জিয়াউর রহমানের কর্মপন্থা বাস্তবায়িত হলে দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটত না : আমিনুল হক
বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে যে খাল কাটা, পুকুর খনন ও বৃক্ষরোপণের মতো জনকল্যানমূলক গণমুখী কর্মসূচি ছিল, বর্তমান আওয়ামী সরকার গত ১৭ বছর ধরে এ ধরনের কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে। আজকে বাংলাদেশে পরিবেশের যে বিপর্যয় ঘটেছে, সেটাই তার প্রমাণ।  তিনি দাবি করে বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এই কর্মপন্থা বাস্তবায়ন হলে আজকে দেশে যে তীব্র দাবদাহ, এ ধরনের বির্পযয় ঘটত না। বুধবার (১ মে) দুপুরে কাফরুল থানাধীন ৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পঞ্চম দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী সাধারণ জনগণ ও পথচারীদের মাঝে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।  বিএনপির এই নেতা বলেন, এই আওয়ামী ভোটারবিহীন ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আজকে জনগণের পাশে নেই। তারা এসি রুমে বসে ঠান্ডা বাতাস খাচ্ছেন। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সে কারণে জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। আজকে দেশের মানুষ আগুনে পুড়ছে। মানুষ গরমের ভেতর বিপর্যয় জীবনযাপন করছে। কিন্তু সেদিকে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই।  তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজকে দুঃশাসন চলছে। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। মানুষ শান্তিতে নেই। আজ দুবেলা দুমুঠো ভাত পেট ভরে খেতে পারছে না। সাংবাদিকদের  কথা বলা ও সঠিক তথ্য তুলে ধরার স্বাধীনতা নেই। জনগণের বাক-স্বাধীনতা না থাকায় তারা তাদের অধিকারের জন্য প্রতিবাদটুকুও করতে পারছে না।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য  তারিকুল আলম তেনজিং, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, মহানগর সদস্য গোলাম কিবরিয়া মাখন, হাজী মো. ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক, কাফরুল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আকরামুল হক আকরাম, যুগ্ম আহবায়ক ফজলুর রহমান মন্টু, কামাল উদ্দিন কামাল, গোলাম কিবরিয়া শিপু, থানা সদস্য মো. ওয়াহিদ, মহিলা দলের থানা সভানেত্রী নাজমা আক্তার, যুবদলের মো. শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. সুমন, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল রহমান রুবেল, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শিমুল হোসেন ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান পল্টু, ছাত্রদল মহানগর পশ্চিমের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্জুরুল আহসান ইফাতসহ প্রমুখ নেতারা।
০১ মে, ২০২৪

গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দিয়েছে সরকার : আমিনুল হক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দিয়ে দেশকে একদলীয় দুঃশাসনের চরম অন্ধকারে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের যে গণতন্ত্র সেই গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেই। দেশে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে দিনমজুর, রিকশাচালক ও সাধারণ শ্রমিকরা দু’বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারছে না। কিন্তু সেদিকে সরকারের এক বিন্দুও নজর নেই, সরকার আছে তার নিজেকে নিয়ে। তারা লুটপাটে ব্যস্ত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপি সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের মাঝে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।   বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৭টা বছর ধরে বাংলাদেশে গাছপালা রোপণ করেনি, তারা গাছপালা নিধন করেছে। তারা নদী-নালা, খাল-বিল দখল নিয়ে ভরাট করে নিজেদের পকেটের উন্নয়ন করেছে, নিজেদের পকেটকে ভরাট করেছে। এ কারণেই আজকে দেশে এত তীব্র দাবদাহ। তিনি বলেন, আজকে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, গত ১৭টা বছর ধরে দেশের মানুষ সেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে পায়নি।  আমিনুল হক বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসেও আমাদের স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকারের জন্য, একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রক্ত দিতে হচ্ছে, জীবন দিতে হচ্ছে। তিনি দাবি করে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করতে বিএনপিসহ সাধারণ মানুষ একসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়লে, এই সরকার এক মুহূর্তের জন্যও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আকতার হোসেন, মহানগর সদস্য হাজী মো. ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক, শাহ আলম, এল রহমান, তেজগাঁও থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, হাফিজুর রহমান কবির,  শেরেবাংলা নগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল সিকদার, তোফায়েল আহমেদ, খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, মাহফুজুর রহমান সজীব, রানা চৌধুরী, ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মজনু দর্জীসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের দিনে গুম পরিবারের খোঁজ নিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক
বিভিন্ন সময়ে বিএনপির নিখোঁজ ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন তিনি এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এদিন সকালে রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম, পল্লবী থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম তারা এবং ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত পল্লবী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মরহুম মকবুল হোসেনের পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন এবং কুশলাদি বিনিময় করেন আমিনুল। এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এসব পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছাও জানান। আমিনুল হক বলেন, এই দিন দিন নয়, দিন আরও আছে। আজকে যারা গুম খুন করছে, যারা সহায়তা করছে, যারা নির্দেশ দিচ্ছেন তাদের এক দিন কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। মৃত্যুর পরও তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। কবর থেকে উঠিয়ে তাদের বিচার করা হবে এই নৃশংসতার। মরণোত্তর বিচার করা হবে। পরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক। গুলশানে বিএনপি চেয়াপারসনের কার্যালয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোস্তফা জামান, মহানগর সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, হাজি মোহাম্মদ ইউসুফ, দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত এবিএমএ রাজ্জাক, জিয়াউর ইসলাম জিয়াসহ বিএনপির সকল থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করে ফুটবলার আমিনুল।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

আওয়ামী লীগ বিশ্বাসঘাতক দল : আমিনুল হক
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তারা বরাবরই ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতক দল হিসেবে পরিচিত। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, ষড়যন্ত্র করে, ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসলেও তাদের রাজনীতি আজ ক্ষয়ে গেছে। তাদের রাজনীতি ঘুণে খেয়ে ফেলেছে। তারা দেশের মানুষ নয়, তারা একটি প্রতিবেশী দেশের তল্পিবাহক হিসেবে ক্ষমতায় আছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে সেই দেশকে আজ পরাধীন করার পাঁয়তারা করছে আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে ওই দলটি গণতন্ত্রকেই খেয়ে ফেলেছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভকে দলীকরণ করেছে। প্রশাসনের ওপর ভর করে আর প্রতিবেশী দেশের সমর্থনে তারা এবারো ক্ষমতায় এসে জনগণের ওপরই প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে এ দেশের জনগণ ভোট দিতে যায়নি। তারা আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, ভোট বর্জনকারী দেশের ৯৫ ভাগ জনগণকে এবার সঙ্গে নিয়ে রাজপথের আন্দোলন শুরু করা হবে। এই আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন। এবারের আন্দোলন দেশকে রক্ষার আন্দোলন, লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর আন্দোলন। সেই আন্দোলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেৃতত্ব দিবেন। দেশের ছাত্র, তরুণ, যুবক, কৃষক থেকে শুরু করে নারী-পুরুষ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।   অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল, উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, সদস্য হাজী ইউসুফ ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ বি এম এ রাজ্জাকসহ থানা, ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

তিন মাস পর ছাড়া পেলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক
তিন মাস ৬ দিন পর জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। তার বিরুদ্ধে থাকা ১২টি মামলার সবকটিতে জামিন হওয়ার পর বৃহস্পতিবার গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।  শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ বিএনপি নেতার বড় ভাই মঈনুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, আমিনুল হক শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাকে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। জানা যায়, গত ২ নভেম্বর তাকে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকা থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় করা বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।  এসব মামলায় দুই দফায় তাকে ১১ দিন রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে থাকাবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে এ সময়ে। মঈনুল হক তার ভাইয়ের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, সুস্থ হয়ে আবারও রাজনীতির মাঠে ফিরবেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পুলিশ হত্যা / সাবেক ফুটবলার আমিনুলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক ফুটবলার আমিনুল হকের জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।  এদিন আমিনুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় পল্টন থানার দায়ের পৃথক পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখান আদালত। এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. তরীকুল ইসলাম।  দুপুরে তাকে এ মামলায় আদালতে তোলা হয়। এ সময় তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।  এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জহির উদ্দিন স্বপন।  
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের ক্ষতি হলে কাউকে ছাড় নয় : আমিনুল হক শামীম
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির অতিরিক্ত মহাসচিব ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম বলেছেন, ‘বিএনপির লোকদের বলছি আপনারা কোনো ধরনের নাশকতা করবেন না। তাহলে মালিক-শ্রমিকরা বসে থাকবে না। সর্বাত্মকভাবে আপনাদের প্রতিহত করা হবে। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ক্ষতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা শান্তি চাই। এই ময়মনসিংহে আপনাদের (বিএনপি-জামায়াত) আর ছাড় দেওয়া হবে না।’ বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর টাউন হলের ভাষাসৈনিক শামসুল হক মুক্তমঞ্চে সারা দেশের বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ব্যবসায়ী, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসমূহের ব্যানারে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে লগি-বৈঠা নিয়ে দলে দলে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয় যা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শান্তি সমাবেশে ময়মনসিংহ দোকান মালিক সমিতি ঐক্যপরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা, মহাসচিব মাহবুবুর রহমান, সম্পাদক সোমনাথ সাহা, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহা, দোকান মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম আজাদ সেলিম, জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানু, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন আরিফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর হিমেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন, যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকার প্রমুখ।
০১ নভেম্বর, ২০২৩
X