বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কদমতলী উত্তর থানার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীতে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই শীতবস্ত্র প্রদান করেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও কদমতলী উত্তর থানা আমীর আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য ওমর ফারুক, দুলাল মিয়া, মিজানুর রহমান, আব্দুল হালিম, আবু বকর সিদ্দিক, শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
শীতবস্ত্র বিতরণকালে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সারাদেশে তীব্র শীতে অসহায় মানুষ নিদারুণ কষ্টের মধ্যে রয়েছে অথচ সরকারের সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার জণগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকল তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। সেই সাথে প্রকৃত দেশপ্রেমিক, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরীর মাধ্যমে জনগনের সকল সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট রয়েছে। যা ইতোমধ্যেই দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে এবং তাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের সীমিত সামর্থ্য সত্বেও মানবতার কল্যাণেই আমাদের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মানবতার কল্যাণে কাজ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে বিশ্বাস করি। কারণ এটা ইসলামের নির্দেশ। এ নির্দেশ থেকেই জামায়াতে ইসলামী তার ৪ দফা কর্মসুচির মধ্যে ৩য় দফা কর্মসুচিতে সমাজসেবা কর্মসুচি অন্তর্ভুক্ত রেখেছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ এক মহাসংকট অতিক্রম করেছে। রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার হরণ করা হয়েছে। দেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত। দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দেশে আজ ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। কথা বলার অধিকার নাই, মত প্রকাশের অধিকার নাই, রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করার অধিকার নাই। বিগত ১৫ বছরে জামায়াতে ইসলামীর ২৫১ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন