ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

ঢাবির হলের ভবন থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি : কালবেলা
ঢাবির হলের ভবন থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি : কালবেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসীমউদদীন হলের দক্ষিণ ভবনের একাংশ দখল করে বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন হলটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া সাত দিনের মধ্যে তাদের এ দাবি না মানলে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে হলটির দুই ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন।

এসময় ‘কর্মচারীদের স্থানান্তর করো, করতে হবে’, ‘আমার হলের সিট কোথায়, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘কর্মচারীদের স্থানান্তর করো, আমাদের বাঁচাও’- ইত্যাদি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। এরপর হলটির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে হল ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আরিফ পাটোয়ারী কালবেলাকে বলেন, একই আবাসিক হলের ছাদের নিচে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্টাফদের থাকার নজির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর অন্যকোনো হলে নেই। এ নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে। পূর্বে অনেক ছাত্রনেতা, প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অনেকে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কার্যত এই সমস্যার সমাধান হয় নাই। আমরা চাই, আমাদের বর্তমান প্রভোস্ট স্যারের হাত ধরে এই সমস্যার সমাধান হবে।

মাসুদ হোসেন নামে হলটির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা জায়গার অভাবে আটজনের রুমে ১২ জন করে থাকি। এটা কোনো শিক্ষার পরিবেশ হলো? প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ শিক্ষার্থীর আবাসস্থল তারা দখল করে আছে। তাদের স্থানান্তর করতে পারলে একটু হলেও শিক্ষার্থীরা শান্তিতে থাকবে।

জসীমউদদীন হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, যাদের আমাদের সেবা করার জন্য অথচ তারাই হলের সেবা নিয়ে আমাদের সঙ্গে থাকেন। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। এমনিতেই আমাদের হলে প্রচণ্ড আবাসিক সংকট, তারপরও যদি ভবনের অর্ধেক কর্মচারীদের দখলে থাকে তাহলে আমাদের থাকার জায়গা কে নিশ্চিত করবে?

এ বিষয়ে ঢাবির জসীমউদদীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহীন খান কালবেলাকে বলেন, হল প্রশাসন ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। হলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই অংশটা তারা ব্যবহার করে আসছে। আমি হলের দায়িত্ব নিয়েছি এক বছর হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পরই আমি শিক্ষার্থীদের এই সমস্যার কথাটা শুনেছি এবং আমাদের হলের দায়িত্বরত হাউস টিউটরদের নিয়ে পরিদর্শন করে দেখেছি, এই অংশটা কোনো স্ট্রাকচারে আছে বা শিক্ষার্থীদের জন্য কীভাবে ব্যবহার উপযোগী করা যায়। শিক্ষার্থীরা যে দাবি জানিয়েছে সেটা শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয়, বরং হল প্রশাসনের এবং আমাদের সবার দাবি। কারণ, আমার হলই তো শিক্ষার্থীদের জন্যই। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে যত দ্রুত সম্ভব আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাইকিং করে ঘুষের টাকা ফেরত

রিকশা চালিয়ে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত

শত কোটির সড়কের মাঝেই কেন দাঁড়িয়ে আছে গাছ!

সুখবর পাচ্ছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণরা

‘হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে থুতু ছিটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা’

ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১২

গাজায় যুদ্ধবিরতি ঠেকাতে মরিয়া ইসরায়েলের এই মন্ত্রী

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কল্যাণভিত্তিক বিনিয়োগ পদ্ধতিসমূহ

এশিয়া কাপ ইন্টারন্যাশনাল ল’ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা, গ্রেপ্তার ৩

১০

সিদ্ধান্ত বদলেছেন মুরাদনগরের সেই নারী, চালাবেন মামলা

১১

আগুন নেভাতে গিয়ে গুলিতে ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মী নিহত

১২

দুদিন পর কাজে ফিরেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা

১৩

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ 

১৪

নিলামের মঞ্চে শেবাগ-পুত্র ও কোহলির ভাতিজা

১৫

১৪৪ ধারা ভেঙে যমুনা যাওয়ার চেষ্টা, পুলিশের বাধা

১৬

মহাসমাবেশের ঘোষণা খতমে নবুওয়াতের

১৭

পেছাতে পারে ভারতের বাংলাদেশ সফর

১৮

‘ভিআইপি গেটের স্ক্যানারে অস্ত্রের ম্যাগাজিন ধরা পড়ল না কেন’

১৯

‘মরি নাই রে ভাই!’ মাহি নিজেই দিলেন জীবিত থাকার খবর

২০
X