জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, আমাদের সকলে মিলেই সফল হতে হবে। সফলতার মাপকাঠি হচ্ছে, আমরা একটা কাঠামোগত সংস্কারের ব্যাপারে একমত হতে পারছি কি না? সময়ের স্বল্পতার কারণে আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল সোয়া ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৪তম দিনের আলোচনা শুরুর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি সময় স্বল্পতার কথা রাজনৈতিক দলগুলোকে স্মরণ করে দিয়ে বলেন, সময়ের স্বল্পতার কারণে কিছু বিষয়ে আমাদের যতটুকু অগ্রগতি প্রয়োজন আমরা ততটুকু অগ্রসর হতে পারছি না। এই সপ্তাহের পরে সময় স্বল্পতা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে যে, বাস্তবতায় বিবেচনায় আমাদের কিছু কিছু বিষয় খুব দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই আশা করছি, সেগুলো আপনারা বিবেচনায় রাখবেন।
রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় সনদ তৈরির জায়গায় যেতে হবে। যতদূর সম্ভব সকলে মিলে যেতে হবে। সে জন্য আমাদের প্রত্যেকরই গত আলোচনাগুলোর মতোই কিছু অবস্থানগত পরিবর্তন অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতা বিবেচনা করুন। যাতে করে, আমরা জুলাই মাসের মধ্যেই একটা জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারি। মৌলিক বিষয়গুলো যেন সকলের বা অধিকাংশের মতের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা এক জায়গায় আসতে পারি।
ঐকমত্য কমিশনের ব্যাপারে তিনি বলেন, কমিশন কোন আলাদা এনটিটি নয়। এটি সকলের অংশীদার। ফলে আমরা যদি কোথাও কোথাও ব্যর্থ হই, সে ব্যর্থতা আমাদের সকলের। সেটি আমাদের বিবেচনা করতে হবে। সুতরাং, ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবে আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, আমরা তার অংশীদার মাত্র। কমিশন আপনাদের প্রচেষ্টার অংশীদার হয়েছে। এটি আলাদা করে একটি সত্তা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, এটি নয়। নিয়োগের পর থেকেই আমরা চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারি, সেটাই আমাদের চেষ্টা।
১৪তম দিনের আলোচনা সোয়া ১১টার দিকে শুরু হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, লেবার পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতারা উপস্থিত আছেন। আজকের আলোচ্য বিষয় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট; সংবিধান সংশোধন; সাংসদ নারী প্রতিনিধিত্ব।
মন্তব্য করুন