কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশে ডিজেল পাইপলাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা স্থগিত করল ভারত

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন চালু হয় ২০২৩ সালের মার্চে। ছবি : সংগৃহীত
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন চালু হয় ২০২৩ সালের মার্চে। ছবি : সংগৃহীত

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা স্থগিত করেছে ভারত। বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। পাইপলাইনটি দিয়ে ২০২৩ সালের মার্চে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানি শুরু হয়।

এই পাইপলাইন বাংলাদেশের আরও গভীরে সম্প্রসারণের কথা ছিল। তবে সে পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে বলে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের (আইবিএফপি) মাধ্যমে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ডিজেল বহনে ভারতের পরিকল্পনা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে অনেকটা স্থবির হয়ে গেছে।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনজন ব্যক্তি বলেছেন, ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন বাংলাদেশের পার্বতীপুরের বাইরেও প্রসারিত করার প্রস্তাব ছিল। তবে ভারত সরকার এখন এ পাইপলাইন সম্প্রসারণের বিষয়টিতে বিরতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে এ পাইপলাইনটি পার্বতীপুরেই শেষ হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বছরের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের একটি তেল ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইনটি উদ্বোধন করেছিলেন।

আইবিএফপি পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বছরে ১০ লাখ টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) বাংলাদেশে পরিবহন করার ক্ষমতা রয়েছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় সাতটি জেলায় এ পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল সরবরাহ হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিলিগুড়ি মার্কেটিং রেল টার্মিনালে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

পাইপলাইনটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্মিত প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি পাইপলাইন। ২০২০ সালে এ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছিল এবং এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৫২০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ভারত সরকার দিয়েছিল ৩৩৭ কোটি টাকা।

তবে এ পাইপলাইন চুক্তি নিয়ে ছিল নানা বিতর্ক। যে চুক্তির আওতায় এই পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছিল এবং ডিজেল আমদানি করা হচ্ছিল তাতে কি আছে তা বিস্তারিত প্রকাশ না করায় এ চুক্তির স্বচ্ছতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, বাংলাদেশ জ্বালানির ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় ভারতনির্ভর হয়ে পড়ছে কিনা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কারচুপি হলে বাংলাদেশ অচল করে দেবে ছাত্রদল: রাকিব

সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি-জিএসে এগিয়ে শিবির

সোহরাওয়ার্দী হলে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

আরেক হলের ফল ঘোষণা, তিন পদেই এগিয়ে ছাত্রদল

হাসপাতালে খালেদা জিয়া

ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন গ্রেটা থুনবার্গ

চবিতে মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির

চাকসুর ফল কারচুপির চেষ্টার অভিযোগে শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান

৩১ দফা বাস্তবায়নে / বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সোহাগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

চবিতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

১০

সেনা হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে ভলকার তুর্কের আহ্বান

১১

বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাল জামায়াত

১২

চাকসু নির্বাচনে আরেক হলের ফল ঘোষণা, ভিপি পদে এগিয়ে ছাত্রদল

১৩

গোমতীর চরে আগাম সবজির চাষ, অধিক লাভের আশা কৃষকের

১৪

নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে কেশবপুরের তপস্যা

১৫

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

১৬

ইন্দোনেশিয়ায় তেলবাহী ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১০

১৭

রাত থেকে লাইনে নারী-পুরুষ, সকালে মেলে আটা

১৮

ওসিকে অপসারণে শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

১৯

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

২০
X