মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও অন্যান্য ন্যায্য দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার সকাল ৮টা থেকে কর্মসূচি শুরু হলে বেলা আড়াইটার দিকে বিনা উসকানিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করলে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন। এ ধরনের কাজ অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও লজ্জাজনক।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শিক্ষকতাকে মহান পেশা বলা হলেও, দুঃখজনকভাবে এই পেশার মানুষদের প্রাপ্য মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার আজও নিশ্চিত হয়নি। শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করার পরিবর্তে শিক্ষকদের রুটিরুজির জন্য বারবার রাস্তায় নামতে হচ্ছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা মনে করি- দাবি আদায়ের আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বারবার বলপ্রয়োগ করে আন্দোলন দমন করার প্রবণতা নিছক স্বৈরাচারী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। শিক্ষকদের ওপর হামলার এ সংস্কৃতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। শিক্ষকদের ওপর এ ধরনের হামলা বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। আমরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিগুলো বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন