বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, দেশে এত সমস্যা, সরকার বলে কোনো সমস্যা নেই। তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই জনগণের কষ্টে তাদের কিছু আসে-যায় না। দেশের পেছনে তাদের কোনো অবদান নেই, অবদান রয়েছে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাটে। স্বাধীনতার পর অনেকে রাজাকারদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অধীন শাহবাগ থানার ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে তীব্র দাপদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মাঝে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণকালে সালাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে কারা ব্যাংক লুট করছে? জনগণের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কোথায় গেল সে টাকা? তাদের কোনো বিচার নেই। সরকার তাদের ধরবে না, ধরবে গণতন্ত্রকামী জনতাকে।
বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম অভিযোগ করে বলেন,
আজকে মার্কেট জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পথে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। দোকান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও দেওয়া হচ্ছে না। চাঁদাবাজদের কারণে অতিষ্ঠ সর্বস্তরের ব্যবসায়ী। ক্ষমতাসীনদের চাঁদা না দিলে ভেঙে ফেলা হয় দোকানপাট। নেই কোনো প্রতিকার। পুলিশ নির্বিকার। সরকার এ সকল দলীয় সন্ত্রাসীদের ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিকে যারা শোষণ করছেন, দুর্নীতি করছেন, রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করেছেন- এই সরকার আজ তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। শ্রমিকরা আজ ন্যায্য বেতন পাচ্ছে না। বেতনের দাবিতে রাজপথে নামলে গুলি করে গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যা করা হয়, কোনো তদন্ত কমিটি হয় না। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, সরকার বলে তারা নাকি গুম-খুন করে না। তাহলে কোথায় গেল চৌধুরী আলম? কোথায় গেল ইলিয়াস আলী? এভাবে গুম-খুন করে বিএনপিকে শেষ করা যাবে না। কারণ, বিএনপি জনগণের দল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য এমএ হান্নান, জাকির হোসেন মন্টু, শাহবাগ থানা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপন, জাহিদ হোসেন নোয়াব, মুর্শেদ আলম, রাইসুল ইসলাম চন্দন, গোলাম সারোয়ার অপু, বিপ্লবী হক বিপ্লব, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন