অসহায় ও পথশিশুদের মুখে হাসি ফুটাল চবির তরুণ দুই উদ্যোক্তা
পড়ালেখার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘এস্থেটিক’। মূলত পুরো ক্যাম্পাসে টি-শার্ট, হুডি ও সিজনার অর্গানিক ফুড সরবরাহ করে থাকেন তারা।  এরইমধ্যে পুরো ক্যাম্পাসে তারা আস্থার একটি ‘ব্রান্ড’ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। এবার ক্যাম্পাসে অসহায় ও পথশিশুদের পাশে দাঁড়ালেন তারা।  নিছক শখের বসে নয় বরং জীবিকার তাগিদেই ব্যবসায় নেমেছেন তারা। উপার্জিত অর্থ দিয়ে চালান পড়ালেখার খরচ। অন্যদিকে পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণের দায়িত্বও নিয়েছেন নিজেদের কাঁধে। তরুণ দুই উদ্যোক্তা হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একই বর্ষের শিক্ষার্থী আহমাদ আব্দুল্লাহ নাফিজ।  বুধবার (১৫ মে) প্রতিষ্ঠানটির এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনে নিজের হাতে বিরিয়ানি রান্না করে ২০ জন অসহায় ও পথশিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয়।  নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী বলেন, আমরা দেখতে দেখতে একটি বছর অতিক্রম করে দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছি। বর্তমানে আমরা ফুড এবং ফ্যাশন দুইটি সেক্টরেই কাজ করছি। তিনি বলেন, আজকে আমরা গত এক বছরের লাভের একটি অংশ দিয়ে কিছু অসহায় ও পথশিশুদের এক বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। সামনে বৃহৎ পরিসরে আরও বড় কিছু করব ইনশাআল্লাহ।  প্রতিষ্ঠানের সিইও আহমাদ আব্দুল্লাহ বলেন, ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে কিছু করার ইচ্ছা ছিল, সেই জায়গা থেকে আমাদের ‘এস্থেটিক’র পথচলা। আমাদের শক্তি ক্রেতাদের আস্থা ও ভালোবাসা। সেই আস্থাকে পুঁজি করে ভালো গুণগত মান বজায়ে রেখে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণেই নজর থাকে আমাদের। 
১৭ মে, ২০২৪

দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে গেল ২০ একর শালবন, অসহায় বন বিভাগ
শাল-গজারির বনে ঘেরা সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাংগাইলের সখীপুর। দু-চোখ যেদিকে যায়, মনে হয় সবুজের সমারোহ। কিন্তু চৈত্র-বৈশাখ মাস এলেই দুর্বৃত্তের আগুনে পোড়ে সখীপুরের শাল-গজারির বন। বনবিভাগের অনুমতি ছাড়া যেখানে প্রবেশ নিষেধ সেখানে ঘটছে আগুনের ঘটনা।  প্রতিবছর এ মৌসুমে বনে আগুন দেওয়ার কারণে পুড়ে যায় ছোট গজারিগাছ, ঝোপঝাড়, পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ। বিনষ্ট হয় বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। বন পোড়ানোর কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। বিলুপ্ত হচ্ছে বন্যপ্রাণী, কীটপতঙ্গ ও পাখি। ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। গত এক মাসে সখীপুরের বনাঞ্চলে অন্তত ১৫টি জায়গায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সর্বশেষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বহেড়াতৈল বিটের আওতায় ছাতিয়াচালা সাইনবোর্ড এলাকায় একটি গজারি বনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় পাঁচ একর গজারির বন আগুনে পুড়ে যায়। গজারিয়া বিট কার্যালয়ের আওতাধীন অন্তত ৪টি স্থানে শাল-গজারির বনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। কালিয়ানপাড়া, গজারিয়া, কীর্ত্তনখোলা বংকী এলাকায় শাল-গজারির বনে আগুনের ঘটনায় প্রায় ৮ থেকে ১০ একর বন পুড়ে যায়। নলুয়া বিটের আওতাধীন দেওদিঘি বাজারের পশ্চিম পাশে দুটি গজারির বন, নলুয়া বিট কার্যালয়ের দক্ষিণ দিকে ৩০০ গজ দূরে একটি, ঘেচুয়া এলাকায় দুটি ও আমের চারা এলাকায় একটি বনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। গজারিয়া বিটে সখীপুর-সিডস্টোর সড়কের কীর্ত্তনখোলা এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একটি বনে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় মানুষদের ভাষ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে অন্তত ৪টি শাল-গজারির বন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা জানান, বনের কাছাকাছি নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস বেশি। তারা লাকড়ি সংগ্রহের উদ্দেশে অনেক সময় গজারি বনে আগুন দিয়ে থাকেন। কেউ বনের জমি দখলের উদ্দেশে বনে আগুন দেয়। বনের ভেতরের সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরাও অনেক সময় বনে আগুন দেয়। স্থানীয় বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সখীপুরে ৪টি রেঞ্জের আওতায় ১৩টি বিট কার্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার একর জমিতে শাল-গজারির বন রয়েছে। ফাল্গুন-চৈত্র ও বৈশাখ মাসে প্রকৃতির নিয়মে শাল-গজারির পাতা ঝরে পড়ে। বনাঞ্চলের আশপাশের বাসিন্দারা জমি দখল ও লাকড়ি সংগ্রহের উদ্দেশে রাতে আবার কখনো দিনে বনে আগুন দেন। ঝরাপাতাগুলো শুকনা থাকায় মুহূর্তেই বনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছর বনে দেওয়া আগুনে ইতোমধ্যে অন্তত ২০ একর বন পুড়ে গেছে বলেও বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।  নলুয়া বিট কর্মকর্তা সাফেরুজ্জামান বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে কয়েকটি গজারির বনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আমরা খুবই সতর্ক অবস্থায় আছি। এতে গতবারের থেকে এবার বনে আগুনের ঘটনা কমেছে। আমার কার্যালয়ে তিনজন স্টাফ রয়েছেন। চার-পাঁচ হাজার একর জমির বন দেখভাল করতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারি মুজিব কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুনির্মল চন্দ্র বসু বলেন, বনে আগুন দেওয়ার ফলে যেভাবে বন্য পশু-পাখি ও কীটপতঙ্গ ধ্বংস হচ্ছে তাতে পরিবেশগত বিপর্যয় অনিবার্য।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

দলের অসহায় কর্মীদের ঈদ উপহার দিল শ্রমিকদল
দলের অসহায় কর্মীদের মাঝে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা শ্রমিকদলের উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পবিত্র উদুল ফিতর উপলক্ষে ও মোহাম্মদপুরের সাবেক কমিশনার আতিকুল ইসলাম মতিনের রুহের মাগফিরাত কামনায় এ ঈদ উপহার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।  এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী সরকার তার অত্যাচারের শেষ সীমানায় চলে গেছে। এবার প্রতিবাদ নয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এ সরকারের পতন ছাড়া বিএনপি থামবে না। ইনশাআল্লাহ  ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনেই সরকারের পতন হবে।  শ্রমিকদল মোহাম্মদপুর থানার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা মো. রুবেল হাওলাদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির আহবায়ক শুক্কুর মাহমুদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সারোয়ার হোসেন সাকিফ ও ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিকদলের যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল এই ঈদ উপহার সামগ্রী অসহায় দলীয় কর্মীদের হাতে তুলে দেন।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন, ১০০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সদস্য মো. সোহাগ, ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদপুর থানা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মো. জসীম, ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সহসাধারণ সম্পাদক মো. লোকমানসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। 
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

অসহায় মানুষের প্রতি সবাই সহনশীল থাকুন : জি এম কাদের 
ঈদ উৎসবে দেশের সুবিধাবঞ্চিত, হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী এবং অসহায় মানুষের প্রতি সবাইকে সহনশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের। সোমবার (৮ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। জি এম কাদের বলেন, মহাখুশির ঈদুল ফিতরে বিশ্ব মুসলমান জাতির প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। এই আনন্দ উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহর সংহতি, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব এবং সমৃদ্ধি কামনা করছি। শেষ হলো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মহিমাময় মাহে রমজান। রমজানের সিয়াম সাধনার ত্যাগ ও সংযমের শিক্ষা সবার ব্যক্তি ও সমাজজীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে। ইসলামের শ্বাশত শিক্ষায় সকল ভেদাভেদ ভুলে দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হবে। জোরালো করতে হবে মানুষে মানুষে ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধ। আমরা যেন দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে অবদান রাখতে সমর্থ হই। মানুষের জন্য কল্যাণময় রাজনীতি এগিয়ে নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, দেশের সুবিধাবঞ্চিত, হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী এবং অসহায় মানুষের প্রতি সবাই সহনশীল থাকুন। মহিমান্বিত মাহে রমজানের ফজিলতে মহান আল্লাহ্ যেন আমাদের বাংলাদেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করেন। সবার জন্য কল্যাণময় আগামী প্রত্যাশা করছি।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য : সুজিত রায় নন্দী
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। যেকোনো দুর্যোগে দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই জনগণের পাশে দাঁড়ায়। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর শহরের সিটি কলেজ মিলানায়তনে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্ধ প্রতিবন্ধী, এতিমখানা, কমিউনিটি পুলিশিং, সরকারি শিশু পরিবার, আঞ্জুমান খাদেমুল ইনসানসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবক সংগঠনকে এই ঈদ উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়। সুজিত রায় নন্দী বলেন, বিএনপি দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ায় না, তারা দুর্যোগ দুর্বিপাকে উপহাস করে। আওয়ামী লীগ বিপদে সব সময় মানুষের পাশে থাকে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা মানবিক প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব গণমাধ্যম তাকে মানবতার মা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এদেশের গরিব-দুঃখী মানুষের আস্থার প্রতীক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সৎ, দূরদর্শী ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে পবিত্র মাহে রমজানে আমরা সারা দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্বা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। অনুষ্ঠানে চাঁদপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কলেজ গভনিং বডির সদস্য আতাউর রহমান পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. শাহআলম মিয়াজী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরল ইসলাম মিয়াজীসহ জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই : নূরুল ইসলাম বুলবুল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ আজ দিশাহারা। চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এই পরিস্থিতির মাঝেও জামায়াত তার সীমিত সামর্থ্যের আলোকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলসভাবে কাজ করছে।  সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের থানাসমূহের উদ্যোগে গেণ্ডারিয়া, যাত্রাবাড়ী-শ্যামপুর থানায় বঞ্চিত অসহায় ও অসচ্ছল পরিবারের মাঝে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সাহরী ও ইফতারির ফুড প্যাকেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। একই সময় ডেমরায় সর্বসাধারণের জন্য বিনামূল্যে সুপেয় পানির ফিল্টার স্থাপন করা হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রহমত বরকত ও মাগফিরাতের সওগাত নিয়ে মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। রমজানের রোজার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে- মানুষকে মুত্তাকি হিসেবে তৈরি করা। মানুষের পূর্ণ জীবন যেন ইসলামী নৈতিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে তার ব্যবস্থা করা। আমরা আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছি, তার কাছে আত্মসমর্পণ করে মুসলিম হয়েছি, এরপর সেই মহান রবের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আমাদের জীবনের সকল কর্মতৎপরতা, ব্যবসা-বাণিজ্য, খাওয়া-দাওয়া, আইন-কানুন ইত্যাদি সকল কার্যক্রম আল্লাহর নীতিমালা বা নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা করব এটিই মাহে রমজানের প্রকৃত শিক্ষা।  তিনি আরও বলেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পবিত্র রমাদান মাসেও দেশের মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। এসময় তাদের পাশে পর্যাপ্ত সহযোগিতা নিয়ে রাষ্ট্রের দাঁড়ানো উচিত ছিল কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এ ব্যাপারে সরকার সম্পূর্ণ নির্বিকার ও উদাসীন। প্রকৃতপক্ষে জনগণের কাছে আওয়ামী সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাদের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশ আজ নানাভাবে বিপর্যস্ত। এমতাবস্থায় অসহায় বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ইসলামের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশে একটি কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি সেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাইকে শরিক হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।   
১১ মার্চ, ২০২৪

সমাজের অসহায় নারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে রেশমার উদ্যোগ
আরিফা আউয়াল রেশমা। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন। লিখেছেন—পরিতোষ কুমার অধিকারী, নাটোর আরিফা আউয়াল রেশমা। নাটোরের বঙ্গোজল এলাকার গৃহবধূ থেকে নারী উদ্যোক্তা হয়েছেন। বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছেন। পড়াশোনা করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ২০০০ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি অনুভব করেন দরিদ্র নারীদের কষ্ট-বঞ্চনা। সেই থেকে মনে মনে সংকল্প করেছেন, নিজে কাজ শিখে স্বাবলম্বী হবেন। অন্যকেও স্বাবলম্বী করবেন। লেখাপড়া শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে ২০১৪ সালে রেশমার বিয়ে হয়। মাত্র ২ হাজার টাকায় একটি সেলাই মেশিন কিনে ২০২০ সালে শুরু করেন নতুন পথচলা। বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করে বিক্রি করেন। এখন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পুঁজি। স্বামীর সঙ্গে সমানতালে সংসারের হাল ধরেছেন। ইচ্ছে করলেই এ পুঁজি থেকে তিনি ব্যবসা বাড়িয়ে নিতে পারতেন। তা না করে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে হতদরিদ্র, নির্যাতিত, নিগৃহীত নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ শুরু করেন। শুরু করেন নকশিকাঁথা সেলাই, ব্লক ও বুটিকের কাজ। হাতে ধরে শিখিয়েছেন ১২২ নারীকে। এখন তারা নিজেরাই এক-একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। তার উৎপাদিত পণ্য এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এরই মধ্যে তার তৈরি পোশাক ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি হয়েছে। সবাইকে সমান অংশীদার করে কাজ শুরু করায় সবার কাছে তিনি প্রিয় রেশমা আপু। এবার শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পেয়েছেন। এ সম্মাননা তাকে আরও দায়িত্বশীল করে তুলেছে। বাড়িয়েছে কাজের প্রতি আরও আগ্রহ। তারই হাতে গড়া মেরিনা আক্তার মিম। বিএ প্রথম বর্ষ অধ্যয়নরত। পারিবারিক আর্থিক অনটনে লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পাশে দাঁড়ালেন রেশমা আপু। তার সেলাইয়ের কাজ শিখিয়ে আয়ের পথ দেখালেন। সংসারে বাড়তি আয় যোগ না করলেও নিজের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে পারছেন মিম। তারও স্বপ্ন রেশমার মতো স্বাবলম্বী হওয়ার এবং সমাজের নারীদের জন্য কিছু করার। এখানে কাজ করা আরও এক নারী শাহনাজ বেগম। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। অকালে বিয়ে হওয়ায় পড়েন সংকটে। দুই সন্তানের মা শাহনাজকে তালাক দিয়ে স্বামী অন্যত্র বিয়ে করে। দুই সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন শাহনাজ। এবারও সংকট উত্তরণে এগিয়ে এসেছেন রেশমা। হাতে-কলমে শিখিয়েছেন কাজ। এখন শাহনাজ স্বাচ্ছন্দ্যে খেয়ে-পরে সন্তানদের লালন-পালন করছেন। শিখা রানী গৃহিণী। স্বামী অটো রিকশাচালক। টানাপোড়েনের সংসার। রেশমার কথা শুনে চলে এসেছেন রেশমা ব্লক অ্যান্ড বুটিক হাউসে। তিনি শিখছেন সেলাইয়ের কাজ। তার সেলাই করা বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিভিন্ন দোকানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছেন। এখন তার সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। রেশমা ব্লক অ্যান্ড বুটিক হাউসের আরেক কর্মী সাথী সরকার। তার স্বামী স্বর্ণালংকার কারিগর। একার রোজগারে সংসার চলে না। তাই সাথী যোগ দিয়েছেন রেশমার সঙ্গে। জানালেন, তিনিও বেশ স্বাবলম্বী। এমনি ১২২ জন নারী রেশমার ব্লক অ্যান্ড বুটিক হাউসে এসে কাজ করছেন অথবা বাড়ি থেকে কাজ রেশমার কাছে জমা দেন। বাড়তি আয় যোগ হচ্ছে তাদের সংসারে। সবাইকে নিয়ে এগোতে গিয়ে নিজের উন্নতির কথা ভাবার সুযোগ পাননি রেশমা। বললেন, সরকারি- বেসরকারি প্রণোদনা পেলে আরও অনেক নারীকেই স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে পারতাম।
১১ মার্চ, ২০২৪

রমজানে খাদ্য সহায়তা পেল ৩০০ অসহায় পরিবার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে রমজান উপলক্ষে ৩০০ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটি। রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে জীবননগর স্টেডিয়ামে এসব খাবার বিতরণ করা হয়। দোস্ত এইডের নির্বাহী সদস‍্য সাংবাদিক সাব্বির সামি মুহিতের সভাপতিত্বে এ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস‍্য হাজী আলী আজগর টগর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব হাসিনা মমতাজ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজী আলী আজগর টগর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচন ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন উদ‍্যোগ গ্রহণ করেছেন। মায়ের মমতা দিয়ে বিভিন্ন ভাতা প্রণয়নের মাধ‍্যমে তাদেরকে সমাজে মর্যাদাকর জায়গায় নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, রমজানে সংস্থাটি বিভিন্ন জেলায় ৩০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করছে। আর পুরো রমজানে দেড় লাখ প‍্যাকেট ইফতার বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, পানি স্যানিটেশন, কর্মসংস্থান তৈরি, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু, মানবাধিকার, জরুরি সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরণের ৩০টি প্রকল্প নিয়ে দেশব্যাপী কাজ করে থাকে।
১০ মার্চ, ২০২৪

ইংরেজদের অসহায় আত্মসমর্পণ
রাজকোটের উইকেটে যশস্বী জয়সওয়াল আর সরফরাজ খান যখন ব্যাট করছিলেন, তখন ব্যাটিং স্বর্গ মনে হচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর সেই উইকেটে ভারতীয় স্পিনাররা বল করতেই মনে হলো মাইন্ডফিল্ড। যেখানে একের পর এক ইংরেজ ব্যাটার আত্মসমর্পণ করলেন। ৫৫৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১২২ রানে অলআউট হয় বেন স্টোকসের দল। ফলে ৪৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে ৫ টেস্টের সিরিজে ২-১-এ এগিয়ে গেছে ভারত। রানের হিসাবে টেস্টে এটা তাদের সবচেয়ে বড় জয়। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে এটা রান বিবেচনায় দ্বিতীয় বড় হার। রাজকোটে তৃতীয় দিনেই ইংল্যান্ডের হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, যখন তারা ৩১৯ রানে অলআউট হয়। ১২৬ রানের লিড নিয়ে জয়সওয়াল আর শুভমান গিল রান বাড়াতে থাকেন। চতুর্থ দিনের সকালে ৯১ করে রানআউট হন গিল। এরপর পিঠের ব্যথার কারণে উঠে যাওয়া জয়সওয়াল আবার নামেন। ডাবল সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হওয়া সরফরাজ গতকাল ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ভারত ৪ উইকেটে ৪৩০ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ৫৫৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ইংরেজরা দাঁড়াতেই পারেননি। মার্ক উড ৩৩ রান করেন। জয়ের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘টসে জেতার পরেই কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। জানতাম ভালো রান তুলতে পারলে টেস্ট আমাদের পক্ষে যাবে। পাশাপাশি যে লিড পেয়েছিলাম, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের দাপটের পর যেভাবে ম্যাচে ফিরলাম সেটাও মনে রাখার মতো। শান্ত থাকার দরকার ছিল। মনে রাখবেন, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলারকে আমরা পাইনি; কিন্তু বাকিদের নিয়ে আমি গর্বিত। দারুণ মানসিকতা দেখিয়েছে ওরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার আগেই বুঝেছিলাম অর্ধেক কাজ হয়ে গেছে। দুজন তরুণ ব্যাটারের ইনিংস অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে আমাদের।’ জয়সওয়ালের প্রশংসা করে রোহিত বলেন, ‘অনেক কথা বলেছি ওকে নিয়ে। ড্রেসিংরুমের বাইরেও ওকে নিয়ে অনেকে কথা বলে। ওকে নিয়ে প্রচুর কথা বলতে চাই না। মাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছে। এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি।’ হারের পর আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেন স্টোকস বলেন, ‘বেন ডাকেট (প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান) অবিশ্বাস্য খেলেছে। আমরা সবাই ইনিংসজুড়ে ওর মতো খেলার চেষ্টা করেছিলাম। ভারতের রানের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম; কিন্তু পারিনি। কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে গেছে। নইলে হয়তো খেলার ফল এ রকম হতো না।’ স্টোকস আরও বলেন, ‘আমরা তৃতীয় দিন বল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যখন ভেবেছিলাম, তার অনেক আগেই আমাদের নামতে হয়েছে। অনেক সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা যায় না। সেটাই হয়েছে।’
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X