তিন বছরে ইউরোপে নিখোঁজ ৫০ হাজার অভিবাসী শিশু
অভিবাসীরদের আকাঙ্ক্ষার অন্যতম শীর্ষের জায়গা হলো ইউরোপ। ইউরোপের যে কোনো দেশের যাওয়ার জন্য জীবনঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না অনেকে। কোনোভাবে একবার ইউরোপে পা ফেলতে পারা মানে যেন নিশ্চিত আর সুখের জীবন। এমন আশা আর স্বপ্ন নিয়ে ইউরোপে প্রবেশের পর ৫০ হাজারের বেশি অভিবাসী শিশু নিখোঁজ হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইনফোমাইগ্রেন্টসের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।    অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে ইউরোপে প্রবেশের পর ৫০ হাজারের বেশি অভিবাসী শিশু নিখোঁজ হয়েছেন। এসব শিশু অভিভাবকহীন ছিলেন। এ হিসাব অনুসারে গড়ে নিখোঁজ হয়েছেন প্রায় ৪৭ জন শিশু।  কয়েকটি সংবাদামাধ্যমের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘লস্ট ইন ইউরোপ’ শীর্ষক গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইউরোপে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে থাকার ৫১ হাজার ৪৩৩ শিশু ও কিশোর নিখোঁজ হয়েছেন। এসব শিশু কিশোর সঙ্গীহীন ছিলেন।  ২০২১ সালের এক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে মাসব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে এ প্রতিবেদন করা হয়। ওই গবেষণায় বলা হয়, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ইউরোপে ১৮ হাজারের বেশি অভিবাসী শিশু নিখোঁজ হয়।  অনুসন্ধান বলছে, ইউরোপে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী শিশু নিখোঁজ হয়েছে ইতালিতে। দেশটিতে গত তিন বছরে ২২ হাজার ৮৯৯ শিশু নিখোঁজ হয়েছেন।  তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়া। দেশটি থেকে ২০ হাজার ৭৭ জন শিশু নিখোঁজ হয়েছে। এরপর রয়েছে জার্মানি। দেশটি থেকে দুহাজার ৫ জন শিশু নিখোঁজ হয়েছে। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ড থেকে এক হাজার ২২৬ জন শিশু নিখোঁজের তথ্য মিলেছে।  অনুসন্ধানের পর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে নিখোঁজ অভিবাসীর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কেননা পুরো তথ্য পাওয়া অনেক কঠিন। এ ছাড়া অনেক দেশ নিখোঁজ শিশুদের কোনো তথ্যই সংগ্রহ করে না।  শঙ্কা পাচারের  শিশুদের নিখোঁজ ও শোষণ প্রতিরোধে কাজ করছে নেটওয়ার্ক মিসিং চিলড্রেন ইউরোপ। সংগঠনের মহাসচিব আহি ইফেন বলেন, নিখোঁজের এ পরিসংখ্যন খুবই উদ্বেগজনক।  ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র কমিশনার ইলফা ইয়োহানসন শিশু নিখোঁজের এ হারকে ভঙ্গুর অভিবাসন ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, সংশ্লিষ্ট শিশুরা মানবপাচারকারীদের শিকার হতে পারে। মিসিং চিলড্রেন ইউরোপের মতে, অভিবাসী শিশু ও শরণার্থীরা পাচারকারীদের শিকার হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।  মিসিং চিলড্রেন ইউরোপের মতো শিশু সুরক্ষা সংস্থাগুলো বলছে, সঙ্গীহীন অভিবাসী শিশু ও শরণার্থীরা সহজেই প্রভাবিত হওয়ার এবং পাচারকারীদের শিকার হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। সংগঠনের মহাসচিব সিএনএনকে বলেন, ইউরোপে আসা অনেকে ঋণ পরিশোধ বা পাসপোর্ট এবং প্রিয়জনকে জিম্মি রাখার কারণে মানবপাচারকারীদের হাতে শোষণের শিকার হন।  ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি শিশু ইউরোপ পৌঁছাতে গিয়ে শারীরিক সহিংসতার শিকার হন।   
০২ মে, ২০২৪

সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড়, এক সপ্তাহে আটক ১৯ হাজার অভিবাসী
আইনশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সৌদি আরব। দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযানে এক সপ্তাহে ১৯ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে গত এক সপ্তাহে ১৯ হাজার ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। বসবাস বা কাজের অনুমতি না থাকা এবং সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ হাজার ৯৮৭ জনের বিরুদ্ধে রেসিডেন্সি আইন ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্ত নিরাপত্তা বিধি-লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪ হাজার ৩৬৭ জন এবং ২ হাজার ৬৯৬ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।  আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৬১ শতাংশ ব্যক্তি ইথিওপিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া ইয়েমেনের রয়েছেন ৩৬ শতাংশ নাগরিক। এরবাইরে বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক।  উল্লেখ্য, প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে। দেশটির প্রচলিত আইনানুসারে, সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি সরকার এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে আসছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ২০০ অভিবাসী গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ার ১৩২ জন বাংলাদেশিসহ ২০৬ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে পাসির গুদাংয়ের একটি নির্মাণস্থলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জোহর ইমিগ্রেশনের পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির এ তথ্য জানান। বাহারউদ্দিন তাহির জানান, এ অভিযানে ৯০ জন ইমিগ্রেশন পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছিল। ২০৬ জন অভিবাসীকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে তাদের ভিসা অপব্যবহারের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৩২ জন পুরুষ, চীনের ৫১ জন পুরুষ, মিয়ানমারের ১০ জন, পাকিস্তানের ছয়জন পুরুষ, ইন্দোনেশিয়ার তিনজন পুরুষ, ভিয়েতনামের দুজন পুরুষ এবং চীনের দুজন নারী রয়েছেন। এ ছাড়াও গ্রেপ্তারদের বয়স ১৮ থেকে ৬১ এর মধ্যে। ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের ধারা ৬(১)(সি) এবং ধারা ১৫(১) সি) এর অধীনে বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র ছাড়াই দেশে প্রবেশ করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন আটক
মালয়েশিয়ার কেডা রাজ্যের পার্লিসের একটি কন্সট্রাকশন সাইডে অভিযান চালিয়ে ৪৫ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গভীর রাতে রাজ্যের বুকিত চাবাং, মুকিম টিটি টিংগি, পাদাং বেসার এবং পার্লিসের একটি স্পোর্টস স্কুলের নির্মাণ সাইটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পার্লিস ইমিগ্রেশন বিভাগ। আটককৃতদের মধ্যে ৪৪ জন বাংলাদেশি পুরুষ ও একজন মহিলা রয়েছেন। বাকি ৩ জনের মধ্যে ২ জন ইন্দোনেশিয়ার ও একজন ভারতীয় নাগরিক। আটকদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে। রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক খায়রুল আমিন বিন তালিব এক বিবৃতিতে জানান, ইমিগ্রেশন অ্যাকশন ইউনিট, পার্লিস জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের পর্যবেক্ষণ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপ সাপু নামের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১০১ জন বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে থেকে যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই এবং যারা মালয়েশিয়ায় অতিরিক্ত অবস্থান করে আসছিল এমন ৪৯ জনকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, আটকের পর তাদের তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কুয়ালা পার্লিস ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। পার্লিস রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, তারা মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে বসবাসকারী, পাসপোর্টের অপব্যবহার এবং অনৈতিক কাজে জড়িত বিদেশিদের সঙ্গে আপস করবে না। অবৈধ বিদেশিদের নিয়োগকারী বা রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানায় অভিবাসন বিভাগ।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা : জাতিসংঘ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এসব শ্রমিক সরকারি শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়া মেনে কর্মসংস্থানের আশায় মালয়েশিয়ায় গেলেও সেখানে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী মালয়েশিয়ায় গিয়ে দেখেন যে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ নেই। এ জন্য প্রায় সময় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাদের অতিরিক্ত সময় সেখানে থাকতে হয়। ফলে এই অভিবাসীরা গ্রেপ্তার, আটক, দুর্ব্যবহার ও নির্বাসনের ঝুঁকিতে থাকেন। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে সক্রিয় অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রায় সময় ভুয়া কোম্পানি কর্তৃক নিয়োগের কারণে অভিবাসী শ্রমিকরা প্রতারিত হচ্ছেন। মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়োগ ফি দিতে বাধ্য হওয়ায় তারা ঋণের জালে আটকা পড়েন। এমনও খবর আসছে যে, দুই দেশের সরকারের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এটি অগ্রহণযোগ্য ও এর অবসান হওয়া দরকার বলে মনে করেন এসব বিশেষজ্ঞ। তারা বলেন, এই শোষণমূলক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায় এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রতারণামূলক নিয়োগ সংস্থার বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা পুরোপুরি অপর্যাপ্ত। এদিকে অরক্ষিত এসব অভিবাসী শ্রমিকদের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করানো হচ্ছে। এমনকি শোষণের খবর ফাঁস করায় অনেকে কঠোর প্রতিশোধের সম্মুখীন হয়েছেন। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দিতে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশকে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে অভিবাসী পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৪
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে অভিবাসী পাচারে জড়িত সন্দেহে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আলবেনিয়ার পুলিশ। একই সঙ্গে দুটি মানবপাচারকারী নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ভালো চাকরির লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ইউরোপে বড় ধরনের মানবপাচার করছে বেশকিছু চক্র।  আলবেনিয়ার বিশেষ কার্যালয়ের বরাত দিয়ে ইতালির বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বাংলাদেশ থেকে অভিবাসীদের ইইউর বিভিন্ন দেশে পাচারে জড়িত বলে সন্দেহ করছে আলবেনিয়ার পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১১ জন পেশায় উদ্যোক্তা।  কর্তৃপক্ষ বলেছে, চক্রটি অভিবাসীদের বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পেতে সাহায্য করত। এরপর সেখান থেকে কাজের ভিসায় আলবেনিয়ায় নিয়ে আসত। তিরানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর অভিবাসীদের সহায়তা করতে সীমান্ত পুলিশের বেশ কিছু কর্মকর্তাকেও হাত করেছিল অপরাধী চক্রটি। এই অভিযোগে আলবেনিয়ান পুলিশের চার সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  এ ছাড়া দুই অপরাধী সংগঠনের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের সময় পুলিশ কর্মকর্তারা অস্ত্র, জাল নথিসহ নগদ প্রায় ১০ লাখ ইউরো জব্দ করেছেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এই চক্র দুটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আলবেনিয়ার বিশেষ দপ্তর। আগেই তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার অপরাধের বিভিন্ন প্রমাণ পেয়েছিল আলবেনিয়ার পুলিশ। বিশেষ কার্যালয়ের তদন্তকারীরা আদালতের সামনে বলেন, আলবেনিয়ায় বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানসংক্রান্ত আইনকে কাজে লাগিয়ে একটি অপরাধমূলক গোষ্ঠী সংগঠিত করেছিল অভিযুক্তরা।  এই চক্র দুটি মোট ২৫৩ জন বাংলাদেশিকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ডি ক্যাটাগরির কাজের ভিসায় আলবেনিয়ায় আসতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ইরান ও পাকিস্তানের নাগরিকদেরও টার্গেট করেছিল তারা। অভিবাসীদের কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ হাজার ইউরো নিয়ে তাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে অনিয়মিত পথে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করত এই অপরাধী চক্রটির সদস্যরা। তারা অভিবাসীদের পরবর্তী যাত্রার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট পেতেও সহায়তা করত। এই চক্রের বেশ কিছু সদস্যকে তিরানা বিমানবন্দরে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়ে অভিবাসীদের কসোভো সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হতো। কসোভো থেকে কাঙ্ক্ষিত ইউরোপের কোন দেশে তাদের যাত্রা করানো হতো।  ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের আলোচিত ‘বলকান রুট’-এর অন্যতম প্রধান দেশ আলবেনিয়া। এই রুট ব্যবহারকারী অভিবাসীদের বেশিরভাগই এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তবে এসব অভিবাসীর অনেকেই দীর্ঘ সময়ের জন্য আলেবনিয়ায় আটক থাকেন। ইইউ সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে আলবেনিয়া কর্তৃপক্ষ ৯ হাজার অনিয়মিত অভিবাসী শনাক্ত করেছিল। 
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

অভিবাসী শ্রমিকদের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সংক্রান্ত গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
অভিবাসীদের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি (জিএমসি) প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য কার্যকরী পন্থা অনুসন্ধান  করার লক্ষ্যে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. রিজওয়ানুল ইসলাম এবং প্রভাষক নাফিজ আহমেদ। সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে হেলভেটাস বাংলাদেশ সিমস প্রকল্প  বাস্তবায়ন করছে যার আওতায় জিএমসি এর তত্তাবধানে  মধ্যস্থতার মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের সাথে সম্পর্কিত বিরোধের নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এটি ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এনজিওর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কাজ করে।    জিএমসি অভিবাসী কর্মীদের অভিবাসন-সম্পর্কিত অভিযোগগুলির স্বল্প খরচে দ্রুত সমাধান করার জন্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সাধারণত: এই প্রক্রিয়ায় সমাধান করা অভিযোগগুলির মধ্যে সাব-এজেন্টদের দ্বারা প্রতারিত হওয়া, বিদেশে পাঠানোর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নেওয়া, পাসপোর্ট-ভিসা বা অন্যান্য কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা, উচ্চ বেতনের প্রতারণামূলক প্রতিশ্রুতি বা অন্য কিছু সম্পর্কিত মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে প্ররোচিত করা, আত্মীয়দের মধ্যে মাইগ্রেশন-সম্পর্কিত চুক্তি সংক্রান্ত কোনও লেনদেনের মাধ্যমে বিদেশে  পাঠানোর ক্ষেত্রে উদ্ভূত বিরোধমূলক বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।  যখন আদালতে দাবি প্রমাণ করার মত  পর্যাপ্ত দালিলিক প্রমাণাদি ভুক্তভোগীদের হাতে থাকে না তখন এই জিএমসি প্রক্রিয়াটি প্রতারিতদের সাহায্য করে থাকে।  এই গবেষণাটি সরকারের প্রাসঙ্গিক আইন ও নীতিমালার পর্যালোচনার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এ গবেষণায় প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইনি বিধানও পর্যালোচনা করা হয়েছে। ২৩ মার্চ, ২০২৪ তারিখে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল উপস্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত  হয়। জিএমসি মডেলকে বিদ্যমান আইনি সহায়তা কাঠামো অথবা গ্রাম আদালতের কাঠামোর সাথে সমন্বিত করার বিষয়টি গবেষণার উপস্থাপন করা হয়েছে। গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জিএমসি এর মতো একটি মডেল বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত বিকেন্দ্রীকরণের নীতিতেও অবদান রাখতে পারে এবং সরকারের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮) থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।  উক্ত অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (কো-চেয়ারপারসন, বাংলাদেশ পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) দুঃখ প্রকাশ করেন যে, দেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীদের বিরাট অবদান থাকা সত্ত্বেও আমরা এখন পর্যন্ত অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য যথাপুযক্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি নি। তিনি অভিমত পোষণ করেন, যেখানে ন্যায়বিচারপ্রার্থি অভিবাসীদের কাছে তাদের নিজেদের সমর্থনে পর্যাপ্ত নথিপত্র থাকে না,  সেখানে জিএমসি মডেল বিরোধগুলি সমাধান করার একটি ভাল উপায় হতে পারে।  সিমস প্রকল্পের পরিচালক মো. আবুল বাসার অভিবাসী বিচারপ্রার্থীদের অভিযোগের সমাধানের একটি টেকসই উপায় বিকাশের ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 
২৪ মার্চ, ২০২৪

রমজানের আগেই সৌদিতে ২৩ হাজার অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার
সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে। রমজানের আগে দেশটিতে ২৩ হাজার অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবাসন, শ্রম ও নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘনের দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্ছ সংখ্যক গ্রেপ্তার। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বসবাস আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোট ১২ হাজার ৯৫১ জনকে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করায় তিন হাজার ৪৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিদের শ্রম আইন লঙ্ঘন করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে, দেশটিতে এক সপ্তাহে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০২১ সালের জুনে ১৯ হাজার ৮১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।  সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সাপ্তাহিক তথ্যানুসারে, দেশটিতে সবমিলিয়ে ৫৯ হাজার ৭২১ জন অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন। এরমধ্যে চার হাজার ৬৯০ জন নারী রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।  উল্লেখ্য, প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে। সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি সরকার এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে আসছে।
১০ মার্চ, ২০২৪

সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ১৫ হাজার অভিবাসী
সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় ১৫ হাজার অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবাসন, শ্রম ও নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘনের দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (০৩ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২২ জানুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অভিযানে ১৪ হাজার ৯৫৫ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৯ হাজার ৮০ জনকে, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনের তিন হাজার ৮৮ জন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুই হাজার ৭৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে ৮৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগে ইয়েমেন ও ইথিওপিয়ার নাগরিক। অভিযানে অবৈধ উপায়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টার অভিযোগে আরও ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অভিযান চলাকালে আবাসন, সীমান্ত এবং কাজের বিধিবিধান লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগে জড়িত থাকার দায়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে গ্রেপ্তারকৃত ৫৭ হাজার ৭৮৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া তাদের প্রত্যাবাসনেরও চেষ্টা চলছে।  সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে থেকে ৫২ হাজার ৪০১ জনকে দেশে ফেরাতে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের কূটনৈতিক মিশনে যোগাযোগের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার ২৫৬ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরও এক হাজার ৭৬৩ জনকে ফেরত পাঠাতে নথিপত্র চূড়ান্ত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।  প্রসঙ্গত, প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে। সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি সরকার এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে আসছে।  
০৩ মার্চ, ২০২৪

সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড়, আটক ১৯ হাজার অভিবাসী
সৌদি আরবে এক সপ্তাহের অভিযানে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খবর গালফ নিউজের। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বসবাস, শ্রম ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আটককৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১১ হাজার ৮৯৭ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনে ৪ হাজার ২৫৪ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩ হাজার ২৮০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদিতে অবৈধ উপায়ে প্রবেশের চেষ্টায় ৯৭১ জন এবং অবৈধভাবে সৌদি ত্যাগের চেষ্টার সময় ৩৬ জনকে আটক করা হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে সৌদি আরবে গ্রেপ্তারকৃত ৫৮ হাজার ৩৬৫ জন আইনিব্যবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে। সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি সরকার এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে আসছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X