অগ্নিসন্ত্রাস দমন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই চ্যালেঞ্জ
অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনই নতুন সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি উৎসাহব্যঞ্জক যে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে অন্য দেশ ও জোটের পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, নির্বাচনে তুলনামূলক কম গন্ডগোল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে। যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিল, অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ভোট বাধাগ্রস্তের চেষ্টা করেছিল, সেই বিএনপি-জামায়াতকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী আংশিক) আসন থেকে আবারও এমপি নির্বাচিত করায় নিজ আসনের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আজ (বুধবার) আমি জাতীয় সংসদে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। ধন্যবাদ জানাই আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি। কয়েকদিনের মধ্যেই সবার সঙ্গে দেখা করার জন্য এলাকায় আসব।’ এর আগে শপথ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের ড. হাছান বলেন, ১৫ বছর দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সব মানুষের সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আগামী পাঁচ বছরও সব মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
১১ জানুয়ারি, ২০২৪

অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন করা নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ হবে : হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নতুন সরকার গঠনের পর চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন করা। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের সরকার নতুন যাত্রা শুরু করবে। নির্বাচনে মানুষ ভোট দেওয়ায় যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিল, অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, সেই বিএনপি-জামায়াতের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করেছে। আমাদের নতুন সরকার গঠন করার পর নতুন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন করা এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা। তিনি আরও বলেন, গত ৭ জানুয়ারির বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। কোনো কোনো জায়গায় ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে। শহরাঞ্চলে কিছু কিছু জায়গায় ভোট কম পড়েছে, কারণ মানুষ তিন দিন ছুটি পেয়েছিল, ছুটি পাওয়ার কারণে মানুষ শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিল। সে কারণে শহরাঞ্চলে ভোট কম পড়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও, সেদিন স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। স্বাধীনতার মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে, যখন জাতির পিতা দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছে। সেই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেসব পর্যবেক্ষক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছিল, বিশেষ করে মার্কিন পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক, অন্য জোটভুক্ত দেশ এবং বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে যারা এসেছিল তারা সবাই এই নির্বাচন সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখে অভিভূত হয়েছে। গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিবৃতি দিয়েছে, সেখানে তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। প্রকৃতপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছে জাপানসহ ৩১ দেশের রাষ্ট্রদূতরা। ভারত-চীন-রাশিয়া প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
১০ জানুয়ারি, ২০২৪

অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা বন্ধের দাবি সুজনের
‘অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি, সকল অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক। শনিবার (৬ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে শুক্রবার বেনাপোল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ নাশকতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সুজন বলছে, রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যেই এ সকল অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার ঘটনা ঘটায় প্রাথমিকভাবে এর দায় চাপছে আন্দোলনকারীদের ওপর। সরকারের পক্ষ থেকেও আন্দোলনকারীদের দায়ী করা হচ্ছে। অপরদিকে আন্দোলনকারীরা এ দায় অস্বীকার করছে এবং সরকারের এজেন্টরা এ সকল ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে দাবি করছে। একইসাথে তারা এ সকল ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছে। সুজন বলছে, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক। ঘটনাগুলো যেই ঘটাক, এটা তাদের হীনমানসিকতার পরিচায়ক। নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকল বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতামূলক বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলেও, এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এ সকল ঘটনাতেও ঘটছে হতাহতের ঘটনা; জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে চরম ভীতি। এছাড়াও শুক্রবার বেশকিছু ভোটকেন্দ্রে অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সকল ঘটনারও তীব্র নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে। একইসাথে ভোটের দিন যাতে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এছাড়া, দেশের কোথাও কোথাও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানের জন্য এবং কোথাও কোথাও নির্বাচন বর্জনকারীদের পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে বা বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্যও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এও বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে যাওয়া বা না যাওয়া ভোটারদের স্বাধীনতা; এই স্বাধীনতায় কাউকে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়েছে।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

অগ্নিসন্ত্রাস রুখে উন্নয়নের প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করুন : অধ্যাপক রুহুল হক 
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন না। আপনাদের অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ পুড়িয়ে অরাজকতা সৃষ্টিকে সাধারণ মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। তাই এবারের নির্বাচনে খেটে খাওয়া মানুষেরা আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আশাশুনি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে নিজ নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে ভোট চাই। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম পিন্টু।  তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ধর্মের দোহাই দিয়ে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। অগ্নিসন্ত্রাস করে, বিদেশিদের ভয় দেখিয়ে পেছনের পথ দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। নির্বাচন কেন্দ্রে বাধা দেওয়ার অধিকার আপনাদের নেই। বাধা দিলে বাংলার জনগণ তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।  আশাশুনির উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আশাশুনিতে মানিকখালী ব্রিজ, বড়দল ব্রিজ, চাপড়া ব্রিজ, বসুখালী ব্রিজ, শোভনালী ব্রিজ, তেঁতুলিয়া ব্রিজ ও বাঁশতলা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ছোট-বড় প্রায় ৩০০ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে, শতভাগ বিদ্যুতায়ন করে দুটি সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে, কপোতাক্ষ নদ, মরিচ্চাপ, বেতনা, সাপমারা ও হাবড়া নদী খনন এবং ১৫০ কি.মি. খাল খনন করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষে ১৫০০টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর ও জমি প্রদান করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলা কমপ্লেক্স ও অডিটরিয়াম নির্মাণকাজ চলমান।  এ সময় সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান বিপুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য পুত্র ইঞ্জি. জিয়াউল হক সুমন, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভূজিৎ মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক স ম সেলিম রেজা মিলন, হুমায়ুন কবীর সুমন, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন, শ্রমিক লীগের সভাপতি ঢালী সামছুল আলম, কৃষক লীগের সভাপতি এনএমবি রাশেদ সরোয়ার শেলী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা জামান আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ইসলাম।  এ সময় সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যানসহ উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও শত শত নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে কলেজ প্রাঙ্গণে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হতে দেখা যায়। এর আগে তিনি কুল্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

হুকুমদাতাদের বিচার হলে বন্ধ হবে অগ্নিসন্ত্রাস
দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ বিএনপি-জামায়াতের কানে কি পৌঁছায় না—এমন প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদের বিচার হলেই কেবল অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে। গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ নামক সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’-এর আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বা দ্রুততম সময়ে বিচারের মাধ্যমে ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল, তাদের এবং হুমুকদাতা ও অর্থদাতাদের যদি আমরা বিচার করতে পারতাম, তাহলে আজকে এই আগুন সন্ত্রাস হতো না। সেই সময় তারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আর এখন চালানো হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে। হাছান মাহমুদ বলেন, একটি রাজনৈতিক দল অবরোধ ডেকে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে আর তাদের কিছু কর্মী, সন্ত্রাসী ও কিছু মানুষকে ভাড়া করে হাতে পেট্রোল বোমা তুলে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দেওয়াচ্ছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। তিনি বলেন, আমি আজকে (গতকাল) সকালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে এসেছি। সেখানে দুবাইয়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে আলোচনায় প্রশ্ন রেখেছিলাম, পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির কারণে এভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা, নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে কি না। তার পুরো দল স্বীকার করেছে, পৃথিবীর অন্য কোথাও এটি ঘটছে না, গত ২০ বছরে কোথাও ঘটেনি।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

হুকুমদাতাদের বিচার হলে বন্ধ হবে অগ্নিসন্ত্রাস
দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ বিএনপি-জামায়াতের কানে কি পৌঁছায় না—এমন প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদের বিচার হলেই কেবল অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে। গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ নামক সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’-এর আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বা দ্রুততম সময়ে বিচারের মাধ্যমে ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল, তাদের এবং হুমুকদাতা ও অর্থদাতাদের যদি আমরা বিচার করতে পারতাম, তাহলে আজকে এই আগুন সন্ত্রাস হতো না। সেই সময় তারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আর এখন চালানো হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে। হাছান মাহমুদ বলেন, একটি রাজনৈতিক দল অবরোধ ডেকে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে আর তাদের কিছু কর্মী, সন্ত্রাসী ও কিছু মানুষকে ভাড়া করে হাতে পেট্রোল বোমা তুলে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দেওয়াচ্ছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। তিনি বলেন, আমি আজকে (গতকাল) সকালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে এসেছি। সেখানে দুবাইয়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে আলোচনায় প্রশ্ন রেখেছিলাম, পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির কারণে এভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা, নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে কি না। তার পুরো দল স্বীকার করেছে, পৃথিবীর অন্য কোথাও এটি ঘটছে না, গত ২০ বছরে কোথাও ঘটেনি।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

‘নির্বাচন এলেই জামায়াত-বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে’
নির্বাচন এলেই জামায়াত-বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে বলে মন্তব্য করেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা। জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি। সোমনাথ সাহা বলেন, সেই ২০১৪ সাল থেকে যখনই নির্বাচন আসে, তখনই সেই নির্বাচন বানচালের জন্য তারা বিভিন্ন সময় অগ্নিসন্ত্রাস করে। তারা গাড়িতে আগুন দেয়, ট্রেনে আগুন দেয়, লঞ্চে আগুন দেয়, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। গত ২৮ তারিখ আপনারা দেখেছেন টিভিতে একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে পিটিয়ে হত্যা করে লাশের ওপর তারা নৃত্য করেছে। পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করেছে, অ্যাম্বুলেন্সে করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ করেছে, ভাঙচুর করেছে। বুধবার রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ডে জামায়াত-বিএনপি নৈরাজ্যের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন হলেও সেখানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সোমনাথ সাহা সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে  অংশগ্রহণের জন্য সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। রামগোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমিন জনির সভাপতিত্বে ও রামগোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা লীগের আহ্বায়ক শিউলী চৌধুরী, রামগোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। মতবিনিময় সভা শেষে জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সোমনাথ সাহার নেতৃত্বে রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসন থেকে সোমনাথ সাহা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হন। ওই আসনে মনোনয়ন পান গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি। গত সোমবার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে সোমনাথ সাহার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩

অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধের আহ্বান শাবির আ.লীগপন্থি শিক্ষকদের
দেশবিরোধী চক্র খুন ও অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এসব খুন ও অগ্নিসন্ত্রাসসহ নানাবিধ অপতৎপরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’-এর নেতারা। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ওই প্যানেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস ও যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিবুল আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাবিপ্রবির ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, কিছুদিন ধরে দেশবিরোধী চক্র দেশব্যাপী খুন ও অগ্নিসন্ত্রাসসহ নানাবিধ অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এসব অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান করছি।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

শুভবুদ্ধির উদয় হোক অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, ওদের সুমতি হোক। এই ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসন্ত্রাস তারা বন্ধ করুক। গতকাল মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনা উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১০১টি প্রান্ত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল। এসব প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ হাজার ৬৪৪টি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৩৯৭টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীকেই এই অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে হবে। সবারই জানমাল আছে। ২০১৩-১৪ ও পরবর্তী সময়ের অগ্নিসন্ত্রাস, ভুক্তভোগীদের যন্ত্রণা ও কষ্ট আমরা দেখেছি। কাজেই মানুষের যেন এই ভোগান্তি আর না হয়। আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তপশিল) ঘোষণা করবে। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেজন্য আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন তথা নির্বাচন ব্যবস্থার যাবতীয় সংস্কার আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই করা হয়েছে। কেউ যাতে আর রাতের অন্ধকারে অস্ত্র তুলে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায় না। তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। তাই তাদের নির্বাচনে আসার কোনো আকাঙ্ক্ষাই থাকবে না—এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলার চেষ্টা করছে তারা। এদেশের মানুষ যখন একটু শান্তি ও স্বস্তিতে আছে, দেশ দ্রুতগতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ে শুরু হয়েছে অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাস ও জালাও-পোড়াও। গাড়িতে ও বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহতের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের বার্ষিক পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে। বিএনপির আমলে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ। সেখান থেকে আমরা সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি। আজকে দেশের প্রায় ৯৮ ভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, তা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সে জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাও প্রয়োজন। এ সময় তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরেন। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা জনগণের ভোটেই বারবার নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ কোনোদিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া সরকার গঠন করেনি। অনুষ্ঠানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

বিএনপি নতুন করে আবার অগ্নিসন্ত্রাস করতে নেমেছে : বাহাউদ্দিন নাছিম
বিএনপি নতুন করে আবার অগ্নিসন্ত্রাস করতে নেমেছে, তারা মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য আবার নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, অবরোধের নামে বিশৃঙ্খলা করতে চায় বিএনপি। আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে চায় তারা। ২০১৪ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, নতুন করে আবার তারা অগ্নিসন্ত্রাস করতে নেমেছে। মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য আবার নেমেছে। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসী, লুটেরা, দুর্নীতিবাজরা আর যাই হোক- বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আগামী দ্বাদশ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের (বিএনপি) প্রতিহত করে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবার নির্বাচিত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।’ এদিকে আজ আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের পর আগামীকাল রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে তিনটি স্টেশন দিয়ে শুরু হবে এ পথের বাণিজ্যিক যাত্রা। প্রাথমিকভাবে উত্তরা পর্যন্ত চলবে চার ঘণ্টা। দশ মিনিট পরপর আসবে ট্রেন। তিন মাসের মধ্যে বাকি স্টেশনগুলো চালু করে ভোর থেকে মধ্যরাতের পূর্ণ শিডিউলে চলবে মেট্রোরেল। এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা। পুরোপুরি চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২০১৬ সালের ২৪ জুন এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
০৪ নভেম্বর, ২০২৩
X