ্ট কাউকে বোঝাতে পারব না। এখন আইনের মাধ্যমে তাদের দ্রুত সুষ্ঠু বিচার চাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে রাজি হননি।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

বিয়ের ১৪ বছর পর ঘর ভাঙল অভিনেত্রী ঈশার
ঘর ভেঙেছে বলিউড অভিনেত্রী ঈশা কোপিকরের। বিয়ের ১৪ বছর পর টিমি নারাংয়ের সঙ্গে ডিভোর্স হলো তার। ৯ বছর বয়সী মেয়ে রিয়ানাকে নিয়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে গেছেন অভিনেত্রী। গত মাসেই তাদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। বিচ্ছেদের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি ঈশা ও টিমি। বিভিন্ন মতপার্থক্য থেকেই তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। দাম্পত্য টিকিয়ে রাখতে অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন তারা। ঈশা বলেন, ‘কিছু বলার নেই, আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা দরকার। আশা করব বিষয়টা সবই মনে রাখবেন।’ অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেননি টিমি। একটি জিমে প্রথম দেখা হয়েছিল ঈশা ও টিমির। এরপর বন্ধুত্ব। তিন বছর প্রেমের পর ২০০৯ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। মডেলিং দিয়ে বিনোদন অঙ্গনে আসেন ঈশা। ১৯৯৭ সালে তেলেগু ‘ডাব্লিউ বাই ভি. ভারা প্রসাদ’ দিয়ে সিনেমার মাধ্যম বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর দেখা যায় হিন্দি ‘এক থা দিল, এক থি ধড়কন’ সিনেমায়। ক্যারিয়ারে হিন্দি, তেলেগু, কন্নড়, মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ঈশা। আইটেম গানে পারফর্ম করেও সুখ্যাতি লাভ করেছেন এই অভিনেত্রী।  বর্তমানে তার কাজের সংখ্যা কমে গেলেও অনিয়মিতভাবে হিন্দি ও দক্ষিণি সিনেমা করছেন। তার শেষ সিনেমা তেলেগু ‘আয়ালান’। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী বছর।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

১৪ বছর পর হত্যা মামলায় ৬ জনের সাজা
পাবনা ঈশ্বরদীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১৪ বছর আগের হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন পাবনার বিশেষ জজ আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আটজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের (জেলা জজ) বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার বাবুলচারা গ্রামের জিয়া শাহ ও মজিবর শাহ, শাহজাহান শাহ, আতু শাহ, সেন্টু শাহ ও ইয়ারুল শাহ। আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এজাহারে সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কৃষিজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ক্ষেতের মধ্যেই বাবুলচারা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান শাহের ছেলে সিকেন্দার শাহকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জিন্নাত শাহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি ১৪ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ‌। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন কাজী সাইদুর রহমান। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও আসামিরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করেন উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
২০ নভেম্বর, ২০২৩
X