বন্যার্তদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সমন্বিত পদক্ষেপ না নিলে জনদুর্ভোগ বাড়বে বলে দাবি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। বন্যাদুর্গত জেলাসমূহে উদ্ধার তৎপরতা, মানবিক সাহায্য বিতরণ ও ত্রাণ তৎপরতা শেষে উপদ্রুত এলাকায় প্রেরিত টিমগুলোর অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে আজ বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ মূল্যায়ন তুলে ধরে এবি পার্টির নেতারা।
এতে পার্টির পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় সহায়তা ও উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন।
এ সময় মঞ্জু বলেন, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র স্বেচ্ছাসেবকসহ সবার মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী থাকার পরও যাথাযথ স্থানে সেগুলো পৌঁছাচ্ছে না। বন্যার্তদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে এখন দরকার সমন্বিত পদক্ষেপ। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, এনজিও, পুলিশ ও সেনাবাহিনী, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীসহ সবাই যদি সমন্বয় করে কাজ করে তাহলে এত বড় ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। যদি সেটা না করা হয় তাহলে জনদুর্ভোগ প্রকট হবে এবং জনঅসন্তোষ তৈরি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, লক্ষ্মীপুরের পরিস্থিতি তুলে ধরেন যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল। সাংবাদিকদের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, পরে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন উদ্ধার, সহায়তা ও পুনর্বাসন টীমের সমন্বয়ক লে. কর্নেল অব. হেলাল উদ্দিন ।
লক্ষ্মীপুরের পরিস্থিতি তুলে ধরে শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, লক্ষীপুরের প্রায় ১০ লক্ষ লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক দল, ছাত্ররা সর্বাত্মক আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারণে যথাযথ ভাবে সহায়তা কার্যক্রম চালানো সমস্যা হচ্ছে।
ব্যারিস্টার যোবায়ের বলেন, পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় সরকারের উচিত ছিল সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যাপ্ত নৌকা বা স্পিডবোট ব্যবস্থা করা যেন ত্রাণ সামগ্রী দ্রুত সর্বত্র পৌঁছানো যায়। কিন্তু আমরা সেটা পাইনি।
বিএম নাজমুল হক বলেন, আমরা এবার সাধারণ মানুষ ও ছাত্রদের মাঝে দুর্গত মানুষের জন্য এগিয়ে আসার যে স্পৃহা দেখেছি এই দেশপ্রেম ও ঐক্য যদি আমরা অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে নতুন এক দেশ গড়তে পারব ইনশাআল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, এনামুল হক শিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, যুবপার্টি মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, মাহমুদ আজাদ, শাহীনুর আক্তার শীলা, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আমেনা বেগম, পল্টন থানার আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন