রাফসান জানি
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ভয়ানক ১৪০৫ অস্ত্র দুর্বৃত্তদের হাতে

লুট হওয়া অস্ত্রের ৭৬ শতাংশ উদ্ধার
ছবি : গ্রাফিক্স কালবেলা
ছবি : গ্রাফিক্স কালবেলা

সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া ১ হাজার ৪০৫টি ভয়ানক অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এর মধ্যে গণভবন থেকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) লুট হওয়া ৩২টি ভয়ানক অস্ত্রও রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি হিসাবে লুট হওয়া ২৪ শতাংশ অস্ত্রের হদিস এখনো পাওয়া যায়নি, যার পরিমাণ ১ হাজার ৩৭৩টি। পাশাপাশি প্রায় আড়াই লাখ গোলাবারুদ ও সব মিলিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে রয়ে গেছে ভয়ানক অনেক অস্ত্র। গত বছরের জুলাই-আগস্টে

ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে রাজধানী ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রাস্তায় নেমে যাদের গুলি করতে দেখা গেছে, তাদের বেশিরভাগই এখনো অধরা। হাতেগোনা যে কজন ধরা পড়েছে, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি আন্দোলনকারীদের গুলি ছুড়তে ব্যবহার করা সেই অস্ত্রগুলো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীলরা বলছেন, এসব অস্ত্রধারীর বড় একটা অংশ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, বাকিরা গা-ঢাকা দিয়ে আছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব অস্ত্রধারী ক্যাডার এখনো

অনলাইন-অফলাইনে হুমকি দিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এদের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় আছেন অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ব্যক্তি, আহতরা ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় আন্দোলনকারীদের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে গুলি করার প্রথম ঘটনা ঘটে গত বছরের ১৫ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হল এলাকায়। ওইদিন আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে

ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই সময় পিস্তল হাতে এক যুবককে আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি করতে দেখা যায়। তার একাধিক ছবি ধরা পড়ে ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরায়। পরে জানা যায়, তার নাম হাসান মোল্লা। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, গৃহায়ন ও গণপূর্তের ঠিকাদার। হাসানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। হাসানের চাচা মোল্লা আবু কাওসার ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি। ক্যাসিনোকাণ্ডে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সরকার পতনের পর একাধিক মামলায় আসামি করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন হাসান মোল্লা।

আন্দোলনের সময় ঢাবি ক্যাম্পাস ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায় নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও জিগাতলা এলাকায়। তাদের চিহ্নিত করে কাউকে গ্রেপ্তার বা সেই অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

গত বছরের ২ আগস্ট জুমার নামাজের পর রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর উত্তরা। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি অন্তত তিনজনকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাতে দেখা যায়। তাদের মাথায় ছিল হেলমেট, হাতে পিস্তল। জানা যায়, তাদের একজনের নাম হাফিজ উর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-মানবাধিকার সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক এ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারেরও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আন্দোলনে রাজধানীর যেসব এলাকায় হতাহতের সংখ্যা বেশি, তার অন্যতম মোহাম্মদপুর। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাতিজা এবং কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব, জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান বিপ্লবসহ অন্তত এক ডজন ব্যক্তিকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখার তথ্য মিলেছে। খোঁজ নিয়ে গেছে, সরকার পতনের পর তারা প্রত্যেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর বেনাপোল দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুল হাসান রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তার ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মেলেনি।

গত ৪ আগস্ট পাবনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দুই শিক্ষার্থী। একটি ভিডিওতে অস্ত্র হাতে দেখা যাওয়া নাসির নামে একজনকে র্যাব গত ২ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে। তবে তার কাছ থেকেও কোনো অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য মেলেনি।

আন্দোলন চলাকালে সিলেট শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি অস্ত্রসহ মহড়া দিতে ও নির্বিচারে গুলি চালাতে দেখা যায় অনেককে। গত বছরের নভেম্বরে এ অস্ত্রধারীদের একজন আনসার আহমদ রুহেল ওরফে শুটার আনসার ও তার সহযোগী আমিনুল ইসলাম নাঈমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তবে গ্রেপ্তার হলেও তার হাতে দেখা যাওয়া অস্ত্রটি উদ্ধার হয়নি।

প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা অন্তত দুই ডজন ব্যক্তির ছবি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হলেও তারা প্রায় সবাই ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং তাদের অস্ত্রগুলোও উদ্ধার হয়নি।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, সিলেটের বিভিন্ন থানায় এসব অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু তাদের বড় অংশ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। আর যারা দেশে আছে, তারাও কৌশলে

গা-ঢাকা দিয়ে আছে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

ঢাকা ও সিলেটের বাইরে অস্ত্রের বড় মহড়া হয় চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায়। সেখানে গুলি চালিয়েছে এমন অন্তত ৩০ জনের পরিচয় বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র পাঁচজন। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হয়নি।

ছাত্র-জনতার গুলি চালানোর অভিযোগে এ পর্যন্ত পাঁচজন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা ফুটেজ দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। এর মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তাদের ব্যবহৃত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারিনি।’

অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য এবং গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি—আন্দোলনে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে এনেছিল। অভ্যুত্থানের পর সেগুলো আবার পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা পার্বত্য এলাকার যারা অস্ত্র দিত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান আছে।’

চিহ্নিত অস্ত্রধারী ক্যাডারদের গ্রেপ্তার করতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘অনেকে ল্যান্ড বর্ডার দিয়ে পালিয়েছে। যারা দেশে আত্মগোপনে আছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

এদিকে, আন্দোলনে গুলি চালানো অস্ত্রধারীদের অনেকে এখনো হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। গত বছরের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন এমইএস ওমরগণি কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ শান্ত। তার বাবা জাকির হোসেন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমার ছেলে দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে। অথচ সেই স্বাধীন দেশে আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমরা এখন চোরের মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ফিরে এসে নাকি আমাদের ‘দেশদ্রোহী’ বানিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখবে। লাশ দাফন করতেও দেবে না। এমন হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের ৭৬ শতাংশ উদ্ধার: গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে-পরে দেশের অনেক থানা ও পুলিশের স্থাপনায় হামলা হয়। লুট করা হয় পুলিশের অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সে সময়ে পুলিশের কাছ থেকে লুট হয়েছিল ৫ হাজার ৭৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র। আর গোলাবারুদ লুট হয়েছিল ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২ রাউন্ড। লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি, পিস্তল, শটগান, গ্যাসগান, কাঁদানে গ্যাস লঞ্চার, কাঁদানে গ্যাসের শেল, কাঁদানে গ্যাসের স্প্রে, সাউন্ড গ্রেনেড ও বিভিন্ন ধরনের গুলি। লুট হওয়া এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় যৌথ অভিযান। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে ৪ হাজার ৩৯০টি উদ্ধার হয়েছে, যা লুট হওয়া অস্ত্রের ৭৬ শতাংশ। আর গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ রাউন্ড, যা লুট হওয়া গোলাবারুদের ৬০ শতাংশ।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। পুলিশের লুট হওয়া বেশিরভাগ অস্ত্র, গোলাবারুদ এরই মধ্যে উদ্ধার হয়েছে। নিয়মিত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গানের টিজারেই আগুন ধরালেন হৃতিক আর জুনিয়র এনটিআর

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াসে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সাফল্য 

মিরপুরে পিচ পরিদর্শনে হেমিং, চোখে পড়ল ‘পুঁই বাগান’

ত্বকের যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে

তারেক রহমানের নির্দেশে বৃদ্ধ দম্পতিকে সহায়তা

আরপিও চূড়ান্তে ইসির মুলতবি সভা শুরু

আপন বোন ও তার প্রেমিককে খুন করল ভাই

শোয়েবুর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

ওমানে প্রবাসীদের জন্য রেসিডেন্স কার্ড চালু

নির্বাচনে ৮০ হাজারের বেশি সেনাসদস্য দায়িত্বে থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১০

আবারও বড়সড় বিপদের মুখে এয়ার ইন্ডিয়া

১১

বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ গ্রন্থের ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উপলক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সেমিনার

১২

সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম ফের ৩ দিনের রিমান্ডে

১৩

সাইফ-কারিনার দুই ছেলের রক্তে মিশে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪

এনইউবি–আল-আজহার যৌথ কর্মশালা: আধুনিকতা–পরাধুনিকতার কাব্যতাত্ত্বিক মানচিত্র

১৫

সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় মালয়েশিয়ায় প্রতিবাদ সভা

১৬

প্লট দুর্নীতি  / শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য আজ

১৭

ইয়ামালের জোড়া গোলে বার্সার গাম্পার ট্রফি জয়

১৮

হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন শমী কায়সার

১৯

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২০
X