কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীলতার অর্থনীতি গড়তে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস । ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস । ছবি: সংগৃহীত

সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীলতার অর্থনীতি গড়তে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আরও কার্যকর অর্থায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চলুন আমরা এমন একটি মর্যাদা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার অর্থনীতি গড়ে তুলি, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রথম দ্বিবার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে পাঁচটি অগ্রাধিকার তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এগুলো কার্যকর করলে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, বৈষম্য ও আর্থিক অস্থিরতার সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে। আমাদের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর শোনার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। দারিদ্র্য একজনের স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়া আমার জন্য গর্বের বিষয়। এখানে সম্ভাবনা ও দায়িত্ব একসাথে রয়েছে। আমাদের চতুর্থ আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সম্মেলনে নেয়া অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য বছরে চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ ঘাটতি পূরণ করা চ্যালেঞ্জিং হলেও অপরিহার্য।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সম্পদের ন্যায্য প্রবেশাধিকার হলো ন্যায়বিচারের মূল। একজন নারী যখন ব্যবসা শুরু করে, যুবসমাজ যখন সৌর শক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি পায়, বস্তিবাসী শিশু যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় এবং পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা পায়— তখন পরিবর্তন বাস্তব ও টেকসই হয়।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্থায়নকে শক্তিশালী করতে তিনি তিনি পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন। এগুলো হলো:

১. ন্যায্যভাবে দেশীয় সম্পদ উত্তোলন- আন্তর্জাতিক সহায়তার সমর্থন থাকা প্রয়োজন। কর ব্যবস্থা প্রগতিশীল, স্বচ্ছ ও বহুজাতিক করপোরেশনগুলোর ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কর সহযোগিতা কাঠামোর আলোচনায় এই বৈষম্য দূর করতে হবে।

২. নবীন অর্থায়ন ও সামাজিক ব্যবসা যৌক্তিক অর্থায়ন এবং এমন উদ্যোগ যারা লাভ পুনরায় সমস্যার সমাধানে বিনিয়োগ করে, চাকরি, অন্তর্ভুক্তি ও মর্যাদা নিশ্চিত করে।

৩. বিশ্ব আর্থিক কাঠামো ও ঋণ শাসন সংস্কার— উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও শক্তিশালী কণ্ঠস্বর নিশ্চিত করতে হবে। ঋণকে কঠোরতা নয়, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের হাতিয়ারে রূপান্তর করতে হবে।

৪. স্বচ্ছতা, অবৈধ অর্থায়ন প্রতিরোধ ও নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা— জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, জানতে হবে কীভাবে সম্পদ ব্যবহার হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. সবচেয়ে দুর্বলদের জন্য বিনিয়োগের ত্বরান্বিতকরণ— স্থিতিশীল বাসস্থান, জলবায়ু-বান্ধব কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফায়ারফাইটার নূরুল হুদার জানাজা সহকর্মীদের শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ বাড়ছেই

সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীলতার অর্থনীতি গড়তে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

তামিম-ফারুককে নিয়ে রহস্যে ঘেরা অভিযোগপত্রে তোলপাড় বিসিবি নির্বাচন

পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে লিটন খেলবেন কি?

কালবেলার নামে ভুয়া ফটোকার্ড 

ভারতের বিপক্ষে হারের পর যা বললেন জাকের

পরিত্যক্ত বাথরুমে মিলল চার বালতি ককটেল

দুদকে ৯১ কনস্টেবল পদের বিপরীতে আবেদন দেড় লাখ

ইসরায়েলে সরাসরি ড্রোন হামলা, ডজনের বেশি আহত

১০

৪৮ ঘণ্টা আটকে থাকার পর যেভাবে উদ্ধার হলো বিড়াল

১১

ব্যর্থ সাইফের লড়াই, ভারতের দাপটে বাংলাদেশের বড় হার

১২

ভারতের বিরুদ্ধে খেলছে ১৮ কোটি মানুষ: ভিপি সাদিক

১৩

ইইউভুক্ত দেশে প্রবেশে নতুন পদ্ধতি অক্টোবর থেকে

১৪

ডিএমপির ঊর্ধ্বতন ৭ কর্মকর্তার রদবদল

১৫

৮৭ রানে নেই ৫ উইকেট, দুবাইয়ে হারের পথে বাংলাদেশ

১৬

এক লাখ মানুষের ছানির চিকিৎসা দেবে পিকেএসএফ-অরবিস

১৭

লেক পুনঃখনন ও সবুজায়নের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান

১৮

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তৈরি হতো ভুয়া রিপোর্ট, অতঃপর...

১৯

এসপি ও তথ্য কর্মকর্তার বৈঠকে চাঁদাবাজি মামলার আসামি

২০
X