বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাটকা ইলিশে সয়লাব বাজার, তদারকি নেই প্রশাসনের

মাছ বাজারে জাটকা ইলিশ। ছবি : কালবেলা
মাছ বাজারে জাটকা ইলিশ। ছবি : কালবেলা

বরিশালের বাকেরগঞ্জে মাছের বাজারগুলো এখন জাটকা ইলিশে সয়লাব। প্রশাসনের অবহেলায় মাছের বাজারে মিলছে এসব জাটকা ইলিশ।

১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের কম আকারের ইলিশকে ‘জাটকা’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আকারের ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে জেল-জরিমানার তোয়াক্কা করছেন না উপজেলার জেলে ও বিক্রেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি মাছবাজারেই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ছয় থেকে সাত ইঞ্চি আকারের জাটকা ইলিশ। উপজেলার এমএ বাড়ি বাজারে নিলামের মাধ্যমে জাটকা বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জাটকা বিক্রি বন্ধে বাজারগুলোতে মৎস্য অফিস ও প্রশাসনের তদারকি নেই। তাই জেলেরা শিকার করে প্রকাশেই এসব জাটকা হাটবাজারে এনে বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জাটকা বিক্রি হচ্ছে উপজেলার নাকের ডগায় এমএ বাড়ি মাছবাজারে। নদী থেকে মাছ এনে ডালায় ঢেলে ডাক তোলেন আড়তদাররা। ডাকের মাধ্যমে মাছ কিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে বসে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এ ছাড়া উপজেলার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পৌর বাজারে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বাজারে জাটকা মাছ বিক্রি করতেও দেখা গেছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। তবে এ সময় জাটকা বিক্রি বন্ধে প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় জেলে নির্মল দাস বলেন, জেলেরা কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা মাছ ধরেন। তারা সেই মাছ বাজারে বিক্রি করেন।

বাকেরগঞ্জ পৌর বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্বাস সরদার বলেন, অন্য মাছ ব্যবসায়ীরাও জাটকা বিক্রি করেছেন। প্রশাসন যদি জাটকা শিকার বন্ধ করে দিতে পারে, তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।

জাহিদ মোল্লা নামে একজন জানান, উপজেলার তুলাতলি, কারখানা, পান্ডব, রাঙামাটি, বিষখালি নদীতে জাটকা শিকার করে স্থানীয় আড়ত ও হাট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি বছর প্রশাসন কিছু কিছু অভিযান চালালেও এবার এখনো কোনো অভিযান চোখে পড়েনি। দ্রুত জাটকা নিধন বন্ধের দাবি জানান তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। যখন তখন অভিযান করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি খোঁজ নিয়েছি, নিয়মিত নদীতে জাটকা নিধন ও বাজারে সেগুলো বিক্রি হচ্ছে। দ্রুতই আমরা হাটবাজারে অভিযান পরিচালনা করব।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ কালবেলাকে বলেন, বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি হচ্ছে বিষয়টি জেনেছি। খুব দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে এবং তা বহাল থাকবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই আট মাস জাটকা আহরণ, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে বড় আকারের ইলিশ ধরতে কোনো বাধা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জ্বালাও-পোড়াওয়ের রানি পালিয়ে বিদেশে আছেন : ডা. জাহিদ

একের পর এক বিকট বিস্ফোরণে কাঁপছে ইউক্রেনের রাজধানী

সপ্তাহের সেরা চাকরির বিজ্ঞপ্তি, পদ সংখ্যা ১১ হাজারেরও বেশি

খুলনার নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ

এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধিদল

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক এরশাদ কারাগারে    

বিশ্বকাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিল আর্জেন্টিনা

মসজিদের পাশে কবর দিলে কি কবরের আজাব কম হয়?

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ

ফিলিস্তিনে মসজিদে আগুন, দেয়ালে ঘৃণাসূচক বার্তা লিখে গেল দখলদাররা

১০

সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী পাঠাতে যৌথ উদ্যোগ জোরদার

১১

খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

১২

মাটিচাপা নবজাতক উদ্ধার / অভাব-অনটনের নির্মম সিদ্ধান্তে শিউরে উঠল পুরো এলাকা

১৩

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে যেমন হতে পারে আর্জেন্টিনার একাদশ

১৪

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ২৫ নভেম্বর

১৫

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

১৬

জাটকা ইলিশে সয়লাব বাজার, তদারকি নেই প্রশাসনের

১৭

এক রাতেই চট্টগ্রামে ৩ খুন 

১৮

আ.লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

১৯

শুক্রবার কমলো স্বর্ণের দাম

২০
X