মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পদক চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সোমবার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ পদক চালুর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ড গঠন করা হবে। সেই সঙ্গে একটি নীতিমালাও করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রতি দুই বছর পরপর ১৭ মার্চ পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি ২৩ মে পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ১ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণের আর্থিক পুরস্কারের সঙ্গে ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ পদক পাবেন। তিনি আরও বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান, মানবাধিকার, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যবিমোচনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৫ সাল থেকে প্রতি দুই বছর পরপর সম্মানজনক এই পদক দেওয়া হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশের নাগরিক, কোনো দেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, সমাজসেবক, রাজনীতিক এ পদকের জন্য বিবেচিত হতে পারেন। এ ছাড়াও নোবেল বিজয়ী ও বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাসের প্রধানরা সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য নাম প্রস্তাব করতে পারবেন।  
৮ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশ ব্যাংকে কি তাহলে মাফিয়া মাস্তান ঢুকবে
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লি—এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কি একেবারে রেস্ট্রিক্টেড ক্যান্টনমেন্ট? ক্যান্টনমেন্টেও তো যদি বৈধ মানুষ যেতে চায়, তাদের তো কোনো অসুবিধা হয় না। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তো জনগণের আমানত রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান। এটা তো সব সময় অ্যাকাউন্টিবিলিটির মধ্যে থাকবে, এখানে সাংবাদিকরা তো যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকে যদি সাংবাদিকরা ঢুকতে না পারে, তাহলে কি মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে? সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকবে কেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রিজভী। ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। গতকাল বিএনপির কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তাদের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
২২ ঘণ্টা আগে

সার নিয়ে বিপদে বিসিআইসি
গ্যাস সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়া সার উৎপাদন করতে পারছে না বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন পাঁচটি ইউরিয়া সার কারখানার মধ্যে চারটিই গ্যাসের অভাবে বন্ধ। সেপ্টেম্বরের আগে পর্যাপ্ত গ্যাস দিতে পারবে না পেট্রোবাংলা। এ অবস্থায় আগামী জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মাঝারি চাহিদার মৌসুমে (মিনি পিক সিজন) এবং নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সর্বোচ্চ চাহিদার মৌসুমে (পিক সিজন) সার সরবরাহে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সার উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে এ মুহূর্তে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। সে কারণে দামও তুলনামূলক অনেক কম। কিন্তু দেশে ডলার সংকটের কারণে বিসিআইসি এখন ইউরিয়া আমদানি করতে পারছে না। আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাঝারি চাহিদার মৌসুমে প্রায় ৭ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়ার প্রয়োজন। বিসিআইসির হাতে আছে মাত্র ৪ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। বাকি সার এরই মধ্যে আমদানি করতে হবে। তবে সময়মতো সার আমদানি করা যাবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ নিয়ে বিসিআইসির কর্মকর্তারা কিছুটা উদ্বেগের মধ্যে আছেন। আবার সর্বোচ্চ চাহিদার সময় (নভেম্বর-মার্চ) সার আমদানি করতে হবে বেশি দামে। তবে ডলারের পর্যাপ্ত জোগানের ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। সরকার ডলার না দিতে পারলে আমদানিও বন্ধ থাকতে পারে। বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘কারখানা বন্ধ ও সার সংকট হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখেছি। মন্ত্রণালয় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছে। যমুনা, আশুগঞ্জ ও শাহজালাল ফার্টিলাইজার চালুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। গ্যাস পেলে এগুলো উৎপাদনে যাবে।’ কবে নাগাদ গ্যাস সরবরাহ করা হতে পারে—সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান কালবেলাকে বলেন, ‘সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু করা হচ্ছে। এখন বিদ্যুতের পিক সিজন। তাই বিদ্যুতে বেশি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। আগস্টের শেষ পর্যন্ত এই সরবরাহ করা হবে। সেপ্টেম্বরে গিয়ে সারে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হবে।’ বন্ধ যে চার কারখানা: চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার, শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড এবং আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডে বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কারখানা বন্ধ রেখে দ্বিগুণ দামে আমদানি: দেশের কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় প্রায় দ্বিগুণ দামে ইউরিয়া আমদানি করতে হয় সরকারকে। দেশে উৎপাদিত ইউরিয়া টনপ্রতি উৎপাদন খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আর বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায়। ফলে আমদানি বাবদ প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে সরকারকে। সব কারখানায় উৎপাদন সচল রাখা সম্ভব হলে সার আমদানির প্রয়োজন হতো না। সরকারকেও প্রতি বছর এ খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হতো না। কর্মকর্তারা জানান, আমদানিকৃত ইউরিয়া দেশে উৎপাদিত ইউরিয়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দাম। মানেও বাংলাদেশের ইউরিয়া বিশ্বসেরা। কিন্তু কারখানা বন্ধ রাখার ফলে দেশের চেয়ে তুলনামূলক নিম্নমানের ইউরিয়া বেশি দামে আমদানি করতে হয়। দিন দিন আমদানিনির্ভরতা বাড়ছে। অথচ দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখা গেলে সারে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। আমদানি শূন্যের কোটায় নামানো গেলে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকার অপচয় ঠেকানো সম্ভব। চাহিদা ২৭ লাখ মেট্রিক টন: দেশে কৃষি উৎপাদনের জন্য প্রতি বছর ২৭ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়। এই সারের পুরোটাই বিসিআইসি সরবরাহ করে। তাদের মালিকানাধীন পাঁচটি কারখানায় যা উৎপাদিত হয়, বাকি ইউরিয়া বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সৌদি আরব, কাতার ও দুবাই থেকে এ সার আমদানি করে বিসিআইসি। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বিসিআইসির কাছে ইউরিয়ার মজুত আছে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন। এর মধ্যে গুদামে আছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ২২০ মেট্রিক টন। পাইপলাইনে আছে ১১ হাজার ৩১৬ মেট্রিক টন। জিপিইউএফপিতে মজুত আছে ৬০ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন। নিয়মিত উৎপাদন সচল রাখতে না পারলে আমদানিনির্ভরতায় এ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। জানা গেছে, আগামী পিক সিজনের জন্য ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সভা থেকে বিসিআইসিকে এ টার্গেট দেওয়া হয়। সরকারের বিসিআইসির ১৩ হাজার কোটি টাকা: বিসিআইসির কর্মকর্তাদের ভাষ্য, আমদানি ও দেশে উৎপাদিত ইউরিয়ার ভর্তুকি বাবদ সরকারের কাছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা পাবে বিসিআইসি। সরকার এ টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। অর্থ বিভাগ এ টাকা পরিশোধের কোনো উদ্যোগও নিচ্ছে না। ফলে এক ধরনের অচলাবস্থার দিকেই এগোচ্ছে বিসিআইসি। বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা পাওনা পরিশোধে অর্থ বিভাগকে বারবার তাগিদ দিচ্ছি। কিন্তু টাকা পাচ্ছি না।’ পেট্রোবাংলার পাওনা ২৩০০ কোটি টাকা: বিসিআইসির পাঁচটি সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বাবদ ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা)। সামর্থ্যের অভাবে এ টাকা দিতে পারছে না বিসিআইসি। তাদের ভাষ্য, সরকারের কাছে ভর্তুকির ১৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। সেখান থেকে টাকা পাওয়া গেলে তারা পেট্রোবাংলার পাওনা পরিশোধ করতে পারবে। পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান কালবেলাকে বলেন, ‘সার কারখানাগুলোতে গ্যাসের প্রচুর টাকা বকেয়া রয়েছে। এ বিষয়ে বারবার তাগাদা দিয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না।’ প্রতি কারখানায় মাসে খরচ ১২ কোটি টাকা: বন্ধ থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে একেকটি কারখানায় ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। তা ছাড়া কারখানা দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হলে যন্ত্রপাতিতে নানা ত্রুটি দেখা দেয়। কারখানা চালুর আগে এসব যন্ত্র মেরামতের জন্য অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়। অর্থাৎ কারখানা বন্ধ রাখা হলে নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি হয়। নিজেদের কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকার পাশাপাশি আমদানিতে অনিশ্চয়তা না কাটায় এবার সার নিয়ে বিসিআইসি কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
২২ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশ ব্যাংকে কি তাহলে মাফিয়া-ঋণখেলাপিরা ঢুকবে, প্রশ্ন রিজভীর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কি একেবারে রেস্ট্রিক্টেড ক্যান্টনমেন্ট? ক্যান্টনমেন্টেও তো যদি বৈধ মানুষ যেতে চায়, তাদের তো কোনো অসুবিধা হয় না। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তো জনগণের আমানত রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান। এটা তো সব সময় অ্যাকাউন্টিবিলিটির মধ্যে থাকবে, এখানে সাংবাদিকরা তো যেতে পারে। সাংবাদিকরা তো দুবাইয়ে বাড়ি করেনি, তারা কেউ মালয়েশিয়া-কানাডায় বাড়ি করেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকে যদি সাংবাদিকরা ঢুকতে না পারে, তাহলে কি মাফিয়া, মাস্তান, ঋণখেলাপিরা ঢুকবে? সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকবে কেন?- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রশ্নের জবাবে রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রিজভী। দেশের অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন ‘কৃষ্ণ নারীর মুখে লিপিস্টিক দেওয়ার মতো। প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে, এখন তলানির দিকে আসছে। বৈদেশিক রিজার্ভে ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে সরকারের হাতে। যারা সচেতন জনগণ, বিজ্ঞ মানুষ- তারা বলছেন তা নয়, আসলে ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার চলে যাবে। ডলার তো তলানিতেই। রিজভী বলেন, আমরা একটা শূন্য গহ্বরের ভেতরে যেন বসবাস করছি। আমাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। কীসের ওপর দাঁড়িয়ে আছি- তা নিজেরাই বলতে পারব না। শুধু ব্যাংক থেকেই ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না, এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে- এটা ভাবা যায়, এটা কল্পনা করা যায়- ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক খাত থেকে লোপাট হয়ে গেছে।   তিনি বলেন, আজকে ঋণখেলাপি এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলছে যে, এদের ৯০ শতাংশ হচ্ছে ক্ষমতাঘনিষ্ঠ লোকেরা। ২০২২ সালে ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। একটি দেশের উন্নয়ন মানে তো সবদিক থেকে উন্নতি। আমাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল, ব্যাংকগুলো ভায়াবেল, আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম উৎকর্ষতা লাভ করছি- এমন তো না। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের জন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা জনগণের কাছে যাচ্ছেন, আহ্বান জানাচ্ছেন, লিফলেট বিতরণ করছেন। বর্জনের যে প্রস্তুতি সেটা সমান তালে চলছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই ভোট বর্জনের যে আহ্বান জানিয়েছেন, সেটাও ব্যাপকভাবে সাড়া পেয়েছে। মানুষ মনে করে, এই ডামি সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া, সত্য ও ন্যায়ের বিরুদ্ধে যাওয়া। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনও জনগণ বর্জন করবে।  অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান মাশুক, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১৯ মে, ২০২৪

ক্রিকেটে এখনো যে আক্ষেপ রয়ে গেছে মোস্তাফিজের
২০১৫ সালে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকেই জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার ঝুলিতে। খেলেছেন আইপিএলের মতো বিশ্বখ্যাত ফ্রাঞ্চাইজি লিগেও। আইপিএলে শিরোপার স্বাদ পেলেও জাতীয় দলের হয়ে এখনো সেই স্বাদ পাওয়া হয়নি ফিজের। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিসিবিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই আক্ষেপের কথাই জানালেন কাটার মাস্টার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ ও বিশ্বকাপ খেলতে বর্তমানে বাংলাদেশ দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশ ছাড়ার আগে বিসিবির রেকর্ড করা ভিডিওতে নিজেদের চাওয়া-পাওয়া, বিশ্বকাপ নিয়ে প্রত্যাশার কথা বলেছেন ক্রিকেটাররা। সেই ধারাবাহিকতায় আজকের পর্বে মোস্তাফিজ জানালেন বিশ্বকাপ নিয়ে তার চাওয়ার কথা। সাক্ষাৎকারের শুরুতেই মোস্তাফিজ জানালেন, ‘দেশের হয়ে খেলা তো গৌরবের বিষয়। দেশের পতাকা যেখানেই থাকে, সেখানে যে কারোরই খেলতে পারা ভালো লাগবেই স্বাভাবিক। আমি সবসময় উপভোগ করি দেশের হয়ে খেলাটা। আরও ভালো লাগার বিষয় হলো টি-টোয়েন্টি। কারণ এই ফরম্যাটটা বেশ প্রেসারের, এই কারণে ভালো লাগে আমার। প্রেসারটা অনেক এনজয় করি।’ তবে ইনজয় করলেও জানালেন বাংলাদেশ নিয়ে আক্ষেপের কথা। মোস্তাফিজ বলেন, ‘যখন কেউ বড় ট্রফি বা টুর্নামেন্টে জিতে, তাকে বড় প্লেয়ার হিসেবে অভিহিত করা হয়। ক্যারিয়ারে অনেক কিছু পেলেও সেই আক্ষেপটা আমার রয়ে গেছে। আসলে ভালো করার কোনো শেষ নেই, চেষ্টা করব পেছনে (অতীতে) যা করছি, তার চেয়েও যেন আরও ভালো করতে পারি।” আইপিএলে তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে পারার সুবাদে আসরটিকে শেখার দারুণ মঞ্চ বলে মনে করা হয়। সেখান থেকে নিজের অর্জিত জ্ঞান সতীর্থদের মাঝেও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানালেন ফিজ, ‘আমাদের যে পেস বোলাররা আছে যেমন : তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন, হাসান; আমি যতটুকু শিখছি সেগুলো ওদের সঙ্গে শেয়ার করব। তাতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।’ এ ছাড়াও যে ডাক নামে সবাই তাকে চিনে সেই ফিজ নামটা কীভাবে এলো সেটিও জানান ভিডিওতে, ‘আমাদের যে বোর্ডটা আছে ফিল্ডিং সেশন বা বোলিং সেশনে সবার নাম থাকে যেখানে, সেখানে আমার নাম পুরোটা লিখলে অনেক বড় হয়ে যায়। এজন্য দেখি ফিজ দিয়ে (লেখা), প্রথমদিন আমি বুঝিনি যে এটা কে। পরে বলছে এটা তুমি। তারপর আমি আইপিএলে খেলতে গেছিলাম ২০১৬-তে, ওখানেও ফিজটা পপুলার হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে আসলে চলছে।’ মোস্তাফিজ টাইগারদের হয়ে ৯৩টি টি-টোয়েন্টিতে ৭.৫৭ ইকোনমিতে ১১০ উইকেট নিয়েছেন। জুনের ২ তারিখ থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো পারফর্মের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে মোস্তাফিজকেই।
১৯ মে, ২০২৪

গয়েশ্বর রায়ের প্রশ্ন / বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের দেশের টাকা হ্যাক হয়ে যায়, কিন্তু দেশের মানুষ জানে না। পাশের দেশে খবর প্রকাশের পর জানতে হচ্ছে। তবে টাকা যে হ্যাক হয়েছে, সেটি তাদের চেহারা দেখলেই বোঝা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লি? সেখানে সাংবাদিকদের কেন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না? গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জিয়া মঞ্চের ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা ক্লান্ত, কিন্তু হতাশ নন। আমরা অপেক্ষায় আছি। দেশের স্বার্থে আরও লড়াই করতে হবে। তিনি বলেন, আজ আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দেয়। এই সংবিধানে কি লেখা আছে—বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ করা, লুটেপুটে দেশটাকে ধ্বংস করার কথা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও জিয়া মঞ্চের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
১৯ মে, ২০২৪

বাজারে টাকার সরবরাহে ফের লাগাম টানা হচ্ছে
বাজারে টাকার সরবরাহ অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা ব্যাংকের বাইরে চলে এসেছে। এই টাকা এখন বাজার অর্থনীতিতে ব্যাপক মাত্রার মুদ্রাস্ফীতি তৈরি করছে। মুদ্রাস্ফীতি হলো দেশের এমন একটি পরিস্থিতি, যেখানে সীমিত পণ্য ও সেবা প্রাপ্তির পেছনে মানুষকে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হয়। ফলে দেশ ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতির কবলে পড়ে, যা সামষ্টিক অর্থনীতির সার্বিক ভারসাম্য নষ্ট করার পাশাপাশি সাধারণের দুর্ভোগ বাড়ায় ও জনজীবন বিষিয়ে তোলে। এই বাস্তবতায় আসন্ন বাজেটে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চলেছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে। এজন্য বাজেটীয় উদ্যোগে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর ব্যয় বৃদ্ধির বাইরে সরাসরি পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাংকের বাইরে টাকার সরবরাহে যতটা সম্ভব লাগাম টানা হবে। বাজেট-পরবর্তী জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে ঘোষিতব্য মুদ্রানীতির মাধ্যমে এই লক্ষ্যের বাস্তবায়ন ঘটানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ বাজার অর্থনীতিতে একদিকে টাকার অবাধ প্রবাহের রাশ টেনে ধরবে, অন্যদিকে ইতোমধ্যে বাজারে সৃষ্ট ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি দমনেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছর মার্চে (২০২৩) দেশে ব্রড মানির (এম-২) পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। চলতি বছর মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮২ কোটি টাকার মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে। তার আগে ২০২২ সালের মার্চে দেশে ব্রড মানির (এম-২) পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। এর মানে হলো ব্যাংকের বিভিন্ন মেয়াদি আমানতের বড় অংশ মেয়াদোত্তীর্ণের পর উত্তোলনের মাধ্যমে বাজারে চলে এসেছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও ব্যাংকের বাইরে টাকা যাওয়ার অবাধ প্রবাহে রাশ টেনে ধরার পদক্ষেপ রয়েছে। যার আওতায় এরই মধ্যে বাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার বিক্রির মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তুলে নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ টানা হয়েছে বিভিন্ন সময় বিল-বন্ড বিক্রির মাধ্যমে। কিন্তু একই সময়ের ব্যবধানে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা ব্যাংকের বাইরে চলে এসেছে। এই বাস্তবতায় সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরও এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ডলার বিক্রির হার সামান্য কমিয়ে বিল-বন্ড বিক্রির হার বাড়ানোর পরিকল্পনা রাখা হচ্ছে। বেসরকারি আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যে কৌশলগুলো প্রয়োগ করতে চায়, সময়ের চাহিদা বিবেচনায় সেগুলো সঠিকই আছে। তবে আমি মনে করি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেয়ে নির্দিষ্ট মাত্রায় স্থির রাখার চেষ্টা আরও বেশি জরুরি। যাতে মানুষ কষ্ট না পায়। এজন্য রিজার্ভ বাড়ানোর ওপরই বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। একই সঙ্গে সরকারের বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটিও দূর করতে হবে। বিশেষ করে কেন মূল্যস্ফীতি বেশি হচ্ছে, তার কারণ আগে জানতে হবে। তার ওপর ভিত্তি করে করণীয় ঠিক করতে হবে। বাজার ব্যবস্থা ও মুদ্রানীতির মাধ্যমে এ কৌশলগুলো কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি। এদিকে প্রায় দেড় বছর ধরে লাগাতার ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতিতে আক্রান্ত দেশ। খোদ সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যই বলছে, গত এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই যখন বাস্তবতা, তখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচির শর্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এবং ব্যাংক ঋণের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ডলারের দাম এখন এক লাফে ৭ টাকা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে ঋণের সুদহারও। বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা কেটে যাওয়ার জোরালো আভাস না থাকায় দেশে ক্রমবর্ধমান ডলারের দর ও সুদের হার সামনে আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতির চাপ আগামী অর্থবছরও বজায় থাকবে বলে মনে করছেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এজন্য আগামী অর্থবছর ঘোষিত মুদ্রানীতির মাধ্যমে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। একইভাবে ঋণের সুদ ও ডলারের দর বাজারভিত্তিক হওয়ায় ব্যাংকের আমানতের সুদহারও বাড়বে। পাশাপাশি ব্যাংকে গ্রাহকের যেসব মেয়াদি আমানতের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেই আমানত পুনরায় বিনিয়োগে মুদ্রানীতির মাধ্যমে উৎসাহ জোগানো হবে। সেখানে সুদহারের বাইরে আগামী এক থেকে তিন বছর ওই অর্থ পুনরায় বিনিয়োগের জন্য প্রণোদনা রাখার বিষয়টি জোরালো ভাবনায় রয়েছে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য কৌশলের অংশ হিসেবে পণ্যের আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি রুখবে সরকার। এটাও করা হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও সক্রিয় করার মাধ্যমে। অর্থাৎ ব্যাংক কর্মকর্তা ও আমদানিকারকদের অশুভ আঁতাত করতে দেওয়া হবে না। ফলে ওভার ইনভয়েসিং করার বা চালানপত্রে পণ্যের দাম বেশি দেখানোর সুযোগ থাকবে না। এ প্রক্রিয়ায় অসাধু আমদানিকারকদের বিদেশে অর্থ পাচারের সুযোগও কমে আসবে। বাজারে পণ্য সেবার সরবরাহ বৃদ্ধি করবে সরকার। এজন্য ব্যাংকগুলোতে এলসি বা ঋণপত্রের অর্থ পরিশোধের সময়সীমা বর্তমান সময়ের তুলনায় আরও কমিয়ে আনা হবে, যাতে আমদানিকারকরা মজুতের সময় না পায় এবং আমদানিকৃত পণ্যদ্রব্য দ্রুত বাজারে চলে যায়। এ প্রক্রিয়ায় প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বাজারে ছাড়ার সুযোগও কমে আসবে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য সরকার বাজেটারি পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষি খাতে সার, বীজ, সেচ ও যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ নীতিমালার সম্প্রসারণ ঘটিয়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণও বাড়ানো হবে। প্রকৃত কৃষকদের হাতে ঋণ পৌঁছানো নিশ্চিত করা হবে। অন্যদিকে সামাজিক সুরক্ষার আওতাও বৃদ্ধি করা হবে। বিশেষ করে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ) আওতা এবং ভর্তুকি মূল্যের কার্যক্রমে বাজেটে ভর্তুকি বরাদ্দ বাড়ানো হবে। একই উদ্দেশ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, টিসিবি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ, প্রতিযোগিতা কমিশনকে এসব ক্ষেত্রে করণীয় সব ধরনের সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
১৯ মে, ২০২৪

নিউটনের ‘ভয়ংকর’ যৌন নিপীড়নের তথ্য দিল র‍্যাব
বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন র‍্যাব। নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন, অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ, গর্ভবতী হয়ে পড়লে গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজ করেছেন তিনি। তার এ অনৈতিক কাজের সহযোগী ছিলেন আরেক নারী ক্রীড়াবিদ। শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলামের নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের তথ্য তুলে ধরেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি জানান, রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের একজন নারী ক্রীড়াবিদের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন জুজুৎসু (জাপানি মার্শাল আর্ট) খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে কোমলমতি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। সেখানে তিনি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন মনোবৃত্তি চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্ষণ কিংবা কৌশলে ব্ল্যাকমেইল করে অনৈতিক কার্যকলাপ করতেন। কেউ গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাদের গর্ভপাতও করাতেন তিনি। এছাড়া মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করতেন এবং নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন। পরে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে বারবার ধর্ষণ করতেন। র‍্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, এক ভুক্তভোগী মামলায় দায়ের করলে আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করেন। মামলার দ্বিতীয় আসামি নিউটনের সহযোগী নারী ক্রীড়াবিদকে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৯ মে, ২০২৪

জাতীয় আলোকচিত্র পুরস্কার পেলেন ১৩ আলোকচিত্রী 
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, ফটোগ্রাফি এখন বিশ্বব‌্যাপী সমাদৃত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যত ধরনের চারুকলা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় তাতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই ফটোগ্রাফি। শুক্রবার (১৭ মে) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জাতীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিজয়ীদের সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন বরেণ্য ফটোসাংবাদিক এ বি এম রফিকুর রহমান এবং লিয়াকত আলী লাকী। ‘উন্নয়নের বাংলাদেশ, নান্দনিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালে। ১ম পুরস্কার পেয়েছেন মো. রেজওআজয়ানুল হাসান, ২য় হয়েছেন সৈয়দ মেহেদী হাসান এবং ৩য় হয়েছেন আব্দুল গণি। এছাড়াও সম্মান সূচক পুরস্কার পেয়েছেন- শোয়েব ফারুকী, মো. সাইফুল ইসলাম খান, মো. আহনাফ আল ইয়াছির, আজিম খান রনি, উশৈশিং মারমা, লুৎফর রহমান, মো. খোরশেদ আলম, দীপু মালাকার, মোহাম্মদ রুবেল এবং সবুজ হাওলাদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম। এছাড়া বক্তব‌্য দেন একাডেমির সচিব সালাউদ্দিন আহাম্মদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব‌্য দেন বরেণ্য ফটোসাংবাদিক এ বি এম রফিকুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন- এ বি এম রফিকুর রহমান, আবির আবদুল্লাহ, এস এম গোর্কি এবং মনির উজ্জামান। আলোকচিত্র প্রদর্শনী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ২ নম্বর গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়।
১৭ মে, ২০২৪

৩০ ব্যাংকের এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন
দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ৩০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানও তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন। প্রবাসীদের মধ্যে অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট সংক্রান্ত প্রচারের জন্যই তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। ডলার সংকটের মধ্যে একসঙ্গে এত এমডির বিদেশ সফর নিয়ে ব্যাংকিং সেক্টরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। শুক্রবার (১৭ মে) একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ মে নিউইয়র্কে একটি হোটেলে অফশোর ব্যাংকিং বিষয়ে প্রচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের খরচ বহন করবে ব্যাংকগুলো। যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।  বক্তব্য দেবেন- অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মুরশেদুল কবীর, ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই সময়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ব্যাংক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আরও ২৫ ব্যাংকের এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। ব্যাংকগুলোর এমডির বিদেশ যাওয়া-সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক খাতে ডলারের জোগান বাড়াতে বিভিন্ন ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিংকে বিশেষ জোর দিয়েছে। এ জন্য নানা প্রচারও চালাচ্ছে ব্যাংক। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অফশোর ব্যাংকিংয়ের আওতায় ডলার জমায় উদ্বুব্ধ করতে দেশটিতে প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
১৭ মে, ২০২৪
X