রামপুরায় বারে ভাঙচুর ,পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই
রাজধানীর রামপুরায় ক্যান্টন রেস্তোরাঁ অ্যান্ড বারে ভাঙচুর চালিয়েছেন একদল যুবক। পুলিশ এসে একজনকে আটক করলে তাদের ওপরও চড়াও হন ভাঙচুরকারীরা। হামলা চালিয়ে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেন তারা। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে হাতিরঝিল ও রামপুরা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের মামলায় আটক তিনজন ছাড়াও আরও ১১ জনের নাম রয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনকে। হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. রফিক, মেহেদী হাসান ও ফয়েজ আহম্মেদ বাবু। অন্য আসামিরা হলেন সাজ্জাদ চৌধুরী, বায়োজিদ, জাহিদ, জনি, নোহা রনি, রহমান, বাবু অরফে কালা বাবু, রমজান, কাদের, বাবু ও রোমান ওরফে নোমান। থানা পুলিশ ও বার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ক্যান্টন বারে মদ খেতে যান সাজ্জাদ, বায়োজিদ ও তার দুই বন্ধু। বারে তাদের বিল আসে চার হাজার টাকা। তবে বিল না দিয়েই তারা বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেন কর্মচারী নুরুল ইসলাম। বাধা দেওয়ায় গালাগাল শুরু করেন সাজ্জাদ ও তার সঙ্গীরা। এক পর্যায়ে সাজ্জাদ চেয়ার দিয়ে নুরুল ইসলামের মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে যায় তার। মুহূর্তেই উপস্থিত লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। হাতিরঝিল থানার এসআই জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম বারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একজনকে আটক করে। বাকি তিনজন পালিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, তিনজন পালিয়ে যাওয়ার পরপরই সাজ্জাদের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন এসে দেশি অস্ত্র, রড, হকিস্টিক নিয়ে বারে হামলা চালিয়ে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেন। একই সঙ্গে ভাঙচুর চালায় বারটিতে। এ সময় পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন তারা। হাতিরঝিল থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, এ হামলায় তিনিসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হাতিরঝিল থানারও ওসি আওলাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ মামলা করেছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে হত্যা মামলার আসামি ছিনতাই
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মানবপাচার ও হত্যার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর দেড়টায় উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়া ঈদগাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামির নাম মো. তুরাপ মোল্যা (৪৫)। তিনি মাঝারদিয়া গ্রামের মৃত আনারদ্দিন মোল্যার ছেলে। মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. ফারুক হোসেন কালবেলাকে জানান, তুরাপ একজন আদম ব্যবসায়ী। ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মাঝারদিয়া গ্রামের নুর আলম নামে এক ব্যক্তিকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করে। ওই মামলার প্রধান আসামি তুরাপ মোল্যার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারিপরোয়ানা জারি করেন আদালত। সালথা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তুরাপকে জুমার নামাজের সময় মাঝারদিয়া ঈদগাহ মসজিদের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তুরাপের বড় ভাই হানিফ, কিরাম, ভাতিজা রহিম ও রিয়াজসহ পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশকে প্রতিহত করতে তুরাপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা নিয়েও বের হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সালথা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন কালবেলাকে জানান, আমাদের হামলা করা হয়নি। আসামি গ্রেপ্তারের পর আসামি তুরাপের পরিবারের লোকজন এসে ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেয়। তুরাপ উঠে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে কালবেলাকে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আসামিকে ধরতে ইতোমধ্যে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে নেমেছে। আশা করি তাকে খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করতে পারব।  
০২ মার্চ, ২০২৪

পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার ৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পুলিশের হাত থেকে আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার খামারগাঁতী খাতি দক্ষিণপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে রতন আলী (৩৫), হায়দার আলী (৪০), বাহের আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৭), জাকারিয়া শেখ (২৫) ও মৃত জয়ানের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৮)। এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আসামী আবুল বাশার ওরফে বকুল শেখকে (৪০) গ্রেপ্তারের পর পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয় তার স্বজনেরা।  রায়গঞ্জ থানার ওসি মো. হারুন-অর রশিদ বলেন, আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এএসআই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতভর অভিযান চালিয়ে ওই মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়া আসামীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।   প্রসঙ্গত, উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের খামারগাঁতী গ্রামের আবুল বাশার ওরফে বকুল শেখ (৪০) প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এতে প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হলে রায়গঞ্জ থানার এএসআই জিয়াউর রহমান একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয় তার স্বজনরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আসামীর স্বজনদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

র‍্যাব সদস্যকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই
নরসিংদীতে র‍্যাবের এক সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় এক আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রায়পুরা থানার নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান, সন্ধ্যায় উপজেলার চরাঞ্চল নিলক্ষা ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি ইউনুস আলীকে (৪০) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১ উত্তরার একটি দল। পরে তাকে নিয়ে আসার সময় দুর্বৃত্তরা র‌্যাব সদস্যদের ওপর হামলা করে ইউনুস আলীকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় দুর্বৃত্তদের ধারালো দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে হাতে ও মাথায় গুরুতর জখম হন র‌্যাব-১-এর সদস্য কনস্টেবল ইমরান হাসান। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। তবে এ ব্যাপারে র‌্যাবের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। র‌্যাব-১-এর এএসপি তারিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এদিকে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কালীগঞ্জে চার পুলিশকে কুপিয়ে জখম, ওয়ার্লেসসহ আসামি ছিনতাই
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৪ পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ওয়্যারলেস সেট ও আসামি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক কনস্টেবলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোক্তারপুরের ডেমরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ১২(১২)২৩নং মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আরিফকে গ্রেপ্তার করতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হায়দার শুভর নেতৃত্বে মোক্তারপুরের ডেমরা এলাকায় আরিফের বাড়িতে যায় পুলিশ।  এ সময় আরিফকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেয় পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে এবং এসআই সাব্বিরের সঙ্গে থাকা ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেয় আসামি আরিফ। ওয়্যারলেস সেট ফিরিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বললে আরিফসহ তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এসআই সাব্বির হায়দার শুভ ও এএসআই সুলতান মাহমুদ আহত হন। সংবাদ পেয়ে এসআই শামীম আল মামুন ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। ঘটনায় আহত পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমানের অবস্থা গুরুতর । এ ছাড়াও হামলায় এসআই সাব্বির হায়দার শুভ, এসআই শামীম আল মামুন এবং এএসআই সুলতান মাহমুদ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরিফ পালিয়ে গেলে তার মা ফাতেমা বেগম (৫০) ও  বোন হাফসাকে (১৮) আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।  বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।  কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুস কবির বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। সে সময় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা এসআই সাব্বির হায়দার শুভ বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে কালীগঞ্জ থানার একটি মামলার আসামি আরিফকে ধরতে গেলে সে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, আহত পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

আসামি ছিনতাই চেষ্টা, পুলিশের গুলিতে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের গুলিতে আইয়ুব নূর (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব ওই এলাকার মস্তু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বিজয়নগর থানার ওসি রাজু আহমেদ বলেন, আদমপুর গ্রামের আইয়ুব নূরের পরিবারের প্রায় সবাই মাদক ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে আরিফ নূরের নামে ৫টি ও তোফাজ্জলের নামে ১০টি মামলা রয়েছে। আরিফ নূরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। গতকাল ভোরে বিজয়নগর থানা পুলিশ বাড়ি থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসার সময় আরিফের পরিবারের সদস্যরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করেন। পুলিশকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন তারা। এ সময় তারা দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাফসহ আরিফকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ সময় পুলিশ ৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে গুলিবিদ্ধ হন আইয়ুব নূর, সালমা বেগম ও ইমন নামে এক কিশোর। আহতদের প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মারা যান আইয়ুব নূর। এদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন এসআই সাইদুল হক, এএসআই আব্দুল আল মামুন, এএসআই সেলিম ও কনস্টেবল তুষার। বাকিদের নাম জানা যায়নি। এর মধ্যে আব্দুল আল মামুন ও তুষার চম্পকনগর ইউনিয়নের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিহতের স্বজনদের দাবি, ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়িতে ফাঁকা গুলি করে আরিফকে নিতে আসে কিছু মানুষ। পুলিশ কি না বুঝতে না পেরে ডাকাত সন্দেহে তারা এগিয়ে আসেন। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে আরিফের বাবা আইয়ুব নূরসহ কয়েকজন আহত হন।
২১ জুলাই, ২০২৩

বগুড়ায় এসআইকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই
বগুড়ার গাবতলীতে মাদক উদ্ধারের অভিযানে গিয়ে স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছেন থানা পুলিশের এক এসআই। এ সময় তারা হ্যান্ডকাপসহ আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। জাহাঙ্গীর আলম নামে ওই এসআই ওসির অনুমতি ছাড়া নিজের বিট ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে এ হামলার শিকার হন। গত সোমবার সন্ধ্যায় ছিনতাই আসামি খোকন রায়কে মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা গেলেও হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার হয়নি। খোকন রায় উপজেলার মড়িয়া হিন্দুপাড়ার রাজকুমার ওরফে খোকা রায়ের ছেলে। গোলাবাড়ি বাজারে তার ওষুধের দোকান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ট্যাপেন্টাডল নামে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট বিক্রির অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, এসআই জাহাঙ্গীর উপজেলার কাগইল ইউনিয়ন বিট পুলিশের দায়িত্বে আছেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিনি এএসআই ইউসুফ আলী ও কনস্টেবল শাহাদৎকে সঙ্গে নিয়ে হিন্দুপাড়ায় গিয়ে খোকনকে আটক করেন। গ্রামবাসী জানান, খোকনের স্বজন আটকের কারণ জানতে চাইলে এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, তার কাছে ১০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। সেই ট্যাবলেট দেখতে চাইলে এসআই তা দেখাতে পারেননি। এতে স্থানীয়রা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এএসআই ইউসুফ ও কনস্টেবল শাহাদৎ মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়েন। পরে গ্রামের লোকজন এসআই জাহাঙ্গীরকে মারধর করে হ্যান্ডকাপসহ খোকনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে এসআই জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে। স্থানীয় পরিমল রায় বলেন, পুলিশ খোকনকে আটক করলেও তার কাছে কিছুই পায়নি। তারপরও তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। গাবতলী থানার ওসি সনাতন সরকার বলেন, এসআই জাহাঙ্গীর আমাকে বা থানার ডিউটি অফিসারকে না জানিয়ে মাদক উদ্ধারে অন্য বিটে যান। সেখানে এ ঘটনা ঘটে। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় খোকনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খোকন রায়কে আটকের পর তার কাছে ১০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া গেছে।
০৭ জুন, ২০২৩
X