শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (ইআরডিএফবি) আয়োজনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন- যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)’ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান।  এ ছাড়া আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান। আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইআরডিএফবির সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন। প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশ স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল কর্তৃক ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। ছিনতাই হওয়া দেশকে উদ্ধারের লক্ষ্যেই সেদিন শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল। শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে আমরা কোনোদিন ১৯৭১ এ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত এ বাংলাদেশ ফিরে পেতাম না। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার কর্তৃক তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশ ২০১৬ সালে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট কর্তৃক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ এতটা সহজ কোনো বিষয় ছিল না। বাংলাদেশের এমন অভাবনীয় উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং সুদক্ষ নেতৃত্বগুণে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি সেদিন ফিরে না আসলে বর্তমান বাংলাদেশের ইতিহাস হয়তো ভিন্নভাবে রচিত হতো। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এমন অভাবনীয় উন্নয়নের পেছনে একমাত্র চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শনের আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের সমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যেই দেশে এত এত নদীপথ, সড়কপথ এবং রেলপথের বিস্তার ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় এমন উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নতকরণ করেছে। অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নতুন মহাসড়ক নির্মাণ, পুরাতন রেলপথ সংস্কারসহ নতুন রেলপথ নির্মাণ, ১১৩১টি নতুন সেতু এবং ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষিত হলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার প্রায় ৬০টি জেলার মধ্যেই সরাসরি যোগাযোগ সম্পর্ক তৈরি হবে। এতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা নিঃসন্দেহে আরও বেশি বেগবান হবে। সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বিগত শিল্পবিপ্লবগুলোতে ১০০ বছর পিছিয়ে ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। এ অগ্রযাত্রায় শামিল হতে ছাত্রদের পড়াশোনা ও বিজ্ঞানচর্চায় আরও মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।  তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের একটি অন্যতম খাত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর দেশের যোগাযোগ খাত আজ যখন উন্নয়নের শিখরে তখন ফিরে তাকিয়ে সর্বশেষ দশকটি দেখলে উন্নয়নের একটি ভিন্নধর্মী চিত্র দেখা যায়। গত দেড় দশকে স্থিতিশীল আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবস্থার তত্ত্বাবধানে দেশের অন্যান্য খাতের মতো যোগাযোগ খাত পেয়েছে উন্নয়নের ধনাত্মক মাত্রা। ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও বাণিজ্যিক খাতে সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে গত ১০ বছরে যোগাযোগ খাতে গ্রহণ করা হয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রজেক্ট। আর এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কল্যাণে । ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই মূলত বাঙালি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই স্বাধীনতাবিরোধী জোট সরকারের শাসনামলে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কুশাসনে অতিষ্ঠ বাঙালি জাতি আজ বিশ্বে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন এক জাতিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অকুতোভয় সাহসী নেতৃত্ব, সততা, মেধা ও প্রজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ আজ আলোকিত অভিযাত্রায় শামিল হয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। সেদিন তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বারবার অন্ধকারে ডুবে যাওয়া বাংলাদেশ আলোর মিছিলে, কল্যাণের পথে, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।
১৭ মে, ২০২৪

ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করতে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তার চিঠিতে দুদেশের সম্পর্ককে উচ্চতর ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লু এসেছেন। বাণিজ্য-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নির্মীয়মাণ ৪০টি আইটি ভিলেজে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ডোনাল্ড লুকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, আমাদের ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত করার জন্য জিএসপি সুবিধা তারা ফিরিয়ে দিতে চান। সেজন্য আমাদের শ্রমনীতি একটু রিভিউ করতে হবে, যেটি আমরা রিভিউ করছি। ভিসা নীতি নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ইউএস ভিসা পলিসি ইজ ডরম্যান্ট নাউ। সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করার জন্য তাদের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) থেকে অর্থায়ন করতে চায়। আমাদের ট্যাক্স সিস্টেম আধুনিক এবং ফাঁকি রোধে ট্যাক্স কালেকশনের ক্ষেত্রেও সহায়তা করতে চায়। নারী ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু ইস্যুতেও সহায়তার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন লু। হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের আওতাভুক্ত। তবে তাদের বিচার বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বিচার বিভাগের সম্মতি আনয়নের কাজ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
১৬ মে, ২০২৪

ডোনাল্ড লু'র সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে, সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করতে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু'র সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  বুধবার (১৫ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান এফেয়ার্স ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সফররত দলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তার চিঠিতে দু'দেশের সম্পর্ককে উচ্চতর ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসঙ্গে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।  বাণিজ্য-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একক দেশ হিসেবে আমাদের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে নির্মিয়মাণ ৪০টি আইটি ভিলেজে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ডোনাল্ড লু-কে অনুরোধ জানিয়েছি, কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে। তিনি বলেন, ডোনাল্ড লু বলেছেন, আমাদের ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারিত করার জন্য যে 'জিএসপি' সুবিধা আমরা আগে পেতাম এখন পাই না, সেটি তারা ফিরিয়ে দিতে চায়। সেজন্য আমাদের লেবার পলিসিটা একটু রিভিউ করতে হবে, যেটি আমরা রিভিউ করছি। সেটি নিয়ে গতকাল আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী করার জন্য তাদের ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) থেকে বাংলাদেশকে অর্থায়ন করতে চায়। একইসঙ্গে আমাদের ট্যাক্স সিস্টেমকে আধুনিক করার জন্য আমাদের সহায়তা করতে চায়। ট্যাক্স ফাঁকি রোধে ট্যাক্স কালেকশনের ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহায়তা করতে চায়। এলডিসি বা নিম্ন থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাতেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা বলেছে।   তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের আওতাভুক্ত। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য বিভাগগুলোর হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। কিন্তু তাদের বিচার বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বিচার বিভাগের সম্মতি আনয়নের কাজ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের পরই সবচেয়ে বেশি ত্রাণ সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। লু জানিয়েছেন, তিনি এ সহায়তা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।  বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যাতে আরও ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যায়, ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহায়তা করতে চায় বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাব দিয়েছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যেন তাদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা হয়।  মন্ত্রী আরও জানান, তারা নারী ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু ইস্যুতেও সহায়তাদানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। ভিসানীতি নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, 'ইউএস ভিসা পলিসি ইজ ডরম্যান্ট নাউ'। সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা হয়নি। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 
১৫ মে, ২০২৪

লুর সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা করলেন পরিবেশমন্ত্রী?
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডোনাল্ড লুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হলো তা জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সামনের দিকে সম্পর্ককে কীভাবে আরও সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকার যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কীভাবে আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।  মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আমেরিকা আরও কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আলাপ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের আগামী দিনের যে সহযোগিতা সেটাকে আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করব। আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা তিন বা চার অথবা পাঁচ বছরের একটা কর্মসূচি নেব। 
১৫ মে, ২০২৪

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি নিয়ে আলোচনা হবে
র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতি ঢাকা-ওয়াশিংটনের সম্পর্কে কিছুটা রেখাপাত করেছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তাই যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ সম্পাদিত ‘পদ্মা ব্রিজ: অ্যান এপিক অ্যাকমপ্লিশমেন্ট’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। ডোনাল্ড লু দুই দিনের সফরে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার প্রথম সফর এটি। লুর এই সফর ঘিরে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে। এই অঞ্চলে বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে দেখভালকারী ডোনাল্ড লু বেশ আলোচিত। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। এর আগে গত জুলাইয়ে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। এই সফর ঘিরে আবারও সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। আওয়ামী লীগ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই—এমন দাবি বিএনপির। লুর এবারের সফর যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আলোচনা হবে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি আর পেছনে ফিরে যাবে না। নিষেধাজ্ঞার পুরোনো শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো উত্তাপ ছড়াতে যাইনি। যেহেতু সামনে আর কিছু নেই; তাই ডোনাল্ড লু এসে সরকার হটানোর অভিসন্ধি আছে কি না, তা বিএনপি ভালো বলতে পারবে। অন্যদিকে ডোনাল্ড লুর এই সফর একেবারেই আমলে নিচ্ছে না বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে এলো আর কে গেল, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তিনি বলেন, তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। প্রধানমন্ত্রী চতুর্থবার নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এবং নতুন উচ্চতায় নেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই বাংলাদেশে সফর করুক না কেন, আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। ঢাকা সফরের সময় ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে লুর মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।
১৪ মে, ২০২৪

বাজেট নিয়ে সিপিবির আলোচনা ১৫ মে 
আসন্ন বাজেট নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। ‘বাজেট : গণমানুষের ভাবনা’- শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী বুধবার (১৫ মে) পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে। আলোচনায় শ্রমিক-কৃষক-ক্ষেতমজুর-নারী-চিকিৎসক-যুব-ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের মতামত তুলে ধরবেন। এতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, অধ্যাপক রাশেদ আল তিতুমীরসহ সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন। আগামী ২ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন বসবে এবং ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন। জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট।
১৩ মে, ২০২৪

ডোনাল্ড লু’র সফরে ভিসানীতি সহজীকরণে আলোচনা হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার প্রথম সফর এটি। এ সফরে অর্থনৈতিক নানা সম্পর্কের বিষয়সহ ভিসানীতি বা নিষেধাজ্ঞা বন্ধ বা সহজীকরণে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ সম্পাদিত ‘পদ্মা ব্রিজ : অ্যান এপিক অ্যাকমপ্লিশমেন্ট’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  ডোনাল্ড লু’র সফরে আলোচ্য বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই বাংলাদেশ সফর করুক না কেন, আমরা এই সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই একসঙ্গে কাজ করব। সেখানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে, নানাক্ষেত্রে কো-অপারেশন আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসানীতি ও র‌্যাবের কিছু ব্যক্তিবিশেষের ওপর নিষেধাজ্ঞা, সেগুলো আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা রেখাপাত করেছে তো বটেই। সেগুলো আমরা অবশ্যই আলোচনা করব। এই বিষয়গুলো যাতে সহজীকরণ হয় বা ওঠে যায় তা নিয়ে আমরা ইতোপূর্বে মার্কিন প্রশাসনের হোয়াইট হাউস বা স্টেট ডিপার্ট্মেন্টের যেসমস্ত কর্মকর্তা এসেছিলেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সে প্রসঙ্গগুলো স্বাভাবিকভাবে আলোচনায় আসবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে অনুরোধও জানানো হয়েছে, কিন্তু আরাকানের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যাবাসনে বাধা রয়েছে। তবে এটাকে যদি তারা পুঁজি করে সেটি ঠিক নয়। এ সময় বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা। তাদের সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিন্দুকের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে সিপিডি টিআইবিসহ সমালোচনাকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।  তিনি বলেন, জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে যে কোনো উন্নয়ন সম্ভব সেটির বড় প্রমাণ পদ্মা সেতু।
১৩ মে, ২০২৪

চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে। খবর রয়টার্সের। গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য ইজ্জাত এল-রিশেক বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনুমোদনের বিষয়ে আবারও আশ্বস্ত করে হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করেছে। এই প্রস্তাবে গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কায়রোতে পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে। এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে ইসরায়েল। নতুন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে হামাসের প্রস্তাব নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তেল আবিব নিজেদের আপত্তি জমা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।   এর আগে গত সোমবার (৬ মে) হামাসের একটি সূত্র জানায়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান। হামাসের এমন বার্তার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ইসরায়েলের সব দাবি পূরণ করেনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে তা মিসরীয় প্রস্তাবের কাটছাঁট। তবে এতে এমন বিষয়ও রয়েছে যাতে ইসরায়েল রাজি হবে না। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে মিসরের সঙ্গে আলোচনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও ভিসা অব্যাহতি নিয়ে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের সাইভলাইনে স্থানীয় সময় শনিবার (৪ মে) বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ এবং মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় হাছান মাহমুদ পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে প্রস্তাবনা দিলে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল ভিসা অব্যাহতি নিয়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হন। পাশাপাশি উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন  আয়োজনের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একমত হন তারা। মিসরে বাংলাদেশ মিশনের চ্যান্সারি ভবন নির্মাণে মিসর সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন।
০৪ মে, ২০২৪

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর, ভবিষ্যৎ ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা বিষয়ে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, কৃষি বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিসহ বহুপাক্ষিক অংশীজনের অংশগ্রহণে এক গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। কৃষি উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক অংশীজন এবং কৃষি ব্যবসায়ীদের নিকট বাংলাদেশের কৃষিখাতের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় ও নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাস। কৃষি গবেষণায় বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চ এবং কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এ গোলটেবিল আলোচনাটি আগামী ০৬ মে সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যদের সঙ্গে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব ব্যাংক, গেটস ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা যোগ দিবেন। গোলটেবিল বৈঠকের কার্যক্রম নেদারল্যান্ডস থেকে ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্লাটফর্ম https://wur.yuja.com/LiveStream/W/1561642/277811235 এ ০৬ মে সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.০০ টা থেকে প্রচারিত হবে।  বাংলাদেশের কৃষিতে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) এবং দক্ষতার ঘাটতি পূরণ- এই ৪টি বিষয়ে আলোচনা সভায় গুরুত্বারোপ করা হবে।   এ আলোচনা সভায় যোগ দিতে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের নেতৃত্বে নেদারল্যান্ডস যাচ্ছেন চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান।  শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদল নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডস বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক দেশ। নেদারল্যান্ডসের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা দক্ষতা দেশের কৃষিতে প্রয়োগের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে নেদারল্যান্ডস সফরকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৃষিখাতের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছিলেন। বিগত দুই বছরে কৃষি খাতে বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের  প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা যেসব বড় বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, তা মোকাবিলা করতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৩টি রূপান্তরমূলক প্রকল্প গ্রহণের জন্য তহবিল অনুমোদন করেন। কৃষি খাতে বৈশ্বিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে কানাডার কৃষি গবেষণায় শীর্ষস্থানীয় সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার আলোকে সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন, গাজীপুরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের চত্বরে বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন ও ঢাকায় বিএআরসি চত্বরে সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির অফিস স্থাপন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি প্রযুক্তি ও জাত উদ্ভাবন নিয়ে ইতোমধ্যে গবেষণা শুরু করেছেন এবং বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে।
০৪ মে, ২০২৪
X