বগুড়ার গাবতলীতে মাদক উদ্ধারের অভিযানে গিয়ে স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছেন থানা পুলিশের এক এসআই। এ সময় তারা হ্যান্ডকাপসহ আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। জাহাঙ্গীর আলম নামে ওই এসআই ওসির অনুমতি ছাড়া নিজের বিট ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে এ হামলার শিকার হন। গত সোমবার সন্ধ্যায় ছিনতাই আসামি খোকন রায়কে মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা গেলেও হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার হয়নি। খোকন রায় উপজেলার মড়িয়া হিন্দুপাড়ার রাজকুমার ওরফে খোকা রায়ের ছেলে। গোলাবাড়ি বাজারে তার ওষুধের দোকান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ট্যাপেন্টাডল নামে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট বিক্রির অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, এসআই জাহাঙ্গীর উপজেলার কাগইল ইউনিয়ন বিট পুলিশের দায়িত্বে আছেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিনি এএসআই ইউসুফ আলী ও কনস্টেবল শাহাদৎকে সঙ্গে নিয়ে হিন্দুপাড়ায় গিয়ে খোকনকে আটক করেন।
গ্রামবাসী জানান, খোকনের স্বজন আটকের কারণ জানতে চাইলে এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, তার কাছে ১০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। সেই ট্যাবলেট দেখতে চাইলে এসআই তা দেখাতে পারেননি। এতে স্থানীয়রা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এএসআই ইউসুফ ও কনস্টেবল শাহাদৎ মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়েন। পরে গ্রামের লোকজন এসআই জাহাঙ্গীরকে মারধর করে হ্যান্ডকাপসহ খোকনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে এসআই জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় পরিমল রায় বলেন, পুলিশ খোকনকে আটক করলেও তার কাছে কিছুই পায়নি। তারপরও তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। গাবতলী থানার ওসি সনাতন সরকার বলেন, এসআই জাহাঙ্গীর আমাকে বা থানার ডিউটি অফিসারকে না জানিয়ে মাদক উদ্ধারে অন্য বিটে যান। সেখানে এ ঘটনা ঘটে। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় খোকনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খোকন রায়কে আটকের পর তার কাছে ১০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন