বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এহতেশামুল হাসান ভূইয়া রুমি বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার বিকল্প নেই। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বুড়িচং থানার মোকাম ইউনিয়নে এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এহতেশামুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সাথে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। আমাদের নেত্রী, জননেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করেন। তাই আওয়ামী লীগের সাথে এই দেশের মানুষ আছে।
২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদেরকে তাদের মতাদর্শ থেকে কেউ টলাতে পারেনি মন্তব্য করে রুমি বলেন, তারা নৌকার ভোটারদেরকে টলাতে পারে নাই। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে তিনবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখে।
তিনি বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বর্তমান সরকার। সার্বজনীন পেনশন প্লান: সে স্কিমের আওতায় সরকারি চাকুরীজীবি ব্যতীত দেশের সকল নাগরিক পেনশন সুবিধার অন্তর্ভূক্ত হল। কারো বয়স ১৮ বছরের বেশি হলেই এখন অনলাইনে এটিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। চাকুরীজীবিদের বাইরে যে জনগোষ্ঠী তাদের জন্য এই ব্যবস্থা।
রুমি বলেন, প্রায় ১০ কোটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে চালু করা হচ্ছে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা (স্কিম) চালু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ণ কর্মসূচি একটা যুগান্তকারী জনহিতকর কর্মসূচি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশও বিনা মূল্যে গৃহহীনদের ঘড় দেয় না। আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যাতে ৪র্থ বিপ্লব মোকাবিলায় পারদর্শী হতে পারে, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন দক্ষ মানব সম্পদ হিসাবে তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দিলে আপনাদের জীবন মানের ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে। একটু যদি পিছনের দিকে তাকান দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কি অবস্থা ছিল। আপনাদের আয় কত ছিল? রাস্তা-ঘাটের কি অবস্থা ছিল? শিক্ষার সুযোগ কি ছিল? চিকিৎসার ব্যবস্থা কি ছিল? সামাজিক নিরাপত্তার অবস্থা কি ছিল? আপনাদের বাসস্থানের চিন্তা করে করে যাচ্ছেন? জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এখন আপনাদের জন্য উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ। একটা ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে, যে সাধারণ মানুষ যেন সরকারের প্রতি আস্থা হাড়িয়ে ফেলে। নৌকার ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। আর এ নীলনকশার বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন এক-এগারোর কুশীলবরা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামাত বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। মানুষকে হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারও তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। তারেকের নির্দেশে রমনার বটমূলে, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়েছিল। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছিল তারেক জিয়া। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে র্বথ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই বিএনপি-জামাত আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, দেশের উন্নয়নকে ব্যহত করতে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। যদি আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামে তাহলে বিএনপি-জামাত পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদকের পাশাপাশি হাসান ভূইয়া রুমি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক।
মন্তব্য করুন