উপজেলা নির্বাচনের নামেও প্রহসন করছে সরকার : ভিপি নুর
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের নামেও প্রহসন করছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো বিরোধী দলসমূহ স্থানীয় নির্বাচনও বর্জন করছে। আমরা সকলকে অনুরোধ করব, ফ্যাসিবাদের সমর্থনে কেউ নির্বাচনে অংশ নিবেন না, ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, সড়কে মৃত্যুর মিছিল, ব্যাংকিং খাতের লুটপাটসহ চলমান নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নুরুল হক নুর বলেন, ব্যাংকি খাতের লুটপাটের সঙ্গে সরকারের এমপি-মন্ত্রী, সুবিধাবাদী আমলারা জড়িত। ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। লুটপাটের জন্য একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে পরিচালনা পর্ষদে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জনগণ টের পাচ্ছে না, সরকার ব্যাংকগুলো ফাঁকা করে ফেলেছে। সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা নামে-বেনামে শত শত কোটি টাকা লোন নিচ্ছে। এমনকি কিস্তি পরিশোধ না করে সেটাও লোন করে নিচ্ছে। এভাবে ব্যাংকগুলোতে লুট করছে এবং সে টাকা বিদেশে পাচার করছে। যে কারণে ডলার সংকট তৈরি হচ্ছে, লুটপাটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। নিজের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে নুর বলেন, এসব গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে আমরা ভীত নই। এ সরকারের আমলে বিরোধী দলের নেতাদের নামে এমন শত শত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। দলের এ অংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, এ দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে হবে। এখন আর আমেরিকা-ইউরোপ কিংবা ভারত-চীনের দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। কেউ আমাদের কিছু করে দিবে না। যা কিছু করতে হয়, এ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে। এর আগে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, এমন ছাত্র-যুব নেতৃত্ব চাই, যারা পুলিশের হুইসেল বা সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শুনলে পালিয়ে যাবে না। ২৮ অক্টোবর মোটামুটি ১০ লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। তাদের যথাযথ নির্দেশনা দিতে পারলে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস- ওইদিন গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হতো। তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, কিন্তু তিনি প্রোগ্রামে এসেছেন। গ্রেপ্তার যদি হতেই হয়, রাজপথে থেকে গ্রেপ্তার হতে হবে। ঘরে পালিয়ে থেকে গ্রেপ্তার হয়ে রাজনীতি হয় না। নেতারা সাহস করে রাজপথে থাকলে কর্মীরা নেতাদের জন্য জীবন দিয়ে দেয়। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আর বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, আব্দুজ জাহের, সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সিন্ডিকেটের হোতারা সরকার চালায় : ভিপি নুর
গণসমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ, সিন্ডিকেটের হোতারা সরকার চালায়। গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, সিন্ডিকেট ও বাজার কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি হ্রাস করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসাসহ ৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখা।  শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে বিজয়নগর পানিরট্যাংকি মোড়ে গণসমাবেশ করে দলটি। এরপর মিছিল শুরু করে পুরানা পল্টন মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, প্রেসক্লাব হয়ে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়। নুর বলেন,  বাস থেকে সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশ মিলে ১ হাজার কোটি টাকা চাঁদা তোলে। যার ভাগ এমপি-মন্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থরা সবাই নেয়। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দেয়- অথচ তারাই মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেয়, সহযোগিতা করে। পুলিশ চাইলে ৭ দিনে মাদক বেচাকেনা বন্ধ হবে। কারণ, মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী সবাইকে তারা চেনে।  তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ, সিন্ডিকেটের হোতারা সরকার চালায়। চিনি আমদানি করে দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠান। তাদের ধরলে চিনির দাম বাড়বে না। কতিপয় লোক আমদানি-রপ্তানির নামে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, দুদক তাদের কিছু করতে পারে না। সমন্বয়ের নামে জনগণের পকেট কাটতে সরকার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বাড়াচ্ছে। সরকারবিরোধী বিগত আন্দোলন প্রসঙ্গে ভিপি নুর বলেন, আন্দোলনের কৌশলের কোনো ধাপে হয়তো আমাদের ভুল হয়েছে, আমরা হারিনি। জনগণ আপনাদের সাথে আছে। ৯৫% মানুষ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারকে বলবো, অনতিবিলম্বে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার-গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন। দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়ে সরকার জনগণের সাথে ভাঁওতাবাজি শুরু করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বলেছিলো ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে আর ঘরে ঘরে চাকরি দিবে। কিন্তু চালের কেজি ৬০-৭০ টাকা আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেও ব্যর্থ হয়েছে। এই ডামি সরকারের আমলে সাংবাদিক থেকে শুরু করে কোনো পেশার মানুষ ভাল নেই। রিকসাওয়ালা, শ্রমিক, দিনমজুর সবার নাভিশ্বাস উঠেছে। এই ব্যর্থ সরকারকে জনগণ তাই আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ,ফাতিমা তাসনিম, সহ সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, সিনি.যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন,মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ সভাপতি রাকিবুল  হাসান,দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন,যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।
০৮ মার্চ, ২০২৪

সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সরকার : ভিপি নুর
আগামী ৮ মার্চ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধসহ ৫ দফা দাবিতে সমাবেশ করবে গণঅধিকার পরিষদ। সমাবেশ সফলে সোমবার (৪ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের মতো গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন দলটির একাংশের নেতারা। লিফলেট বিতরণের আগে পুরানা পল্টনের মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভা শেষে পুরানা পল্টন মোড়, ফকিরাপুল, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকা ও গুলিস্তানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম হুড়হুড় করে বাড়ছে। জনবিচ্ছিন্ন সরকার মানুষের কষ্ট দেখতে পাচ্ছে না। কারণ তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। জনগণ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। তারা গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন করে দেশকে আরও ঝুঁকিতে ফেলেছে। সংকট ঘনীভূত করেছে। জিনিসপত্রের বাজারে আগুন আর ডামি সংসদে ফাগুন। সরকার জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারবে না। সরকার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। তাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদ করতে হবে, রাস্তায় নেমে দাম কমাতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সরকার দুর্নীতিবাজ ও কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ড. ইউনূসকে আদালতের বারান্দায় ঘুরাচ্ছে, হয়রানি করছে। দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীকে ড. ইউনূসের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান ভিপি নুর। গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, সরকারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন- ‘জনগণের পকেটে টাকার অভাব নেই’। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে তিনি এমন কথা বলতে পারতেন না। আমাদের কারও পকেটে টাকা নেই। সাংবাদিক থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি সকল পেশার মানুষ কষ্টে রয়েছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খেয়ে এখন ঋণের জালে আবদ্ধ হতে শুরু করেছে। যে টাকা আয় করে, তা দিয়ে কারও সংসার চলে না। এই ডামি সরকারের পক্ষে নিত্যপণ্যের দাম কমানো সম্ভবপর নয়। সুতরাং এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গণসংযোগ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতেমা তাসনীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসালম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক, সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সাব্বির হোসাইন, নাহিদ উদ্দিন তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক সবুজ সেরনিয়াবাতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
০৪ মার্চ, ২০২৪

নিত্যপণ্যের দাম কমানোর উদ্যোগ নেই : ভিপি নুর
নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে দাবি করে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকারের মন্ত্রীরা শুধু কথা বলছেন, জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারছেন না। নিত্যপণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার কোনো উদ্যোগ নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধসহ ৫ দফা দাবিতে আগামী ৮ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ সফলে রোববার (৩ মার্চ) গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। পুরানা পল্টনের আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এই পথসভা হয়। নুরুল হক নুর বলেন, হুড়হুড় করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। জনগণ বাজারে গিয়ে একটা পণ্য কিনলে আরেকটা কিনতে পারে না। জনজীবনে দুর্ভোগ, একটা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। জনগণ দিশেহারা। আমরা জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করে দাম কমাতে বাধ্য করতে আগামী ৮ মার্চ ঢাকা এবং পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করব।  তিনি বলেন, জনগণের প্রতি আহ্বান আপনারা জনসম্পৃক্ততা ইস্যুতে রাজপথে নামুন। জনমত উপেক্ষা করে সরকার ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করেছে। জনগণ সে নির্বাচনে ভোট দেয়নি। এই সরকারকে ৯৫ ভাগ জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশে-বিদেশে কোথাও এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।  গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, জনগণের দাবি নিয়ে আমরা রাজপথে নেমেছি। সরকার ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলে ৭০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াচ্ছে। আমাদের দাবি, চালের দাম ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৮০ টাকা ও তেলের দাম ১০০ টাকা করতে হবে। সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা সরকার। এই সরকার থাকলে নিত্যপণ্যের দাম কমবে না। তাই জনগণের মুক্তির জন্য রাজপথের আন্দোলনের বিকল্প নেই। আগামী ৮ মার্চের সমাবেশে দেশের জনগণকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।  পথসভায় সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ নেতৃবৃন্দ।
০৩ মার্চ, ২০২৪

দেশ এখন বহুমুখী সংকটে : ভিপি নুর
বাংলাদেশ এখন বহুমুখী সংকটে পতিত বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।  আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। নুরুল হক নুর বলেন, সরকারের নৈতিক ভিত্তি না থাকায় অন্য দেশগুলো পাত্তা দিচ্ছে না, বরং তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ১৫ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার পর এখন প্রধানমন্ত্রীও বলছেন, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা কারা করছে? সরকারি দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসন। মাদক যুবসমাজকে গ্রাস করছে। ১৫-২৫ বছরের ৪১% তরুণ পড়াশোনা বা চাকরিতে নেই। অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে উত্তরণ, ইউরোপ-আমেরিকার পোশাকের ক্রেতা কমছে, নতুন বাজার খোঁজা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি- এগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা হয় না। জনগণকে নিয়ে তাদের ভাবনা নেই। তারা সবাই টাকা-পয়সা কামানোর ধান্দায়। দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আজকাল সরকার জনগণকে কথায় কথায় হাইকোর্ট দেখায়। কিন্তু হাইকোর্ট দেখিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। সবকিছুর শেষ আছে, আপনাদেরও বিদায় নিতে হবে।  গণঅধিকার পরিষদের (নুর) উদ্যোগে গণতন্ত্র-ভোটাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভিন দেশি আধিপত্য ও আগ্রাসনবিরোধী এই সমাবেশ হয়। সমাবেশে শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, বিএনপির দলীয় কার্যালয়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়। গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আলাদা আলাদা আন্দোলনে সরকার পতন হবে না : ভিপি নুর
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, অনেকেই নির্বাচনে না গিয়ে আলাদাভাবে আন্দোলন করছেন। তাদের বলবো, একসাথে নামুন। আলাদাভাবে আন্দোলন করে সরকার পতন করা যাবে না। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীতে গণঅধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা পরবর্তী সমাবেশে এ কথা বলেন নুর। ৭ জানুয়ারি ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের প্রতিবাদে বিকেল ৪টায় বিজয়নগর আল রাজি ভবনের সামনে থেকে সংসদ অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল শুরু করে গণঅধিকার পরিষদ। নেতারা অভিযোগ করেন, কালো পতাকা মিছিলে পুলিশ শুরুতে বাধা দেয়, পরে লাঠিচার্জ করে। তারা আরও বলেন, মিছিল শুরু করলে পুলিশ ব্যানার কেড়ে ছিড়ে ফেলে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানান, কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠি চার্জে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু  হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, জসিম উদ্দিন আকাশ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নুসরাত কেয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুনসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।  পুলিশের বাধা পরবর্তী সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি কিন্তু পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে হামলা করছে। আজকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ হামলা করেছে, অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমরা চাইলে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে মিছিল করতে পারি, এতে আমাদের হয়তো কয়েকজনকে আটক করবে। কিন্তু এতে লাভ কার? ২৮ অক্টোবর একজন পুলিশ মারা গেলে এতিম হলো তার সন্তান, বিধবা হলো তার স্ত্রী, লাভ হলো সরকারের। আজকে একটা অবৈধ সংসদের অধিবেশন বসেছে। এই সংসদে কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরা অবৈধভাবে সংসদে বসেছে। আজকে এই সরকার দৈত্য-দানবের মতো জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আজকে ড. ইউনূসের মতো সম্মানী লোককে কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা আমাদের ওপর হামলা করছে, তাদের কিন্তু বিচার হবে। আমরা মরে গেলেও আমাদের সন্তানরা বেঁচে থাকবে, আমাদের নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকবে- তারা একদিন বিচার করবে। অনেকেই নির্বাচনে না গিয়ে আন্দোলন করছেন আলাদা আলাদাভাবে। তাদের বলবো, একসাথে নামুন। আলাদাভাবে নেমে সরকার পতন করা যাবে না। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলব, ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না। ’৭১ এর পর জনগণ যেমন বাকশাল মেনে নেয়নি, এবারও জনগণ একতরফা নির্বাচন, একদলীয় শাসন মেনে নেয়নি। তারা সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় আছে। প্রেক্ষাপট তৈরি হলে, জনগণ রাজপথে নেমে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকে গদি থেকে নামাবে। গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- দলের সাধারণ সম্পাদক মো রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন-দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, ফাতিমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদসহ নেতাকর্মীরা।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

আলাদা আন্দোলনে সরকার পতন হবে না : ভিপি নুর
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, অনেকেই নির্বাচনে না গিয়ে আলাদাভাবে আন্দোলন করছেন। তাদের বলব, একসাথে নামুন। আলাদাভাবে আন্দোলন করে সরকার পতন করা যাবে না। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীতে গণঅধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা পরবর্তী সমাবেশে এ কথা বলেন নুর। ৭ জানুয়ারি ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের প্রতিবাদে বিকেল ৪টায় বিজয়নগর আল রাজি ভবনের সামনে থেকে সংসদ অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল শুরু করে গণঅধিকার পরিষদ। নেতারা অভিযোগ করেন, কালো পতাকা মিছিলে পুলিশ শুরুতে বাধা দেয়, পরে লাঠিচার্জ করে। তারা আরও বলেন, মিছিল শুরু করলে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানান, কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, জসিম উদ্দিন আকাশ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নুসরাত কেয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুনসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।  পুলিশের বাধা পরবর্তী সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি, কিন্তু পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে হামলা করছে। আজকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ হামলা করেছে, অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমরা চাইলে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে মিছিল করতে পারি, এতে আমাদের হয়তো কয়েকজনকে আটক করবে। কিন্তু এতে লাভ কার? ২৮ অক্টোবর একজন পুলিশ মারা গেলে এতিম হলো তার সন্তান, বিধবা হলো তার স্ত্রী, লাভ হলো সরকারের। আজকে একটা অবৈধ সংসদের অধিবেশন বসেছে। এই সংসদে কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরা অবৈধভাবে সংসদে বসেছে। আজকে এই সরকার দৈত্য-দানবের মতো জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আজকে ড. ইউনূসের মতো সম্মানী লোককে কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে।   তিনি বলেন, যারা আমাদের ওপর হামলা করছে, তাদের কিন্তু বিচার হবে। আমরা মরে গেলেও আমাদের সন্তানরা বেঁচে থাকবে, আমাদের নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকবে- তারা একদিন বিচার করবে। অনেকেই নির্বাচনে না গিয়ে আন্দোলন করছেন আলাদা আলাদাভাবে। তাদের বলব, একসাথে নামুন। আলাদাভাবে নেমে সরকার পতন করা যাবে না। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলব, ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না। ’৭১-এর পর জনগণ যেমন বাকশাল মেনে নেয়নি, এবারও জনগণ একতরফা নির্বাচন, একদলীয় শাসন মেনে নেয়নি। তারা সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় আছে। প্রেক্ষাপট তৈরি হলে, জনগণ রাজপথে নেমে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকে গদি থেকে নামাবে। দলের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক মো রাশেদ খান বলেন, সংসদ অভিমুখে আমাদের কালো পতাকা মিছিল ছিল, পুলিশ আমাদের মিছিল পণ্ড করে দিয়েছে। আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। সেখানে পুলিশ উল্টো অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। আমাদের আন্দোলন তো পুলিশের বিরুদ্ধে না। আজকে অবৈধ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছে, আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনেই প্রতিবাদ করছি। কিন্তু এই অবৈধ সরকার কোনো রীত-নীতির ধার ধারে না। এই সরকারের কাছে ক্ষমতাই মুখ্য বিষয়। জনগণকে বলব, রাজপথে নেমে আসুন, সরকারের পতন অনিবার্য। গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন-দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন।  কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, ফাতিমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদসহ নেতাকর্মীরা।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

কারাবন্দি নেতাদের সঙ্গে পৈশাচিক আচরণ করা হচ্ছে : ভিপি নুর
কারাগারে থাকা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাথে পৈশাচিক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ কোন পথে ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি। নুরুল হক নুর বলেন, দেশে আইন-আদালত, বিচার ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের এক ভাই যাকে জেলে ‘১০ ফিট বাই ১০ ফিট’ রুমে রেখেছে। তাকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। আদালতে এসে এ বিষয়টি বলার সময় পুলিশ তার মুখ চেপে ধরেছে, কথা বলতে দেয়নি। আজকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যারা জেলে রয়েছেন প্রত্যেকের সঙ্গে পৈশাচিক ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আন্দোলনে যে সমস্ত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন কিংবা জেলখানায় রয়েছেন, তাদের চিকিৎসা বা আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে একটা সেল গঠন করা প্রয়োজন। এতে করে তারা উপকৃত হবেন। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে বলেও অভিযোগ করেন নুর। সরকার সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন তারা আবার আওয়ামী লীগে ফিরে যেতে চান। পরিস্থিতি ৭ জানুয়ারির আগে যা ছিল এখন সে রকমই আছে। বরং সরকারের জন্য পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।  তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ডলার নেই, আমদানি করা যাচ্ছে না। এমনকি খাদ্যপণ্যও আমদানি করা যাচ্ছে না। নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট বন্ধ করে দেবেন। কৈ পেরেছেন? সিন্ডিকেট ভেঙেছে? বরং জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জনগণ রাস্তায় নামলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালাবে। সরকারকে বলব- সময় আছে, এখনই ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, কাদের গনি চৌধুরী, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

সরকার পরিবর্তন ছাড়া জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে না : ভিপি নুর
দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে রাজধানীতে গণবিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মহানগর গণঅধিকার পরিষদ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি হয়। গণবিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পুরানা পল্টন, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, বিএনপির পার্টি অফিস, নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে এসে শেষ হয়। গণবিক্ষোভ কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ দফায় দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংকট, ভরা মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে। মন্ত্রীরা গরম গরম কথা বলছেন, কিন্তু জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। সরকার পরিবর্তন ছাড়া জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে না। আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্যর্থ হলেও ভূ-রাজনৈতিক কারণে ইউরোপ-আমেরিকা সরকার পরিবর্তন করবেই। কিন্তু সেটা দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে। কাজেই সরকারের প্রতি অনুরোধ, নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় অনতিবিলম্বে ‘ডামি’ সংসদ ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সংসদে নির্বাচনকালীন সরকারের বিল পাশ করুন। দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় দাসত্ব কায়েম করা হয়েছে। উন্নয়নের নামে দেশের জনগণের সাথে ধোঁকাবাজি করা হয়েছে। আর অন্যদিকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও আজ হুমকির মুখে। তাই জনসম্পৃক্ত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। তিনি আরও বলেন, টিআইবি সঠিক তথ্য জনগণের কাছে তুলে ধরেছে। এই ডামি নির্বাচনে ২৪১টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। অর্থাৎ এটা একটা ভুয়া নির্বাচন ছিল। এই ডামি নির্বাচন বাতিল করতে হবে। জনগণকে বলব, বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে থাকলে আমাদের চলবে না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাড. নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মুন্না, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সহগণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক শাকিল আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, জিলু খান, ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

হাইকোর্টে গেলেন ভিপি নুর
আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে। গত ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরকে হাইকোর্টে তলব করেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।  এর আগে নুরুল হকের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ৭ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এক সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে নুরুল হক আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালীপদ মৃধা। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হয় বলে জানান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল। কালীপদ মৃধা বলেন, হাইকোর্ট নুরুল হকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ১৭ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪
X