মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সৌদিতে গৃহকর্মী নিয়োগে নতুন নিয়ম
অবিবাহিতদের গৃহকর্মী নিয়োগে নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি আরব। দেশটিতে এ নিয়মের আওতায় অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়সও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  দেশটির সরকারি নিয়মানুসারে, অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়ার আগে তাদের বয়স সর্বনিম্ন ২৪ বছর হতে হবে। এর আগে তারা গৃহকর্মী নিয়োগ দিতে পারবেন না।  সৌদির গৃহকর্মী নিয়োগসংক্রান্ত এক সরকারি পোর্টালে জানানো হয়েছে, গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। এরপর আগ্রহী নিয়োগকর্তার ভিসা ইস্যু করার সক্ষমতা আছে কি না তা যাচাই করা হবে। আগ্রহী নিয়োগকর্তাদের নিজের পেশা ও জাতীয়তা উল্লেখ করে শ্রম মন্ত্রণালয়ের মুসানেদ প্ল্যাটফর্মে জমা দিতে হবে। এ সময় তাদের গৃহকর্মী নিয়োগের কারণও উল্লেখ করতে হবে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগ্রহী নিয়োগকর্তার আবেদনের পর সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এরপর যোগ্য বিবেচিত হলে গৃহকর্মী বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এ সময় নিয়োগের ফিও পরিশোধ করতে হবে।  সৌদি আরবে গাড়িচালক, গৃহপরিচারিকা, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বাবুর্চি, গার্ড, কৃষক, লিভ-ইন নার্স, টিউটর এবং আয়াকে গৃহকর্মীর আওতায় বিবেচনা করা হয়ে থাকে। দেশটিতে গৃহকর্মী নিয়োগের যে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে তার ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায় শ্রম মন্ত্রণালয়।  মুসানেদ নামের ওয়েবসাইটটি সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি পরিষেবা। এর আওতায় নিয়োগকারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য জানানো এবং গৃহকর্মীদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ পরিচালনা করা হয়।  নতুন নিয়ম শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই মুসানেদের মাধ্যমে চুক্তি করতে হবে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে মন্ত্রণালয় জানায়, গৃহকর্মীর জন্য অবশ্যই ২১ বছর বয়স হতে হবে। চুক্তির অধিকার রক্ষায় এ বাধ্যবাধকতা রাখা হয়। দেশটির নতুন নিয়মানুসারে, একজন গৃহকর্মী দিনে ১০ ঘণ্টা কাজ করবেন। এ ছাড়া তাকে তাকে সপ্তাহে একদিন ছুটি দিতে হবে।  মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নতুন নিয়মানুসারে নিয়োগকারী কর্মীর পাসপোর্ট, ব্যক্তিগত কাগজপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র জিম্মায় নিতে পারবেন না। এটিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।   
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গৃহকর্মী আহতের মামলায় আশফাক ও স্ত্রীর অব্যাহতি
বাসা থেকে পড়ে শিশু গৃহকর্মী ফেরদৌসী আহতের ঘটনায় করা মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবীর আদালত মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে তারা এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ছয় মাস আগে বাসা থেকে ফেরদৌসী পড়ে আহত হওয়ার ঘটনায় তার মা জোছনা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় সৈয়দ আশফাকুল হক, তানিয়া খন্দকার ও আসমা আক্তার শিল্পী নামে এক নারীকে আসামি করা হয়। মা জোছনা বেগম মামলার অভিযোগে বলেন, আমার বড় মেয়ে ফারজানাও ৩নং আসামি আসমা আক্তার শিল্পীর বাসায় আগে কাজ করত। এক মাস আগে সে ওই বাসা থেকে গ্রামে চলে আসে। এরপরই শিল্পী আমার মেজো মেয়ে ফেরদৌসীকে তার বাসায় কাজের কথা বলে নিয়ে যান। পরে ফেরদৌসীকে মোহাম্মদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হক ও তানিয়া খন্দকারের বাসায় কাজ করতে পাঠান শিল্পী। এরপর থেকেই মা জোছনা বেগম যোগাযোগের চেষ্টা করলেও আশফাকুল হক, তানিয়া খন্দকার মেয়ের সঙ্গে তাকে কথা বলতে দেননি। তাকে মারধর করতেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অত্যাচার থেকে বাঁচতে ফেরদৌসী বাসার নিরাপত্তা বেষ্টনীবিহীন জানালা দিয়ে লাফ দেয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দরকার গৃহকর্মীদের 
গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। প্রত্যেক গৃহকর্মীর যেমন দক্ষতা দরকার, তেমনি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দরকার। তাদের দ্রুত শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। ‘সময় এখন গৃহকর্ম ও গৃহকর্মীর সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির, শ্রমিক হিসেবে শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির’ শীর্ষক গৃহকর্মী সুরক্ষা, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজ ও গৃহকর্মী ফোরামের সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর অঞ্চলের গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরামের আয়োজনে কর্মজীবী নারী, সুনীতি প্রকল্পের সহযোগিতায়  ইউসেপ বাংলাদেশের চেইনী হলে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। মিরপুর গৃহশ্রমিক আঞ্চলিক ফোরামের সভাপতি জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা শিরিন আখতার। মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জাহান ই গুলশান ও খালেকুন নাহার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার আব্দুর রহমান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রমিক পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) ইফ্ফাত আরা, মিরপুর শাহআলী থানার ইনভেস্টিগেশন ইন্সপেক্টর মো. মাসুদুর রহমান, মিরপুর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাজ্জাদ হোসাইন ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিখা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি এবং শ্রম আইন সংশোধন কমিটির শ্রমিক পক্ষের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন। আরও উপস্থিত ছিলেন রাড্ডা এফপিএইচর ডিরেক্টর মো. ইকবাল হোসাইন, ইউসেপ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মো. মাসুদ রানা, ডেপুটি প্রোগ্রাম অফিসার জুয়েল চন্দ্র সরকার, দুস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান, অক্সফাম বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক তারেক আজিজ, প্রোগ্রাম অফিসার সামিহা আজিম ও কনসালটেন্ট রাজশ্রী গায়েন। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা ও খিলগাঁও গৃহশ্রমিক আঞ্চলিক ফোরামের নেতারা, বাঁউনিয়াবাদ হাউজিং সোসাইটির সদস্যবৃন্দ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিরপুর গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা বেগম এবং কর্মজীবী নারীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফারহানা আফরিন তিথি। শিরিন আখতার বলেন, গৃহকর্মীদের অধিকার আদায়ে লড়াইটা জরুরি। অন্যদিকে সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে সকলের সংগঠিত হওয়া জরুরি। এখানে স্থানীয় সরকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। তারেক আজিজের মতে, গৃহকর্মীদের নাম ধরে ডাকা হয় না। তাদের নাম ধরে ডাকার মাধ্যমে যে একজন মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয় এটা আমরা বুঝি না। জাকিয়া সুলতানা বলেন, গৃহকর্মীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণভাবে লড়াইটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। রাজেকুজ্জামান রতন গৃহকর্মীদের রেজিস্ট্রেশন, কাজের স্বীকৃতি, বৃদ্ধ বয়সে পেনশনের দাবি জানান। দুই গৃহকর্মী সালমা বেগম ও সোনিয়া বেগম সাপ্তাহিক ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটির দাবি এবং থানার ফাইলে পড়ে থাকা গৃহকর্মীদের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানান।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গৃহকর্মী প্রীতির মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিতের দাবি বিভিন্ন সংগঠনের
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে গৃহকর্মী প্রীতি উরানের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।  গতকাল রোববার নারীপক্ষ, হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)’র এ বিষয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছে। সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগের কাছে নারীপক্ষ’র দাবি- প্রীতি উরাং-এর মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে দোষী প্রত্যেক ব্যক্তিকে বিচারের সামনে নিয়ে আসা। একজন দোষীও যেন কোনোরকম প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে বা আইনের ফাঁক-ফোকর গলিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।  হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) এ ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধ এবং গৃহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছে। গৃহকর্মী হিসেবে শিশুদের ব্যবহার বন্ধে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। এ নীতির আলোকে গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন করা। গৃহকর্মীদের কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। গৃহকর্মীদের নিবন্ধন জোরদার করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো থেকে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সৌদিতে গৃহকর্মী নিয়ে বড় পরিবর্তন
বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ থেকে গৃহশ্রমিক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা কমাল সৌদি আরব। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দিয়েছে। যেসব দেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগের ফি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব, তার মধ্যে আছে- বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, উগান্ডা, কেনিয়া এবং ইথিওপিয়া। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফিলিপাইন থেকে গৃহশ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৭০০ সৌদি রিয়াল, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৩ হাজার ৮০০, বাংলাদেশ থেকে ১১ হাজার ৭৫০, কেনিয়া থেকে ৯ হাজার, উগান্ডা থেকে ৮ হাজার ৩০০ ও ইথিওপিয়া থেকে গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৯০০ সৌদি রিয়াল দেওয়া যাবে। এছাড়া ফিলিপাইনের নাগরিকদের জন্য ১৪ হাজার ৭০০ থেকে ১৫ হাজার ৯০০, শ্রীলঙ্কার ১৩ হাজার ৮০০ থেকে ১৫ হাজার, কেনিয়ার ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার ৮৭০, উগান্ডার ৮ হাজার ৩০০ থেকে সাড়ে ৯ হাজার, এবং ইথিওপিয়ার ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৬ হাজার ৯০০ সৌদি রিয়াল নির্ধারণ করা হয়েছে। নিয়োগ খাতের পরিবর্তনশীল ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। এ ছাড়াও সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয় পূর্বে লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিয়োগকারী সংস্থা এবং অফিসগুলোকে নির্দিষ্ট কিছু দেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগে ফি’র সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে। সিয়েরা লিওন এবং বুরুন্ডি থেকে গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ছাড়া সাড়ে ৭ হাজার সৌদি রিয়াল। আর থাইল্যান্ডের ক্ষেত্রে তা ১০ হাজার রিয়াল। মন্ত্রণালয় বলছে, এই সিদ্ধান্ত সব ধরনের পরিষেবা, শ্রম বাজারের পরিবেশের উন্নয়ন এবং এর চাহিদা বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের বৃহত্তর লক্ষ্যগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নেওয়া হয়েছে। সূত্র : গালফ নিউজ।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রবাসী গৃহকর্মী নিয়োগে নতুন নিয়ম করল কুয়েত
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কয়েক লাখ প্রবাসী গৃহকর্মী কাজ করেন। ঘরের কাজের সহায়তার উদ্দেশ্যে তাদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন কুয়েতিরা। তবে এ নিয়ে কুয়েতিদের প্রায় সময় নানান জটিলতায় পড়তে হয়। এ নিয়ে নিয়োগ সংস্থা ও নিয়োগকর্তারা মাঝে মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। তাদের এই বিবাদ এড়াতে গৃহকর্মী নিয়োগে নতুন নিয়ম চালু করেছে কুয়েত সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রবাসী গৃহকর্মী নিয়োগ করতে একজন কুয়েতি কত টাকা খরচ করতে পারবেন সেটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রবাসী গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে খরচের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে একটি নির্দেশনা জারি করেছেন কুয়েতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী মোহাম্মদ আল আইবান। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী (১) শেখ তালাল খালেদ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ-এর সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগ কাঠামো অনুসারে, এশিয়ার কোনো দেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগ করতে হলে ৭৫০ এবং আফ্রিকার কোনো দেশের গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য ৫৭৫ কুয়েতি দিনার গুণতে হবে। তবে গৃহকর্মী কোনো কুয়েতি নাগরিকের দেওয়া বিশেষ পাসপোর্টধারী হলে ৩৫০ দিনার খরচ করা যাবে। এ ছাড়া গৃহকর্মীদের ভ্রমণের খরচের বিষয়টি যোগ করা হয়েছে। তবে গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, অনেক সময় গৃহকর্মীরা চুক্তি ভঙ্গ করে। তখন নিয়োগ সংস্থার সঙ্গে নিয়োগকারীর বিরোধের সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নিয়োগকারী যেন তার ন্যায্য ক্ষতিপূরণটা লাভ করেন তা নিশ্চিত করতেই এ নিয়ম করা হয়েছে। বর্তমানে কুয়েতে ৮ লাখ ১১ হাজার ৩০৭ জন প্রবাসী গৃহকর্মী রয়েছেন। এদের বেশিরভাগ ভারত, ফিলিপাইনস, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালের নাগরিক। এ ছাড়া ইথিওপিয়া, বেনিন, ইন্দোনেশিয়া, মালি ও মাদাগাস্কার থেকেও অল্পসংখ্যক গৃহকর্মী দেশটিতে কাজ করেন।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

গৃহকর্মী দম্পতিকে বরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
নববিবাহিত গৃহকর্মী নিদ্রা ও বর এন্ড্রুকে বরণ করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। এর আগে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার উপস্থিতিতে গত মঙ্গলবার তাদের বিয়ে হয়। গতকাল শুক্রবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে ফিরে গণভবনে এ নবদম্পতিকে বরণ করে নেন প্রধানমন্ত্রী। তার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। পরে ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন বিপ্লব বড়ুয়া। এতে লিখেন, ব্রাসেলস থেকে ফিরেছেন গৃহকর্তা। গাড়ি-বারান্দায় মমতায় জড়ানো ফুল নিয়ে উপস্থিত কন্যাসম নিদ্রা ও নতুন বর এন্ড্রু। উপস্থিত অনেকের কাছেই তারা অচেনা, রহস্য অজানা। গৃহকর্তা সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সালাম করালেন। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ঘটনার বর্ণনা করে তিনি আরও লিখেন, দীর্ঘদিনের গৃহকর্মী শেরপুরের মেয়ে নিদ্রা গত ২৪ অক্টোবর জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার উপস্থিতিতে বিয়ে করেছে নেত্রকোনার ছেলে এন্ড্রুকে। আজ বর-কনে যুগলকে গৃহকর্তা, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা আশীর্বাদ করলেন। যেন আটপৌঢ়ে বাঙালি মায়ের প্রকৃত রূপ। তিনি আরও লিখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার কাছে ঘরে-বাইরে সবাই সমান, ব্যক্তিগত বড় কর্তা থেকে বাগানের মালি, নেই কোনো ভেদাভেদ, যার বাড়ির দৃশ্য সম্পর্কে কাজী নজরুল ইসলামের কথাটাই সত্য—যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান, যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিষ্টান, যার বিশ্বাসের বেদিমূলে ‘আমার এ দেশ সব মানুষের, সব মানুষের’। এরপর শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা একটি গানের কথা তুলে ধরে বিপ্লব বড়ুয়া লিখেছেন, ‘নিদ্রা-এন্ড্রুর বরণদৃশ্য দেখে কেবলই মনে হলো, তুমি দেশের তুমি দশের, তুমি আমাদের মতো কেউ… তুমি বাংলাদেশের নেতা। জয়তু শেখ হাসিনা।’
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

গৃহকর্মী দেওয়ার নামে ডিজিটাল প্রতারণা
দেশে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে গৃহকর্মীর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এসব পরিবারের নারী সদস্যরা চাকরি, ব্যবসা বা সন্তানের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ঘরের কাজে সময় দিতে পারেন না। এ কারণে স্থায়ী বা অস্থায়ী গৃহকর্মীর শরণাপন্ন হন তারা। তবে কর্মসংস্থানের বিকল্প ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় ঘরের কাজের জন্য চাহিদা অনুযায়ী কর্মী পাওয়া যায় না। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে গৃহকর্মী সরবরাহের নামে প্রতারণায় মেতে উঠেছে একাধিক চক্র। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে আর্থিক ক্ষতিসহ নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। প্রতারণার শিকার এমন একজন প্রবাসী আবু সালমান। বাবা আর ভাইকে নিয়ে ইতালিতে থাকলেও বয়স্ক মা থাকেন দেশের বাড়ি সিলেটে। চলতি বছরের শুরুতে মাস দুয়েকের জন্য ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। শহরের চৌহাট্টা পয়েন্টে নিজের কসমেটিকসকের দোকানের জন্য একজন নারী কর্মচারী খুঁজছিলেন তিনি। পাশাপাশি বয়স্ক মাকে দেখাশোনার জন্য একজন স্থায়ী কাজের লোক। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে এ ধরনের কিছু পেইজ এবং গ্রুপে যোগ দিয়ে নিয়মিত পোস্ট দিতেন আবু সালমান। নজর রাখতেন অন্যদের পোস্টেও। এভাবে কাজের মানুষের জন্য কয়েক জায়গায় যোগাযোগ হয় ফেসবুক মেসেঞ্জারে এবং মোবাইল ফোনে। সাড়াও পান। যাতায়াত খরচ কিংবা পরিবারকে দিয়ে আসার জন্য অগ্রিম টাকা দাবি করেন কয়েকজন; কিন্তু টাকা নেওয়ার পর তার নম্বর ব্লক করে দেন। একজন তো নারী কর্মচারী দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার সব সীমা অতিক্রম করেন। কাজ করতে আগ্রহী নারীর ভাই পরিচয়ে দেখা করে অগ্রিম বেতন হিসেবে নিয়ে যান ২০ হাজার টাকা। এরপর ওই ব্যক্তির আর সন্ধান পাননি তিনি। এভাবে প্রতারিত হওয়ার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চাননি আবু সালমান। এ বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘আমি তো দেশে থাকি না। আইনের ঝামেলায় যেতে চাইনি। আর এসব ক্ষেত্রে পুলিশ কতটুকু সহায়তা করতে পারবে, সেটাও অনিশ্চিত ছিলাম। পরে আমি অন্যভাবে কাজের মানুষ জোগাড় করেছি।’ স্বর্ণা চৌধুরী নামে এক কর্মজীবী নারীও পড়েছেন এমন ফাঁদে। রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাসিন্দা নতুন মা হওয়া এ নারী চাকরি করেন প্রাইভেট ব্যাংকে। তার প্রয়োজনীয়তার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছেন কমপক্ষে তিনজন। তিনি বলেন, ‘আমি একরকম অসহায় অবস্থায় ছিলাম। নতুন মা হওয়ার পর বাচ্চা, সংসার এবং চাকরি নিয়ে এক অথৈ সাগরে পড়েছিলাম। এ অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে অনলাইনে প্রতারণা করা হয়েছে।’ শুধু গৃহকর্মী নয়, অফিস সহকারী কিংবা নার্সিংয়ের কাজ দেওয়া হবে বলেও এসব গ্রুপে পোস্ট দেওয়া হয়। গাজীপুরের তৌফিক নামে একজন আশার আলো ছদ্মনামে কাজ দেওয়া হবে বলে পোস্ট দেন এমন একটি গ্রুপে। এ প্রতিবেদক নারী পরিচয় দিয়ে কাজের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শুরুতে ছবি এবং বয়স জানতে চাওয়া হয়। এরপর মেসেঞ্জারে কল করতে বলা হয়। তিনি নিজেও ফেসবুক গ্রুপ থেকে কাজ পেয়েছেন দাবি করে ওই ব্যক্তি জানান, একটি মেসে রান্নার ও একটি অফিস সহায়কের কাজ আছে; কিন্তু কিছুক্ষণ কথা বলার পরই ভোল পাল্টায় সে। নিজের আসল পরিচয় দিয়ে জানান, ‘কাউকে ব্যক্তিগতভাবে সময় দিলে এক্সট্রা টাকা দেওয়া হবে।’ এসব গ্রুপের পোস্টের কমেন্ট সেকশনে গেলেই চোখে পড়বে অন্য পেইজের বিজ্ঞাপন এবং দালালদের ফোন নম্বর। তারাও ওত পেতে থাকে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিতে। আবার ওইসব পোস্টের কমেন্টে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রতারিতদের কেউ কেউ। তাদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে প্রতারণার অসংখ্য ঘটনা। কিন্তু এসব গ্রুপে কাজ চেয়ে পেয়েছেন কিংবা কাজের লোক পেয়েছেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ফাঁদে ফেলে টাকা-পয়সা নেওয়ার জন্যই মূলত গ্রুপগুলো খোলা। শ্যামলী হালদার নামে এক তরুণী কাজ চেয়ে পোস্ট করেন একটি গ্রুপে; কিন্তু কাজ তো পাননি উল্টো অনেকেই কল করে আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়েছে তাকে। এই প্রতিবেদক তাকে মেসেঞ্জারে নক দিলে প্রথমে সংকোচে কথা বলতে চাননি। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে জানিয়েছেন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (উত্তর বিভাগ) ডিসি তারেক আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘সাইবার জগতে আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। অনলাইনে গৃহকর্মী খুঁজতে গিয়ে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন—এমন কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। তবে কেউ যদি এমন প্রতারণার স্বীকার হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের অবশ্যই বলব আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ এদিকে অনেক নাগরিকের ভাষ্য, অনলাইন পেইজ থেকে কাজের বুয়া পাওয়া যেমন কঠিন, তেমন অনিরাপদও বটে। কারণ, অনেকেই মিথ্যা পরিচয়ে বাসায় কাজ নিতে পারে। তারপর যে কোনো অঘটন ঘটিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেতে পারে। চুরি করে সর্বস্ব নিয়ে উধাও আবার অনেক সময় গৃহকর্তা বা কর্ত্রীকে খুন করে পালানোর ঘটনাও ঘটেছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে হ্যান্ডিমামা, সেবা এক্সওয়াইজেডসহ কিছু অনলাইন অ্যাপস দিচ্ছে ভালো সুযোগ-সুবিধা। এসব অনলাইন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা ব্যক্তিরা জানান, সরাসরি গৃহকর্মী নিয়োগ না দিলেও বাসা বদল, ঘর পরিষ্কার করাসহ বিভিন্ন কাজে চুক্তিভিত্তিক হিসেবে কর্মী সরবরাহ করে থাকেন তারা। সার্বক্ষণিক একজন মানুষ নিয়োগ দেওয়াটা আসলে কঠিন। কারণ, একেকজনের চাহিদা এবং স্বভাব একেকরকম। অনেকেই খাপ খাওয়াতে পারে না। তাই চুক্তিভিত্তিক কাজের মানুষ দেওয়া হয়। এতে প্রতারণার কোনো সুযোগ থাকে না। তবে গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নাগরিকদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এর মধ্যে অন্যতম হলো, নিয়োগের আগে জাতীয় পরিচয়পত্র, সদ্য তোলা রঙিন ছবি, শনাক্তকারী ব্যক্তি, ব্যক্তির পরিচয় ও তার জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়া। এসব তথ্য নিকটস্থ থানায় দেওয়া এবং নিজের কাছে রাখা। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার কে এন রায় নিয়তি কালবেলাকে বলেন, ‘গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়ার আগে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে অপরিচিত কাউকে বাসায় না রাখাই ভালো। কাউকে নিয়োগ দিলে তার সব তথ্য নেওয়ার পর ডিএমপি নির্ধারিত তথ্য ফরম পূরণ করে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গৃহকর্মী হত্যায় গ্রেপ্তার সেই গৃহকর্ত্রী
রাজধানীর কলাবাগানের শিশু গৃহকর্মী হেনা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী সাথী আক্তার পারভীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার ঢাকার পুলিশ যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে এ তথ্য মিলেছে। গত ২৫ আগস্ট রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে একটি তালাবদ্ধ ফ্ল্যাট থেকে ওই গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময়ে গৃহকর্ত্রী পারভীন পলাতক ছিলেন। শুরুতে পরিচয় না মিললেও পরে জানা যায়, ১০ বছর বয়সী ওই গৃহকর্মীর নাম হেনা। বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। বাবা-মা না থাকায় ফুপুর কাছে বড় হয়েছে শিশুটি। নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, অভিযুক্ত পারভীন শিশুটিকে হত্যার পর পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তারে টানা অভিযান চালায় পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় যশোরে তার অবস্থান শনাক্ত করে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পারভীন যশোরে তার দ্বিতীয় স্বামীর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে শিশুটিকে তিনি কেন, কীভাবে হত্যা করেছে।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গৃহকর্মী নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, বেতন ২ লাখ ৮৪ হাজার
সম্প্রতি গৃহকর্মী নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। রয়টার্স জানায়, একটি পাইলট প্রোগ্রামের আওতায় প্রথমে ১০০ জন গৃহকর্মী নেবে দেশটি।  দেশটির জনসংখ্যা বাড়াতে নাগরিকদের যেন ঘরের কাজে বেশি সময় না দিতে হয় সে কারণে এই প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছে।  আগামী ডিসেম্বর থেকে গৃহকর্মীদের এ নিয়োগ শুরু হবে। বাংলাদেশি টাকায় এ গৃহকর্মীদের বেতন হবে প্রায় ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯০০ টাকা।   মূলত জন্মহারের পতন এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ার কারণে কর্মী সংকটে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দীর্ঘমেয়াদি এই সংকট হ্রাসের সবচেয়ে কার্যকর পন্থা জন্মহার বৃদ্ধি।  সরকারি নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, কর্মজীবী নারীদের সহায়তা করতে পারেন গৃহকর্মীরা। বাসায় সার্বক্ষণিক গৃহকর্মী থাকলে সন্তান লালনপালন ও কর্মসংস্থান- উভয় চালিয়ে নেওয়া নারীদের জন্যও সুবিধাজনক হবে।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X