খালেদা জিয়া আজ নিপীড়িত জনগণের মা : আব্দুস সালাম
বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ নিপীড়িত জনগণের মা। তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সম্মুখভাগ থেকে আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত এই পোস্টার লাগান আব্দুস সালাম। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। আমরা চাই, তিনি মুক্ত হয়ে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিবেন।   তিনি আরও বলেন, এবারের মা দিবসে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে তার ছবি সংবলিত পোস্টার লাগানো আমাদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ধারাবাহিকভাবে সব ওয়ার্ডে, সব জায়গায় এই পোস্টার লাগানোর মধ্য দিয়ে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি ত্বরান্বিত করা হবে। কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ রাজন, আরিফা সুলতানা রুমা, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তাসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতারা।
১১ মে, ২০২৪

বিএনপিকে ঠেকাতে গিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে সরকার : আব্দুস সালাম
বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আজকে বিএনপিকে ঠেকাতে গিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই জনগণের অধিকার ফিরে পাবার জন্য জনগণকেই আজ মাঠে নামতে হবে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মাঝে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  আব্দুস সালাম বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজে কালো চশমা পরে বক্তব্য দিয়ে বলেন- বিএনপি না কি চোখে কালো চশমা পরে আছে, কিছু দেখে না। আসলে জনবিচ্ছিন্ন হলে যা হয়। তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। এর জন্য জনগণের সুখ-দুঃখ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথাও নেই। তীব্র দাবদাহ এবং জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস অবস্থা। সেটি নিয়েও সরকারের মন্ত্রীরা বিদ্রূপ করছেন।  তিনি বলেন, পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে বিরোধীদলের আন্দোলনকে দমন করা হচ্ছে। আর ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি কোনো আন্দোলন করতে পারে না। রাস্তায় মিছিল-সমাবেশ করতে দেন না। পুলিশ দিয়ে গুলি করেন। কোনো সভা-সমাবেশ ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে গায়েবি মামলা। এই ধরনের মিথ্যাচার তারাই করতে পারেন যাদের দেশ, জনগণ এবং গণতন্ত্রের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।  বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, উন্নয়নের নামে চুরি, বাটপারি এবং লুটপাট করার পরও আপনারা (সরকার) যদি মনে করেন আপনাদের জনসমর্থন আছে, তাহলে পুলিশ আর র‌্যাব ছাড়া মাঠে আসেন- দেখা যাবে জনগণ কার পক্ষে অবস্থান নেয়। আপনি (ওবায়দুল কাদের) নিজেই স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের পতন হলে একরাতেই আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাবে।  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতী দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব কাজী রেজাউল করিম রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন প্রমুখ নেতারা।
০২ মে, ২০২৪

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলার চেয়ারম্যান হলেন অ্যাড. আব্দুস সালাম
দ্বিতীয় ধাপে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সম্প্রতি জাতীয় পার্টিতে যোগদানকৃত নেতা মশিউর রহমান বাদল মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় একক প্রার্থী হিসাবে অ্যাড. আব্দুস সালাম নির্বাচিত হয়েছেন। ইসলামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জামান হোসেন চৌধুরী জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত পত্রে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষণা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ, ২১ এপ্রিল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুজন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান পদে মশিউর রহমান বাদল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আগামী ২১ মে নির্বাচনকে সামনে রেখে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন নির্বাচনের মাঠ চুষে বেড়াচ্ছেন।
০১ মে, ২০২৪

নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার : আব্দুস সালাম আজাদ
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গাইলে জেলা বিএনপি আয়োজিত যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। চলমান উপজেলা নির্বাচন বর্জন এবং ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই যৌথসভা হয়। তিনি বলেন, আজকে দেশে যেমন গণতন্ত্র নেই, তেমনি মানুষের ভোটাধিকারও নেই। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করছে। জনসম্পৃক্ত এই আন্দোলনে ক্ষমতাসীনরা শিগগিরই জনগণের দাবি মানতে বাধ্য হবে। আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ৭ জানুয়ারির একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের ভোট বর্জন করেছে। এবারও আমরা তৃণমূলে ভোট বর্জনের ক্যাম্পেইনে নেমেছি। আমাদের বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের একতরফা ডামি ভোটও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামান শাহীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালের পরিচালনায় যৌথ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু ও কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল।  এ সময় হাসানুজ্জামান শাহীন বলেন, যেহেতু এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় না, সেহেতু উপজেলা নির্বাচনে কোনো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবে না। টাঙ্গাইলে বিএনপির কেউ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলে দলীয় সিদ্ধান্তে তাকে বহিষ্কার করা হবে। যৌথসভা শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে জনসাধারণের মাঝে উপজেলা নির্বাচনের ভোট বর্জনের আহ্বানসম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম আজাদ।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

লুটেরা নয়, গণতন্ত্রকামীদের ধরছে সরকার : আব্দুস সালাম
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, দেশে এত সমস্যা, সরকার বলে কোনো সমস্যা নেই। তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই জনগণের কষ্টে তাদের কিছু আসে-যায় না। দেশের পেছনে তাদের কোনো অবদান নেই, অবদান রয়েছে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাটে। স্বাধীনতার পর অনেকে রাজাকারদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অধীন শাহবাগ থানার ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে তীব্র দাপদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মাঝে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণকালে সালাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজকে কারা ব্যাংক লুট করছে? জনগণের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কোথায় গেল সে টাকা? তাদের কোনো বিচার নেই। সরকার তাদের ধরবে না, ধরবে গণতন্ত্রকামী জনতাকে। বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, আজকে মার্কেট জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পথে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। দোকান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও দেওয়া হচ্ছে না। চাঁদাবাজদের কারণে অতিষ্ঠ সর্বস্তরের ব্যবসায়ী। ক্ষমতাসীনদের চাঁদা না দিলে ভেঙে ফেলা হয় দোকানপাট। নেই কোনো প্রতিকার। পুলিশ নির্বিকার। সরকার এ সকল দলীয় সন্ত্রাসীদের ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে। তিনি বলেন, জাতিকে যারা শোষণ করছেন, দুর্নীতি করছেন, রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করেছেন- এই সরকার আজ তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। শ্রমিকরা আজ ন্যায্য বেতন পাচ্ছে না। বেতনের দাবিতে রাজপথে নামলে গুলি করে গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যা করা হয়, কোনো তদন্ত কমিটি হয় না।   বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, সরকার বলে তারা নাকি গুম-খুন করে না। তাহলে কোথায় গেল চৌধুরী আলম? কোথায় গেল ইলিয়াস আলী? এভাবে গুম-খুন করে বিএনপিকে শেষ করা যাবে না। কারণ, বিএনপি জনগণের দল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য এমএ হান্নান, জাকির হোসেন মন্টু, শাহবাগ থানা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপন, জাহিদ হোসেন নোয়াব, মুর্শেদ আলম, রাইসুল ইসলাম চন্দন, গোলাম সারোয়ার অপু, বিপ্লবী হক বিপ্লব, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা প্রমুখ।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় ছেলে চতুর্থ, অন্ধকার দেখছেন দিনমজুর আব্দুস সালাম
অভাব আর অনটনের সংসার। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অটোরিকশাচালক বাবা। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট রিয়াদ ইসলাম। পড়ালেখায় আগ্রহী থাকলেও অভাবের কারণে বেশি দূর এগোতে পারেনি তার বড় ভাই। বোনের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই। দুঃখ-কষ্টের সংসারে রিয়াদই এখন বাবা-মায়ের একমাত্র আশার আলো। আর তাই দিনরাত এক করে অটোরিকশা চালিয়ে ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেই চলছেন দরিদ্র বাবা। ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে বুকে আশা বুনেছেন রিয়াদের বাবা-মা।  রিয়াদ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৫নং মহাদিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর গ্রামের মো. আব্দুস সালাম ও মোছা. লাইজু বেগম দম্পতির ছোট ছেলে। এদিকে রিয়াদও থেমে নেই। পড়ালেখায় ইতোমধ্যে সফলতার সাক্ষর রেখেছেন তিনি। স্কুল ও কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়। ভর্তিযুদ্ধে এই সফলতার পরও চোখে অন্ধকার দেখছেন তিনি। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া, খাতা-কলম, থাকা-খাওয়াসহ বড় অঙ্কের টাকা প্রয়োজন প্রতি মাসে। নানা খরচের টাকার জোগান কীভাবে আসবে তা ভেবে ভেঙে পড়েছেন রিয়াদ।    দুশ্চিন্তায় অন্ধকার দেখছেন দিনমজুর পিতা। কীভাবে চালাবেন ছেলের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়ভার তার কোনো কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।  জানা যায়, কিছু আবাদী জমি থাকলেও ছেলের পড়ালেখার জন্য অনেক আগেই তা বন্ধক রাখেন আব্দুস সালাম। শুধু তাই নয়, পরিবারের সদস্যদের মুখে আহার জোটানো এবং ছেলের পড়ালেখার খরচ চালাতে অনেক সময় আত্মীয়স্বজন, ভাইবোনদের কাছেও হাত পাততে হয় তাকে। এমনকি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন তিনি।  স্কুল-কলেজ ও কোচিং শিক্ষকদের কাছেও বাকি রেখেছেন রিয়াদের পড়ালেখার ফি। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েও সব বাধা-বিপত্তি আর লজ্জাকে উপেক্ষা করে ছেলের পড়ালেখা চালিয়ে নিতে পিছু হটেননি এই বাবা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর তিনি কীভাবে এর ব্যয়ভার বহন করবেন তিনি এ চিন্তায় অস্থির হয়ে উঠেছেন তিনি। রিয়াদ ইসলাম কালবেলাকে জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি গ্রুপে ১৮ হাজার করে ৪টি গ্রুপে সর্বমোট ৭২ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে সে চতুর্থ স্থান অধিকার করে। শুধু তাই নয় সে ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। ভালো কিছু করতে পারলে বাবা-মায়ের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে, পাশাপাশি দেশের জন্য অবদান রাখতে চান রিয়াদ ইসলাম।  রিয়াদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি ইতোমধ্যে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে রিয়াদ ইসলাম দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
২৫ মার্চ, ২০২৪

এমপি সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়তে হবে
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়িটি সরকারের একটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এ বাড়ির দখল ছাড়তে হবে। বাড়িটি সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যে এই হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, দুদকসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে সালাম মুর্শেদী গুলশানের যে বাড়িতে বসবাস করছেন সেটা সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক। পরে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, জনস্বার্থের মামলায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার রায় বিরল। এর আগে কখনো উচ্চ আদালত এরকম রায় দেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর গুলশানের এই বাড়িটি সালাম মোর্শদীর দখলের রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ-এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিট আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭ এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন। রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও ২০২২ সালের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেয়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ সালে দেয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাখ্যা চেয়েছিল পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেয়ায় ফের ২০২২ সালের ৪ জুলাই চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে ভবনটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে সেটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দেওয়া হলো সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন। রিটের পর ২০২২ সালের ১ নভেম্বর আদালত রুল জারি করে আদেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। আর বাড়িসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। পরে পাশাপাশি আদেশ ও কোর্টের কার্যক্রম ছাড়া এ মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা না করতে উভয়পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আদালতকে জানান, আদালতের নির্দেশের পর বাড়িটি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে বাড়িটির বিষয়ে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষীর ভিত্তিতে দুদক সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ৫ ফেব্রুয়ারি মামলা করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। পরে গত ৩ মার্চ এ সংক্রান্ত রুলের ওপর শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
১৯ মার্চ, ২০২৪

কারাবন্দি নবী উল্লাহর বাসায় আব্দুস সালাম
কারাবন্দি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর  নিতে তার বাসায় যান দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যার পর  নবীর যাত্রাবাড়ী নবীনগরস্থ বাসভবনে যান তিনি। এ সময় নবীর অসুস্থ সহধর্মিণীসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন সালাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন  মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনম সাইফুল ইসলাম, সদস্য জামসেদুল আলম শ্যামল, প্রচার সেলের সদস্য মাহফুজ কবির মুক্তা, ডেমরা থানা বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামান, খোরশেদ আলম, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপি নেতা এহতেশাম উদ্দিন নকীব, আতিকুল হকসহ প্রমুখ নেতারা। উল্লেখ, গত ৬ জানুয়ারি নবী উল্লাহ নবীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৫ মার্চ, ২০২৪

সরকার বেশি দিন টিকবে না : আব্দুস সালাম
বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল ডামি নির্বাচন। এ নির্বাচন দেশে ও সারা বিশ্বের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ সরকার অত্যাচারী হয়ে গেছে। অত্যাচারী সরকার পৃথিবীর কোনো দেশেই টিকতে পারেনি। আমরা মনে করি, এ সরকারও বেশি দিন টিকতে পারবে না।    বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আব্দুস সালাম বলেন, দেশের মানুষ দেখেছে ৯৫ শতাংশ লোক ভোট দিতে যায়নি। এ নির্বাচন পৃথিবীর কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তো মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কাজেই কর্মসূচি আসবে, বিগত দিনে যে কর্মসূচি ছিল তার থেকে এবার আরও তীব্র কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি আরও বলেন, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, পশ্চিমা বিশ্বের যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে- তারা সবাই বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই রকম নির্বাচন বাংলাদেশে হয়নি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শত শত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে, কারাবরণ করেছে। কয়েকশত নেতাকর্মীকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদান করা হয়েছে। ব্যাপক পুলিশি নির্যাতনের মুখেও যারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই।    দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একতরফা ও ডামি নির্বাচন করেছে। বিএনপিসহ বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে ‘দলীয়’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করেছে। তবে এ দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণ তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বদ্ধপরিকর।   তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আর ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে তাদের একদফার আন্দোলন চলমান আছে। চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। মাঠে নির্যাতিত জনগণের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সম্মিলিত আন্দোলনে এ সরকারের পতন অবশ্যই ঘটবে। সেদিন বেশি দূরে নয়, বিজয় আসবেই। আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চলনায় এতে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধাও বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাইদুর রহমান মিন্টু, সদস্য অ্যাড. মকবুল হোসেন, এম এ হান্নান, আকবর হোসেন নান্টু, জোবায়ের এজাজ, ওমর নবী বাবু, নাদিয়া পাঠান, জামসেদুল আলম শ্যামল, খালেদ সাইফুল্লাহ রাজন, প্রচার সেলের সদস্য মাহফুজ কবির মুক্তাসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা।
০৭ মার্চ, ২০২৪

হাইকোর্টে ব্যারিস্টার সুমন / ‘মানুষ অপহরণের মতো সালাম মুর্শেদী বাড়ি অপহরণ করেছেন’
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রুল শুনানির জন্য আগামী রোববার (৩ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক এবং ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাজউকের পক্ষে  অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন মাসুদ শুনানি করেন। শুনানিতে ব্যারিস্টার অনীক আর হক এবং ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, রাজউক ও দুদকের হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন সেটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এ বাড়িতে তিনি এখন এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, মানুষ অপহরণের মতো সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়িটি অপহরণ করে বাস করছেন। এ বাড়িতে তিনি প্রতি সেকেন্ড অবৈধভাবে বাস করছেন। এ সময় হাইকোর্ট রাজউকের আইনজীবীকে প্রশ্ন রেখে বলেন, সেটেলমেন্ট কোর্টের অর্ডার ছাড়া এ সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদীর কাছে হস্তান্তর করা হলো? পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে জালিয়াতির ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সালাম মুর্শেদী বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই বাড়ি নিয়ে মামলা হয়েছে, তদন্তে জানা যাবে কার কতটুকু দায় আছে। এর আগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও মামলার এফআইআর হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। তবে আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চেয়েছেন। আদালত বলেছেন, এই বাড়ির চেইন অব টাইটেল আমাদের দেখাতে হবে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে দুদককে যাবতীয় নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে ২ সদস্যের কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত মূল নথি ও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এফিডেভিট করে এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। তার দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দুদককে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৩ নভেম্বর সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। সেদিন সালাম মুর্শেদীর পক্ষে কাগজপত্র দাখিল করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র দশদিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত। তারও আগে সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে রিট করা হয়। গত বছরের ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X