শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
ঈদের দিন মানুষের পদচারণায় মুখরিত রাজধানী
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত রমনা পার্ক, জাতীয় জাদুঘরের সামনে শাহবাগ মোড় ও রবীন্দ্র সরোবরে রাত পর্যন্ত ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর রমনা, শাহবাগ, ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ছাড়ে কোটির বেশি মানুষ, যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে কর্মসূত্রে ঢাকায় বাস করেন। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে প্রত্যেকে শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বা পুনর্মিলন করতে। তবে এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি একসাথে হওয়ায় ছুটির দিনের তালিকা অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশ দীর্ঘ।  এ ছাড়াও রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। তাই অনেকেই আগেভাগে রাজধানী ছেড়েছেন। তার পরও অনেকেই অবস্থান করছেন রাজধানীতে। আজ ঈদের দিন তারা সকাল থেকে দুপুর অব্দি রান্না-বান্না-খাওয়া-দাওয়াসহ ঘরের কাজ শেষ করে বিকেল থেকে ভিড় করেছেন রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত স্থানগুলোতে। ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে চুড়ি, মালা, খেলনা, ওয়াটার রাইড, ফাস্টফুডের দোকান, ঝালমুড়ির দোকানসহ নানা আয়োজনে যেন অনেকটাই মেলায় রূপ নিয়েছিল লেকের পাড়। এ সময় নৌকায় করে ধানমন্ডি লেকে ঘুরে বেড়ান অনেকে। এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি নরসিংদী না যাওয়ায় আদাবরের বাসিন্দা রাব্বি রহমান বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন রবীন্দ্র সরোবরে। তিনি বলেন, মন ঘুরতে চাইছিল, সে জন্য এখানে ঘুরতে নিয়ে এসেছি। এখানে এসে বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটছে। তা ছাড়া এ রকম সুন্দর পরিবেশ ও জ্যামবিহীন ফাঁকা রাস্তায় ঘুরার মজাই আলাদা। শাহবাগ মোড়ে সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন আলিফ। তিনি বলেন, এবার ঈদের গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়নি। তাই সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। রমনা পার্ক থেকে শাহবাগ এলাম জাতীয় জাদুঘরে যাব। কিন্তু তার আগে ছেলে বলল, সে ফুচকা খাবে তাই তাকে নিয়ে ফুচকা খাচ্ছি। গ্রামের বাড়ি যেতে পারলে ভালো লাগত কিন্তু কাজের চাপ প্রচুর তাই যেতে পারিনি। রমনা পার্কে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে হাঁটছিলেন আজগর হোসেন। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদায়। এবার ঈদে সরকারি কর্মচারীরা বড় ছুটি পেলেও তিনি সেই ছুটি পাননি। তাই তার আর পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ভাই-বোনদের সঙ্গে ঈদ পালন করা হয়নি। তাই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন রমনা পার্কে।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল
দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১১-১২ এপ্রিল দেশে উদযাপিত হবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব।ঈদ উপলক্ষে বরাবরের মত এবার বেশকদিনের জন্য ছুটি পাচ্ছেন সবাই। এবার ঈদের ছুটির সাথে যুক্ত হচ্ছে পহেলা বৈশাখের ছুটিও। তাই টানা ছুটিতে ঘুরে আসার জন্য ভ্রমণপিপাসুরা বেছে নিতে পারেন হাওড়-টিলা-চা বাগান বেষ্টিত শ্রীমঙ্গলকে। শ্রীমঙ্গলের কথা এলেই ভ্রমণ পিপাসুদের মনের চিত্রপটে ভেসে উঠে সারি সারি চা বাগানের ছবি। শ্রীমঙ্গলের নিসর্গশোভা ৪৮টি চা বাগানের সতেজ সবুজ পাতার মায়া যে কোন ভ্রমণপিপাসু মনকে টানতে সক্ষম। উঁচু-নিচু পাহাড়, পাহাড়ের বুকজুড়ে চা বাগানের সারি, চারদিকে প্রকৃতির নজরকাড়া সৌন্দর্য, হাজার প্রজাতির গাছ-গাছালি, দিগন্তজোড়া হাওর আর নীল জলরাশিতে ঢেউয়ের ছন্দে প্রাণ জুড়িয়ে নিতে প্রতিবছর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা আসেন চায়ের রাজধানীখ্যাত শ্রীমঙ্গল শহরে চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠসহ বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের বসবাসের কারণে শ্রীমঙ্গল পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বেশ আকর্ষনীয়। তাইতো দেশি-বিদেশি পর্যটকদের এই ঈদের ছুটিতে হাতছানি দিয়ে ডাকছে শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গলে অবস্থান করে দেখা যাবে এমন কয়েকটি দর্শনীয় স্থানগুলো:  চা কন্যা ভাষ্কর্য: শ্রীমঙ্গলের সীমানায় এ ভাষ্কর্যটি আপনাকে স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে আছে। ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে শ্রীমঙ্গল আসতে সাতগাঁও চা বাগানে সড়কের পাশেই আপনার চোখ আটকে যাবে এই শুভ্র ভাষ্কর্যে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকেও আপনি সিএনজি অটোরিকশা কিংবা টমটম নিয়েও যেতে পারেন। ভাড়া সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। আর পথের দূরত্ব ১২-১৪ কিলোমিটার। ন্যাশনাল পার্ক লাউয়াছড়ার: শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একমাত্র ন্যাশনাল পার্ক লাউয়াছড়ার অবস্থান। ১৯২০ সালে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জায়গাজুড়ে পরিকল্পিত চাষাবাদ করে লাগানো চারাগাছগুলো এখন ঘন প্রাকৃতিক বনের আকার ধারণ করেছে। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই পার্কে দেখা মেলে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির পশুপাখি। ধীরে ধীরে পার্কটি এখন দেশের শিক্ষা, গবেষণা ও ইকো-ট্যুরিজম স্পট হয়ে উঠেছে। শ্রীমঙ্গল থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে অথবা বাসে করেও আপনি যেতে পারেন এ বনে। যাওয়ার পথে রাস্তার দুই ধারে দেখতে পাবেন সবুজ অরণ্য আর বিচিত্র সব পশুপাখি। তবে এসব প্রাণি দেখতে হলে বনের একটু গভীরে যেতে হবে আপনাকে। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই): ইনস্টিটিউটের চারদিকে বিচিত্র সব রঙের ফুলের সমাহার। এছাড়াও রয়েছে সারিবদ্ধ পাম, নাগলিঙ্গম, চামলসহ নানা জাতের বৃক্ষরাজির শোভা। হ্রদের জলে দেখতে পাবেন ফুটন্ত লাল পদ্মফুল। চা গবেষণাগার। আছে একটি চা প্রক্রিয়াজাত কারখানা। পুরো এলাকাটি আপনি দেখে নিতে পারেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে। মনোমুগ্ধকর এলাকাটি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে এক কিলোমিটারের পথ। সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ভাড়ায় রিকশা নিয়ে ১৫-২০ মিনিটে আপনি পৌঁছে যাবেন। বাইক্কা বিল: বাইক্কা বিল একটি অনন্য স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম এবং জলচর পাখির বিচরণভূমি। এর আয়তন ১০০ হেক্টর। বাংলাদেশের অন্যতম জলাশয় হাইল-হাওরে এর অবস্থান। ২০০৩ সালের ১ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয় বাইক্কা বিলকে একটি স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। হাওরটি বর্ষায় ১৪ হাজার হেক্টর এলাকায় বিস্তৃত হয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গিয়ে ১৩৩টি বিল ও বেশ ক’টি খালে খণ্ডিত হয়ে মোট ৪ হাজার হেক্টর এলাকায় সংকুচিত হয়ে পড়ে বিলটি। বাইক্কা বিলের প্রধান আকর্ষণ পাখি। বছরজুড়েই নানা প্রজাতির জলজ পাখির বিচরণে মুখরিত থাকে এ বিলটি। তবে শীত মৌসুমে প্রচুর পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে। পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য এখানে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। নয়নাভিরাম এ জলাভূমিতে যখন শাপলা, পদ্মসহ নানা প্রজাতির জলজ ফুল ফোটে, সেই দৃশ্যের কোন তুলনাই হয় না। পশু-পাখি সেবাশ্রম: এক সময়ের সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা এখন নাম পরিবর্তন হয়ে হয়েছে বন্যপ্রাণি ফাউন্ডেশনের পশু-পাখি সেবাশ্রম। সিতেশ রঞ্জন দেবের এই সংগ্রহশালায় গিয়ে দেখতে পাবেন সাদা বাঘ, মেছো বাঘ, সোনালি বাঘ, ভাল্লুক, মায়া হরিণ, ময়না, অজগর সাপ, বানর, লজ্জাবতী বানর, সজারু, সোনালি কচ্ছপ, বনমোরগ, বন্য খরগোশ, উল্লুক, হরিণ, সাইবেরিয়ান ডাক, পাহাড়ি বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী। ভাড়াউড়া লেক: শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জেমস ফিনলের চা-বাগান। ভাড়াউড়ায় আছে একটি লেক যেখানে জলপদ্মের মেলা বসে। চা বাগানের বুকে এই লেকটির আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে কিন্তু কম নয়। এখানে রয়েছে বানর আর হনুমানের অবাধ বিচরণ। পাহাড়ের কাছাকাছি গেলেই দেখতে পাবেন বানরের দল। দু’একটা বানর আপনাকে দেখে ভেংচি কাটছে দেখে চমকে উঠবেননা আবার। তবে সতর্ক দৃষ্টিতে এগোতে হবে। বুঝতেই তো পারছেন, আপনি এখন বানরের রাজ্যে। এছাড়াও এখানে শীতে দল বেঁধে আসে পরিযায়ী পাখি। যা পর্যটকদের চোখে মুগ্ধতা ছড়ায়। নীলকন্ঠ চা কেবিন: দেশের প্রথম দুই রঙ এর চায়ের আবিষ্কারক রমেশ রাম গৌড়ের নীলকন্ঠ চা কেবিনের অবস্থানও শ্রীমঙ্গলে। শহরতলীর রামনগর মনিপুরীপাড়ায় অবস্থিত এই চায়ের দোকানটিতে এখন দুই রঙ এর চা থেকে শুরু করে দশ রঙ এর চা-ও পাওয়া যায়। অনেক পর্যটকের কাছে এ এক বিস্ময়কর আকর্ষণ। বধ্যভূমি ৭১: শহরের ভানুগাছ সড়কে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই বধ্যভূমির অবস্থান।মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মৃতিতে নির্মিত এই বধ্যভূমি। নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর আবাস: শ্রীমঙ্গলে খাসি, মনিপুরী, গারো, হাজং, টিপরা, রিকিয়াসন, বারাইক, সাঁওতালসহ প্রায় ৪০টি নৃগোষ্ঠীর আবাস। দেশের আর কোন উপজেলায় একসাথে আপনি এতোগুলো নৃতাত্তি¡ক জনগোষ্ঠী খোঁজে পাবেন না। তাই বিচিত্রসব জাতি-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারায় অবগাহনে আপনাকে শ্রীমঙ্গল এর নাম উচ্চারণ করতেই হবে। কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন: ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে কিংবা দেশের যেকোন স্থান থেকে রেলপথ অথবা সড়কপথে আপনি শ্রীমঙ্গল যেতে পারেন। শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল, রিসোর্ট, কটেজ রয়েছে। শ্রীমঙ্গলে রয়েছে পাঁচতারকা মানের গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ। এখানে ১৫ হাজার থেকে রুম ভাড়া শুরু। রুমভেদে ভাড়া নির্ধারিত হয়। এছাড়াও তিন তারকা মানের লেমন গার্ডেন রিসোর্ট, নভেম রিসোর্ট, বালিশিরা রিসোর্ট, গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর ভাড়া রুমভেদে ৩ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে।  এ ছাড়া চা বোর্ডের একটি রিসোর্ট ও একটি গেস্ট হাউজ রয়েছে শ্রীমঙ্গলে। চা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে এগুলোর রুম বুকিং দেওয়া যায়। অন্যদিকে জেলা পরিষদের দুটি ডাকবাংলো আছে, যেগুলোতে খুব স্বল্প খরচে রাতযাপন করা যায়। পাশাপাশি শহরের ভেতরে অনেকগুলো হোটেল আছে যেগুলোতে কম খরচে থাকা যায়। তবে একটা বিষয় মাথায় রেখে আপনাকে শ্রীমঙ্গলের ভ্রমণপ্ল্যান সাজাতে হবে- তা হলো আগেভাগে থাকার জায়গার বুকিং দেওয়া।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

রাজধানীতে মেট্রোরেলের পিলারে বাসের ধাক্কা
রাজধানীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেট্রোরেলের পিলারের সঙ্গে সেফটি এন্টারপ্রাইজের একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বেলা পৌনে একটার দিকে আগারগাঁওয়ে ৩৫৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় বাসটি। জানা গেছে, দুই বাসের প্রতিযোগিতার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসের চালক ছিল কিশোর, কম বয়সী। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বাসটি বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছিল সে। দ্রুতগতিতে চলতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।  এ ঘটনায় বাসের কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে মা ও এক শিশু বেশি আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে বাসটি নিয়ে গেছে। কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনের নিচে পিলারে বাসটি ধাক্কা দেওয়ার পর চালক পালিয়ে গেছে। আমরা বাসটি জব্দ করেছি। এ ঘটনায় চার থেকে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

রাজধানী থেকে ২০ বছরের পুরোনো বাস সরাতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী 
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা শহরে চলাচলকারী ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহার করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৮ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা শহরে চলাচলকারী উক্ত বয়সী বাসের তালিকা প্রেরণ করবে। পরিবহন মালিক সমিতি ২০ এপ্রিলের মধ্যে ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহারের পরিকল্পনা প্রদান করবে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে কোনো আপস করা হবে না। রোববার (৩১ মার্চ) বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনের কালো ধোঁয়া এবং উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণ সামগ্রী না রাখা এবং বায়োমাস বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বাজেট বরাদ্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ব্যয় করতে হবে। তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন সমন্বয় করে রাস্তার খননকার্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে সালফারসহ ডিজেল আমদানি বন্ধ করতে হবে। উন্মুক্তভাবে যাতে বর্জ্য পোড়ানো না হয়, সিটি করপোরেশন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  মন্ত্রী বলেন, রাজউক, সিটি করপোরেশন, পুলিশ বিভাগ নির্মাণকালে নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। পুরাতন যানবাহন পুরোপুরি নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপ করতে হবে। রাজউকের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কার্যক্রমের অনুমতি বাতিল করতে হবে।  সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবিরুল ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমদসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩১ মার্চ, ২০২৪

রাজধানী মিরপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রাজধানীর মিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মো. রাসেল (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরের আধুনিকের মোড়ে এলায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মামাতো ভাই স্বপন জানান, মিরপুর সাড়ে ১১-এর আধুনিকের মোড়ের কিছুটা সামনে ১০-১২ জন মিলে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। রাসেলের সঙ্গে ওই এলাকার তানজিলা, তার স্বামী কালু ও তানজিলার ভাই শাহিনের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা ছিল। তারাই আজকে এই হামলা করেছে।  তিনি আরও বলেন, রাসেল বিহারি পল্লিতে কারচুপির কাজ করতেন। তারা মিরপুর বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দা। বাবার নাম শাহাদাত হোসেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে। পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোকলেসুর রহমান জানান, মিরপুর ই-ব্লকে বিহারিদের নিজেদের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনায় এক যুবক মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।  
১৭ মার্চ, ২০২৪

রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রাজধানীর মিরপুরে ছুরিকাঘাতে ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় রাসেল (২২) নামে আরেক যুবক আহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুর সাড়ে ১১ আধুনিকের মোড় নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  গুরুতর আহত অবস্থায় ফয়সালকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত পৌনে ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আহত রাসেল জানান, মিরপুর সাড়ে ১১ আধুনিকের মোড়ের কিছুটা সামনে ১০-১২ জন মিলে তাদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ফয়সালের সঙ্গে ওই এলাকার তানজিলা, তার স্বামী কালু ও তানজিলার ভাই শাহিনের সঙ্গে রাসেলের পূর্বশত্রুতা ছিল। তারাই আজকে এই হামলা করেছে। এদিকে হাসপাতালে আহত ও নিহতের পরিবারের জানান, মিরপুর কালশী ই ব্লকের ৫ নম্বর লাইনের একটি বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দা তারা। নিহত ফয়সাল কারচুপির কাজ করত। পূর্বশত্রুতার কারণে তানজিলার ভাড়াটে লোকজন ছুরিকাঘাতে ফয়সালকে খুন করেছে। তবে তাদের সঙ্গে কী নিয়ে পূর্ব শত্রুতা ছিল তা জানাতে পারেনি স্বজনরা। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহত রাসেলের অবস্থাও গুরুতর। তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর ফয়সালের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান কালবেলাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে নারী সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে ক্যাম্পের ভেতর নিজেদের মধ্যে কোন্দল নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
১৬ মার্চ, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে ভবন-রেস্তোরাঁয় রাজউকের অভিযান
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন ভবন ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) বিকেলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার এতে নেতৃত্ব দেন। এ ব্যাপারে তিনি জানান, নিয়মিত অভিযানের প্রেক্ষিতে সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রয়োজনীয় নথি না থাকায় নির্মাণাধীন প্রিন্সিপাল প্লাজাকে এক লাখ টাকা, আইয়ুব প্লাজাকে এক লাখ টাকা এবং আগুন নির্ভাবপক ব্যবস্থা ও সঠিক কাগজপত্র না থাকায় শিকদার ডাইন রেস্টুরেন্টেকে ৫০ হাজার টাকা ও প্রেসিডেন্ট রেস্টুরেন্টেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- রাজউকের জোন-৮/৩ অথরাইজ অফিসার এফ আর আশিক আহমেদ, ইমারত পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। তাদের পুলিশ সদস্যর সহযোগিতা করেন।
১৪ মার্চ, ২০২৪

রাখাইনের রাজধানী থেকে পালানোর হিড়িক
মিয়ানমারে জান্তার বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছে বিদ্রোহীরা। গোষ্ঠীগুলোর হামলায় নাজেহাল জান্তা প্রশাসন। এবার জান্তা ও বিদ্রোহীদের হামলার ভয়ে রাখাইনের রাজধানী ছাড়ছে হাজার হাজার মানুষ। গত শুক্রবার নারিনজারা নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিত্তের শহর ও গ্রামাঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আমি যে কোনো সময় শহরে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় তারা এলাকা থেকে পালাচ্ছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সিত্তে শহর আরাকান আর্মি যে কোনো সময় দখল করে নিতে পারে। মানুষের মধ্যে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে তারা স্বাধীন অঞ্চলগুলোতে চলে যাচ্ছে। মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াংগুন-সিত্তে মহাসড়কের আহ মিয়ান্ট কায়ুন মিন চং সেতু মাইন বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দিয়েছে দেশটির জান্তা প্রশাসন। আরাকান আর্মির সেনাদের সিত্তে শহরে প্রবেশ ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক অনেক বেড়ে গেছে। স্থানীয় ওই বাসিন্দা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি উড়িয়ে দেওয়া মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের আটকে ফেলা হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হলে মানুষ কীভাবে পালাবেন তা নিয়ে শঙ্কিত। এজন্য মানুষ এখন পালিয়ে যাচ্ছে। তারা নিজেরাই এখন সময়ের সদ্ব্যবহার করছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কেবল সাধারণ মানুষ নয়, সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবারের লোকজনও শহর ছাড়ছেন। সিত্তে শহরে বর্তমানে মোট বাসিন্দার এক তৃতীয়াংশ লোক অবস্থান করছে। এর মধ্যে কেউ আর্থিকভাবে সচ্ছল নয় আবার কেউ বৃদ্ধ আর বাকিরা নিজেদের মালপত্র চুরি হওয়া নিয়ে চিন্তিত। পালিয়ে যাওয়া মানুষদের বেশিরভাগ নৌকা ব্যবহার করে অন্যত্র সরে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির একপাশ থেকে অন্যপাশে যেতে জনপ্রতি ৫০ হাজার কিয়েট ব্যয় করতে হচ্ছে। রাখাইনের অন্য এক বাসিন্দা বলেন, জান্তা বাহিনী সাধারণ মানুষকে পালানোর ক্ষেত্রেও বাধা দিচ্ছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আরাকান আর্মি হামলা চালালে সেনারা যাতে সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এজন্য তারা বাধার সৃষ্টি করছে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

রাখাইনের রাজধানী থেকে পালানোর হিড়িক
মিয়ানমারে  জান্তার বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছে বিদ্রোহীরা। গোষ্ঠীগুলোর হামলায় নাজেহাল জান্তা প্রশাসন। এবার জান্তা ও বিদ্রোহীদের হামলার ভয়ে রাখাইনের রাজধানী ছাড়ছে হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার (০১ মার্চ) নারিনজারা নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিত্তের শহর ও গ্রামাঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আমি (এএ) যেকোনো সময় শহরে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় তারা এলাকা থেকে পালাচ্ছেন।  স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সিত্তে শহর আরাকান আর্মি যেকোনো সময় দখল করে নিতে পারে। মানুষের মাঝে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে তারা স্বাধীন অঞ্চলগুলোতে চলে যাচ্ছেন।  মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াংগুন-সিত্তে মহাসড়কের আহ মিয়ান্ট কায়ুন মিন চং সেতু মাইন বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দিয়েছে দেশটির জান্তা প্রশাসন। আরাকান আর্মির সেনাদের সিত্তে শহরে প্রবেশ ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক অনেক বেড়ে গেছে।  স্থানীয় ওই বাসিন্দা বলেন, গুরেুত্বপূর্ণ এ সেতুটি উড়িয়ে দেওয়া মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের আটকে ফেলা হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হলে মানুষ কিভাবে পালাবেন তা নিয়ে শঙ্কিত। এজন্য মানুষ এখন পালিয়ে যাচ্ছেন। তারা নিজেরাই এখন সময়ের সদ্বব্যবহার করছেন।  সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কেবল সাধারণ মানুষ নয়, সেনাবাহিনীর সদস্যরাসহ সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবারের লোকজনও শহর ছাড়ছেন।  সিত্তে শহরে বর্তমানে মোট বাসিন্দার এক তৃতীয়াংশ লোক অবস্থান করছেন। এরমধ্যে কেউ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নন আবার কেউ বৃদ্ধ আর বাকিরা নিজেদের মালামাল চুরি হওয়া নিয়ে চিন্তিত। পালিয়ে যাওয়া মানুষদের বেশিরভাগ নৌকা ব্যবহার করে অন্যত্র সরে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির একপাশ থেকে অন্যপাশে যেতে জনপ্রতি ৫০ হাজার কিয়েট ব্যয় করতে হচ্ছে।  রাখাইনের অপর এক বাসিন্দা বলেন, জান্তা বাহিনী সাধারণ মানুষকে পালানোর ক্ষেত্রেও বাধা দিচ্ছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আরাকান আর্মি হামলা চালালে সেনারা যাতে সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এজন্য তারা বাধার সৃষ্টি করছেন।   
০২ মার্চ, ২০২৪

রাখাইনের রাজধানী সিত্তেতে কারফিউ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তেতে কারফিউ জারি করেছে সামরিক জান্তা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। জান্তা প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে। সিত্তের এক বাসিন্দা নারিনজারা নিউজকে জানান, ‘তারা শহরে ছোট বাহনে করে ঘুরে লাউড স্পিকার এবং হ্যান্ড মাইকে কারফিউর ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারা রাতে বাইরে বের হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারফিউ সিত্তের পৌরসভাগুলো ছাড়াও বেশ কয়েকটি দুর্গম এলাকায় জারি করা হয়েছে।’ গত বছরের অক্টোবর থেকে সামরিক জান্তার অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এরপর রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র লড়াই শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এতদিন রাজধানী সিত্তের আশপাশে লড়াই চলছিল। এখন এটি সিত্তেতে পৌঁছে গেছে। ফলে অনেকে এখন রাজ্যটির রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। সিত্তের বাসিন্দারা জানান, তারা এখন নিয়মিত রাতের বেলা গোলাগুলি এবং সেনাবাহিনীর বিমান ওঠা-নামার শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে এক বাসিন্দা নারিনজারা নিউজকে জানান, রাতে আমরা সামরিক বিমানের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমান ওঠার শব্দ শুনতে পাই। এরপর আবার নামার শব্দ শুনি। আমরা প্রতিদিন গোলাগুলির শব্দও শুনতে পাচ্ছি। সামরিক জান্তার সেনারা বর্তমানে ইয়ো কায়া ব্রিজের নিচে এবং সাউথ কোরিয়া পোর্ট ব্রিজের কাছে অবস্থান নিয়েছেন। কারণ, সিত্তের যে নদী রয়েছে, সেগুলোতে এখান দিয়েই যেতে পারেন সাধারণ মানুষ।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X