গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৪ পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ওয়্যারলেস সেট ও আসামি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক কনস্টেবলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোক্তারপুরের ডেমরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ১২(১২)২৩নং মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আরিফকে গ্রেপ্তার করতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হায়দার শুভর নেতৃত্বে মোক্তারপুরের ডেমরা এলাকায় আরিফের বাড়িতে যায় পুলিশ। এ সময় আরিফকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেয় পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে এবং এসআই সাব্বিরের সঙ্গে থাকা ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেয় আসামি আরিফ। ওয়্যারলেস সেট ফিরিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বললে আরিফসহ তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এসআই সাব্বির হায়দার শুভ ও এএসআই সুলতান মাহমুদ আহত হন। সংবাদ পেয়ে এসআই শামীম আল মামুন ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। ঘটনায় আহত পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমানের অবস্থা গুরুতর । এ ছাড়াও হামলায় এসআই সাব্বির হায়দার শুভ, এসআই শামীম আল মামুন এবং এএসআই সুলতান মাহমুদ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরিফ পালিয়ে গেলে তার মা ফাতেমা বেগম (৫০) ও বোন হাফসাকে (১৮) আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুস কবির বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। সে সময় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা এসআই সাব্বির হায়দার শুভ বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে কালীগঞ্জ থানার একটি মামলার আসামি আরিফকে ধরতে গেলে সে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, আহত পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন