স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো আগামী সপ্তাহের মধ্যে এমপিওভুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। তিনি জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করা হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে এডুকেশন রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি কথা বলেন।
অবসর-উত্তর ছুটিতে যাওয়ার দুই দিন আগে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, বেসরকারি মাদ্রাসার জন্য জনবলকাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা আমরা উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে পাঠিয়েছি। এটা অর্থ মন্ত্রণালয়ে চলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে এলে আমরা নতুন করে যেসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দিতে চাই, বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান ২০০৬ সালের আগে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিন্তু আগের সরকার বৈষম্যমূলকভাবে এমপিও দেয়নি। সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা এমপিওভুক্ত করব। আশা করছি এটা চলতি অর্থবছর থেকে শুরু হবে।
এ সময় ২০২২ সালের পরে নতুন করে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি বলে জানান সচিব।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার বিষয়ে কবিরুল ইসলাম বলেন, আমি আসার পর থেকে তাদের এমপিওর জন্য একটা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমি পারলাম না, মনে হয় সাইন করতে। এমপিওর সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার কাছে আছে। উনি মালয়েশিয়ায় না গেলে হয়তো এ কয়েক দিনে হয়ে যেত। কালকে যদি হয় ভালো। না হলে সামনের সপ্তাহে হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ভবনের একটা প্রকল্প দাঁড় করিয়েছিলাম। সেটা সবুজ পাতায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে আছে। অর্থাৎ পরিকল্পনা কমিশন একমত হয়েছে যে এ প্রকল্প কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়।
আর একটি প্রকল্প সবুজ পাতায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে আছে জানিয়ে সচিব বলেন, আমরা ২০০০ মাদ্রাসায় ভবন করব। ২০০৬ সালের পরে অথবা এ পর্যন্ত কোনো ভবন পায়নি। এমন ৬ হাজার ৩৮৯টি মাদ্রাসা আছে। একেবারেই পায়নি, এমন আছে ৩ হাজার ২২টি। আর ২০০৬ সালের আগে পেয়েছে কিন্তু গত সরকারের আমলে কিছু পায়নি এমন মাদ্রাসার সংখ্যা ৩ হাজার ৩৫৯টি।
এ সময় ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমানসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন