ঈদুল আজহার পর জুলাইয়ে সুবিধাজনক সময়ে কাউন্সিল করবে গণঅধিকার পরিষদ। আজ রোববার (১৮ জুন) রাতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির মুলতবি সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল সোমবার সভা হওয়ার কথা রয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার বিষয়ে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সম্প্রতি ড. রেজা কিবরিয়া জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির এক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এরপরই এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদে সমালোচনা তৈরি হয়।
ফলে আজ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে রেজা কিবরিয়ার কাছে ইনসাফ কায়েম কমিটির সমাবেশে থাকা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। কেননা, বিগত দিনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের নেতৃত্বে বিতর্কিত প্রায় সব কর্মসূচিতে রেজা কিবরিয়া অংশ নিয়েছেন। এ নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝি ও দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের চাপের পরিপ্রেক্ষিতে রেজা কিবরিয়া তাদের জানান, সরকারবিরোধী যে কোনো প্ল্যাটফর্মে তাকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি সেখানে অংশ নেন। এখানে তিনি দোষের কিছু দেখছেন না।
জানা গেছে, শুধু ইনসাফ কায়েম কমিটিই নয়, বিগত এক বছর ধরে ভিপি নুর ও রেজা কিবরিয়ার মাঝে দূরত্ব চলছে। যে কারণে প্রায় বছরখানেক ধরে গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে রেজা কিবরিয়াকে তেমন দেখা যায়নি। এ ছাড়া দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাকে গুরুত্বও দেওয়া হয়নি।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর জানান, তারা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে গতরাতে বৈঠক করেছেন। সেখানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
নুর বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিএনপিকে বিভক্ত করার উদ্দেশ্যে দলটির বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দিয়ে ইনসাফ কায়েম কমিটিকে মাঠে নামিয়েছে। যার উদ্দেশ্য শওকত মাহমুদকে দিয়ে বিএনপিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল আবদুস সাত্তারের মতো লোক তৈরি করা। আমাদের দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ওই ইনসাফ কায়েম কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং ইনসাফ কায়েম কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা যেহেতু বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে আছি সেহেতু বিএনপির একজন বহিষ্কৃত নেতার নেতৃত্বে ইনসাফ কায়েম কমিটির সভায় আমাদের আহ্বায়ক উপস্থিত থাকবেন এটা অপ্রত্যাশিত।’
মন্তব্য করুন