পোরশায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নওগাঁর পোরশায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম (৬৩) মারা গেছেন। এ সময় মোটরসাইকেল চালক সাপাহার উপজেলার আলাদিপুর হরিপুর গ্রামের রশিদের ছেলে দাউদ আলী (২৫) আহত হয়েছেন। জানা গেছে, আমিরুল ইসলাম প্রতিদিন দাউদ আলীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পশু চিকিৎসার কাজ করতেন। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে তিনি পশু চিকিৎসার কাজ করে মোটরসাইকেলে নিতপুরের বাসায় ফিরছিলেন। মোটরসাইকেল সুতরইল-নিতপুর সড়কের পোরশা সরকারি কলেজ এলাকায় পৌঁছলে রাস্তার ওপর শিয়ালের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে আমিরুল গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে পোরশা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। অন্যদিকে আহত দাউদকে সাপাহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে

‌মোটরসাই‌কেল কি‌নে বা‌ড়ি ফেরা হ‌লো না হাসাবু‌লের
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার হাট থে‌কে মোটরসাই‌কেল কি‌নে বা‌ড়ি ফিরছিলেন হাসাবুল (২৮) । কিন্তু প‌থে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।  আজ শুক্রবার (৩১ মে) বি‌কে‌লে জেলার দামুড়হুদা উপ‌জেলার উ‌জিরপুর নামকস্থা‌নে এ দুর্ঘটনা ঘ‌টে। ‌নিহত হাসাবুল দামুড়হুদা উপ‌জেলার নাটুহদ ইউ‌নিয়‌নের খ‌লিশাগা‌ড়ি গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছে‌লে। তিনি পেশায় ক‌রিমন চালক ছিলেন। প্রত্যক্ষদ‌র্শী উজিরপুর গ্রা‌মের ইকরামুল হো‌সেন জানান, মোটরসাই‌কেলে করে চ‌ুয়াডাঙ্গা থে‌কে দামুড়হুদার দি‌কে যাওয়ার পথে হাসাবুল উ‌জিরপুর মাদ্রাসার কাছে এক‌টি অ‌টো‌রিকশা ওভার‌টেক কর‌ার চেষ্টা করেন। এ সময় মোটরসাই‌কে‌লের নিয়ন্ত্রণ হা‌রি‌য়ে তিনি সড়‌কে প‌ড়ে গুরুতর আহত হন। পথচা‌রীরা তা‌কে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতা‌লে নি‌লে কর্তব্যরত চি‌কিৎসক তা‌কে মৃত ঘোষণা ক‌রেন। ‌নিহতের বাবা দিনমজুর ইয়াকুব আলী জানান, ছে‌লে হাসাবু‌লের অ‌নেক বছ‌র ধরে মোটরসাই‌কেল কেনার শখ ছিল। পছন্দ মতো মোটরসাই‌কেল কি‌নে বা‌ড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু পথে ছেলে মারা গেছেন।  দামুড়হুদা ম‌ডেল থানার এসআই আসাদ ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, হাসাবুলের মর‌দেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ম‌র্গে রাখা আ‌ছে। প‌রিবা‌রের আ‌বেদ‌নের প্রে‌ক্ষি‌তে এ ব্যাপা‌রে থানায় এক‌টি অপমৃত্যু মামলাসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অটোরিকশার চালকসহ আরও তিনজন।  শুক্রবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার বহুলি ইউনিয়নের আলোকদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন- রায়গঞ্জ উপজেলার হাত পা পাঙ্গাসি গ্রামের যোগেশ সাহার ছেলে মহাদেব সাহা (৬০) ও সদর উপজেলার মুক্তারগাতি গ্রামের আবু তালহার ছেলে আবু উবাইদা (২৪)।  আহতদের মধ্যে নিহত মহাদেব সাহার স্ত্রী ঝরনা রানীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, অটোরিকশাটি সিরাজগঞ্জ শহরের কাঠের পুল থেকে যাত্রী নিয়ে  রায়গঞ্জের দিকে যাচ্ছিল।  রাত সাড়ে ৯টার দিকে অটোরিকশাটি আলোকদিয়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটি চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী নিহত হন। আহত হন অটোরিকশার চালকসহ আরও তিনজন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে নিহত মহাদেব সাহার স্ত্রী  ঝরনা রানীর (৫০) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠান চিকিৎসক।  ওসি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় পুলিশ ট্রাকটিকে ধাওয়া করে। কিন্তু এক পর্যায়ে ট্রাকটি রাস্তার পাশে ফেলে চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
২৩ ঘণ্টা আগে

সড়ক নয়, বাড়ির উঠান
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী-দিনাজপুর-মধ্যপাড়া-রংপুর-বগুড়া সঙ্গে সড়কপথের যোগাযোগের মাধ্যম সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চলছে ধান ও ভুট্টা মাড়াই। মহাসড়কের পাশে রয়েছে সারি সারি খড়ের পালা। আর সড়কজুড়ে শুকানো হচ্ছে ভুট্টা, ধান ও খড়।  শুধু ফুলবাড়ী-মধ্যপাড়া-রংপুর মহাসড়কই নয়, ফুলবাড়ী-দিনাজপুর, ফুলবাড়ী-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কসহ গ্রামীণ সড়কগুলোও এখন ধান ও ভুট্টা মাড়াই এবং শুকানোর কাজে চাতালে পরিণত হয়েছে। জানা গেছে, ২১ মে বিকেলে মহাসড়টির মহেষপুর চৌরাস্তা মোড়ে একটি ট্রাক ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ২৩ মে আয়শার মোড় এলাকায় দুর্ঘটনায় শরিফুল ইসলাম নামের এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও সম্প্রতি সড়কে ভুট্টা শুকানোর কাজ করার সময় এক শিশু দুর্ঘটনায় মারা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর ভুট্টা ও বোরো ধান মৌসুমে (মে-জুন) মহাসড়কটি কৃষকদের দখলে থাকে। এ সময় মহাসড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়ে যায়। গত এক সপ্তাহে অন্তত চারটি দুর্ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও নয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন।  ফুলবাড়ী থেকে মধ্যপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে গত বছরের এই সময়ে দুর্ঘটনায় অন্তত ৭ জন প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। দলদলিয়া ডাঙ্গাপাড়া, মহেষপুর, তেঁতুলিয়া, চিলাপাড়া, ভাগলপুর, ভালকা জয়পুর, মহিষবাতান, রসুলপুরসহ ১০টি গ্রামের কৃষকরা তাদের জমির ধান ও ভুট্টা এই মহাসড়কের ওপর মাড়াই ও শুকানোর কাজ করেন।  সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে খড়ের পালা দেওয়া হয়েছে। অনেকে যন্ত্র দিয়ে মহাসড়কের ওপর ধান মাড়াই করছেন। মাড়াই শেষ হওয়ার পর খড় ও ধান মহাসড়কের ওপর শুকানো হচ্ছে। আর এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট-বড় যানবাহন। উপজেলা খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর নারায়ণপুর গ্রামের ফুলবাড়ী-বিরামপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে দেখা যায়, আঞ্চলিক এ সড়কটি যেন ধান মাড়াইয়ের উঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা পাশেই শ্যালোচালিত ইঞ্জিন দিয়ে মাড়াই করছেন এসব ধান। মাড়াই শেষে অনেকে ধান বাড়ি নিয়ে গেলেও খড় সড়কের ওপরেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছেন শুকানোর জন্য। শুকানোর পর সড়কের পাশেই খড় স্তূপ করে রেখেছেন অনেকে। এ ছাড়া কেউ কেউ ভুট্টাও শুকাচ্ছেন সড়কে। এর মধ্য দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, থ্রিহুইলার, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ট্রাক্টরসহ অন্যান্য যানবাহন। ফুলবাড়ী-বিরামপুর-হাকিমপুর সড়কে চলাচলকারী অটোরিকশাচালক রশিদুল ইসলাম বলেন, ব্যস্ততম এই সড়কজুড়ে ধানমাড়াইয়ের কাজ করায় যানবাহন চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। এদিকে সড়কে যারা ধান মাড়াই বা শুকানোর কাজ করছেন তাদেরও নিরাপত্তা নেই। রহমত আলী ও যোগেশ চন্দ্র রায় নামের পথচারী বলেন, কয়েক দিন আগে সড়কে বিছানো খড়ে পিছলে পড়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক। এ ছাড়াও একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাঁদে পড়েছিল। ব্যস্ততম সড়কগুলোতে ধান-ভুট্টা মাড়াই ও শুকানোর কাজ বন্ধ করা দরকার। জিয়ার মোড় এলাকায় ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজে কর্মরত কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, এখন কেউ আগের মতো বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গা রাখে না। নিরূপায় হয়ে মহাসড়কটি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। ফুলবাড়ী-বিরামপুর সড়কে ধানমাড়াইকারী শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, অল্প সময়ের জন্য রাস্তায় ধান মাড়াই করা হয়। এতে যানবাহনের সাময়িক একটু ক্ষতি হলেও কিছু করার নেই। নিজস্ব চাতাল কিংবা বাড়িতে বিকল্প ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সড়কে এ কাজগুলো করতে হচ্ছে।  ট্রাকচালক আব্বাস উদ্দিন ও মাইক্রো বাসচালক কামাল চৌধুরী বলেন, খড়, ধান ও ভুট্টা শুকানো ও মাড়াইসহ সড়কের দুই পাশে খড় পালা করে রাখার জন্য রাস্তা সরু হয়ে গেছে। এতে সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলে ঘটে বিপত্তি। এ সময় যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের ফুলবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক মানিক বলেন, সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারীদের ঝুঁকি এড়াতে ধান ও ভুট্টা মাড়াই কিংবা খড় শুকানোর কাজ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্‌ তমাল বলেন, সড়ক দখল করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বেআইনি। জনস্বার্থে দ্রুত অভিযান চালিয়ে এসব বন্ধ করা হবে।
৩১ মে, ২০২৪

রিমালের জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত মোরেলগঞ্জের ৩শ কিমি সড়ক
ঘূর্ণিঝড় রিমালের জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৩শ কিলোমিটার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সড়ক বিভাগের প্রায় ১শ ৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।  জলোচ্ছ্বাসে ধসে যাওয়া সড়কগুলোর মধ্যে কার্পেটিং সড়ক ১২০ কিলোমিটার, ইট সোলিং ও হেরিংবন্ড সড়ক ২৮০ কিলোমিটার, ব্রিজের সংযোগ সড়ক ৮টি ও ৩০টি কাঠের পুল। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ৩শ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১শ ৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ১৫দিন থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত মোরেলগঞ্জের ৩শ কিমি সড়ক
ঘূর্ণিঝড় রিমালের জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৩শ কিলোমিটার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সড়ক বিভাগের প্রায় ১৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।  জলোচ্ছ্বাসে ধসে যাওয়া সড়কগুলোর মধ্যে কার্পেটিং সড়ক ১২০ কিলোমিটার, ইট সোলিং ও হেরিংবন্ড সড়ক ২৮০ কিলোমিটার, ব্রিজের সংযোগ সড়ক ৮টি ও ৩০টি কাঠের পুল। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ৩শ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ১৫ দিন থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে।
৩০ মে, ২০২৪

সেতু দেবে বান্দরবানের সঙ্গে ২ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট ভারি বৃষ্টির কারণে বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের লাইমী পাড়া এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি ব্রিজ দেবে গেছে।  এতে বান্দরবান জেলা সদরের সঙ্গে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।  মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে জেলা সদর থেকে যাত্রীবাহী বাসসহ ভারী যানবাহন ছেড়ে যায়নি। স্থানীয়রা জানান, বান্দরবানের মিলনছড়ি পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন পাঁচ কিলো স্থানে বেইলি ব্রিজের গাইড ওয়াল ভেঙ্গে যাওয়ায় তা দেবে যায়। এতে সড়কের ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিবহনের মালিক-শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, সকালে সেতু দেবে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম বলেন, এমনিতে বৃষ্টিতে রুমা ও থানচিমুখী যাত্রী কম। এরকম আবহাওয়ায় পাহাড়ি সড়কে চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ। সব দিক বিবেচনা করে আপাতত যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, সেতু মেরামত করতে সময় বেশি লাগলে দেবে যাওয়া সেতুর দুই পাশ থেকে বাস চালু করা হতে পারে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন জানিয়েছেন, ভারি বৃষ্টিতে সেতুটির এক পাশ দেবে গেছে। ১৯৮০–এর দশকে নির্মিত বেইলি সেতু মেরামতের কাজ শেষ করতে পাঁচ-ছয় দিন সময় লাগতে পারে।
২৮ মে, ২০২৪

অবৈধ মাটির ট্রাক চলাচলে সড়ক ও ফসলি জমি হুমকির মুখে  
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বিভিন্ন ইউনিয়নে দাপট খাটিয়ে ভেকু ও ট্রাক দিয়ে মাটি কাটছে প্রভাবশালীরা। এতে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে পাকা রাস্তা ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ। পাকা রাস্তা দিয়ে কাদামাটি কেয়ারিং করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে মাটি পড়ে নিয়মিত ঘটছে ছোটখাটো সড়ক দুর্ঘটনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষণপুর ইউনিয়ন শপুরা গ্রামের পাকা সড়ক, বিপুলাসর ইউনিয়ন পূর্ব দক্ষিণ সাইকচাইল পাকা সড়ক, সরসপুর  ইউনিয়ন ভাউপুর থেকে চাঁদপুর পাকা সড়ক, বাইশগাঁও ইউনিয়ন হাওরা গ্রাম, মান্দারগাও, কেয়ারি গ্রামসহ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধ শত শত মাটির ট্রাক সড়কে চলাচলে নষ্ট হচ্ছে সরকারের ব্যয়কৃত কোটি টাকার পাকা সড়ক এবং ভেকু দিয়ে মাটি কাটায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হাসান থাকাকালীন উপজেলার সকল ইউনিয়নে ফসলি জমিতে মাটি কাটা বন্ধ ছিল। স্যার বদলি হওয়ার পরে প্রশাসন মাটি কাটার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে যার যার মতো করে প্রতিনিয়ত দিনে ও রাতভর চলছে অবৈধভাবে মাটি কেয়ারিং।   উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ নাসরিন এর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমি সদ্য যোগদান করেছি। যে দায়িত্ব নিয়ে এখানে এসেছি তা যথাযথভাবে পালন করব। মাটি কাটার বিষয়ে শুনেছি। যারা অবৈধভাবে ফসলি জমি ও সড়ক নষ্ট করে মাটি কাটছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  মনোহরগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ আবু মো শাহজাহান কবির জানান, অবৈধভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি কেয়ারিং করে এমন অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
২৮ মে, ২০২৪

ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে রোগী নিহত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক রোগী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাখালী এলাকার ঢাকামুখী লেনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক। নিহত রোগীর নাম গোলাম মোস্তফা (৩৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদরের লক্ষ্মীদাড়ি এলাকার মৃত মোহর আলী মিস্ত্রীর ছেলে। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গাড়ির হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক বলেন, সকালের দিকে বেপরোয়া গতিতে অ্যাম্বুলেন্সটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টো পথে চলে গেলে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সচালক আহত হন। এর আগে কুমিল্লায় কর্মরত অবস্থায় গোলাম মোস্তফা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে একটি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণে সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেকার দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয় এবং মরদেহ থানায় নিয়ে যায়। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৭ মে, ২০২৪

চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আমারগন্ডা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মো. মিলন (৪০) নামের এক ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন।  সোমবার (২৭ মে) সকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এস এম লোকমান হোসাইন। নিহত ট্রাকচালক সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার গরিয়া ডাঙ্গা গ্রামের মৃত আনসার গাজীর ছেলে।  পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর ৪টা ৩০ মিনিটের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা এলাকায় সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ফল বোঝাই পিকআপ  (চঃ -মেঃ -ন -১৪-০৮৯৭) গাড়িটি চলন্ত অবস্থায় সামনে থাকা অজ্ঞাতনামা অপর একটি কাভারভ্যানের পিছনে ধাক্কা দিলে ড্রাইভার মিলন গুরুতর আহত হয়। এ সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় গুরুতর আহত পিকআপ চালক মিলনকে উদ্ধার করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।  মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। নিহত ট্রাকচালকের লাশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত ট্রাকচালক মিলনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  
২৭ মে, ২০২৪
X