

মুন্সীগঞ্জের পিটিআই ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (৯) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
অভিযোগের পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষককে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয় ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ক্ষোভ গিয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেনডেন্টের ওপর। তার কার্যালয় ঘিরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীকে বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাড়ি ফিরে শিশুটি মাকে সব জানায়। সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার স্কুল খুললে অভিভাবক ও স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের ফাঁসি ও সুপারের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।
ঘটনা সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো. ফিরোজ কবির বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সাইফুল আলম বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন