গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। প্রত্যেক গৃহকর্মীর যেমন দক্ষতা দরকার, তেমনি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দরকার। তাদের দ্রুত শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
‘সময় এখন গৃহকর্ম ও গৃহকর্মীর সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির, শ্রমিক হিসেবে শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির’ শীর্ষক গৃহকর্মী সুরক্ষা, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজ ও গৃহকর্মী ফোরামের সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর অঞ্চলের গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরামের আয়োজনে কর্মজীবী নারী, সুনীতি প্রকল্পের সহযোগিতায় ইউসেপ বাংলাদেশের চেইনী হলে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
মিরপুর গৃহশ্রমিক আঞ্চলিক ফোরামের সভাপতি জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা শিরিন আখতার। মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জাহান ই গুলশান ও খালেকুন নাহার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার আব্দুর রহমান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রমিক পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) ইফ্ফাত আরা, মিরপুর শাহআলী থানার ইনভেস্টিগেশন ইন্সপেক্টর মো. মাসুদুর রহমান, মিরপুর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাজ্জাদ হোসাইন ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিখা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি এবং শ্রম আইন সংশোধন কমিটির শ্রমিক পক্ষের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন।
আরও উপস্থিত ছিলেন রাড্ডা এফপিএইচর ডিরেক্টর মো. ইকবাল হোসাইন, ইউসেপ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মো. মাসুদ রানা, ডেপুটি প্রোগ্রাম অফিসার জুয়েল চন্দ্র সরকার, দুস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান, অক্সফাম বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক তারেক আজিজ, প্রোগ্রাম অফিসার সামিহা আজিম ও কনসালটেন্ট রাজশ্রী গায়েন। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা ও খিলগাঁও গৃহশ্রমিক আঞ্চলিক ফোরামের নেতারা, বাঁউনিয়াবাদ হাউজিং সোসাইটির সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিরপুর গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা বেগম এবং কর্মজীবী নারীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফারহানা আফরিন তিথি।
শিরিন আখতার বলেন, গৃহকর্মীদের অধিকার আদায়ে লড়াইটা জরুরি। অন্যদিকে সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে সকলের সংগঠিত হওয়া জরুরি। এখানে স্থানীয় সরকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
তারেক আজিজের মতে, গৃহকর্মীদের নাম ধরে ডাকা হয় না। তাদের নাম ধরে ডাকার মাধ্যমে যে একজন মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয় এটা আমরা বুঝি না।
জাকিয়া সুলতানা বলেন, গৃহকর্মীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণভাবে লড়াইটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
রাজেকুজ্জামান রতন গৃহকর্মীদের রেজিস্ট্রেশন, কাজের স্বীকৃতি, বৃদ্ধ বয়সে পেনশনের দাবি জানান।
দুই গৃহকর্মী সালমা বেগম ও সোনিয়া বেগম সাপ্তাহিক ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটির দাবি এবং থানার ফাইলে পড়ে থাকা গৃহকর্মীদের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানান।
মন্তব্য করুন