শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
ধানকাটা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ধানকাটাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত দুজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় সবাই ইট পাটকেলের আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ।   পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মূলত গোপীনাথপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে বিরোধ চলতে থাকে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন কুদ্দুস মুন্সী ও সিরাজ শেখ, অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন সাইমুন শেখ। কুদ্দুস মুন্সির দলের সিরাজ শেখ তার জমিতে ধান রোপন করে, তখন ধান রোপন করতে বাঁধা দেওয়া হয় নাই। সিরাজ শেখের ধান যখন আধা পাকা হয় তখন কেটে নিয়ে যান সাইমন শেখ। তাদের দাবি এই জমি নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। এ নিয়ে ভাংগা থানায় একটি মামলাও হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই গ্রুপ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। উভয় গ্রুপ ঢাল, শরকি, টেটা ও ইট পাটকেল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালায়। এ সময় উভয় গ্রুপের ১০-১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে ভাংগা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় হামিরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোকন মিয়া জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি, তবে ইট পাটকেলের আঘাতে সাত থেকে আটজন আহত হয়েছে। এদিকে তদন্তকারী অফিসার এসআই কবির হোসেন জানান, ইট পাটকেলের আঘাতে দুই গ্রুপের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। এখনও কোনো পক্ষের অভিযোগ পাওয়া যায় নাই।
৫৫ মিনিট আগে

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা / চেয়ারম্যানের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা আহত
মিরসরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ছয়জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে উপজেলার  খৈয়াছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনুর হামলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. শাখাওয়াত হোসেন (৩৫) আহত হয়েছেন। উপজেলার খৈয়াছরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন মিরসরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। শাখাওয়াত খৈয়াছরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব পোলমোগরা এলাকার আব্দুর রূপ মুন্সী বাড়ির মো. ওমর ফারুকের ছেলে।  জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বুধবার মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে বিজয় লাভ করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন (কাপ-পিরিচ)। নির্বাচনী ফলাফল শেষে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান (ঘোড়া) প্রতীকের সমর্থকরা পরাজিত হয়ে কাপ-পিরিচ সমর্থকদের ওপর হামলা করেন।  এদিকে বুধবার (৮ মে) রাত ১০টায় বাবলু এবং আফাজের নেতৃত্বে খৈয়াছরা ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারে মন্নান সওদাগরের দোকানে ভাঙচুর এবং হামলা চালায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী শেখ আতাউর রহমান (ঘোড়া) প্রতীকের সমর্থকরা। হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত এনায়েত হোসেন নয়নের (কাপ-পিরিচ) এজেন্ট আমজাদ হোসেন (৩৫), সোহরাব হোসেন সোহেল (৩০), ওয়াসিম উদ্দিন সুমন (৩৫) ও সাইফুল ইসলাম (৩০) আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমজাদ হোসেন চমেক হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছেন। আহত আমজাদ হোসেন বলেন, বুধবার রাত ১০টায় বাবলু এবং আফাজের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ এসে বড়তাকিয়া বাজার আমার দোকান মান্নান স্টোরে এসে অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমার দোকানে থাকা রড দিয়ে আমাকে এবং আমার সঙ্গে আরও তিনজনের ওপর তারা হামলা করে। তিনি আরও বলেন, আমি কেন এনায়েত হোসেন নয়নের কাপ-পিরিচের জন্য কাজ করেছি। আমরা কেন শেখ আতাউর রহমানের ঘোড়া সমর্থনে কাজ করি নাই এজন্য তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে।  আহত খৈয়াছরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার জেঠাতো ভাই মো. জাহেদ (৫০) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এনায়েত হোসেন নয়নের কাপপিরিচ মার্কার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার করায় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শেখ আতাউর রহমানের (ঘোড়া) সমর্থক আফাজ এবং বাবলু সকালে বড়তাকিয়া বাজারে মারধর করে। আমার জেঠাতো ভাইকে মারধরের বিয়ষটি স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনুকে মৌখিকভাবে জানাতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে কিল ঘুষি, চড়-থাপ্পর ও লাথি মেরে এবং হাতে থাকা কলম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরবর্তীতে আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  শাখাওয়াত আরও বলেন, আমি যদি এ ঘটনায় মামলা করি তাহলে আমাকে পুনরায় মারধর করবে বলে হুমকি ধমকি প্রদান করছে। আমি এ হামলার বিচার চাই। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে খৈয়াছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুন বলেন, শাখাওয়াত নামে একজন এসে আমাকে থ্রেট মূলক কথাবার্তা বলতেছে, তখন আমি রাগান্বিত হয়ে শাখাওয়াতের গালে দুটি থাপ্পর দিয়েছি। এখানে তখন অনেক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মো. এরশাদ উল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে শাখাওয়াত হোসেন একজন হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। মিরসরাই থানার উিউটি অফিসার এসআই আমির হোসেন বলেন, শাখাওয়াতের উপর হামলার বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সহকারি রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, খইয়াছড়া ইউনিয়নে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে

বিজয় মিছিল কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১০
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয় মিছিল কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলার ডগ্রি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম ইসমাইল হক পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পরে নশাসন ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি নুরুজ্জামান হাওলাদার, বাবুল মোল্লা, সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মাহবুব ফকির, রতন মাস্টার, লিটন হাওলাদার, লিটন মাদবর ও হাবিব মাদবরসহ ইসমাইল হকের সমর্থকরা মাঝিরহাট বাজার থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে ডগ্রি বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি ঘোড়া প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুন শিকদার ভিপি মোস্তফার সমর্থক ও নশাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের বাড়ির সামনে আসলে মিছিল থেকে দেলোয়ার তালুকদারের বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারা শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে যুবদল সভাপতি নুরুজ্জামান হাওলাদার, চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদারসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।  আহতদের মধ্যে যুবদল সভাপতি নুরুজ্জামান হাওলাদারসহ দুজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত চেয়ারম্যান দেলোয়ার তালুকদার, ইউপি সদস্য কাদির মুন্সীসহ তার সমর্থকরা ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। নশাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের স্ত্রী ডালিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ভিপি মোস্তফার সমর্থক। নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসমাইল হক বিজয়ী হওয়ার পরে নুরুজ্জামান হাওলাদার, রতন মাস্টারসহ অন্যান্যরা বিজয় মিছিল বের করে। ওই মিছিল থেকে আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। হামলায় চেয়ারম্যানসহ আমাদের পক্ষের কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়েছেন। চেয়ারম্যানসহ অন্যরা বর্তমানে ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  হোসেন মাদবর বলেন, হামলাকারীরা আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করে ব্যাপক লুটপাট চালায়। আমরা এ হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।  যুবদল সভাপতি নুরুজ্জামান হাওলাদার বলেন, আমি যুবদল সভাপতি সেটা আপনার লেখার দরকার নেই। আমি ইসমাইল হকের সমর্থক এটা লিখুন। আমরা মিছিল নিয়ে ডগ্রী বাজার থেকে ঘুরে পেছন দিকে আসার পথে আমাদের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। আমার স্ত্রী রোমানা নশাসন ইউপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য। কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনী সকল কার্যক্রমে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে না উল্লেখ করে শরীয়তপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ বলেন, নশাসন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নির্বাচনী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, যদি এমন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শরীয়তপুর পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছোড়াকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৯ জনকে আটক করেছে।  এ বিষয়ে দেলোয়ার চেয়ারম্যানের স্ত্রী  ডালিয়া বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সার্বিক পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
৫ ঘণ্টা আগে

বরিশালে উপজেলা নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় পুলিশসহ আহত ১৭ 
বরিশালের বাকেরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে ৭ পুলিশ সদস্য ও প্রার্থীর সমর্থক নারী-পুরুষসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যার পর উপজেলা পরিষদ হলরুমে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় প্রার্থী ও তার সমর্থকরা জড়ো হয়।  ফলাফল প্রকাশের শেষ দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলামের তালা মার্কা ব্যাপক ভোটে ব্যবধানে এগিয়ে থাকলে হঠাৎ সার্ভার সমস্যা দেখে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় শতভাগ বিজয় নিশ্চিত হয়ে তালা মার্কার সমর্থকরা বিজয় মিছিল দিতে থাকে। তখন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম সার্ভার সমস্যার কথা বলে ফলাফল প্রকাশ বন্ধ রাখেন। তখন হলরুম ছেড়ে উপজেলার কর্মকর্তারা তাদের অফিসে চলে গিয়ে দুই ঘণ্টা পরে রাত ১টায় হল রুমে ফিরে এসে সাইফুল ডাকুয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান এমপি আব্দুল হাফিজ মল্লিকের আপন ছোট ভাই উড়োজাহাজ মার্কার সালাম মল্লিকের হাতে বিজয়ী ফলাফল তুলে দেয়। এ সময় সাইফুল ডাকুয়ার সমর্থকরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রফিকুলের ওপর ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ক্ষিপ্ত হয় একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে ১০ জন সমর্থক আহত হন। বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্য ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এএসআই আরিফুর রহমান, এস আই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচ কনস্টেবল আহত হয়েছে। তারা এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, এই ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর থেকে বাদল খলিফা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে তিনজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ভোট কারচুপির মাধ্যমে স্থানীয় এমপির আপন ছোট ভাই সালাম মল্লিককে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। এ সময় আমার সমর্থকরা উত্তেজিত হলে পুলিশ নির্বিচারে রাতের আঁধারে নারী-পুরুষদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা দেখিয়ে আমার একজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে কোন কারচুপি করা হয়নি। আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ এনে হামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, নির্বাচনে কারচুপি কেউ করেনি। ফলাফল প্রকাশের সময় লাগতেই পারে যেহেতু সার্ভার সমস্যা এটা কারো হাতে না। কিন্তু সাইফুল ইসলাম ডাকুয়ার সামর্থকরা উপজেলা চত্বরে বসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন, এ ঘটনায় আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৭ ঘণ্টা আগে

মাইকে ঘোষণার পর দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ। দুই দফা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বুধবার (৮ মে) সকালে ও মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে উপজেলার আগানগর গ্রামের দুই বংশের লোকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আধিপত্য বিস্তার ও জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দুটি পক্ষের দ্বন্দ্ব জড়িয়ে পড়ে। এ সময় লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় আনুমানিক ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন আগানগর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হক ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. সেলিম মিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ওই এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের সময় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে সুরুল্লার বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। তবে এসব বিষয় অস্বীকার করেছেন আগানগর সুরুল্লার বাড়ির মো. নজরুল ইসলাম। সকালে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগরে অবস্থিত আনন্দ বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার ও জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দুটি পক্ষের দ্বন্দ্ব ছিল দীর্ঘদিন ধরে। একটি পক্ষ আগানগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন ও অপরপক্ষ আগানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোমতাজ মিয়ার পুত্র ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম হিরা। গত ২২ এপ্রিল জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় একজন চিকিৎসককে অতিথি করা নিয়েও দুই প্যানেলের মধ্যে হট্টগোল হয়। এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে সমাধানও হয়। মঙ্গলবার বিকেলে শফিকুল ইসলাম হিরার বাড়ির শুক্কর মিয়ার সঙ্গে ও সাইফুল ইসলাম সুমনের পক্ষের মো. আক্কাস আলীর ড্রেজারের পাইপ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ও মারামারি হয়। পরে তারা মাইকে ঘোষণা দিলে দুই পক্ষে হাজার হাজার মানুষ টেঁটা, বল্লম, দাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন মানুষ আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার সকাল ৮টায় আবারও মাইকে ঘোষণা দিয়ে দ্বিতীয় দফায় সুরুল্লার বাড়ি লোকজনের সঙ্গে বেপারি বাড়ি ও আফিল উদ্দিনরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের লিপ্ত হয়। ৩ ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানান ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন খান।  আগানগর গ্রামের সরুল্লা বাড়ির শুক্কুর মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেপারি বাড়ি ও অফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ নিয়ে গণসংযোগকালে আক্কাস মিয়া ও তার লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে তারা স্থানীয় একটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। বেপারি বাড়ি ও আফিল উদ্দিনের বাড়ির পক্ষে সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে পূর্ব থেকেই ঝামেলা ছিল তাদের। মঙ্গলবার এরই রেশ ধরে শুক্কুর মিয়াসহ সুরুল্লার বাড়ির লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই দফা সংঘর্ষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও কর্তব্যরত চিকিৎসক। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, আগানগর গ্রামের ঝগড়ায় আহত হয়ে উভয়পক্ষের ৩০ জন রোগী চিকিৎসা নেয়। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হয়ে সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৫০ জন রোগী চিকিৎসা নেয়। এর মধ্যে আটজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।  এ বিষয়ে ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন খান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই বংশের লোকজন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এবং বুধবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। 
০৮ মে, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের মধ্য চর আফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ মে) বিকেলে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে দোয়াত-কলম ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দোয়াত-কলম প্রতীকের শতাধিক কর্মী হঠাৎ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে করতে পশ্চিম দিক থেকে স্থানীয় হাজিরহাট বাজারের দিকে যায়। আক্রমণে শিকার হয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের কর্মীরা বিভিন্ন দিকে ছুটতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কেন্দ্রের ভেতর পুলিশ-আনসার থাকলেও কেন্দ্রের বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য না থাকার সুযোগ নেয় দুষ্কৃতকারীরা। তবে খবর পেয়ে কিছু সময় পর তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষকারীরা গা ঢাকা দেয়। মধ্য চর আফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. সাঈদুর রহমান বলেন, কেন্দ্রের বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। বর্তমানে কেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

ভোটকেন্দ্রে ভিমরুলের আক্রমণ, আহত ৩৫
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে একটি ভোটকেন্দ্রে দফায় দফায় ভীমরুলের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ আশপাশের এলাকার মানুষজন। এ সময় ভীমরুলের আক্রমণে মহিলা-পুরুষসহ প্রায় ৩৫ জন আহত হয়। বুধবার (৮ মে) দুপুরে দুই দফায় উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের মুশুদ্দি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রথম দফায় দুপুর ১টার দিকে মুশুদ্দি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ দিক থেকে একঝাঁক ভীমরুল কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা নারী-পুরুষসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের আক্রমণ করে। হঠাৎ এমন আক্রমণে সবাই দিশেহারা হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে থাকে। মুহূর্তে ভোটকেন্দ্র ফাঁকা হয়ে যায়। অনেকেই খড় জ্বালিয়ে ধোঁয়া তৈরি করে আত্মরক্ষা করেন। প্রায় ২০ মিনিট পর ভীমরুলের ঝাঁক অন্যত্র চলে গেলে আহতদের উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, দ্বিতীয় দফায় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ভীমরুলের ঝাঁক ভোটকেন্দ্রে আক্রমণ চালায়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) আবু তাহের জানান,‌ ভীমরুলের আক্রমণে ৪ পুলিশ সদস্য ও ২ জন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্যদের অবস্থা বেশ খারাপ হলেও তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। মুশুদ্দি  দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মো. মামুন সরকার জানান, ভীমরুলের আক্রমণে তার কেন্দ্রে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পুলিশের ৪ জন, আনসার সদস্য ২ জন ও স্থানীয় ২ জন‌ শিশুসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মো. ছানোয়ার ও মো. ছলিমুল্লাহ নামে দুজনের অবস্থা গুরুতর। এই দুজনসহ মোট ১০ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, সাময়িকভাবে ভোটকেন্দ্রে কিছুটা অসুবিধা হরেও কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। উল্লেখ্য, মুশুদ্দি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ২০৫৩। এর মধ্যে নারী ভোটার ১০৪৩ জন ও পুরুষ ভোটার ১০১০ জন।
০৮ মে, ২০২৪

মাদারীপুরে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০
মাদারীপুর সদর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।  বুধবার (৮ মে) বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।  এ সময় কমপক্ষে ১০টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৯৫ নম্বর বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল নিতে আসেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আসিবুর রহমান খানের অনুসারী এনামুল হাওলাদার ও তার লোকজন। এ সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পাভেলুর রহমান খানের অনুসারী আজাদ হাওলাদার তাদের বাধা দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।  এ সময় কমপক্ষে ১০টি বোমা বিস্ফোরণ করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে একজন সাধারণ ভোটারসহ আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ওসি এসএম সালাউদ্দিন জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পরে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ভোটগ্রহণ চলছে।
০৮ মে, ২০২৪

চট্টগ্রামে এজেন্টের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৬
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়নের প্রধান এজেন্টের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ মে) মঘাদিয়া সরকারি প্রাথমিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এ কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়ক তোফায়েল উল্যাহ চৌধুরী নাজমুল ও হামিদ উল্যাহ চৌধুরীসহ আরও চারজন আহত হন।  ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক স্থানীয় মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টারের নেতৃত্বে তার কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়ন মঘাদিয়া সরকারি প্রাথমিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছালে ক্ষিপ্ত হয়ে বাকবিতন্ডায় জড়ান স্থানীয় মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার। এসময় এনায়েত হোসেনের সঙ্গী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রায়হান কাউছারের সঙ্গে তর্ক ও মৃদু হাতাহাতি হতে দেখা যায়। কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়নের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শাখাওয়াত উল্যাহ রিপন জানান, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী কেন্দ্র দখল করে৷ এ ছাড়া যিনি কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রধান সমন্বয়ক তোফায়েল উল্যাহ চৌধুরী নাজমুল ও হামিদ উল্যাহ চৌধুরীসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে পিটিয়ে আহত করে৷ তারা বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তিনি আরও জানান, ঘোড়ার প্রতীকের সমর্থকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে। শুধু স্থানীয় চেয়ারম্যানের গ্রামের লোকজনকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বাকি দুটো গ্রামের মানুষদের আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোটকেন্দ্রে বাধা দিয়ে জবর-দখল করে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশকে নষ্ট করতে চাচ্ছে তারা। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মৌমিতা রায় জানান, নির্বাচনসংক্রান্ত ঝামেলায় একজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী নিজে লোকজন নিয়ে এসে কেন্দ্রে ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। মঘাদিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমা জানান, মঘাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঝামেলার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করেছি৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

নরসিংদীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
নরসিংদীর সদর উপজেলা নির্বাচনে সদরের একটি ভোটকেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) সকালে উপজেলার কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তাৎক্ষণিভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, আনারস প্রতীকের আব্দুল বাকিরের সমর্থক স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনির মোল্লার সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করতে গেলে বাধা দেয় কাপ-পিরিচের সমর্থকরা। এতে দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয়পক্ষের পাঁচজন আহত হয়।  প্রিসাইডিং অফিসার কাউছার আহমেদ জানান, দুপক্ষের সংঘর্ষের উত্তেজনার ফলে ৪৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে কেন্দ্রটি পুনরায় চালু হয়। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৮ মে, ২০২৪
X