চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়নের প্রধান এজেন্টের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৮ মে) মঘাদিয়া সরকারি প্রাথমিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এ কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়ক তোফায়েল উল্যাহ চৌধুরী নাজমুল ও হামিদ উল্যাহ চৌধুরীসহ আরও চারজন আহত হন।
ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক স্থানীয় মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টারের নেতৃত্বে তার কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়ন মঘাদিয়া সরকারি প্রাথমিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছালে ক্ষিপ্ত হয়ে বাকবিতন্ডায় জড়ান স্থানীয় মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার। এসময় এনায়েত হোসেনের সঙ্গী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রায়হান কাউছারের সঙ্গে তর্ক ও মৃদু হাতাহাতি হতে দেখা যায়।
কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়নের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শাখাওয়াত উল্যাহ রিপন জানান, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী কেন্দ্র দখল করে৷ এ ছাড়া যিনি কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রধান সমন্বয়ক তোফায়েল উল্যাহ চৌধুরী নাজমুল ও হামিদ উল্যাহ চৌধুরীসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে পিটিয়ে আহত করে৷ তারা বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
তিনি আরও জানান, ঘোড়ার প্রতীকের সমর্থকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে। শুধু স্থানীয় চেয়ারম্যানের গ্রামের লোকজনকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বাকি দুটো গ্রামের মানুষদের আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোটকেন্দ্রে বাধা দিয়ে জবর-দখল করে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশকে নষ্ট করতে চাচ্ছে তারা।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মৌমিতা রায় জানান, নির্বাচনসংক্রান্ত ঝামেলায় একজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।
ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী নিজে লোকজন নিয়ে এসে কেন্দ্রে ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
মঘাদিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমা জানান, মঘাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঝামেলার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করেছি৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন