সরকারের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের একদফা দাবিতে বিরোধী দলসমূহের চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে আজ রোববার (১২ নভেম্বর) রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ।
অবরোধ সমর্থনে বেলা ১১টার দিকে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। আমাদের শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। ছাত্রলীগের নেতা ইনান মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হুমকি দেন। অনতিবিলম্ব রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানাচ্ছি।
গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, গতকাল শনিবার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নৌকায় ভোট চেয়েছেন। সরকারি কাজ করতে গিয়ে দলীয় নেতা হিসেবে ভোট চাওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যিনি নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন, তার অধীনে কি সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে? দলীয় সরকারের অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। সুতরাং আগামীতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার বিএনপিকে দমন-পীড়ন করে যখন আন্দোলন থামাতে পারছে না, তখন আমাদের মতো ছোট-মাঝারি দলের নেতৃত্বকেও আটক করছে। তবে হামলা-মামলা গ্রেপ্তার করে এই আন্দোলন থামানো যাবে না। আজকে অনেক বড় বড় নেতারা গ্রেপ্তার আতঙ্কে রাজপথে নামতে পারছে না। তাই বলে কি আন্দোলন থেমে গেছে। আজকে গ্রামগঞ্জ, অলিতে-গলিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলন কোনো দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই আন্দোলনে প্রত্যেকটা কর্মী আজকে নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ। সুতরাং গ্রেপ্তার করে এই আন্দোলন থামানো যাবে না।
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মাহফুজুর রহমান খান, রবিউল হাসান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুুর রহিম, অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব সহসভাপতি সাব্বির হোসেন, নাহিদ উদ্দিন তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন