ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা জানিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন বিক্ষুব্ধ ইউপি সদস্যরা। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার বিকেলে ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর উপস্থিতিতে ইউপি সদস্যরা গোপনে ভোট দেন। কিন্তু ঘোষিত ফলে চমক দেখিয়ে পার পেয়ে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ১৪ নম্বর ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে। ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন রিপন জানান, তাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, এখন তার অবসান হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, যে ৯ সদস্য চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজন চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট দেওয়ার কারণে তিনি স্বপদে বহাল। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই আলোচনার শিরোনাম হচ্ছে ইউনিয়নের সর্বত্র। ইউপি সচিব মো. আমির হোসেন জানান, ভোটাভুটিতে অনাস্থার পক্ষে সাতজন ও অনাস্থার বিপক্ষে পাঁচজন সদস্য ভোট দেন। ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা নীতিমালা অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার জন্য ৯টি ভোটের প্রয়োজন। চেয়ারম্যানের বিপক্ষে পর্যাপ্ত ভোট না হওয়ায় তিনি স্বপদে বহাল থাকবেন। ভারপ্রাপ্ত ইউএনও আজিজুন্নাহার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে বুধবার বিকেলে আমরা চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে বসেছি। প্রথমে সমঝোতা এবং পরে ভোটের মাধ্যমে অনাস্থার বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।
মন্তব্য করুন