গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ রাজধানীতে উদ্যাপিত হচ্ছে ‘৩৬ জুলাই’। এদিন রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে নানা আয়োজন ও জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণের জন্য দেশের ৮টি অঞ্চল থেকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪০ মিনিট মধ্যে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় ৬টি ট্রেন।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে বলেন, মোট ৮টি বিশেষ ট্রেনের মধ্যে ৬টি স্টেশনে পৌঁছেছে। যাত্রীরাও স্টেশন ত্যাগ করেছে। এখনো দুটি ট্রেন স্টেশনে পৌঁছায়নি, কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছাবে।
তিনি আরও জানান, ভাঙ্গা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম থেকে আসা ট্রেনগুলো পৌঁছেছে। নরসিংদী এবং জয়দেবপুর থেকে আসা ট্রেন এখনো পৌঁছায়নি।
জানা গেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র ঘিরে বরাদ্দ ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। আবার কর্মসূচি শেষে এসব ট্রেনে করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। ৮ জোড়া ট্রেনের জন্য প্রায় ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রেনগুলোর ভাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পরিশোধ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর তাদের চিঠিতে কোন কোন জায়গায় ট্রেন দিতে হবে, কখন ট্রেন ঢাকায় পৌঁছাতে হবে এবং কখন গন্তব্যে ফিরে যাবে, তা উল্লেখ করেছে। সে অনুযায়ী সূচিপত্র তৈরি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। জুলাই অধিদপ্তর তাদের চিঠিতে বলেছে, ট্রেনগুলো বেলা ২টা থেকে ৩টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে হবে। কর্মসূচি শেষে রাত ৮-৯টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশেষ ট্রেনগুলো পরিচালনার জন্য তারা একটি সূচি তৈরি করেছেন। এর মধ্যে রংপুর থেকে আসা ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে কর্মসূচির আগের দিন, ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টায়। এর বাইরে দূরের গন্তব্য চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী থেকে ৫ আগস্ট ভোরে ট্রেনগুলো ছেড়ে আসবে। ঢাকার আশপাশের জেলা গাজীপুর, নরসিংদী ও ফরিদপুর থেকে ট্রেনগুলো ছাড়বে দুপুরের আগে আগে। অনুষ্ঠান শেষে দূরের গন্তব্যের ট্রেনগুলো আগে ফিরতি যাত্রা শুরু করে। পর্যায়ক্রমে কাছের গন্তব্যের ট্রেনগুলো ছাড়বে।
মন্তব্য করুন